Banner Advertiser

Sunday, June 21, 2015

[mukto-mona] আশেকানে মঈন পাগলাবাবা!



আশেকানে মঈন পাগল

আশেকানে মঈন পাগলাবাবা!

21 Jun, 2015

লন্ডনে পলাতক ইতিহাসবিদের আছর পড়েছে বিএনপির আব্দুল মঈন খানের ওপর! অবশ্য এসবই এখন তাদের চাকরি! লন্ডন থেকে নয়া রচিত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের যে ফিরিস্তি আসবে, বিএনপির পদ-চাকরি বহাল থাকতে চাইলে তাই তাদেরকে ফেরি করে বেড়াতে হবে! সেটা এখন এমাজউদ্দিন থেকে শুরু করে আব্দুল মঈন খান সবার ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক! এই মঈন খান সম্প্রতি ঢাকার এক সভায় বলেছেন, জিয়াউর রহমান চাইলে একাত্তর সালেই ক্ষমতায় চলে যেতে পারতেন! কিন্তু তার ক্ষমতার লোভ ছিলোনা বলে তা করেননি! ক্ষমতা এমন ছেলের হাতের মোয়া যে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর এক মেজর চাইলেই সব করে ফেলতেন আর কী!

মুক্তিযুদ্ধের পর ষড়যন্ত্রের ঘোট পাকিয়ে হত্যা-ক্যুর মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করা আর মুক্তিযুদ্ধ যে এক না, তা দেশের মানুষ জানলে বুঝলেও বিবেক বন্ধক রাখা এসব মঈন খানদের কাছে তা দুরুহ বোধগম্যও বটে! আর যে লোকটি শুধুমাত্র ক্ষমতার লোভে মুক্তিযুদ্ধের আরেক সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু তাহের বীরত্তম সহ দেশের শতশত মুক্তিযোদ্ধা সামরিক অফিসারদের হত্যা করেছে, তার ক্ষমতার লোভ ছিলোনা, এটিতো বাংলাদেশের সেরা কৌতুক রচনাগুলোর একটা হতে পারে বৈকি!.

মঈন খান নরসিংদির পলাশ এলাকার রাজনীতিক। পলাশ আসন থেকে একাধিকবার এমপি হয়েছেন। তার কুষ্ঠি জানতে নরসিংদির অন্যতম সিনিয়র রাজনীতিক নূরুল মজিদ হুমায়ুন এমপি সাহেবকে ফোন করেছিলাম। মঈন খান প্রসঙ্গ তুলতেই বলেন, উনিতো প্রেমিক পুরুষ! আশেকানে পাগলাবাবা! এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, তারা নরসিংদির রাজনীতিকরা তার কথা জানতেন না। জানতেন তার বাবা'র কথা! তার বাবা আব্দুল মোমেন খান বঙ্গবন্ধু'র সময়ে খাদ্য সচিব ছিলেন। ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের সময়কার খাদ্য সচিব। কিন্তু তারা সেই দুর্ভিক্ষ সৃষ্টিতে তার ভূমিকা বুঝতে জানতে পারেন জিয়ার আমলে! সেই দুর্ভিক্ষের কথা বলে এক হৃদয়বিদারক হত্যাকান্ড ঘটিয়ে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় বঙ্গবন্ধু আর আওয়ামী লীগকে! আর সেই খাদ্য সচিব মোমেন খান কীনা যোগ দেন জিয়ার রাজনৈতিক দলে!

নূরুল মজিদ হুমায়ুন বলেন, মঈন খানের কথা তারা প্রথম জানেন জাতীয় প্রেসক্লাবে সামনের এক চাঞ্চল্যকর ও রম্য অনশন কর্মসূচির ঘটনায়! ববিতা তখন ঢাকার সিনেমার হার্টথ্রব নায়িকা। অমর চলচ্চিত্রকার জহির রায়হানের হাত ধরে চলচ্চিত্রে আসেন তার শ্যালিকা ফরিদা আখতার পপি ওরফে ববিতা। কিংবদন্তীর চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের অমর সৃষ্টি 'অশনি সংকেত' এর অনঙ্গ বৌ চরিত্রে অভিনয় করে ববিতা তখন খ্যাতির মধ্যগগনে! সেই সময়ের যুবকদের অনেকে তখন ববিতার পানিপ্রার্থী! সেই যুবকদের একজন ছিলেন মঈন খান! ববিতাকে বিয়ে করার দাবিতে মঈন খান একদিন অনশন করেন প্রেসক্লাবের সামনে! অনেক পত্রিকা, বিশেষ করে সেই সময়ের আলোচিত সিনে সাপ্তাহিক চিত্রালী সহ আরও অনেক কাগজে তখন সেই অনশনের ছবি ছাপা হয়! পরবর্তিতে সেই মঈন খান যোগ দেন বিএনপিতে

