'আজকের মধ্যে নূর হোসেনকে মেরে ফেলতে হবে'
বিল্লাল হোসেন রবিন, নারায়ণগঞ্জ থেকে | ১৪ মে ২০১৫, বৃহস্পতিবার, ১:৪৬ | মতামত: ১১ টিজবানবন্দি রেকর্ড করার পূর্বে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কেএম মহিউদ্দিন মেজর (অব.) আরিফ হোসেনকে জিজ্ঞাসা করেন, আমি পুলিশ নই, ম্যাজিস্ট্রেট জানেন কি? আরিফ হোসেন হ্যাঁ সূচক উত্তর দেন। আপনি দোষ স্বীকার করতে বাধ্য নন, জানেন কি? আরিফ হোসেন হ্যাঁ সূচক উত্তর দেন। আপনার দোষ স্বীকারোক্তি আপনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য হিসাবে ব্যবহৃত হতে পারে জানেন কি? আরিফ হোসেন হ্যাঁ সূচক উত্তর দেন। আপনি দোষ স্বীকার করেন বা না করেন আপনাকে পুলিশের কাছে ফেরত পাঠানো হবে না। জানেন কি? আরিফ হোসেন হ্যাঁ সূচক উত্তর দেন। আপনি কোন ভীতি বা লোভের বশে জবানবন্দি প্রদান করছেন না তো? আরিফ হোসেন না সূচক উত্তর দেন। যা বলছেন স্বেচ্ছায়, সত্য বলবেন তো? আরিফ হোসেন হ্যাঁ সূচক উত্তর দেন।
আরিফ হোসেনের আদালতে দেয়া ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি এখানে তুলে ধরা হলো:
২০১৪ সালের মার্চ মাসে আদমজীনগরে অবস্থিত র্যাব-১১ এর হেডকোয়ার্টারে আমাদের অফিসার্সদের কনফারেন্স ছিল। ওই কনফারেন্সে সিও লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ কাউন্সিলর নজরুলকে আমাকে টার্গেট হিসেবে দেন। টার্গেট নজরুলকে ধরার জন্য সিও স্যার লে. কমান্ডার রানাকে আমাকে সাহায্য করার নির্দেশ দেন। এরপর আমি ও রানা স্যার মিলে একাধিকবার নজরুলকে ধরার চেষ্টা করি। কিন্তু বার বার ব্যর্থ হই। ওই সময় নজরুলকে ধরার জন্য আমরা সঠিকভাবে তথ্য পাচ্ছিলাম না। তখন আমরা নজরুলের প্রতিপক্ষ অপর কাউন্সিলর নূর হোসেনকে সোর্স হিসেবে ব্যবহার করি। ২০১৪ সালের ২৭শে এপ্রিল সকাল ১০টার দিকে নূর হোসেন আমাকে ফোন করে বলে যে, নজরুল আজকে নারায়ণগঞ্জ কোর্টে হাজিরা দিতে এসেছে। তখন তাৎক্ষণিকভাবেই আমি ওই সংবাদটি আমার সিও স্যার লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদকে জানাই। সিও স্যার তখনই আমাকে ও রানা স্যারকে নজরুলকে ধরার জন্য অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেন। আমি আনুমানিক সাড়ে ১০টার সময় অভিযানের বিষয়ে রানা স্যারের সঙ্গে কথা বলি এবং তখনই আমি আমার নীল রঙের মাইক্রোবাস নিয়ে আমার টিমসহ কোর্টের উদ্দেশে বের হই। আমি আমার টিমের সদস্য হাবিলদার এমদাদ, এসআই পুর্নেন্দু বালা, নায়েক দেলোয়ার (ড্রাইভার), নায়েক বেলাল, নায়েক হীরা, নায়েক নাজিম, সিপাহী তৈয়ব, সৈনিক আলীম, সৈনিক আলামিন, সৈনিক মহিউদ্দিন, কনস্টেবল শিহাব একত্রে নীল রঙের মাইক্রোবাস নিয়ে বের হই। আনুমানিক বেলা ১১টার