[Attachment(s) from Sitangshu Guha guhasb@gmail.com [mukto-mona] included below]
এই সেই বাড়ী যা মোশারফ সাহেব গায়ের জোরে দখল করে নিয়ে নিয়েছেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এই পরিবারটিকে বাঁচান
আপনি ছাড়া এদের বাংলাদেশে বাঁচাতে পারে এমন কেউ নেই
বাড়িটা ফারিদপুরের ঝিলটুলিতে রাজেন্দ্র কলেজ হিন্দু হোস্টেলের বিপরীতে অবস্থিত যা প্রবাস কল্যাণমন্ত্রী মোশারফ হোসেন-র বাড়ীর সাথে লাগোয়া। অনেকদিন আগে এরাই মোশারফ পরিবারকে বাড়ি করতে জায়গা দিয়ে ছিল। ওই বাড়ীটির নাম দয়াময়ী আশ্রম যা ভাজনডাঙার জমিদার সতিশচন্দ্র গুহ মজুমদার-এর, যিনি রাজন্দ্র কলেজের উদ্যোক্তাদের অন্যতম।
উক্ত জমিদার পরিবারের একমাত্র সদস্য অরুণ গুহ মজুমদারের পরিবার এবং একমাত্র মেয়ে তুলি মজুমদার জাহাঙ্গীর নগর ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছে। অরুণবাবু-মোশারফরা বাল্যবন্ধু! বাড়িটি বর্তমানে অর্পিত সম্পত্তি, যা অনেক আগেই মোশারফ সাহেব নিজেই করিয়ে রেখেছিলেন। বর্তমান অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যাবর্তন আইন আংশিক কার্যকর হবার কারণে বাড়িটি আরুন বাবু পেতে যাচ্ছেন। বাড়িটি প্রায় ৩ একর জায়গা জুড়ে যার বর্তমান দাম কয়েক কোটি টাকা, যাতে একটি দ্বিতল পুরাতন ভবন আর একটি পুরান মন্দির রয়েছে। বাড়িটিতে সরকারি নিষেধাগ্গা থাকায় অনেকদিন কোন সংস্কার হয়নি এবং মোশারফসাহেবই ডিসি-কে দিয়ে ওটা করিয়েছিলেন।
গত ক'দিন আগে উকিল অরুণ বাবুর কাছ থেকে জোর করে মোশারফ সাহেবের নামে করা একটা বায়নানামা দলিলে সাক্ষর করিয়ে নেয়, আদালত প্রাঙ্গনেই এবং সবার সামনে, কেউ কিছু বলার সাহস পায়নি। গত ১৩ এপ্রিল সকালে মোশারফ সাহেব নিজে তার দলবল নিয়ে এসে আরুনবাবু কে বাড়ি ছেড়ে যেতে বললে সে অনেক কান্নকাটি করে কিন্তু তবুও তার পরিবারের সবাইকে জোর করে মোশারফ সাহেবের এর পুরান পৈত্রিক বাড়ির পাশে আর একটা হিন্দু বাড়িতে, যে বাড়ির সদস্যদের কদিন আগে তাড়িয়ে দিয়ে ওই বাড়িটি দখল করে নিয়েছেন, সেখানে রেখেছেন। অরুণ বাবুকে বাড়ি থেকে বের করার সময়ই তার সামনে মোশারফ সাহেবের লোকজন মন্দিরটি ভেঙ্গে ফেলে। এখন অরুণ বাবু ও তার পরিবার ভাজনডাঙা তে অবস্থান করছেন।
আরুন গুহ বাবুর পরিবার টি
মোশারফ সাহেব সম্ভবত বলতে চাইবে আরুনবাবু তার কাছে বাড়ি বিক্রি করে চলে গেছে। অরুনবাবু কারো কাছ থেকে কোন টাকা নেননি। যখন আরুন বাবু কান্না কাটি করে বাড়ি ছাড়তে চাইছিল না তখন মোশারফ সাহেব বলেছিলেন, আমাকে যত ভাল মনে কর আমি তত ভাল না।
২৩ শে এপ্রিল ২০১৫ এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কোন সাঁড়া পাওয়া যায়নি।
__._,_.___