Banner Advertiser

Monday, March 9, 2015

[mukto-mona] Fw: বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়কে পুলিশী ক্যাম্পে পরিণত





On Tuesday, March 10, 2015 10:00 AM, Shah Abdul Hannan <biituttara@gmail.com> wrote:


Similar is the situation of JI Headquarters.

তালা ঝুলছে ৬৬ দিন ॥ দলটির চেয়ারপার্সনও গৃহবন্দী
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়কে পুলিশী ক্যাম্পে পরিণত করার অভিযোগ
অবরুদ্ধ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়
মোহাম্মদ জাফর ইকবাল : ক্ষমতাসীন আ'লীগ নিজেদের গণতান্ত্রিক সরকার দাবি করে। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা তাদের এ দাবির সাথে দ্বিমত পোষণ করে সরকারের প্রতি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, সরকার যদি গণতান্ত্রিকই হয় তাহলে প্রশ্ন উঠে দেশের বৃহত্তম জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল জাতীয়তাবাদী বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা কেন? প্রশ্ন উঠে, দলটির চেয়ারপার্সন ও সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কেন অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে? কেন তার কার্যালয়ের ইন্টারনেট, বিদ্যুৎ, ডিশ ও ফোনের লাইন বিচ্ছিন্ন করা হলো? সব শেষে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিশেষ বৈঠকের সময়ও দলের নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয় বন্ধের বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। বিদেশীরা সরকারের এমন আচরণে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন। কিন্তু দীর্ঘ দুই মাস অতিক্রান্ত হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দেয়া তালা এখনো ঝুলছে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসে। বিএনপি অভিযোগ করছে, সরকার দেশের বৃহত্তর রাজনৈতিক দলের কার্যালয়কে পুলিশী ক্যাম্পে পরিণত করেছে। 
সূত্র মতে, ৬৬ দিন ধরে কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে রেখেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। দলটির দাবি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক বিনা নোটিশে দলের প্রধান কার্যালয়টি বন্ধ করে রাখা হয়েছে। গত ৩ জানুয়ারি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদকে (দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত) কার্যালয় থেকে রাত পৌনে ১১টার দিকে আটক করে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। এরপর থেকে কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। দীর্ঘ ৬৬ দিন অতিবাহিত হলেও আজ পর্যন্ত দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পারেনি কেউ। এ কারণে বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বারবারই ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছে। 
জানা গেছে, স্বাধীনতার পর বিভিন্ন সময় কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক তালা এভাবে ঝুলিয়ে দেয়া হতো তবে তখন তা ছিলো সাময়িক। কিন্তু এই প্রথম দেশের কোনো বড় রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে তালা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তাও আবার বিনা নোটিশে।
দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়ার বিষয়ে অফিসের সামনে দায়িত্বরত পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, আমাদেরকে ডিউটি দেয়া হয়েছে আমরা তা পালন করছি। কার্যালয়ের ফটকে তালা প্রসঙ্গে তিনি কিছুই বলতে চাননি। শুধু এটা উপর মহল জানেন বলেই প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যান তিনি। কার্যালয়কে পুলিশী ক্যাম্পে পরিণত করা হয়েছে, বিএনপির এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা সঠিক নয়। কার্যালয়ের নীচ তলায় সব সময় পুলিশ অবস্থান করে। তবে পার্থক্য হচ্ছে, আগে এখানে কর্মসূচি পালন করা হতো। এখন করা হয় না। 