সময় আমরা কোর্টের বাইরের গেটে এসে উপস্থিত হই। ওই সময় আমি আমার টিমের সদস্য হাবিলদার এমদাদ, নায়েক বেলাল, সিপাহী তৈয়বকে কোর্টের মধ্যে পাঠাই নজরুলের গতিবিধি নজরদারী করার জন্য। আমরা কোর্টের বাইরে রাস্তার পশ্চিম পাশে অপেক্ষা করছিলাম। বেলা সোয়া ১১টার দিকে একটি সিলভার কালারের মাইক্রোবাসে করে রানা স্যারের টিমের ৭/৮ জন সদস্য আমাদের সঙ্গে যোগ দেয়। ওই সময় রানা স্যার মাইক্রোবাসে ছিলেন না। আনুমানিক বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে রানা স্যার নিজের গাড়িতে করে এসে গাড়ি ছেড়ে দেন এবং আমার মাইক্রোতে আমার পাশের সিটে বসেন। ওই সময় আমি রানা স্যারকে জানাই যে, নজরুলের সঙ্গে তার ১৫/১৬ জন সহযোগী আছে। রানা স্যার সিনিয়র হওয়ার কারণে তখন তিনি অপারেশন কমান্ডার হয়ে যান এবং তিনি যেভাবে প্ল্যান করেন সেভাবেই কাজ হয়। ওই সময় রানা স্যার প্ল্যান করেন যে, রুটিন পেট্রল টিমের সদস্যদের দিয়ে ফতুল্লা স্টেডিয়াম এলাকায় সিটি করপোরেশনের গেটের কাছে ফাঁকা এলাকায় নজরুলের গাড়িটি থামাবেন। আনুমানিক ১টার দিকে নজরুল একটি সাদা প্রাইভেটকারে করে কোর্ট থেকে বের হয়ে সাইনবোর্ডের দিকে যায়। তখন আমি ও রানা স্যার আমাদের মাইক্রোবাস ২টি নিয়ে নজরুলের গাড়ির পিছু পিছু যাই। রানা স্যার ওই সময় নজরুলের গাড়ির বর্ণনা দিয়ে পেট্রল টিমকে ওই গাড়িটি থামাতে বলে। আনুমানিক দেড়টার দিকে পেট্রল টিম চেকপোস্ট বসিয়ে সিটি করপোরেশনের গেটের কাছে নজরুলের গাড়িটিতে থামায়। তখন আমরা পেছন থেকে গিয়ে নজরুলের গাড়ি থেকে নজরুলসহ ৫ জনকে বের করে আমার মাইক্রোবাসে তুলি। ওই সময় আমাদের পেছনে একটি অ্যাশ কালারের প্রাইভেটকার এসে থামে এবং ওই গাড়ি থেকে একজন ভদ্রলোক নেমে চিৎকার করতে থাকে। ওই সময় রানা স্যার ওই ভদ্রলোক ও তার ড্রাইভারকে তার মাইক্রোবাসে তুলে নেন। আমি ওই ৫ জনকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে কাঁচপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেই এবং রানা স্যারকে বলি আমার গাড়িটিকে ফলো করার জন্য। আনুমানিক ১টা ৫০ মিনিটের দিকে তারাবো নামক এলাকায় পৌঁছাই। ২/৩ মিনিটের মধ্যেই রানা স্যারের গাড়িটি তারাবো পৌঁছায়। তারাবো পৌঁছে আমি আমার সিও লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ স্যারকে রিপোর্ট করি যে নজরুলসহ ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। তখন সিও স্যার বলেন যে, কোন প্রত্যক্ষদর্শী রাখা যাবে না। ৭ জনকেই গুম করে ফেলো। সিও স্যারের আদেশ পেয়ে আমি আমার ক্যাম্পের বেলালকে বলি ৭ সেট ইটের বস্তা তৈরী করার জন্য। তারাবো আসার পথে রানা স্যার চিটাগাং রোডে মাইক্রোবাস থেকে নেমে যান এবং