Banner Advertiser

Sunday, June 21, 2015

[mukto-mona] Fw: ‘ ভবলীলা সাঙ্গ হলে সকলই সমান, নোয়াখালীর হিন্দু আর বিহারের মুসলমান, ‘ বিহারের হিন্দু আর নোয়াখালীর মুসলমান’' [2 Attachments]

[Attachment(s) from Jiten Roy included below]


----- Forwarded Message -----
From: SyedAslam <syed.aslam3@gmail.com>
To:
Sent: Saturday, June 20, 2015 11:10 PM
Subject: ' ভবলীলা সাঙ্গ হলে সকলই সমান, নোয়াখালীর হিন্দু আর বিহারের মুসলমান, ' বিহারের হিন্দু আর নোয়াখালীর মুসলমান''

' ভবলীলা সাঙ্গ হলে সকলই সমান,

নোয়াখালীর হিন্দু আর বিহারের মুসলমান,

বিহারের হিন্দু আর নোয়াখালীর মুসলমান'  - অমিয় চক্রবর্তী

প্রকাশ বিশ্বাস

'নোয়াখালীর হিন্দু আর বিহারের মুসলমান'

এপ্রিল ২৪, ২০১৩
prokash-p-----৩''গত রোববার গভীর রাতে চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর খরনদ্বীপ ইউনিয়নের জ্যেষ্ঠপুরা গ্রামের শাক্যমুনি বৌদ্ধ মন্দিরের দানবাক্স লুট করে মূর্তিতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।'' একটি অনলাইন দৈনিকে পোস্ট করা খবরটি পড়ে চল্লিশ দশকের এক যশস্বী কবির লেখা ওই লাইনের কথা মনে পড়ে গেল… ''মরণের পরে সবাই সমান, নোয়াখালীর হিন্দু আর বিহারের মুসলমান।''
এটির এক অংশকেই তাই লেখার শিরোনাম করলাম। যদিও মন্দির ভাঙার কাহিনি এখন নিত্যদিনকার।
মন্দির ভাঙার ইতিহাস আজকের নয়। সুলতান মাহমুদের সোমনাথ মন্দির লুণ্ঠন, কালাপাহাড়ের মন্দির ধ্বংসের ইতিহাস আমরা জানি। তখন প্রতিদিন মন্দিরে আগুন অথবা ভাঙচুর-লুটপাট চালানো হত কিনা জানি না, তবে গত কয়েক দশকে বাংলাদেশে এ ধরনের ঘটনা প্রচুর ঘটছে। আমরা তাই সাম্প্রতিক কাহিনিতে যাব।
১৯৯৩ সালে বাবরি মসজিদ ভাঙার জের ধরে মানিকগঞ্জের নিভৃত গ্রাম গাংডুবীর প্রবেশমুখের দুটি হিন্দুবাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। সে গ্রামেই ছিল আমার বড়দির বাড়ি। বছর কয়েক আগেও পায়ে হেঁটে বা নৌকায় সে গ্রামে যেতে হত, অন্য কোনো যান ওখানে চলেনি। এ গ্রামেই মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার শৈশব আশ্রয় নিয়েছিল।
ওই ঘটনার পর গ্রামের হিন্দুদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভিটেমাটি ফেলে কোলকাতার আশেপাশে অথবা পশ্চিমবঙ্গের উত্তর এলাকায় পালিয়ে যান। এর পরপরই অস্থায়ী ভিত্তিতে তৈরি গ্রামের মন্দিরগুলো ভেঙে ফেলা হয়। কোনো এক শুক্রবারে জুমার নামাজ শেষে মাত্র কয়েকজন মুসল্লি মিলে কাজটা করেন। অন্য মুসলামানরা বাধা দিতে গেলে ওই দুষ্কৃতকারীদের সঙ্গে পেরে ওঠেননি। অথচ পাকিস্তান আমলেও ওই গ্রাম ও এর পাশের গ্রামগুলোতে হিন্দু-মুসলিম মিলেমিশেই ছিলেন।
Bogra-temple-
