[Attachment(s) from mk haque mk_haque@yahoo.com [mukto-mona] included below]
DDD 244. অধঃপতন নাকি উল্লম্ফন?
Dhaka Daily Dish, 244th Issue, 16th Feb '15
Dear All
The latest write up from Mr Farhad Mazhar, one of the top political
Think Tanker of Bangladesh, is placed today. Because of his longtime
involvement in left line of politics, he is well accustomed with sentiments
n outlook of grass root population. That is why his analysis and predictions
carry value. He came up with excellent write up in only 3 pages. Thanks.
Haque, Lowell, MA, USA.
অধঃপতন নাকি উল্লম্ফন?
ফরহাদ মজহার, Feb 12, 2015. Naya Diganta, Post Editorial
দুই হাজার পনেরো সালের জানুয়ারির ৫ তারিখ বাংলাদেশের ইতিহাসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
৫ জানুয়ারি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই দিনে দীর্ঘকাল ধরে জমে থাকা সমাজের নানান স্তরের দ্বন্দ্ব-
সংঘাত মীমাংসার অতীত রাজনৈতিক বিরোধের রূপ নিয়ে ক্রমে ক্রমে মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়ে
রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে। বাংলাদেশের অতীতের রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব-সংঘাতের তুলনায়
এই পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নতুন। এর মীমাংসা সহজ নয়। একদিক থেকে একে বাংলাদেশের গভীর
গহ্বরে পতন হিসাবে বিবেচনা করা যায়, অন্যদিক থেকে যদি ঐতিহাসিক পর্যালোচনার
অভিজ্ঞতা দিয়ে এই গর্ত কিভাবে আমরা একাত্তরের পর থেকে নিজেরাই খনন করে চলেছি
বুঝতে পারি, তাহলে গর্ত যতো গভীরই হোক উল্লম্ফনের পথটিও ঐতিহাসিক দূরদৃষ্টির প্রতিভা
আমাদের দেখিয়ে দিতে পারে। আমরা আত্মহননের পথ বেছে নেবো, নাকি ঘুরে দাঁড়াবো সেটা
আমাদের সামষ্টিক না হোক সংখ্যাগরিষ্ঠের সংকল্পের ওপর নির্ভর করে। গহ্বর আমরা পেরিয়ে
যেতে চাই, সেটা পারব বলেই বিশ্বাস করি বাংলাদেশের জনগণের হিম্মত ও দূরদৃষ্টি দুটোই আছে।
আমি তাঁদের ওপর ভরসা করি।
ঠিক একই ভাবে পেট্রল বোমায় দগ্ধ হয়ে যাওয়া মানুষগুলোকেও সংখ্যা নয়, তারাও রক্ত মাংসের
মানুষ। নাম দিয়েই মনে রাখতে হবে। আগুনে যাদের চামড়া পোড়ে এবং মাংস দগ্ধ হয়, তারা
আর যাই হোক সংখ্যা মাত্র নয়। দুই পক্ষের বিরোধের শিকার বলে তাদের প্রতি সহানুভূতি সঙ্গত
কারণেই আমাদের বেশী। সরকার দাবি করছে পেট্রল বোমা মারছে বিশ দলীয় জোটের কর্মীরা।
ইতোমধ্যে খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামিও বানানো হয়েছে। কিন্তু বেশ কয়েকটি খবরে দেখা
গেছে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাও বোমা বানাবার সময়, কিম্বা
বোমা হাতে ধরা পড়েছে। পুলিশ অনেককে ধরবার পর ছেড়েও দিয়েছে। বিরোধী জোট বারবারই
বলেছে এই ধরনের হীন ও পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তারা জড়িত নয়। ক্ষমতাসীনরাই বিরোধী
দলের আন্দোলন নস্যাৎ করবার জন্য এইসব ঘটিয়ে তার দায় বিরোধী দলের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে।
কিন্তু এ নিয়ে কোন নিরপেক্ষ তদন্তের সুযোগ হচ্ছে না। বর্তমান ক্ষমতাসীনদের অধীনে তার
সুযোগও অতিশয় ক্ষীণ। আমার আশংকা, আমরা কাণ্ডজ্ঞান হারিয়ে ফেলেছি। যারা ক্ষমতায়
আছে তারা আমার কথা বুঝবেন আশা করি না। কিন্তু বিরোধী দল যদি আমার কথা বুঝে থাকেন,
তাহলে এটা ভেবে নেওয়া উচিত নয় যে নাগরিক ও মানবিক অধিকারের পক্ষে দাঁড়ানোর অর্থ
তাঁদের রাজনীতির প্রতি নিঃশর্ত সমর্থন। না, মোটেও তা নয়। ক্ষমতাসীনরা তাদের প্রতিপক্ষকে
নির্মূল করতে বদ্ধ পরিকর। যা অবাস্তব ও অসম্ভব। আর তা করতে গিয়ে তারা খোদ বাংলাদেশ
রাষ্ট্রের অস্তিত্বই বিপন্ন করে তুলেছে। একটা গভীর গহ্বর বা খাদের কিনারায় এসে আমরা দাঁড়িয়েছি।
অধঃপতন নাকি উল্লম্ফন ৫ জানুয়ারির পরবর্তী পরিস্থিতি আমাদের এই প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড়
করিয়ে দিয়েছে।
__._,_.___