সিও স্যারের অফিসে চলে যান। আমি নায়েক বেলালকে ইটের বস্তা তৈরি করতে বলে মাইক্রোবাস ২টি নিয়ে নরসিংদীর দিকে চলে যাই। আনুমানিক আড়াইটার দিকে আমি নরসিংদী র্যাব ক্যাম্পের কাছাকাছি পৌঁছাই। ওই সময় আমি নরসিংদী ক্যাম্প কমান্ডার সুরুজকে ফোন করি এবং তার সঙ্গে ক্যাম্পের বাইরে দেখা করি। ওই সময় আমি মেজর সুরুজের নিকট থেকে ২ হাজার টাকা নিই এবং ক্যাম্পের বাইরে আমরা সবাই লাঞ্চ করি। আনুমানিক ৪ টার দিকে শিবপুর উপজেলার দিকে চলে যাই এবং একটি নির্জন জায়গায় অপেক্ষা করতে থাকি। আনুমানিক রাত ৮টার দিকে সিও স্যারকে জানাই যে, আমরা নারায়ণগঞ্জে আসতে চাচ্ছি। তখন সিও স্যার বলেন যে, রাস্তায় পুলিশের কড়া নজরদারী চলছে, আমি ৩ টনি ট্রাক পাঠাচ্ছি। তোমরা ওই ট্রাকে করে আসামিদের নিয়ে এসো। তখন আমি সিও স্যারকে বলি যে, ট্রাক আসতে অনেক দেরি হবে, আমরা মাইক্রোবাস নিয়ে নারায়ণগঞ্জে চলে আসছি। রাত আনুমানিক ৯টার দিকে আমরা নরসিংদীর বেলানগর পৌঁছাই। বেলানগর পৌঁছিয়ে আমি সৈনিক মহিউদ্দিনকে বলি ৭টি সাকসা (চেতনানাশক ইনজেকশন) এবং একটি সিরিঞ্জ কিনে আনতে। আনুমানিক রাত সাড়ে ১০টার দিকে মাইক্রোবাস ২টি নিয়ে আমরা কাঁচপুরে পৌঁছাই। কাঁচপুর পৌঁছিয়ে আমরা একটি পরিত্যক্ত পেট্রোল পাম্পে অপেক্ষা করতে থাকি। ওই সময় আমি সিওকে ফোন করে বলি যে, স্যার রাস্তায় পুলিশের কড়া নজরদারী চলছে। এ অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ শহরে ঢোকা আমার জন্য ডিফিকাল্ট। রানা স্যার যেন ট্রলারটি কাঁচপুর ব্রিজের নিচে পাঠিয়ে দেন। তার কিছু সময় পরে রানা স্যার সিও স্যারের অফিসের ল্যান্ডফোন থেকে আমাকে জানান যে, কাঁচপুর ব্রিজের নিচেই ট্রলার থাকবে। তারপর আমি নূর হোসেনকে ফোন করে বলি যে, কাঁচপুর ব্রিজের নিচে যেন মানুষের কোন জটলা না থাকে। আনুমানিক রাত ১১টার দিকে আমি মাইক্রোবাস ২টিসহ কাঁচপুর ব্রিজের নিচে বিআইডব্লিউটিএ-এর ঘাটে পৌঁছাই। আনুমানিক রাত সাড়ে ১১টার দিকে বেলালকে ফোন করে বলি ইটের প্যাকেটগুলো কাঁচপুর ব্রিজের নিচে নিয়ে আসতে। সকাল বেলা হাবিলদার এমদাদ, নায়েক বেলাল কোর্টে নজরদারী শেষে আদমজীনগর ক্যাম্পে ফিরে গিয়েছিল। ওইদিন কোর্টে নজরদারী করার সময় নজরুলের লোকজন সিপাহী তৈয়বকে সন্দেহ করেছিল এবং আটক করেছিল। পরে তৈয়ব পরিচয় দিয়ে বের হয়ে গিয়েছিল। রাত আনুমানিক ১২টার দিকে একটি সাদা মিতসুবিশি মাইক্রোবাসে করে হাবিলদার এমদাদ, নায়েক বেলাল, সৈনিক আরিফ, সৈনিক তাজুল ইটের প্যাকেটগুলো নিয়ে বিআইডব্লিউটিএ-এর ঘাটে আসে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে রানা স্যারের ট্রলারটি কাঁচপুর ব্রিজের নিচে আসে। ট্রলারটি আসার পর আমি এমদাদকে ইটের প্যাকেটগুলো ট্রলারে