গাংডুবীর একটু দূরেই ঢাকা-আরিচা সড়কের ধারে অবস্থিত বানিয়াজুড়ি গ্রাম। ষাটের দশকে এ গ্রামের জমিদাররা সব ফেলে দেশান্তরি হয়েছিলেন। ওরা যে পাড়ায় থাকতেন তার নাম ছিল 'রাথুরা'। আসলে গ্রামের ভেতর আরেক গ্রাম। প্রাইমারি স্কুলে পড়ার সময় ক্লাসের অবসরে বা কোনো উছিলায় জমিদারদের ফেলে যাওয়া জরাজীর্ণ পুরনো বাড়ির কয়েকটিতে আমরা ঘুরে বেড়াতাম। দেখতাম সোনা দিয়ে গড়া রাধা-কৃষ্ণের যুগলমূর্তি। আরও ছিল নাড়ু-গোপাল, মাটি দিয়ে বানানো গৌড়-নিতাই, লক্ষ্মী আর গরুড়পাখির মূর্তি। মন্দিরগুলো ছিল কাঠের কাজ করা। কোনোটি ছোট, কোনোটি বড়। জীবনে প্রথম দেখেছি কাঠের কাজ করা এমন মন্দির।
জমিদার বাড়িতে আরও ছিল নানা রকমের মঠ, জগন্নাথ দেবের রথ। জমিদাররা যখন ছিলেন তখন ঘোর শ্রাবণে মাঠে রথের মেলা বসত। বিপুল লোকসমাগম হত মেলায়। আর শ্রাবণের অঝর বর্ষণের ফলে মেলা চলার সময় থিকথিকে কাদায় ভরে যেত চারপাশ। তারপরও মেলায় উপচে পড়া ভিড়ের মধ্যে আমি নতুন অভিজ্ঞতার আস্বাদ নিয়ে ভীষণ রঙ্গিন হয়ে উঠতাম।
আজও, এই ইট-কাঠ-পাথরের অট্টালিকার ভিড়ে বসে যেন আমি সত্তর দশকের গোড়ার দিকের সেসব দিনের গন্ধ ও বর্ণের ছোঁয়া পাই। আমার সে অসাধারণ শৈশবের গভীর ভালো লাগার মন্দিরগুলোর সব মূর্তি পরে ভেঙে ফেলা হয়েছে। কারা যেন সেসব মন্দিরে আগুনও দিয়েছে। তিরানব্বইয়ের ওই কর্কট রোগটি কিন্তু এখনও সারেনি। বরং এর প্রদাহ আরও ব্যথাতুর করছে আমাদের সমাজকে।
মনে পড়ে মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের আশপাশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন রাজাকারদের হাতে নিগৃহীত হয়েছিলেন। তাদের ঘরবাড়ি পোড়ানো হয়েছে। হালের গরু লুট করেছে দুর্বৃত্তরা। স্বাধীনতার এত বছর পরও শুধুমাত্র ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে তাদের ওপর অত্যাচারের মাত্রা একটুও কমেনি বরং বেড়ে গেছে।
এখন সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নারী, শিশু, মধ্যবিত্ত, প্রান্তিক শ্রেণির লোক লুটেরা ও কালো টাকার মালিকদের হাতে জিম্মি ও নির্যাতিত। মুক্তচিন্তার মানুষরাও এ দেশে এখন সংখ্যালঘু। কিন্তু সে নির্যাতনের চরিত্র ভিন্ন। ধর্মীয় কারণ সেখানে অনুপস্থিত। রামু ও বাঁশখালীর পোড়াবাড়ি, চোখ খুঁড়ে নেওয়া বুদ্ধমূর্তি, লোকনাথ মন্দিরের পোড়া ছাই, মন্দিরের চারপাশ ঘিরে ক্রন্দনরত অসহায় মানুষের মুখ আর খুব বেশিদিন আমরা দেখব কি? মনে হয় না। ওরা একসময় পূর্বসূরীদের মতোই নিভৃতে দেশান্তরি হবেন।
১৯৫০ থেকে ১৯৬৪ সালের মধ্যে আমাদের এ অ্ঞ্চলে কয়েকবার হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা হয়েছে। তখন দুটি পক্ষ পরষ্পরের সঙ্গে সংঘাতে লিপ্ত হত। অর্থাৎ বিষয়টা ছিল দ্বিপাক্ষিক, তাই প্রতিরোধও ছিল। এক ধর্মের মানুষ আরেক ধর্মের মানুষের উপাসনালয় বা সম্পদ ধ্বংস করতে গেলে বাধার সম্মুখীন হত। এমনকি নিজ সম্প্রদায়ের কাউকে অন্য সম্প্রদায়ের ওপর আঘাত করতে দেখলে অনেকেই বাধা দিতেন।
এখন কিন্তু সহিংসতার রূপটা একেবারে ভিন্ন। যারা এমনকি ব্যক্তিগত জীবনে ধর্মকর্ম করেন না- অপপ্রচার ও প্রোপাগাণ্ডার সাহায্যে দুর্বৃত্তরা তাদেরও দলে ভিড়িয়ে নিচ্ছে। ফলে একতরফা সহিংসতার শিকার হচ্ছেন সংখ্যালঘুরা। আরেকটি সমস্যা হল, এ সহিংসতার বিষয়টি অস্বীকারের প্রবণতা। ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সংঘটিত সহিংস ঘটনার কথা ঢাকার শীর্ষস্থানীয় দৈনিকের সাংবাদিকদের জানানো হলে প্রথমে কেউ বিশ্বাসই করতে চাননি। পরে একটি শীর্ষ ইংরেজি দৈনিক থেকে দক্ষিণবঙ্গের ভোলায় প্রতিবেদক পাঠানো হয়। উঠে আসে মর্মন্তুদ সব কাহিনি। হতভম্ব হয়ে যান সবাই। পরে অবশ্য এ বিষয়ে ওই দৈনিকে ধারাবাহিকভাবে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
