Banner Advertiser

Monday, February 16, 2015

[mukto-mona] পেট্রলবোমার বিভীষিকা - মুখে কুলুপ মানবাধিকার ফেরিওয়ালাদের



পেট্রলবোমার বিভীষিকা
মুখে কুলুপ মানবাধিকার ফেরিওয়ালাদের
রেজাউল করিম



প্রায় দেড় মাস ধরে লাগাতার অবরোধ ও কিছু বিরতি দিয়ে চলা হরতালে নির্বিচারে চলছে পেট্রলবোমা হামলা। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধের জের ধরে এসব হামলা চালানো হলেও পেট্রলবোমার আগুন গ্রাস করছে নিরীহ মানুষের জীবন। নারী-শিশু, বৃদ্ধ-তরুণ, শ্রমজীবী-পেশাজীবী কেউই রেহাই পাচ্ছে না পেট্রলবোমার আগুন থেকে। পৈশাচিক এ সহিংসতায় প্রতিনিয়ত বিপন্ন হচ্ছে মানবতা, মানবাধিকার। কিন্তু দেশে দেড় শতাধিক মানবাধিকার সংগঠন থাকলেও এদের কোনো কোনোটিকে অন্য সময় নানা ইস্যুতে সরব হতে দেখা গেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের কোনো 'রা' নেই। তারা সবাই এখন মুখ বুজে।

পেট্রলবোমার আগুনে এ সময়ে প্রাণ হারিয়েছে ৫৩ জন। নানা বয়স ও পেশার দুই শতাধিক মানুষ দগ্ধ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে, যাদের মধ্যে আছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আড়াই বছরের জুঁই এবং গাজীপুরের ১২ বছরের রকিবের মতো আরো অনেকে। জুঁই ও রাকিব বার্ন ইউনিটে ধুঁকছে। রাকিবের চোখ দুটো বন্ধ, পানিও আটকে যায় গলায়। এ পরিস্থিতিতে দেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলো চুপ থাকায় তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কারণ অন্য সময় সাধারণ ইস্যুতেও বিবৃতি আর কর্মসূচি দিয়ে তারা তোলপাড় করে অন্তর্জাতিক অঙ্গনও।

শুধু যে দেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলো চুপ তাই নয়; যে দু-তিনটি আন্তর্জাতিক সংগঠন বাংলাদেশের ব্যাপারে 'গেল গেল' বলে সোচ্চার হতো, তারাও এখন মুখে কুলুপ এঁটেছে।

এ বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'দেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলো কোনো না কোনোভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর অশ্রয়ে পরিচালিত। আমাদের দেশে এখন রাজনীতির দুটি মেরু। একটি স্বাধীনতার পক্ষের, অন্যটি বিপক্ষের। সংগঠনগুলো এখন তাই কর্মসূচি পালন ও কথাবার্তায় অধিক সতর্ক।' তিনি বলেন, 'দেখা গেছে, হেফাজতে ইসলামের ইস্যু নিয়েও একটি মানবাধিকার সংগঠন উদ্দেশ্যমূলক ও মনগড়া পরিসংখ্যান দিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। অথচ চলমান অবরোধ-হরতালে যা হচ্ছে তাতে তারা একেবারেই নির্বাক। এখানে তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডা জাতির কাছে স্পষ্ট। কিছু মানবাধিকার সংগঠন সরকারকে চাপে রাখতে লবি হিসেবেও কাজ করে থাকে।'

ড. মিজানুর রহমান বলেন, 'দেশের এই পরিস্থিতিতে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর উচিত সব ভেদাভেদ ভুলে এই সহিংসতার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো। সহিংসতা বন্ধে একটি মাত্র পথ খোলা রয়েছে, সেটি হলো- এর বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করা। মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই কাজ করে জাতিকে রক্ষা করতে পারে। এ জন্য দেশের সাধারণ মানুষের কাছে তাদের যেতে হবে।'

সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ

আবার বলেন, 'সরকারের একটি মানবাধিকার সংগঠন রয়েছে- জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নত করতে সরকার তাদের আইনি ক্ষমতা দিয়েছে। কিন্তু মাঝে মাঝে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান সংগঠনের ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন।' এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে মানবাধিকার কমিশনকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, দেশের এই নাজুক মানবাধিকার পরিস্থিতিতে মানবাধিকার কমিশনকে আরো সোচ্চার হতে হবে।

ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, 'দেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলো তথাকথিত এনজিওর ভূমিকা পালন করছে। তারা তাদের দাতাদের নির্দেশনা অনুযায়ী সব কাজ করে থাকে। যারা সরকারকে হেয় করতে বা চাপে ফেলতে নানা সময় উদ্দেশ্যমূলক বিবৃতি বা পরিসংখ্যন প্রকাশ করে থাকে, তাদের ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।'

