Banner Advertiser

Sunday, March 8, 2015

[mukto-mona] বিএনপিকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া



বিএনপিকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
পীর হাবিবুর রহমান
Published : Monday, 9 March, 2015 at 1:38 AM
  
বিএনপিকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন খালেদা জিয়াবিএনপিকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। দলের নেতারা জেলে যাচ্ছেন, মামলা খাচ্ছেন, পলাতক ফেরারি হয়ে ঘুরছেন! কেউবা কৌশলের আশ্রয় নিয়ে দলের কর্মকাণ্ড থেকে নিজেদের নিরাপদ দূরত্বে রাখছেন। দলের অভ্যন্তরে প্রশ্ন উঠেছে টানা হরতাল-অবরোধের কর্মসূচিতে তাদের কোনো মতামতও নেয়া হয়নি। এমনকি আত্মগোপনে থেকে দলের যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ কী কর্মসূচি দিচ্ছেন তা ঘোষিত না হওয়া পর্যন্ত নেতারা জানছেন না।

পর্যবেক্ষক মহলই নয়, দলের অভ্যন্তরেও অনেকেই বলছেন বেগম খালেদা জিয়া ও লন্ডনে নির্বাসিত তারেক রহমানই জানেন কোন অদৃশ্য শক্তির পরামর্শে এই কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন। বিশেষ করে টানা ৬৪ দিনের অবরোধ-হরতালের সহিংসতায় শতাধিক মানুষের করুণ মৃত্যু, অগ্নিদগ্ধ নাগরিকের কান্না, একেকটি পরিবারের মাতম আর পেট্রলবোমার নাশকতায় ব্যাপক জানমালের ক্ষতি ও জনদুর্ভোগের কারণে মানুষ এখন চরম অসন্তুষ্ট। সবার একই প্রশ্ন বিএনপিকে নিয়ে যাচ্ছেন কোথায়, অর্জনই বা কি খালেদা জিয়ার।

এক বছর আগে ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর যে পশ্চিমা দুনিয়া সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছিল তারা এখন খালেদা জিয়াকেও বলছে চলমান সহিংস কর্মসূচি বন্ধ করুন। সরকার পক্ষ এতদিন বলেছে আগে সহিংসতা বন্ধ করতে হবে, তারপর সংলাপ হতে পারে। এখন পরিষ্কার বলে দিচ্ছে বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কোনো সংলাপ নয়। ২০১৯ সালের আগে নির্বাচনও নয়। বিএনপির আন্দোলন সহিংস রূপ নেয়ায় টানা দু'মাস পর এসে যেন রাজনৈতিক মৃত্যুফাঁদে পা দেয়া এক সময়ের ডান নয়, বাম নয়, সোজা পথে হাঁটা মধ্যপন্থি দলটিকে আল কায়েদা ও আইএসের মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে এক পাল্লায় তুলে অভিযুক্তই করছে না, জাতীয়-আন্তর্জাতিক মহলকে পক্ষে টানার চেষ্টা করছে।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, উপমহাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে অতীতে কখনো কোনো গণতান্ত্রিক দল এ ধরনের গণবিচ্ছিন্ন লাগাতার সহিংস কর্মসূচি দিয়ে পথ হাঁটেনি। ওপারে নকশালবাড়ি, এপারে সর্বহারা ও জাসদ গণবাহিনীর আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতির জামানায় সহিংসতায় সাফল্যের বদলে নিজেদের পতন ডেকে এনেছিল। অজ্ঞাত স্থান থেকে সালাহউদ্দিন আহমেদ একের পর এক কর্মসূচি ঘোষণা করছেন। অবরোধের মধ্যে কখনো হরতাল। কখনো বা গণমিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ। কিন্তু এসব কর্মসূচিতে মানুষের অংশগ্রহণের প্রশ্ন হাজার মাইল দূরে থাকলেও নেতাকর্মীরা পর্যন্ত নামছেন না। বিশেষ করে ঢাকা নগরীতে বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি কার্যত মৃতপ্রায়ই নয়, যেন কবর রচিত হয়েছে। অন্যদিকে মানুষ অসন্তোষে ফুঁসছে। সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ অভিযোগ ভুলে গিয়ে বিএনপি জোটের হরতাল-অবরোধের পেট্রলবোমা সহিংসতার আতঙ্কে পতিত।

এদিকে ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জনসভায় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যখন রুখে দাঁড়াবার ডাক দিচ্ছেন তখন তাকে আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছিল। কারণ তিনি মঞ্চে উঠেছিলেন খালেদা জিয়ার আন্দোলনের চিত্রপট ও গণমানুষের দুর্ভোগের অসন্তোষ নিয়ে। হরতাল-অবরোধের সহিংসতা সরকারের মুখোমুখি হতে গিয়ে কিভাবে জনগণের মুখোমুখি হয়ে পড়ছে সেই বিষয়টি বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার অগোচরে রয়ে গেছে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করেন।