jamalpur-pic-8-4-13
আমরা বারবার ভুলে যাই যে, এ দেশের হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, আদিবাসীসহ সকল সম্প্রদায়ের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিই সংখ্যাগুরু আর একাত্তরের পরাজিত শক্তি মূলত সংখ্যালঘু। কিন্তু বাস্তবতা অন্যরকম। যে অসুরের লালন ও বর্ধন এই রাষ্ট্রে হচ্ছে- যে বিষবৃক্ষের বীজ এখানে অতিযত্নে রোপণ করা হয়েছে- সে অসুরের অসুরিক বিস্তার ও সে বিষবৃক্ষের ডালপালার প্রসারণ হচ্ছে সর্বত্র। কাচঘেরা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসে তত্ত্বচর্চা করে, বড় বড় কথা বলে সে সবের বিরোধিতা করা যাচ্ছে কি? লেখা হয় 'দেশভাগের গল্প', 'ভয়ের সংস্কৃতি'। নানা রকমের ব্যাখ্যা আসে। সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের বিষয়ে প্রচলিত ব্যখ্যার সীমাবদ্ধতাও তুলে ধরা হয়। কিন্তু সময় থেমে থাকে না। গতির সূত্রে কাল গড়িয়ে যায়। অসহায় এই সব দিনরাত্রি কোনো বিন্দুতে গিয়ে স্থির হয় না।
আমি বলব, এ জন্য ধর্মীয় পরিচয়ের দিক থেকে সংখ্যালঘুদের নেতারাও কি কম দায়ী? তারা তো শত্রু-মিত্রই চেনেন না। আর যদি-বা কেউ কেউ চেনেন তারাও আপোষকামী চিন্তা থেকে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সঠিক লড়াইয়ের নীতি-কৌশল গ্রহণ করেন না। তাছাড়া বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেই অনেক সংখ্যালঘু-নির্যাতক নেতা রয়েছেন। প্রকাশ্যে-গোপনে, দিনের আলোয় বা রাতের আঁধারে তারা লোভ ও রিরংসা, অন্ধত্ব ও গোঁড়ামির প্রকাশ ঘটাচ্ছেন নানা মাত্রায়, নানা কায়দায়। আবার এই বড় রাজনৈতিক দলের নেতারা দিনের বেলায় সংখ্যালঘু ধর্মীয় পরিচয়ধারীদের শান্তি-স্বস্তির বরাভয় দান করেন কিন্তু রাতে তাদের মুখ চেনা যায় না। তখন সবাই মুখোশ-পরা। তাই ,'তোমার মুখোশ দেখে হেসে ওঠে আমার মুখোশ'।
হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের ১৯ এপ্রিলের ত্রিবার্ষিক অষ্টম জাতীয় সম্মেলনে এসব থেকে মুক্তি পেতে অসাম্প্রদায়িক শক্তির ঐক্যের বিকল্প নেই বলে বক্তরা মতপ্রকাশ করেছেন। কিন্তু রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন ঠেকাতে না পারলে কি এসব কথা বলে সুফল পাওয়া যাবে? ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহারের চর্চা কোন দলের মধ্যে নেই? কোন দল ভোটের জন্য সাম্প্রদায়িক সহিংসতা উস্কে দেয় না?
আমরা বলছি অনেক কথা, লিখছিও অনেক কিছু। কিন্তু ঘোর তমসা কাটছে না। এ আকাল শুভকাল পানে কীভাবে ধাবিত হবে সেটিই আজ বড় প্রশ্ন।
প্রকাশ বিশ্বাস : আইনজীবী ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের আদালত প্রতিবেদক।
Also Read:

