Banner Advertiser

Monday, March 2, 2015

[mukto-mona] Avijit Royke nie ekti lekha - আজকের খবরে অভিজিৎ মৃত। কালকের খবরে অভিজিৎ মৃত্যুঞ্জয় হয়ে উঠুক!



অভিজিত রায়একজন মার্কিন নিবাসী বাঙালী লেখকএক "মুক্ত-মনাচিন্তাধারার লেখক এবং প্রতিষ্ঠাতাগত ২৬-শে ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যেবেলাঅর্থাৎ আজ থেকে ঠিক তিনদিন আগেবাংলাদেশের একুশে বইমেলা থেকে পায়ে হেঁটে নিজের বাড়ি ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস এবং নিকটবর্তী পুলিশ স্টেশনের থেকে ঢিল ছোঁড়া দুরত্বেজনসমক্ষে চপার দিয়ে কুপিয়ে খুন হয়েছেন। তাঁর স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা যিনি যেটুকু পরিচয় সোশ্যাল মিডিয়ায় ভেসে আসছে তার পরিপ্রেক্ষিতে বলতে গেলে সার্থকঅর্থেই অভিজিৎ বাবুর সহধর্মিণীতিনি প্রাণে বেঁচে গেছেন কিন্তু গুরুতর আহত।





ওনাদের অপরাধ – ওনারা মুক্ত-মনে নিজেদের ধর্মবিশ্বাসের কথা লিখতেন এবং লেখার মাধ্যমে প্রচার করতেন।


হ্যাঁজাস্ট এইটুকুই।


লিখতেন, জাস্ট এইটুকুই তাঁদের অপরাধ!


---------------------------



আর খবর বলতেওএইটুকুই!


বাকিটাস্রেফ একটা অজানা ধরণের দম  বন্ধ হয়ে আসাগলার কাছে ডেলা পাকানো নিঃশব্দ একটা ভয়দু'হাতের মুঠো পাকিয়ে আসা নিষ্ফলঅব্যক্ত একটা রাগ। আর এইসবের ঊর্ধ্বেএইসবকিছুর  ঊর্ধ্বেএকটা ভীষণভীষণ অবাক হওয়া। মানেসত্যিসত্যি এরকম হতে পারেআজকেএই ২০১৫তে?


গত দু-তিনদিন ধরে অভিজিৎ রায়কে ঘিরে নানান কথাবার্তাআলোচনাদুপক্ষের – হ্যাঁদুপক্ষেরই – উল্লাসের উত্তরে ঘৃণাসেই ঘৃণার প্রত্যুত্তরে আরও চার ডিগ্রী অধিক ঘৃণাকাদাগালাগালিআক্রমণএইসব দেখছি। আবার পাশাপাশি এও দেখছি – ছেলেটার আর মেয়েটার কি সুন্দর সতেজপবিত্রআনন্দময়উজ্জ্বল হাসিমুখ। পাঠকদের অটোগ্রাফ দিচ্ছেচায়ের ভাঁড় হাতে খোশগল্প করছেদুজন ঠিক আমাদের মতনই প্রবাসীসম্ভবত হোমসিকদীর্ঘদিনের অপেক্ষার পর বাড়ি-ফেরা দুজন যুবক – যুবতীর কিছু আন্তরিক বন্ধু-মুহূর্ত। মৃত্যুর জাস্ট ঘণ্টা-খানেক আগেরই ছবি। একুশের বইমেলায়যেখানে অভিজিতের নতুন বই ছেপে বেরিয়েছে। 







আবার দেখছি, "মুক্তমনাওয়েবসাইটযা কোন অজ্ঞাত কারণে ব্লক হয়ে আছে সেই অভিশপ্ত খবরটি প্রকাশ মুহূর্ত থেকেইকিন্তু তারই মধ্যে কিছু পুরনোআর্কাইভ করা লেখাবা অভিজিতের ফেসবুক ওয়ালের কিছু পোস্ট আর আলোচনা। সেগুলো প্রত্যেকটা পড়ে অবধারিত ভাবে একটা কথাই সমানেবারে বারে মনে হচ্ছে - আরেএরা তো একদম আমার মতোআমাদের মতো করেই ভাবে!


সরিগ্রামাটিকাল মিস্টেক হয়ে গেলো! "ভাবতো"


---------------------------


অভিজিতের এই খুনের ঘটনাটা নিয়ে গত তিনদিন ধরে বেশ কয়েকবার লিখতে বসে তারপর রণে ভঙ্গ দিয়েছি। ঘেঁটে গেছি। এই লেখাটাও যারপরনাই অগোছালো হচ্ছেরাস্তা হারাচ্ছে। সত্যি বলতে কিআমি না ঠিক জানিনা কি লিখবোবা আদতে আমি অনুভবটাই বা ঠিক কি করছি!


সহমর্মিতা


হয়তনিজের থেকে বয়েসে সামান্য বড়চিন্তাধারার সঙ্গে ভীষণভাবে রিলেট করা যায় এমন একজন মানসিকতার মানুষের এই নির্মম অকালপ্রয়াণ যে স্বাভাবিকভাবেই আমাদেরকে বেদনা দিচ্ছেসে তো বলাই বাহুল্য!


ভয়?  


হ্যাঁতাও। স্রেফ নিজের বিশ্বাসের কথা সাহস করে বলার জন্যলেখার জন্য এইরকম ভয়াবহ পরিণতিআররাস্তায় লোকজন সব ভিড় করে দাঁড়িয়ে দেখলএকে অপরের ঘাড়ে মাথা ভর করে দেখলআর কেউ এক পা এগিয়েও এল না পর্যন্তওআমরাআমাদের প্রাণআমাদের এই জীবনএই বেঁচে থাকাএই সবকিছু – এতটাই সস্তাএতটাই ঠুনকোক্ষণস্থায়ীআরমনের কথা বলাটাসেই সৎসাহসটা - এতটাই বিপজ্জনকএতটাই ভয়ানক?