নজিরবিহীন নাশকতা-সহিংসতা : জানা গেছে, গত প্রায় এক-দেড় মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা-নাশকতায় প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ৮০ জন; আগুন দেওয়া হয়েছে ৯০০ গাড়িতে; ভাঙচুরের শিকার হয়েছে তিন হাজার তিন শর বেশি গাড়ি। আগুনের শিকার যানবাহনের বেশির ভাগই বাস-ট্রাক। একই সময়ে রেলের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে ৭০টি নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। নৌপথে হামলা হয়েছে চার দফা। এসব নাশকতায় ক্ষতি হয়েছে নিরীহ যাত্রীদের। ব্যবসায়ী নেতাদের দাবি, এই সময়ে তাঁদের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৭৫ হাজার কোটি টাকার। অর্থনীতির চাকা থমকে গেছে।

বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের তথ্য অনুযায়ী, গত ১ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৫৪টি শিশু সরাসরি রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার হয়েছে। এদের মধ্যে বাসে পেট্রলবোমায় নিহত হয়েছে ১০ শিশু, ককটেল বিস্ফোরণে নিহত দুই, বাসে পেট্রলবোমায় আহত ১১, ককটেল বিস্ফোরণে আহত ১২, রাজনৈতিক সংঘর্ষে আহত দুই, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে আহত দুই এবং সহিংসতার কারণে আটক বা গ্রেপ্তার হয়েছে ১৫টি শিশু। সংগঠনটির মতে, স্বাধীনতার পর শিশুদের মানবাধিকারের এমন লঙ্ঘন আগে এ দেশে ঘটেনি।

নিবন্ধিত দেড় শতাধিক : জয়েন্ট স্টক কম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসের দপ্তর থেকে জানা যায়, এখানে নিবন্ধিত দেড় শতাধিক মানবাধিকার সংগঠন রয়েছে। কিন্তু এদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ বা মনিটরিংয়ের জন্য নেই কোনো সংস্থা। জয়েন্ট স্টক কম্পানিজ থেকে নিবন্ধনের পর এই সংগঠনগুলো এনজিও ব্যুরোতে তালিকাভুক্ত হয়। এনজিও ব্যুরো আইন অনুযায়ী সংগঠনগুলো প্রতিবছর তাদের কাজের জবাবদিহি করবে। একজন মানবাধিকারকর্মী বলেন, এনজিও ব্যুরোর আইন অনুযায়ী তালিকাভুক্ত এনজিওগুলোর প্রতিবছর অডিট করবে ব্যুরো। ওই অডিটে তাদের অর্থনৈতিক উৎস ও এর খরচের হিসাবসহ তাদের যাবতীয় কার্যক্রমের হিসাব থাকবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, এনজিও ব্যুরোতে এই অডিট হয় দায়সারাভাবে, যেখানে থাকে অনিয়মে ভরপুর। ফলে মানবাধিকার বা সাধারণ এনজিওগুলো যেনতেনভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং তাদের কার্যক্রমের দায়সারা একটি অডিট রিপোর্ট বা প্রতিবেদন এনজিও ব্যুরো কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে জমা দেয়।

মানবাধিকারের যত বুলি : ২০১৩ সালের ১৫ মে ঢাকায় হেফাজতে ইসলামের সমাবেশকে কেন্দ্র করে ওই বছরের ১০ জুন 'হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সমাবেশ ও মানবাধিকার লঙ্ঘন' শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে মানবাধিকার সংগঠন 'অধিকার'। তাতে ৬১ জন নিহত হওয়ার দাবি করা হলেও তাদের নাম-ঠিকানা বা বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয় ওই ৬১ জনের নাম-ঠিকানাসহ বিস্তারিত জানতে চেয়ে অধিকারকে চিঠি দেয়। কিন্তু অধিকার সরকারকে কোনো তথ্য দেয়নি। কিন্তু চলমান রাজনৈতিক ইস্যুতে পেট্রলবোমা বা বিরোধী দলের সহিংসতায় নিহতের কোনো পরিসংখ্যান তো এই সংগঠনটি গণমাধ্যমে প্রকাশ করেইনি, এমনকি সরকারের প্রতিপক্ষ জোটের আন্দোলনের সময় সংঘটিত এসব পৈশাচিক নাশকতা যে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন, সে কথাটিও মুখ ফুটে একবারও বলেনি তারা।

এ বিষয়ে অধিকারের সম্পাদক অ্যাডভোকেট আদিলুর রহমান শুভ্রর মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমি কালের কণ্ঠ পত্রিকাকে কোনো মন্তব্য দিতে চাই না।' এর কারণ কী জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, 'আমি যখন কারাগারে ছিলাম তখন কালের কণ্ঠ আমার বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন করেছে।'