নোয়াখালী দাঙ্গা - উইকিপিডিয়াInline image 1

Translate this page
Bengali Wikipedia
তিন মাস পরে নোয়াখালী পরিদর্শনের সময় মহত্মা গান্ধী লুটপাট আর ধ্বংসকৃত রাজেন্দ্রলালের বাড়িতে যান।১৯৪৭ সালের ১১ জানুয়ারি রাজেন্দ্রলালের গলিত শব আজিমপুরের জলা থেকে তুলে লামচর হাই .... খোসলা মনে করেন, নোয়াখালীর সমগ্র হিন্দু জনগোষ্ঠীর সর্বস্ব লুট করে নেয়া হয়েছিল এবং তাদের কে জোরপূর্বক মুসলমান বানানো হয়েছিল। .... নোয়াখালী যাত্রার আগে ডঃ অমিয় চক্রবর্তী কলকাতার নিকটে সোদপুরের অভয় আশ্রমে গান্ধীজীর একটি সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন। ... গান্ধীজী তার নোয়াখালী মিশন অর্ধ সমাপ্ত রেখেই বাংলার মুসলিম লীগ নেতাদের অনুরোধে ১৯৪৭ সালের ২ মার্চ বিহারের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন।

বিহার ও অন্যান্য স্থানের দাঙ্গা এবং ভারত বিভাজন

১৯৪৬ নোয়াখালীর দাঙ্গার প্রতিক্রিয়া হিসেবে বিহারে দাঙ্গার সুত্রপাত হয়।[১০০]৩০ অক্টোবর থেকে ৭ নভেম্বরের মধ্যকার সংগঠিত বিহার দাঙ্গার ফলে ভারত বিভাজন তরান্বিত হয়। ২৫ থেকে ২৮ অক্টোবরের মধ্যে বিহারের ছাপরা এবং শরণ জেলায় দাঙ্গা ছড়িয়ে পরে।শীঘ্রই পাটনা, মুঙ্গের, ভাগলপুরে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে।[১০১] ফলে সরকারের পক্ষে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিত স্বাভাবিক রাখা ক্রমেই কঠিন হয়ে ওঠে এবং ধর্মের ভিত্তিতে ভারত বিভাজন অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠে।পরিকল্পিতভাবে সৃষ্ট দাঙ্গার নারকীয়তা-বীভৎসতা দেখে গান্ধী-নেহেরু তথা কংগ্রেস নেতৃত্ব জিন্নাহের নেতৃত্বে থাকা মুসলিম লীগের ভারত ভাগের দাবী মেনে নেন। [১০২]

ভুলে যাওয়া ইতিহাসঃ নোয়াখালী হিন্দু গনহত্যা ১৯৪৬, শেষ পর্বInline image 2

Jun 11, 2015 - যখন এই পাশবিক হিন্দু নিধন আর নেক্কার জনক ধর্মান্তকরনের খবর বিভিন্ন সংবাদ পত্রে প্রকাশ হতে শুরু করে আশ্চর্যজনক ভাবে মুসলিম লীগ পরিচালিত সংবাদপত্র দি স্টার অফ ... খোসলা মনে করেন, নোয়াখালীর সমগ্র হিন্দু জনগোষ্ঠীর সর্বস্ব লুট করে নেয়া হয়েছিল এবং তাদের কে জোরপূর্বক মুসলমান বানানো হয়েছিল।কংগ্রেস ..... নোয়াখালী যাত্রার আগে ডঃ অমিয় চক্রবর্তী কলকাতার নিকটে সোদপুরের অভয় আশ্রমে গান্ধীজীর একটি সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন। .... গান্ধীজী তার নোয়াখালী মিশন অর্ধ সমাপ্ত রেখেই বাংলার মুসলিম লীগ নেতাদের অনুরোধে ১৯৪৭ সালের ২ মার্চ বিহারের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন।