আর রাগ?  


জানিনা। সত্যিই জানিনা। 


রাগ করার জায়গা কি আর আছে? বা, বুকের পাটা? নাকিকখন অন্ধকার একটা কোনা দেখে চট করে লুকিয়ে পড়বনিজের পিঠ বাঁচাবোশুধু সেই সুযোগটুকুরই অপেক্ষা?


---------------------------


আমি নিজে চিরকাল লজিকাল আরগিউমেন্টাটিভ নাস্তিক হিসেবে নিজেকে ভাবতে ভালবেসেছি। আমাদের নাস্তিকদের অনেক আলোচনাতেই প্রধানত যেটা শুনতে হয়বা নানান ক্ষেত্রে নিজেদের বক্তব্যকে নিজেরাই যে ডিস্ক্লেমারের মোড়কে মুড়ে পেশ করতে হয়তা হল – আমাদের বিশ্বাস (অর্থাৎ কিনাঅবিশ্বাস - যদিও আমি ব্যক্তিগত ভাবে নাস্তিকতাকে ধর্ম বলে মানি।এবং বক্তব্যযেটা আমরা উপস্থাপন করছিতা আমরা যেন অন্যের ধর্মবিশ্বাসের প্রতি যথেষ্ট সহিষ্ণুতা এবং সম্মান রেখে তবেই বলি। (যে ধর্মবিশ্বাস কিনা এই ২০১৫তে দাঁড়িয়েও সচরাচর গৃহস্থবাড়িতে হপ্তায় দুই থেকে তিনদিন উপোষ থাকা বা নিরামিষ খাওয়াবা মুসুরির-ডালের ডেকচিটা শুক্তোর কড়াইয়ে অসাবধানতাবশত ঠেকে যাওয়ার মতো সূক্ষ্ম সুতোর বিচারব্যবস্থার ওপর প্রায়শই নির্ভর করে থাকে।)        


বারবার যখন আমাদের উদ্দেশ্যেইঙ্গিতে বা প্রকাশ্যেএটা বলা হয় যে আমাদের নাস্তিকতা যেন ননজাজমেন্টাল হয়যাতে কোন প্রকারের বিশ্বাসকেই সে ক্লাসিফাই করার স্পর্ধা না ধরের‍্যাঙ্ক না করেআমার সত্যি বলতে তখন একটু খটকাই লাগেআবার অপরদিকে আস্তিকদের মধ্যে এই সহিষ্ণুতার সতর্কীকরণবার্তা প্রচারের চল কিন্তু অতটা নেই। তাঁরা ভগবান নামক বস্তু(?)-টির কাছাকাছি তো, হয়ত তাইকিন্তু মনে রাখতে হবেএই অসহিষ্ণুতা কিন্তু রক্ত ঝরানোর ক্ষমতা রাখে। এই অসহিষ্ণুতা অভিজিতেরবন্যার রক্ত খায়!


এইজাতীয় তর্কের মুহূর্তে অনেকবারই আমি বোকার মতঠ্যাঁটার মতগাধার মতএকা বা বন্ধুরা দল বেঁধে তর্ক করেছি কিছুদূর পর্যন্ত। বলেছি – ব্যক্তি আক্রমণ না করেই বলেছি – কোথাও যদি একটা জাজমেন্ট না থাকেতাহলে তো এগিয়ে যাওয়া আর পিছিয়ে পড়ার মধ্যে তফাৎটুকুও করতে পারবনা আমরাবিদ্যাসাগর আর আসারাম-বাপুর মধ্যেও কি তাহলে কোন র‍্যাঙ্কিং হবে না?


এঁড়ে তর্ক হয়তহয়ত ক্ষমা-ঘেন্না করে পাশ কাটিয়ে গেছে অপর-পক্ষ।


কিন্তু কি ভাগ্য আমার - আজ মনে হচ্ছেকি ভাগ্য আমারযে অভিজিতের মতো এতো সাহসএতো মনের জোর কোনদিন হয়নিযে এটা নিয়ে "কাজকরব। লিখবোপ্রচার করবমানুষকে ভাবাবোসেই ক্ষমতাব্যাপ্তিসেই পড়াশোনাসেই প্রস্তুতিভাগ্যিস নেই আমার। সবচেয়ে বড় যেটাদম- নেই!


আর স্রেফ সেই জন্যেইহয়ত জাস্ট সেই জন্যেইআজকেএই মুহূর্তেএই মুহূর্তে বেঁচে আছি আমি। অভিজিৎআর নেই!


---------------------------


কিন্তু আবারযদি এইভাবে ভাবোআমরা বেঁচে আছি কিন্তু। এখনো বেঁচে আছিতুমিআমিআমরা কয়জনএখনো বেঁচে আছিবেঁচে আছি কিন্তুভেবে দেখো!


হয়ত আমাদের কারোরই একার সেই ক্ষমতা নেই। সাহস নেইপ্রস্তুতি নেইদম নেই। কিন্তুসবাই মিলে যদি একটা চেষ্টা করা যায়?


ভয় করছেহতাশ লাগছে। গায়ে কাঁটা দিচ্ছে এখনো।


তবুবিশ্বাস রাখছি। বিশ্বাসটা অন্তত থাক!


আজকের খবরে অভিজিৎ স্রেফ মৃত। কালকের খবরে অভিজিৎ মৃত্যুঞ্জয় হয়ে উঠুক!



__._,_.___

Posted by: Sinjini Sengupta <sinjini.sengupta@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___