গত ৬ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বাংলাদেশ সরকারের প্রতি গুম-হত্যা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে এক বিবৃতি দেয়। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে পেট্রলবোমায় যে হারে মানুষ নিহত হচ্ছে তা বন্ধের জন্য কোনো পক্ষকে তারা কিছু বলেনি। সংগঠনটি নানা সময় বিতর্কিত ভূমিকা পালন করেছে বাংলাদেশ ইস্যুতে। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে বিতর্ক সৃষ্টি করতে এ সংগঠন জোরালো তৎপরতা চালিয়েছে। এ ছাড়া মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমসহ সাজাপ্রাপ্তদের পক্ষে বেশ সাফাই গেয়েছে তারা। কিন্তু চলমান সহিংসতা-নাশকতায় মানবাধিকারের যে লঙ্ঘন হচ্ছে তা নিয়ে কোনো বিবৃতি বা উদ্বেগ নেই তাদের।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল নামের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনটিও বিভিন্ন সময় বাংলাদেশে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি বন্ধ করে মানবাধিকারকে সুসংহত করাসহ নানা দাবি জানালেও এবং বিভিন্ন ইস্যুতে সমালোচনামুখর হলেও সাম্প্রতিক পেট্রলবোমা হামলা আর নাশকতার বিরুদ্ধে একটা টুঁ শব্দ করেনি।

এই দুটি আন্তর্জাতিক সংগঠনের বাংলাদেশে কোনো অফিস না থাকায় তাদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

তাঁদের যত অজুহাত : বর্তমান পরিস্থিতিতে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর নিরপেক্ষভাবে কাজ করার সুযোগ নেই বলে দাবি করেন হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট এলিনা খান। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, 'দেশে একদিকে পেট্রলবোমা মেরে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে, অন্যদিকে নিরীহ মানুষকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ বাণিজ্য করছে। এই ক্ষেত্রে পুলিশি ভয়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলো কাজ করতে পারছে না। কারণ পুলিশ যখন তখন যাকে তাকে গ্রেপ্তার করে হত্যা মামলা বা পেট্রলবোমা মামলার আসামি করছে। কোনো মানবাধিকার সংগঠন সত্য কথা বললে তাকেও ছাড় দেওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। সরকারের উচিত যারা পেট্রলবোমা মেরে নাশকতা করছে, নিরীহ মানুষকে হত্যা করছে, তাদের খুঁজে বের করে দ্রুত বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা। অন্যদিকে যেসব নিরীহ মানুষ পুলিশের হাতে আটক হচ্ছে, তাদের হয়রানি থেকে রক্ষা করা।'

মানবাধিকারের কথা বলে এ সময় কে গ্রেপ্তার হয়েছে, জানতে চাইলে এলিনা খান তা কৌশলে এড়িয়ে যান। তবে তিনি স্বীকার করেন, মানবাধিকার সংগঠনগুলোও রাজনৈতিকভাবে বিভাজিত হয়ে গেছে। ফলে কেউ সরকারকে তুষ্ট করতে, আবার কেউ বিরোধীদের তুষ্ট করতে কাজ করে যাচ্ছে। মানবাধিকার রক্ষায় নিরপেক্ষ কাজ হচ্ছে না। তিনি বলেন, জাতির এই সংকটকালে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর উচিত দল-মত ভেদাভেদ ভুলে মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করা। জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ কালের কণ্ঠকে বলেন, মানবাধিকার সংগঠনগুলো অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। আইন অনুযায়ী অলাভজনক প্রতিষ্ঠানকে অরাজনৈতিক হতে হবে। বর্তমানে যা হচ্ছে তা রাজনৈতিক সহিংসতা। তাই অনেক মানবাধিকার সংগঠন এ নিয়ে মুখ খুলছে না।

ওরা চলে স্বার্থ মেপে : প্রবীণ আইনজ্ঞ ব্যরিস্টার রফিক-উল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, 'মানবাধিকার সংগঠনের নামে এখন ব্যবসা করা হয়। স্বার্থ হিসাব করে আমাদের দেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলো কাজ করে থাকে। তাদের নিয়ন্ত্রণের জন্য যে প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তারাও দুর্বল; কিছু বলার সাহস রাখে না। এ ব্যাপারে কোনো আইনও নেই বা শক্তিশালী মনিটরিং সেলও নেই। সরকারও কোনো সময় এদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় না। এদের বিদেশি ফান্ড নিয়ে সরকারের তেমন মাথাব্যথা নেই। দু-একটি ছাড়া বেশির ভাগ মানবাধিকার সংগঠন নামমাত্র। ফলে জনগণের মানবাধিকার কোথায় গেল আর কোথায় থাকল, তা নিয়ে তাদের কোনো চিন্তা নেই।'

 http://www.kalerkantho.com/print-edition/first-page/2015/02/17/188860

এ সংক্রান্ত আরো খবর

- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/first-page/2015/02/17/188860#sthash.n66Jpz7v.dpuf




__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___