গল্পপাঠ: মানুষ মেরেছি আমি : বিহারের দাঙ্গাInline image 1

Jun 10, 2014 - শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ ছিল না তা নয়, তারা কিছু মানুষকে বাঁচিয়েছে, কিন্তু দাঙ্গা প্রতিরোধের ক্ষমতা তাদের ছিল না। বহু কংগ্রেস নেতা, কংগ্রেসের ঘোষিত নীতির কথা ভুলে এই দাঙ্গায় অংশ নেয়। ড. রাজেন্দ্রপ্রসাদ বলেন, দুঃখজনক হলেও বিহারের দাঙ্গা বাংলার দাঙ্গাপীড়িত হিন্দুদের বাঁচিয়েছে। বিহারের দাঙ্গার পক্ষে .........
১৯৪৬ সালের অগস্টে মুসলিম লিগের প্রত্যক্ষ সংগ্রামের ডাকে কলকাতায় নরক নেমে এসেছিল। কলকাতার প্রত্যাঘাতের প্রতিশোধ নেওয়ার উদ্যোগে এবং প্রতিক্রিয়ায় নোয়াখালিতে শুরু হয় হিন্দুবিরোধী দাঙ্গা। এই ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার তত্ত্ব আমরা বারে বারে পাব। শুধু সম্প্রতি কালের গোধরা-পরবর্তী দাঙ্গায় ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া তত্ত্বের মুখোমুখি হই না আমরা। এই ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার তত্ত্ব চলে আসছে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ক্ষেত্রে অনেক আগে থেকে। কিন্তু, ক্রিয়াও যেমন নিজে নিজে ঘটে না, তাকে ঘটানো হয়, প্রতিক্রিয়াও তেমনই। বানানো ক্রিয়াকে অজুহাত করে সজ্ঞানে প্রতিক্রিয়া ঘটানো হয়। তার পরে সব পক্ষই মুখ মুছে বলতে চায়, যা ঘটেছে প্রতিক্রিয়ায় স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ঘটে গেছে। এই ভাবে কলকাতার প্রতিক্রিয়ায় নোয়াখালিতে দাঙ্গা বাধে। সেখানে হিন্দুর মনে আস্থা জাগাতে, মুসলমানদের মনে শুভবুদ্ধি জাগাতে হাজির হন খালি-পায়ের তীর্থযাত্রী, যাঁকে মাউন্টব্যাটেন বলেছিলেন One-man Boundary Force. নোয়াখালি যাত্রার আগে থেকেই গাঁধীজির কাছে খবর আসতে থাকে বিহারে দাঙ্গা শুরু হয়েছে। সেখানে ভূমিকা বদলে গেছে, বিহারে আক্রমণকারী হিন্দু আর আক্রান্ত মুসলমান। এখানে রক্তপাত হচ্ছে মুসলমানের, পূর্ব পুরুষের ভিটে থেকে উৎখাত হচ্ছে মুসলমান। বিহারের প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ও মন্ত্রী ডা. সৈয়দ মাহমুদের লেখা বিবরণ থেকে মুসলমানদের উপর অবর্ণনীয় অত্যাচারের বৃত্তান্ত পড়ে গাঁধীজি স্তম্ভিত হয়ে যান। মনে হয়, 'happenings of Noakhali seemed to pale into insignificance.' মাহমুদ অনুরোধ করেন গাঁধীজি নোয়াখালি ছেড়ে এ বার বিহারে চলে আসুন ও বিহারি মুসলমানদের বাঁচান। ....
Details at:





__._,_.___

Attachment(s) from Jiten Roy | View attachments on the web

2 of 2 Photo(s)


Posted by: Jiten Roy <jnrsr53@yahoo.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___