দলীয় কার্যালয়ে তালা লাগানো প্রসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আহমেদ আযম খান বলেন, দেশে যখন নির্বাচিত সরকার না থাকে, জবাবদিহিতার অভাব থাকে, আইনের শাসন, গণতন্ত্র চর্চা এমনকি গণতন্ত্র প্রকাশের কোনো জায়গা না থাকে তখনই একটি স্বৈরচারী সরকার বৃহত্তর কোনো রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে (নিচতলায়) পুলিশ ক্যাম্প করতে পারে। প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিতে পারে। এ পরিস্থিতিকে তিনি গণতন্ত্রকে হত্যা করে কফিনে ঢুকানোর শেষ প্রক্রিয়া বলেও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে রাখা, কাউকে বের কিংবা প্রবেশ করতে দেয়া হবে না' এর অর্থ হলো দেশে কোনো গণতান্ত্রিক সরকার নেই।
আহমেদ আযম বলেন, তার বিশ্বাস ক্ষমতাসীন সরকারও এ ব্যাপারে কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারবে না। তিনি বলেন, সরকার শুধু দলের নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা দেয়নি পাশাপাশি গুলশানে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ও কার্যত অবরুদ্ধ করে রেখেছে। সেখানেও কাউকে কার্যালয় থেকে বের কিংবা প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। তিনি বলেন, যেখানে বিরোধী দলকে মিছিল-মিটিং করতে পুলিশের অনুমতি নিতে হয় আবার অনুমতি চেয়েও পাওয়া যায় না, সেখানে আর যাই হোক গণতন্ত্র আছে বলে কেউ বিশ্বাস করবে না। কারণ, কোনো গণতান্ত্রিক দেশে সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং করতে পুলিশের অনুমতি নিতে হয় না, বরং জনগণের নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব থাকে পুলিশের।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়টি এখন আট-দশটি স্বাভাবিক বিল্ডিং-এর মতো দাঁড়িয়ে আছে। যে কার্যালয়কে ঘিরে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অসংখ্য নেতাকর্মী ও গণমাধ্যম কর্মীদের উপচেপড়া ভিড় থাকতো সেটি এখন নেই, এটি এখন নিস্তব্ধ। এর দুই পাশে অল্প কয়েকজন পুলিশ রয়েছে। কার্যালয়ের নিচ তলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা ডে-নাইট অবস্থান করছেন। অন্যান্য সময় কার্যালয়ের কিছুটা দূরে রাখা হতো জল কামান, পুলিশের প্রিজন ও কাভার্ড ভ্যান। এসব এখন নেই। এছাড়া অত্র এলাকার আশপাশের গলিতেও আগের মতো মানুষের আনাগোনা নেই। ফুটপাতে থাকা চায়ের দোকানগুলোর ক্রেতাশূন্য। তবে অবরোধ-হরতাল চলাকালে এ এলাকায় পুলিশের উপস্থিতি কিছুটা বাড়ানো হয়েছে।
অভিযোগে প্রকাশ, গত ৩ জানুয়ারি নয়া পল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ডিবি পুলিশ প্রবেশ করে এক প্রকারের টেনে-হেঁচড়ে রিজভিকে আটক করে নিয়ে যায়। ডিবি পুলিশ যাওয়ার সময় নয়াপল্টন কার্যালয় থেকে অফিস কর্মচারীসহ সবাইকে বের করে দিয়ে প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে চাবি নিয়ে যায়। এরপর থেকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিএনপির কোনো নেতাকর্মী এমনকি অফিসের কর্মচারী কাউকে কার্যালয়ে যেতে দেখা যায়নি।
একদিকে দীর্ঘ দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে দলীয় কার্যালয় বন্ধ, অন্যদিকে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াও অবরুদ্ধ। এখন আবার গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে গুলশানের কার্যালয়ে অবস্থান করছেন। গুলশান-২ এর ৮৬ নম্বর সড়কের ৬ নম্বর বাসাটিকে ঘিরে সন্ধ্যার পর থেকেই বাড়তো লোকজনের সমাগম। স্বপ্রণোদিত হয়ে অনেকেই আসতেন এই বাড়িতে। কিন্তু এখন কেউ আসেন না। শুনশানে নীরবতাই বিরাজ করছে এক সময়ের জমজমাট ওই কার্যালয়ে। এই কার্যালয়ে দুই মাসের বেশি সময় ধরেই আছেন সেই নেতা। প্রথম দিকে তাকে এই বাড়িতে অবরুদ্ধ করা হলেও এখন তিনি রয়েছেন অনেকটা গৃহবন্দী অবস্থায়। তার সাথে কার্যালয়ে আছেন দলটির সিনিয়র কয়েকজন নেতা, অফিসের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সদস্যরা। তার সাথে দলের কোনো নেতাকর্মী দেখা পর্যন্ত করতে পারছেন না। গেল মাসের ১১ তারিখ থেকে কার্যালয়ের ভেতরে খাবারও প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। কার্যালয়ের ভেতরে থাকা ইন্টারনেট, ডিশ ও ফোনের লাইন এক মাসেরও বেশি সময় পার হলেও এখনো বিচ্ছিন্ন রয়েছে। 