শেখ হাসিনা এমন সময় বিএনপি নেত্রী ও তার রাজনীতিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মঞ্চ থেকে আক্রমণ করেছেন যখন গোটা দেশের মানুষ পেট্রলবোমার আতঙ্কে দিশেহারা। অসন্তোষ দিকে দিকে। তিনি জানেন গণবিচ্ছিন্ন বিএনপি জামায়াতের এই আন্দোলন মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকিয়ে দিয়েছে। এই সহিংস হরতাল কর্মসূচিতে দিনমজুর থেকে শিল্পপতিদের পথে বসিয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে বিপর্যয় ডেকে আনা হয়েছে। ব্যবসাবাণিজ্য, ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়া, মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন ওলটপালট করে দেয়ার কারণেই এই আন্দোলনে যেমন মানুষের সমর্থন মেলেনি, তেমনি প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন বিএনপি নেত্রীর কর্মসূচিতে জনগণ সাড়া দেয়নি, প্রত্যাখ্যান করেছে। লাগাতার কর্মসূচিতে ছাত্রছাত্রীদের এসএসসি পরীক্ষা ঘিরেও বিরতি না দেয়ায় মানুষ ঘরে বসে থাকেনি। কর্মমুখর মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজে বেরিয়ে পড়তে হয়েছে।

অন্যদিকে এমন কোনো অর্থনৈতিক খাত নেই যার ওপর অমবস্যার আঁধারের মতো নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। এমনকি সামাজিক ও পারিবারিক কর্মসূচিও বাতিল হয়েছে। পর্যটকদের জন্য বাংলাদেশ এখন নেতিবাচক ইমেজে দাঁড়িয়ে গেছে। বিএনপির মাঠের নেতাকর্মীরাও পুলিশের তাড়া খেয়ে দৌড়ের ওপরে আছেন। কিন্তু আন্দোলনে দাবি আদায়ে সরকারকে বাধ্য করার স্বপ্ন দেখা দূরে থাক অর্জনের হালখাতা পর্যন্ত খুঁজে পাচ্ছেন না। কূটনীতিক উদ্যোগকেই কট্টরপন্থিরা সাফল্যের আলোর রেখা হিসেবে দেখে তৃপ্তির ঢেঁকুর যদিও তুলছেন তারা উপলব্ধি করছেন না দৌড়ঝাঁপে নামা বিদেশিরা কতটা অসহায়। একটি স্বাভাবিক গণআন্দোলনের চেহারা যদি বিএনপি দেখাতে পারত তাহলে জাতীয়-আন্তর্জাতিক মহলের চাপে সরকারকে সংলাপের ব্যাপারে চিন্তাশীল হতে হতো। এখন সরকার বিএনপিকে এমন ফাঁদে আটকেছে যে সন্ত্রাসবাদের ট্রাম্পকার্ড ছুড়ে ঘায়েল করছে।

বিএনপির পক্ষের চিন্তাশীল মানুষরা ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে যুদ্ধাপরাধী প্রশ্নে জামায়াতকে ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। বিএনপি নেত্রী সেটিও গ্রহণ করেননি। নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস প্রশ্নে একদিকে বিএনপির জামায়াতপ্রীতি অন্যদিকে লন্ডনে বসে তারেক রহমানের বক্তৃতায় ইতিহাস বিকৃতি খালেদা জিয়ার গৌরবের রাজনীতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। দলের অনেকেই বলছেন, '৮১ সালে সেনা বিদ্রোহে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হলে অকাল বৈধব্য নিয়ে খালেদা জিয়া সেনা শাসক এরশাদের মার্শাল ল'র জামানায় দলের হাল ধরেছিলেন। সেই সময় বিএনপির নেতারা সামরিক শাসকের হেরেমে আশ্রয় নিলেও ভঙ্গুর দলকে নিয়ে সাহসী তারুণ্যনির্ভর ছাত্রদলের ওপর ভর করে খালেদা জিয়া রাজপথের লড়াইয়ে পিছু হটেননি। '৯১ সালের নির্বাচনে দলকে ক্ষমতায় এনে চমকে দিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে জামায়াতের সঙ্গে জোট বেঁধে ২০০১ সালে নির্বাচন ও সরকার গঠন এবং পরে হাওয়া ভবনসহ গ্রেনেড বোমা, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ প্রশ্রয় আর তার সরকারের দুর্নীতির কারণে জনমত হারান। একতরফা নির্বাচনে ক্ষমতায় আসতে গিয়ে ওয়ান ইলেভেনে খালেদা জিয়ার দুই সন্তানকে নিয়েই নয়, দলসহ চরম বিপর্যয়ের মুখোমুখি হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভরাডুবি ঘটলেও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে জনমত পক্ষে নিয়ে প্রায় সব কটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিস্ময়কর বিজয় অর্জন করলেও আন্দোলনের অংশ হিসেবে সংসদ নির্বাচন বয়কট করে রাজনীতির সে যাত্রা থেকে দলকে ছিটকে ফেলে দেন।

