Banner Advertiser

Friday, May 1, 2015

[mukto-mona] উগ্র অন্ধ হিন্দুত্ব আর নয় : হিন্দুত্বে বিরক্ত হয়ে কি নয়া কৌশল মোদীর



হিন্দুত্বে বিরক্ত হয়ে কি নয়া কৌশল মোদীর

জয়ন্ত ঘোষাল

নয়াদিল্লি, ১ মে, ২০১৫, ০৩:৫৯:১২
modi

উগ্র অন্ধ হিন্দুত্ব আর নয়।

মেরুকরণের রাজনীতি কোনও ভাবেই তাঁকে সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে সাহায্য করছে না বলে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাই সম্প্রতি দলের কয়েক জন শীর্ষ নেতার কাছে তিনি বলেছেন—'ঢের হয়েছে। আর নয়!' সরকারি সূত্রের খবর, হিন্দুত্বকে একটি সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদ হিসেবে না দেখে সঙ্ঘ পরিবারের কেউ কেউ যে ভাবে মোদী ও তাঁর সরকারকে উগ্র হিন্দুত্বের পথে নিয়ে যাচ্ছেন, তাতে প্রধানমন্ত্রী যথেষ্ট বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ। দিল্লির সরকার যখন এক বছর ছুঁতে চলেছে, তখন আর্থিক উন্নয়ন ও বৃদ্ধিকেই অগ্রাধিকার দিতে চাইছেন মোদী। কিন্তু সঙ্ঘ পরিবারের নেতাদের কীর্তিকলাপ তাঁর সেই উদ্দেশ্যকেই ঢেকে দিচ্ছে বলে দলের অন্দরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।


কখনও সাক্ষী মহারাজ, কখনও সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি, কখনও গিরিরাজ সিংহ— একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্যে মোদীর বিড়ম্বনা বাড়িয়েছেন দলের নেতারা। এর মধ্যে নিরঞ্জন জ্যোতি ও গিরিরাজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সনিয়া গাঁধীকে নিয়ে বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য করার পর মোদীর চাপেই সংসদে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছিলেন গিরিরাজ। এর সঙ্গে রয়েছে ক'মাস আগে উত্তরপ্রদেশে ঢালাও 'ঘর ওয়াপসি' কর্মসূচি এবং একের পর এক গির্জায় হামলা। বিশেষজ্ঞদের মতে, মোদী বুঝতে পারছেন, এই সমস্ত ঘটনাই বহির্বিশ্বে তাঁর সরকার সম্পর্কে ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে না। বিশেষত একাধিক বার যেখানে ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে মোদীর উদ্দেশে প্রচ্ছন্ন কড়া বার্তা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।

কারও কারও মতে, সাম্প্রতিক বিদেশ সফরেই মোদীর তরফে সেই ভাবমূর্তি বদলের প্রয়াস চোখে পড়েছে। ফ্রান্সে ইউনেস্কার সভায় তিনি বলেছেন, সংখ্যালঘু হোন বা সংখ্যাগুরু, সব ভারতীয়র সমান অধিকার চান তিনি। এর পর দেশে ফিরেও সংখ্যালঘুদের ইতিবাচক বার্তা দিয়েছিলেন মোদী। এক দিকে খ্রিস্টান প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করে তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। এবং সেই বৈঠকের পরের দিনই অজমের শরিফে মোদীর পাঠানো চাদর চড়িয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই সবই মোদীর সুচিন্তিত কর্মসূচি এবং তা মোটেই আকস্মিক ভাবে শুরু হয়নি। তাঁদের মতে, মূলত দিল্লি নির্বাচনে বিজেপি ধরাশায়ী হওয়ার পর থেকেই মোদী এ দিকে বিশেষ নজর দিতে শুরু করেন (উল্লেখ্য, মোটামুটি ওই একই সময়ে ভারতে ধর্মাচরণের স্বাধীনতা নিয়ে মোদীকে কার্যত তাঁর দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন ওবামা)। এর পর বেঙ্গালুরুতে দলের কর্মসমিতির বৈঠকে আরও একটি চোখে পড়ার মতো ঘটনা ঘটে। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নায়ডু সেখানে রাজনৈতিক আলোচনার সময়ে কতকটা আকস্মিক ভাবেই বলেন, ''যাঁরা ধর্মান্ধ হয়ে বিবৃতি দিচ্ছেন, তাঁরা বিজেপিকে নয়, দেশকে ধ্বংস করছেন। আমরা এ ধরনের বিবৃতি বরদাস্ত করব না। বিজেপি কোনও দিনই সাম্প্রদায়িকতাকে সমর্থন করে না।'' বেঙ্কাইয়ার এই বক্তব্য শুনে উপস্থিত নেতাদের অনেকেরই মনে হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর সমর্থন ছাড়া কোনও মতেই এতটা সাহস দেখাতে পারতেন না তিনি। বস্তুত, বেঙ্কাইয়া সম্পর্কে বিজেপি মহলে কথিতই রয়েছে, মোদীকে না জানিয়ে কোনও কাজই করেন না দলের এই প্রাক্তন সভাপতি। আরও তাৎপর্যপূর্ণ হল, বেঙ্কাইয়ার এই বক্তব্যকে সে দিন সমর্থন করেছিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।