রাজনৈতিক পরিস্থিতি যখন স্বাভাবিক ছিল তখন দিনের তুলনায় সন্ধ্যা রাতে নেতাকর্মীদের ভিড় জমে উঠতো। দলের প্রধান খালেদা জিয়া মূলত রাতেই এ অফিসে তার দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। আসতেন রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড, থানা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। দলের নীতিনির্ধারণী নেতারাও আসতেন। অনেক রাত পর্যন্ত বৈঠক, রাজনৈতিক আলাপ-আলোচনা হতো। এতো জমজমাট থাকার পরেও এখনকার মতো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেনি গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়টি। সূত্র মতে, সবার দৃষ্টিই যেন এখন ৮৬ নম্বর রোডের গুলশান কার্যালয়ের দিকে। গত তিন জানুয়ারি থেকে রাজনৈতিক দৃশ্যপট পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এ কার্যালয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ওই রাতে খালেদা জিয়াকে বের হতে দেয়া হয়নি। আটকে দেয়া হয়। ব্যবহার করা হয়-ইট-বালুভর্তি ১১টি ট্রাক, রায়ট কার, এপিসি, জলকামান ও পুলিশ ভ্যান। এছাড়াও ৮৬ নম্বর সড়কের দক্ষিণ-উত্তর পাশে কাঁটাতারের ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। তালা লাগানো হয় কার্যালয়ের মূল ফটকসহ অন্য ফটকেও। পাঁচ জানুয়ারির কর্মসূচি পালনেও আর বের হতে দেয়া হয়নি খালেদা জিয়াকে। ওইদিন বিকেলে কার্যালয় থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে তার গাড়ি লক্ষ্য করে পিপার স্প্রে নিক্ষেপ করা হয়। পুলিশী বাধা পেয়ে গেটে দাঁড়িয়েই সরকার পতন ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা দেন তিনি। প্রায় দুই মাস হলেও এখনো কর্মসূচি চলছে। সঙ্গে সপ্তাহজুড়ে হরতালও রয়েছে। ২৫ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় আদালত খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। শুরু নতুন কৌতূহলের। আদালতের নির্দেশনায় তাকে গ্রেফতার করা হবে কিনা, করলেও কখন করা হবে। একইসঙ্গে ১ মার্চ কার্যালয় তল্লাশি করতে পুলিশকে আদালতের নির্দেশ প্রদান নতুন মাত্রা যোগ করে। এ নিয়ে একদিকে মানুষের মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টি হলেও কার্যালয়ের ভিতরে অবস্থানকারীরা রয়েছেন আতঙ্ক আর অনিশ্চয়তার মধ্যে। 
বিএনপির কার্যালয়ে তালা এবং খালেদা জিয়াকে অনেকটা গৃহবন্দী করে রাখা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাবির সাবেক ভিসি ও বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক এমাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকার যদি নিজেদের গণতান্ত্রিক সরকার মনে করতো তাহলে দেশের জনপ্রিয় ও সর্বাধিককাল ক্ষমতায় থাকা বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এভাবে তালা লাগিয়ে দিতো না। তিনি বলেন, একটি স্বাধীন দেশে আমরা বসবাস করছি। যে উপলক্ষকে কেন্দ্র করে দেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল সেই গণতন্ত্র আজ হুমকির মুখে। তিনি বলেন, শুধু বিএনপির কার্যালয়ই নয়, অনেক রাজনৈতিক দলেরই কার্যালয়ে এখন তালা ঝুলছে। কেউই সভা-সমাবেশ করতে পারছে না। মিছিল করতে গেলেই গুলী করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকার শুধু বিএনপি অফিসকে তালা লাগিয়েই ক্ষান্ত হয়নি দলটির চেয়ারপার্সনকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। তার সাথে কাউকেই দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না। এটা কোনো গণতান্ত্রিক সরকারের আচরণ হতে পারে না।




__._,_.___

Posted by: Farid Akhter <fuakter@yahoo.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___