লোড করতে বলি। তারপর আমি সিও স্যারকে চূড়ান্ত রিপোর্ট দিয়ে বলি যে, ৭ জনকে গুম করার বিষয়ে আমি প্রস্তুত। ওইসময় সিও আমাকে বলেন, ওকে গো এহেড। সিও স্যারের আদেশ পেয়ে আমি নায়েক হীরা, সিপাহী তৈয়বকে বলি যে, মাইক্রোবাসে থাকা ৭ জনকে সাকসা ইনজেকশন পুশ করতে। রানা স্যারের মাইক্রোবাসের লোকজনকে বলি এলাকায় পাহারা দিতে। ইনজেকশন পুশ করার পর নায়েক বেলাল, নায়েক হীরা, সিপাহী তৈয়ব, এসআই পুর্নেন্দু বালা, সৈনিক আলামিন, সৈনিক তাজুল, কনস্টেবল শিহাব ও সৈনিক আলীম এই ৮ জনে আটককৃত ৭ জনের মুখে পলিথিন পেঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে এবং আমাকে অবহিত করে। তারপর আমি সবাইকে ডেড বডিগুলো ট্রলারে লোড করার জন্য বলি। তারপর আমি আমার টিমসহ ট্রলারে উঠি এবং রানা স্যারের টিম ও গাড়িগুলাকে ফেরত পাঠিয়ে দেই। আমরা আনুমানিক ১টার দিকে ট্রলার নিয়ে মেঘনা নদীর মোহনার দিকে রওনা দেই। আনুমানিক রাত আড়াইটার দিকে ট্রলারটি নিয়ে মেঘনা নদীর মোহনায় পৌঁছাই। মেঘনা নদীর মোহনায় পৌঁছিয়ে আমার টিমের সদস্যরা প্রতিটি ডেডবডির সঙ্গে এক সেট ইটের বস্তা বেঁধে নদীতে ফেলে দেয়। নদীতে লাশ ফেলে ফেরত আসার সময় র্যাব-এর অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি অপস) কর্নেল জিয়াউল আহসান স্যার আমাকে মোবাইলে ফোন করেন। ওই সময় আমি স্যারের ফোন না ধরে আমার সিও স্যারকে ফোন করে বলি যে, স্যার এডিজি অপস স্যার কেন আমাকে ফোন করছেন? তখন সিও স্যার আমাকে বলেন যে, আমি এডিজি অপস এর সঙ্গে কথা বলে তোমাকে জানাচ্ছি। কিছুক্ষণ পর সিও স্যার আমাকে ফোন করে জানান যে, এডিসি অপস প্রথমে আমাকে ও সিও স্যারকে তার অফিসে যেতে বলেছিলেন। পরে তিনি শুধু আমাকে ও আমার টিমের সদস্যদেরকে তার অফিসে যেতে বলেছেন। রাত অনুমান সাড়ে ৩টার দিকে আমি ট্রলারে করে নারায়ণগঞ্জ ঘাটে এসে পৌঁছাই। ঘাটে পৌঁছে দেখি সিও স্যার ঘাটে দাঁড়িয়ে আছে। আমি ঘাটে সিও স্যারের সঙ্গে কথা বলে ওই সময় র্যাব হেডকোয়ার্টারের উদ্দেশে রওনা দেই। আনুমানিক রাত ৪টার দিকে আমি এডিজি অপস এর অফিসে পৌঁছাই। অফিসে পৌঁছার পর এডিজি অপস কর্নেল জিয়াউল আহসান স্যার আমাকে বলেন, আরিফ কি হয়েছে? নজরুল কোথায়? স্যারের প্রশ্ন শুনে আমি একটু অবাক হই। তারপর আমি বলি নজরুল কোথায় আমাকে জিজ্ঞাসা করছেন কেন? তখন স্যার আমাকে আবার ওই একই প্রশ্ন করেন। তখন আমি স্যারকে বলি যে, আমি যা করি সিও এর আদেশে করি। সো এ বিষয়ে যা জিজ্ঞাসা করার আপনি সিও স্যারকে জিজ্ঞাসা করেন। তারপর এডিসি স্যার সিওকে ফোন দেন এবং ফোনেই সিও স্যারের সঙ্গে আমাকে কথা বলান। তখন আমি সিও স্যারকে বলি যে, স্যার নজরুল কোথায় এই কথা এডিজি স্যার আমাকে কেন জিজ্ঞাসা