পর্যবেক্ষক মহলের ধারণা, ২০০১ সালের নির্বাচনে যে গণতান্ত্রিক দুনিয়া বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে নেপথ্যে কুশীলবের ভূমিকা পালন করেছিল তারা পর্যন্ত সেই শাসনামলে নিরাপত্তা হুমকিতে পড়ে। দশ ট্রাক অস্ত্র, সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ, একুশ আগস্টের গ্রেনেড হামলা থেকে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার মতো জনপ্রতিনিধিদের হত্যাকাণ্ড তৎকালীন বিএনপি সরকারকে গণবিচ্ছিন্ন করে। সেই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাজনীতির পথ না নিয়ে জামায়াতকে আগলে রেখে উগ্রহটকারী পথ গ্রহণ বিএনপিকে চড়া মূল্যের খেসারত দিতে হয়। ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন হজম করে পশ্চিমা প্রভাবশালী দেশকে আমলে না নিয়ে বিশ্বায়নের এই রাজনৈতিক মেরুকরণে শেখ হাসিনা সুবিধাজনক জায়গায় থেকে রাজনীতির দাবার চাল ঠিকঠাক মতো দিলেও বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া দলের বিজ্ঞ নেতাদের পরামর্শ নিয়ে পাল্টা চাল দিতে পারেননি।

এখন সর্বশেষ চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি বিক্ষোভ সমাবেশ করতে না পারার প্রতিবাদ থেকে লাগাতার অবরোধ-হরতাল দিয়ে দলকে পেট্রলবোমার নকশালি রাজনীতির পথে ঠেলে দিয়েছেন। এই রাজনীতি থেকে বিএনপিকে বেরুবার পথ সরকার যেমন দিচ্ছে না, বিএনপিও তেমনি পারছে না। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরও শেখ হাসিনার সরকার টম এন্ড জেরি খেলা খেলছে। খালেদা জিয়া গ্রেফতার হলে আন্দোলন নতুন মাত্রা পাবে বলে যারা আশা করেছিলেন তারা বেলুনের মতো চুপসে গেছেন। বিএনপির অনেকেই বলছেন, এরশাদ জামানায় মাঠের খালেদা জিয়া তৃণমূলকর্মীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতেন, তার সিক্স ডিজিটের ল্যান্ডফোন থেকে। শেখ হাসিনার শাসনামলে তিনি গুলশান কার্যালয়ে অবসরপ্রাপ্ত আমলা ও তার নিজের ব্যক্তিগত স্টাফদের কাছে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। মাঠের সঙ্গে যেমন দূরত্ব বাড়ে তেমনি দলের স্থায়ী কমিটি, ভাইস চেয়ারম্যন পদের প্রভাবশালী অভিজ্ঞ নেতারা থাকলেও তাদের পরামর্শ নিয়ে কৌশলের পথ ধরতে পারেননি। প্রচলিত আছে লন্ডন থেকে পুত্র তারেক রহমান গায়েবি শক্তির বলে যে সিদ্ধান্ত দেন তাই তিনি কার্যকর করতে চান। অন্তত এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে খালেদা জিয়া চলমান কর্মসূচিতে বিরতি টেনে নতুন কৌশল নেয়ার দরজা খুলতে পারতেন।

পর্যবেক্ষকদের ভাষায় বিএনপির রাজনীতিতে খালেদা জিয়াই অ্যাসেট। নির্বাসিত পুত্র তারেক রহমানের প্রভাব থেকে বেরিয়ে দলের অভিজ্ঞ সৃজনশীল নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে এই সংকট থেকে বেরিয়ে আলোর পথ খুঁজতে পারেন। জনমত রাজনৈতিক কর্মসূচির পক্ষে টানার পথ নিতে পারেন। এই মুহূর্তে অনেকের ভাষায় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলন ডেকে তার ও দলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রশ্নে ব্যাখ্যা, বক্তব্য দান এবং হরতাল-অবরোধের বিরতি দিয়ে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানাতে পারেন। দলের নেতাকর্মীর মুক্তি চাইতে পারেন। এতে তার জন্য নতুন দুয়ার খুলতে পারে। যারা স্বপ্ন দেখেছিলেন খালেদা জিয়া অবরোধ অব্যাহত রাখলেই সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে যাবে প্রয়োজনে বিকল্প শক্তির আবির্ভাব ঘটবে, তারা হোঁচট খেয়ে চুপচাপ ঘর নিয়েছেন। খালেদা জিয়াকে এখন বিএনপির রাজনীতির কথাই ভাবতে হবে।

মানবকণ্ঠ/পিএইচআর/আরএ
- See more at: http://www.manobkantha.com/2015/03/09/18562.php#sthash.c8x6yemF.dpuf


__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___