লোকসভা নির্বাচনের আগে অবশ্য অমিত শাহের বিরুদ্ধেই উত্তরপ্রদেশে মেরুকরণের রাজনীতির অভিযোগ উঠেছিল। এমনকী সভাপতি হওয়ার পরেও দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে তিনি একই পন্থা নিয়েছিলেন বলে মনে করেন কেউ কেউ। সে ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে, এই পরিবর্তিত রণকৌশল কি একান্ত ভাবেই মোদীর মস্তিষ্কপ্রসূত? বিহারে বিধানসভা ভোট হতে আর মাস ছয়েক বাকি। বরাবরই জাতপাতের ভিত্তিতে ভোট হয় সেই রাজ্যে। মোদী-বিরোধিতায় সম্প্রতি অভিন্ন জনতা পরিবারের ছাতার তলায় এসেছেন লালু প্রসাদ, নীতীশ কুমার ও মুলায়ম সিংহ। সে ক্ষেত্রে অনেকেরই কৌতূহল হল, মোদী কৌশল পাল্টালে এ বার কি বিহারের ভোটে মেরুকরণ দেখা যাবে না? কেউ কেউ আবার মনে করেন, মোদীর ভবিষ্যৎ ভাবনায় রয়েছে বিহারের পরে ভোটের পথে হাঁটতে চলা আরও দু'টি রাজ্য— তামিলনাড়ু ও পশ্চিমবঙ্গ। ওই দুই রাজ্যেই সাধারণত মেরুকরণের রাজনীতি প্রভাব ফেলে না। তাই উন্নয়ন ও স্বচ্ছ প্রশাসনের প্রতিশ্রুতিকে হাতিয়ার করেই ওই দুই রাজ্যে ভোটে যেতে চান মোদী।

প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ নেতা, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির কাছে বৈদ্যুতিন চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে জানতে চাওয়া হয়েছিল, কট্টর হিন্দুত্বের ধ্বজাধারীদের কেন বিতাড়িত করছেন না মোদী? সরাসরি জবাব এড়িয়ে জেটলিও বলেছেন, এই ধরনের উগ্র হিন্দুত্বের লাইনকে তাঁরা কোনও দিনই সমর্থন করেননি। তিনিও মনে করেন, উন্নয়নই প্রধান রাজনৈতিক হাতিয়ার।

বিজেপি-বিরোধী নেতারা বলছেন, মোদীর এই ধর্মনিরপেক্ষতা ও উন্নয়নের ধ্বজা ওড়ানোর গোটাটাই নাটক। কংগ্রেস নেতারা বলেন, বেড়াল মাছ খাবে না, এটা হতে পারে না। কারণ অতীতে অটলবিহারী বাজপেয়ী ও লালকৃষ্ণ আডবাণীর জমানাতেও বিজেপি একই ধরনের দ্বিমুখী কৌশল নিয়ে চলেছে। বাজপেয়ী ছিলেন ধর্মনিরপেক্ষ মুখ। আডবাণী-উমা ভারতীরা সেখানে কট্টর হিন্দুত্বের লাইন ধরে চলেছেন। ফলে মোদী মুখে যা-ই বলুন, তাতে পরিস্থিতির বদল হবে না। যদিও জেটলিদের মতে, সাক্ষী মহারাজ, সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি বা গিরিরাজ সিংহের মতো নেতাদের বিক্ষিপ্ত মন্তব্যে সংসদ তথা দেশ চালানোই কঠিন হয়ে পড়ছে। সেই কারণেই সাম্প্রতিক অতীতে বিজেপি নেতারা যখনই বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন, তখনই তাঁদের ভর্ৎসনা করে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। তবে দলীয় সূত্রের খবর, আগামী চার বছর সরকারের উপরে সঙ্ঘের হিন্দুত্ববাদী কর্মসূচি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হবে না বলেই সম্প্রতি এক বৈঠকে অমিত শাহকে আশ্বাস দিয়েছেন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। আবার জেটলিরাও মহারাষ্ট্রে গো-হত্যা বন্ধের মতো সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন। কারণ এটি সঙ্ঘেরই অন্যতম প্রধান কর্মসূচি।

অর্থাৎ প্রচ্ছন্ন ভারসাম্যের বন্দোবস্ত। এ বার মোদী কতটা মসৃণ ভাবে তাঁর উন্নয়নের রথ এগিয়ে নিয়ে যান, সেটাই দেখার।

http://www.anandabazar.com/national/modi-focused-on-financial-progress-1.140805




হিন্দুত্বে বিরক্ত হয়ে কি নয়া কৌশল মোদীর - Anandabazar

14 hours ago - উগ্র অন্ধ হিন্দুত্ব আর নয়। মেরুকরণের রাজনীতি কোনও ভাবেই তাঁকে সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে সাহায্য করছে না বলে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাই সম্প্রতি দলের কয়েক জন শীর্ষ নেতার কাছে তিনি বলেছেন—'ঢের হয়েছে। আর নয়!' সরকারি সূত্রের খবর, হিন্দুত্বকে একটি সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদ হিসেবে না দেখে সঙ্ঘ .

নেপালের ভূমিকম্প ও বিজেপি এমপির ধর্মান্ধ ফতোয়া : 

'গরুর গোশত খেয়ে নিজেকে শুদ্ধ না করেই পবিত্র কেদারনাথ মন্দির ভ্রমণ করার জন্য নেপালে ভূমিকম্প হয়েছে!'

মোঃ আব্দুর রাজ্জাক

বুধবার ২৯এপ্রিল২০১৫, অপরাহ্ণ ১১:০৭


Bdnews24.com Blog





__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___