করছেন। তখন সিও স্যার বলেন যে, এডিজি কেন এমন করছে তা আমি বুঝতেছি না। ঠিক আছে তুমি ঘটনা বর্ণনা করে আস। তারপর আমি সমস্ত ঘটনা এডিজি স্যারকে বলার পর তিনি আমাকে চলে যেতে বলেন। তারপর ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আমি নারায়ণগঞ্জ এসে সিওকে সমস্ত ঘটনা বর্ণনা করে বাসায় চলে যাই। ২৮শে এপ্রিল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সিও'র সঙ্গে দেখা করে আমি আমার অফিসে যাই। সাড়ে ৩টার দিকে অফিস থেকে বাসায় আসি। ২৯শে এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে অফিসে যাই। ওইদিন ১২টার দিকে সিও স্যার আমাকে ফোন করে বলেন যে, এডিজি অপস স্যার আমাকে ও সিও স্যারকে তার অফিসে যেতে বলেছেন। তারপর আমি ও সিও স্যার র্যাব হেডকোয়ার্টারের উদ্দেশ্যে রওনা দেই এবং আনুমানিক দেড়টার দিকে র্যাব হেডকোয়ার্টারে পৌঁছাই। হেডকোয়ার্টারে পৌঁছার পর এডিজি স্যার প্রথমে সিও স্যারের সঙ্গে কিছু কথা বলেন। তারপর আমাকেও ডেকে পাঠান। তারপর আমাদের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়। এডিজি স্যার আমাকে জিজ্ঞাসা করেন যে আমি নূর হোসেনের সঙ্গে কি কি কথা বলেছি। নূর হোসেন কতদিন ধরে নজরুলের বিষয়ে ইনফরমেশন দিয়েছে। ব্যাংক বিষয়ে নূর হোসেনের সঙ্গে কি কথা হয়েছে। লাশগুলো কি করেছি? তখন আমি বলি যে নূর হোসেন প্রায় দেড় মাস ধরে নজরুলের বিষয়ে তথ্য দিয়ে আসছিল। আর ব্যাংকের বিষয়ে নূর হোসেনের একজন বিশ্বস্ত লোকের একাউন্ট নম্বর দিতে বলেছিলাম। আর লাশগুলো মেঘনাতে ফেলে দিয়েছি। আমার কথা শেষ হওয়ার পর এডিজি অপস স্যার বলেন যে, আজকের মধ্যে নূর হোসেনকে মেরে ফেলতে হবে। তখন আমি বলি যে, নজরুলের কারণে নারায়ণগঞ্জ গরম হয়ে আছে। এ অবস্থায় নূর হোসেনকে মারলে পরিস্থিতি কন্ট্রোল করা ডিফিকাল্ট হবে। তারপর এডিজি অপস সিওকে বলেন যে, সিও এটা তোমাকে করতে হবে। তারপর আমি ও সিও স্যার নারায়ণগঞ্জে চলে আসি। তারপর সিও স্যার আমাকে ও রানা স্যারকে চিটাগাং রোডে রেকি করতে পাঠান। আনুমানিক বিকাল ৫টার দিকে সিও আমাকে ফোন করে অফিসে আসতে বলেন। অফিসে যাওয়ার পর আমরা জানতে পারি যে আমাদেরকে র্যাব হেডকোয়ার্টারে ক্লোজ করা হয়েছে। রাত ৮টায় হেডকোয়ার্টারে পৌঁছাই এবং মুভ অর্ডার নিয়ে রাতেই মাতৃবাহিনীতে যোগদান করি। পরের দিন স্ব-পরিবারে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা সেনানিবাস চলে যাই।
নারায়ণগঞ্জে সাত খুন:বছরের আলোচিত চার খল নায়কর্যাবের বর্ণনায় ৭ খুনের আদ্যোপান্তসুলাইমান নিলয় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 2014-12-10 21:44:46.0 BdST Updated: 2014-12-10 23:29:35.0 BdST
