Banner Advertiser

Thursday, January 8, 2015

[mukto-mona] দেশে-বিদেশে মিত্রহীন হচ্ছে বিএনপি!



দেশে-বিদেশে মিত্রহীন হচ্ছে বিএনপি!
শাহাব উদ্দিন সাগর
অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি দেশে-বিদেশে ধীরে ধীরে মিত্রহীন হয়ে পড়ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত ৫ জানুয়ারির দলটির কর্মসূচি এবং এর আগে দলের নেতাদের বিদেশ সফরে কাক্সিক্ষত ফল না আসা, খালেদা জিয়ার 'অবরুদ্ধ' থাকার সময় শরিক জামায়াত এগিয়ে না আসাসহ সার্বিক বিষয় বিবেচনায় রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সংশ্লিষ্টরা এমনটাই ধারণা করছেন। 
তারা বলছেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গুলশানের বাসায় বেগম খালেদা জিয়া 'অবরুদ্ধ' হওয়ার সময় যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা সাক্ষাৎ করেন এবং বিদেশিরা বক্তব্য প্রকাশ করেন। কিন্তু এবারের চিত্র ভিন্ন হওয়ায় বিএনপি দেশে-বিদেশে মিত্রহীন হচ্ছে এমন ধারণা জোরালো হচ্ছে। এছাড়া সম্প্রতি জার্মানির হবু রাষ্ট্রদূতকে ঢাকা সরকার গ্রহণ না করার সিদ্ধান্তের কারণে কূটনীতিকরাও এক ধরনের সতর্ক অবস্থানে আছেন। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, সরকারের হার্ডলাইন মনোভাবে এ সময়ে তারা কোনো ধরনের বিতর্কে জড়াতে চাইছেন না। 
গত বছরের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদের বিরোধী দল বিএনপি অংশ নেয়নি। ফলে এ নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছিল। বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলো বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর 'নতুন নির্বাচন' দাবির আগুনে 'ঘি' ঢালার চেষ্টা করেছিল। সরকারও বিদেশের সঙ্গে সমান্তরালের সম্পর্ক উন্নয়নের নানাবিধ ভূমিকা নিয়েছে। 
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এতে সরকার সফল হয়েছে আর বিএনপিও আন্তর্জাতিক লবি শক্তিশালী করার একটি প্রয়াস চালিয়েছিল। এরই অংশ হিসেবে গেল বছরের সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে বিএনপি নেতা ড. মঈন খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল চীন সফর করে। এ সময় তারা দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানোর চেষ্টা করলেও ডিসেম্বরে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ঝি ঢাকায় এসে যে ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন তাতে বিএনপির মনোবল শক্ত হয়নি। ফলে মঈন খানের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলের চীন সফর ব্যর্থ বলে মনে করা হয় রাজনৈতিক মহল থেকে। 
এদিকে অতি সম্প্রতি ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) কেন্দ্রীয় নেতা তথাগত রায় ঢাকার এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর ভারতের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে এমন দাবি করার কারণে বিএনপির সঙ্গে ভারতের ঐতিহ্যবাহী দলটির সম্পর্কের বিষয়টি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষণে পড়ে। 
পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সাবেক এই সভাপতি আরো বলেছেন, ভারত সরকার আওয়ামী লীগ সরকারকে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে। ভারত সরকার উপলব্ধি করেছে, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার চেয়ে ভালো কোনো সরকার হতে পারে না। এখানকার হিন্দুদের জন্যও এর চেয়ে ভালো সরকার কী হতে পারে? 
সূত্র বলছে, গেল ৫ জানুয়ারিকে ঘিরে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া গুলশানের দলীয় কার্যালয়ে 'অবরুদ্ধ' থাকার সময় দলের একাধিক নেতা কূটনৈতিক অঙ্গনে যোগাযোগ করেছিলেন। তারা বিএনপি নেত্রীর পাশে না থেকে কূটনীতিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কার্যত কোনো ফল আসেনি। 
বিএনপির রাজনীতি সমর্থন করেন এমন সাবেক এক কূটনীতিক বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়া অবরুদ্ধ হওয়ার সময় অনেক কূটনীতিক তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাওয়ায় এবারো সে চেষ্টা করা হয়েছিল। 
এমন উদ্যোগ নিয়ে ঢাকায় ইউরোপের দূতাবাসের মধ্যম শ্রেণীর এক কর্মকর্তা বলেন, অনেক কূটনীতিক তখন দেখা করার অন্যতম কারণ ছিল ওই সময় বেগম খালেদা জিয়া বিরোধী দলের নেতা ছিলেন, কিন্তু এখন শুধু রাজনৈতিক দলের নেত্রী হওয়ায় অনেক কূটনীতিক তার সঙ্গে দেখা করতে ঝুঁকি নিতে চাননি। এছাড়া জার্মান সরকার মনোনীত কূটনীতিক ড. গাব্রিয়েলা গুয়েলিলকে বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেয়ার সম্মতি পাওয়ার প্রস্তাব (এগ্রিমো) অনুমোদিত না হওয়া সরকারের হার্ডলাইনের বিষয়টি প্রকাশ পায়, ফলে কূটনীতিকদের মন্তব্য না করার এটিও একটি কারণ। 
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, ডিসেম্বরে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনা ঢাকা ছাড়ার পরে পশ্চিমা কূটনীতিকদের মধ্যে বড় কোনো বৈঠক হয়নি। ফলে নতুন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাটের অপেক্ষায় থাকা পশ্চিমা বলয়ের দেশগুলোও এ মুহূর্তে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি তথা বিএনপির কর্মসূচি নিয়ে কোনো কথা বলতে চাইছে না। আর ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ ধরনের কর্মসূচিতে আগে কথা বললেও বাংলাদেশের চলমান মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারসহ নানা ইস্যুতে কথা বলে তোপের মুখে পড়ার কারণে তারাও বক্তব্য-বিবৃতি থেকে বিরত রয়েছে। ফলে বিএনপি বিদেশি বন্ধুহীন হয়ে আছে বলে মন্তব্য করা হচ্ছে। 
অন্যদিকে গত কয়েক দিনের বিএনপির কর্মসূচিতে শরিক দল জামায়াতকে মাঠে তেমনভাবে দেখা না যাওয়ায় দেশের মিত্র নিয়েও জোর প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।
এ অবস্থায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে সাবেক আরেক কূটনীতিক বলেন, সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মন্তব্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফের তোপের মুখে পড়ার কারণে মার্কিনিরাও হয়তো পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে। তবে তারপরও বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। 
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও সাবেক কূটনীতিক ওয়ালিউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি গণতন্ত্র হত্যা দিবসের নামে নাশকতার পরিকল্পনা নিয়েছিল সরকার তা ব্যর্থ করে দিয়েছে। 
এভাবে গণতন্ত্র রক্ষা হয় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর আমরা নাশকতা ও সহিংসতামুক্ত ৯টি মাস পেয়েছি। সে সময় বিভিন্ন খাতে সরকারের সাফল্য ছিল উল্লেখ করার মতো। ফলে বিএনপির কর্মসূচি তাদের দেশ-বিদেশে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে, বিশেষ করে মিত্রদের কাছে।

- See more at: http://www.manobkantha.com/2015/01/09/206714.html#sthash.UvxmEZEH.dpuf



__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___