তারেক সাঈদ, আরিফ ও রানা ৭ খুনে দোষী: র্যাব
সুপ্রিম কোর্ট প্রতিবেদক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 2014-12-10 16:59:45.0 BdST Updated: 2014-12-11 00:27:56.0 BdST
http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article894495.bdnews
তারেকের ৩ ঘণ্টা জবানবন্দি: তোহুর আহমদ প্রকাশ : ১০ ডিসেম্বর, ২০১৪
RELATED STORIES
সাত খুন: জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে প্রশ্ন হাই কোর্টের
2014-11-18 18:56:22.0
৭ খুনের অভিযোগপত্র দিতে সময় বেঁধে দিল আদালত
2014-12-01 17:07:15.0
নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের 'হোতাদের' রক্ষার চেষ্টার অভিযোগ
2014-11-28 22:51:37.0
সাত খুন: সমন্বয়হীনতায় ঝুলে আছে চূড়ান্ত প্রতিবেদন
2014-10-24 01:39:09.0
সাত খুন: গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে আরও ৩ র্যাব সদস্য ... - খবর
Dec 2, 2014 - নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের মামলায় আরও তিন র্যাবসদস্যকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। ... Related Stories. সাত খুন: জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে প্রশ্ন হাই কোর্টের. 2014-11-18 18:56:22.0. ৭ খুনের অভিযোগপত্র দিতে ... নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের 'হোতাদের' রক্ষার চেষ্টার অভিযোগ নারায়ণগঞ্জে সাত খুন : আদালতে বজলুর স্বীকারোক্তি - Risingbd ...
-- সন্দেহের তালিকায় র্যাবের আরও ২৩নারায়ণগঞ্জে সাত খুনর্যাবের কর্নেল জিয়াকে ৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদনারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতাসাত খুন মামলায় ১৫ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশনারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস- See more at: http://www.dhakatimes24.com/2014/08/20/34431#sthash.f7TlesGa.dpufIVY- Shamim Osman Heated Debate .....Video URL: https://www.youtube.com/watch?v=DUppkyMsnsMhttp://newsnarayanganj24.net/news/%E0%A6%A7%E0%A6%AE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80%E0%A6%AE-%E0%A6%93%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%AE-%E0%A6%AF%E0%A6%BE/
সাত-খুনে-নূর-হোসেন-জড়িত--শামীম-ওসমান
http://www.poriborton.com/post/60023/
নূর হোসেনকে ফিরিয়ে আনতে আদালতের নির্দেশের কপি যাচ্ছে ইন্টারপোলে http://www.alokitobangladesh.com/latest-news/2014/08/12/90257
শামীম ওসমান-নূর হোসেনের ফোনালাপের অডিও প্রকাশ
শামীমের সহায়তায় পালান নূর হোসেন?
কামরুল হাসান | আপডেট: ০২:৩৩, মে ২৩, ২০১৪ | প্রিন্ট সংস্করণচাঞ্চল্যকর সাত খুনের ঘটনায় কথিত 'গডফাদারদের' ওপর দোষ চাপিয়ে নারায়ণগঞ্জের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমান।
....... শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাদের লাশ উদ্ধার ...........
নূর হোসেন পালিয়ে যাওয়ার আগে সাংসদ শামীমের সঙ্গে টেলিফোনে তার কথোপকথনের একটি অডিও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে এক সংবাদ সম্মেলনেনূর হোসেনের সঙ্গে ওই ফোনালাপের কথা স্বীকারও করেন শামীম। http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article834664.bdnews
না'গঞ্জে আলোচিত সাত খুন
শামীমকে আজ জিজ্ঞাসাবাদঃ
জনমনে নানা প্রশ্ন!প্রত্যক্ষ, পরোক্ষভাবে গডফাদাররা জড়িত: আইভীনিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: ১৫:৫৭, আগস্ট ১১, ২০১৪নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের পেছনে প্রত্যক্ষ হোক আর পরোক্ষভাবে হোক, গডফাদাররা জড়িত।
Video :
নূর হোসেনকে ফিরিয়ে আনলেই সব জানা যাবে
শামীম ওসমান যুক্তরাষ্ট্রে আজীবন নিষিদ্ধ
Also read:
Comment: একই খুঁটির জোর !!!!Subject: নারায়ণগঞ্জ : শামীম ওসমান-নূর হোসেনের ফোনালাপের অডিও (ফোনালাপই প্রমাণ করে শামীম জড়িত)Samim Osman and Nur Hossain Telephone Conversation Full
ফোনালাপই প্রমাণ করে শামীম জড়িত
'শামীম ওসমান অন্যের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন'
সুর পাল্টেছেন শামীম ওসমানশরিফুল হাসান ও আসিফ হোসেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে | আপডেট: ১৪:১৭, মে ০৬, ২০১৪ | প্রিন্ট সংস্করণhttp://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/209419/%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%B0_%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%A8_%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80%E0%A6%AE_%E0%A6%93%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8নারায়ণগঞ্জে সাতখুনের প্রধান আসামি নূর হোসেনের সঙ্গে মোবাইল কথোপকথন প্রকাশের প্রেক্ষাপটে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন আওয়ামী লীগ নেতা ও সংসদ সদস্য শামীম ওসমান:
https://www.youtube.com/watch?v=bBTtbBkQoeI
খুন করে ইট বেঁধে ডুবিয়ে দেয়া হয়েছিল তাদের
2014-05-01 00:52:40.0
র্যাবকে দায়ী করলেন নজরুলের শ্বশুর
2014-05-04 21:42:28.0
সাত খুনে আমার কেউ জড়িত নয়: মায়া
2014-05-09 18:07:17.0
কাউকে 'রক্ষার' চেষ্টা করব না: প্রতিশ্রুতি র্যাবের
2014-05-06 17:01:42.0
সিদ্ধিরগঞ্জে গণশুনানিতে মিলল অপহরণের প্রত্যক্ষদর্শী
2014-05-17 21:58:24.0
না. গঞ্জে সদস্যদের জড়িত থাকার আলামত পাচ্ছে র্যাব
2014-05-08 20:07:20.0
তারেক সাঈদ, আরিফ, রানা ৭ খুনে দোষী: র্যাব
2014-12-10 16:59:45.0
নজরুল-নূর হোসেনের 'দ্বন্দ্বই' খুনের কারণ
2014-12-10 19:47:50.0
__._,_.___