নরসিংদির তৃণমূল পর্যায় থেকে উঠে আসা এই রাজনীতিক নূরুল মজিদ হুমায়ুন মজা করে বলেন, তার ধারণা ববিতাকে না পাবার বেদনা থেকে লম্বা চুল রাখতে শুরু করেন মঈন খান! সঙ্গে তিনি হয়ে ওঠেন শুশ্রুমন্ডিত। প্রেমিক মানুষ বলে সুন্দরী নেত্রী দেখে সম্ভবত তিনি পরে বিএনপিতে যোগ দিয়েছিলেন!

এখন মঈন খানের ইতিহাস জ্ঞান বিষয়ে আলোচনা করা যাক। তিনি ডক্টরেট ডিগ্রীধারী মানুষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। তাকেই কীনা এখন বাধ্যতামূলক তারেক রচিত ইতিহাসের ফেরিওয়ালার ভূমিকায় নামতে হয়েছে! বেশ কিছুদিন ধরে লন্ডনে বসে মুক্তিযুদ্ধের স্বরচিত ইতিহাস বিতরণ শুরু করেছেন গ্রেনেড হত্যা মামলার পলাতক আসামি তারেক রহমান! যার সার কথা হলো, বাংলাদেশ সৃষ্টির পিছনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, দল হিসাবে আওয়ামী লীগের কোন ভূমিকাই নেই! পুত্রের এসব ইতিহাস নিয়ে মাঝে মাঝে তার মা খালেদা জিয়াও এক দুই লাইন বলেন! যেমন আওয়ামী লীগতো হলো সীমান্ত পাড়ি দেয়া মুক্তিযোদ্ধার দল। আসল মুক্তিযোদ্ধার দল হলো বিএনপি! খালেদা জিয়া শুধু যা বলেন না তাহলো তার স্বামী জিয়াউর রহমান সীমান্ত পাড়ি দিয়েছিলেন কীনা! জিয়া সীমান্তের ওপারে যেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন, থাকতেন সেটি ভারত না পাকিস্তা

আব্দুল মঈন খান বলেছেন, জিয়াউর রহমান চাইলে ক্ষমতা নিতে পারতেন একাত্তরেই! জিয়াউর রহমানকে যখন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পড়তে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তখন যে তিনি কিছুটা শয়তানির আশ্রয় নেননি তা নয়। তিনি নিজেকে বাংলাদেশের সুপ্রীম কমান্ড কাউন্সিলের প্রধান ঘোষণা করেন! কিন্তু এর পরিণতি আঁচ করতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে 'অন বিহাব অব আওর গ্রেট লিডার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান' সহ নতুন আরেকটি ঘোষণা দেন। তখন পরিণতিটা কী হতে পারতো মনে করেছিলেন জিয়াউর রহমান? এর সোজা বাংলা উত্তরটা হলো কিল একটাও মাটিতে পড়তোনা! বিশৃংখলা শুরু হয়ে যেতে পারতো তখন থেকেই! কারণ বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামতো হঠাৎ করে কোন একজন সেনা মেজরের হুইসেলে শুরু হয়ে যাওয়া বিষয় নয়!

সেই ১৯৪৮ সাল থেকে গড়ে উঠেছে বাংলাদেশের ধারাবাহিক মুক্তি সংগ্রাম। সেই ধারাবাহিক সংগ্রামের ধারায় এর একজন নেতা তৈরি হয়েছেন, যার নাম শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশে জামায়াত-সাবেক মুসলিম লীগ প্রভাবিত একদল মানুষ আছেন যারা বিবিধ কৌশলে বলার চেষ্টা করেন, বঙ্গবন্ধুতো বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি! তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন! ৭ মার্চের ভাষণটাও এরা ঠিকমতো শোনেননি-পড়েননি! ৭ মার্চের ভাষণে কী বলেছিলেন বঙ্গবন্ধু? 'আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাইনি, আমি বাংলার মানুষের অধিকার চেয়েছিলাম'।

বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা চাননি বলে যারা মিথ্যাচার করেন তাদের আমি রণেশ মৈত্রের গল্পটা বলি। রণেশ মৈত্র কোন দিন আওয়ামী লীগ করেননি। সারা জীবন বামপন্থী রাজনীতি করেছেন। এখন গণফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা। তার ছেলে প্রবীর মৈত্র অস্ট্রেলিয়ার প্রথম নির্বাচিত বাঙ্গালি জনপ্রতিনিধি। সিডনির প্যারামাটা সিটি কাউন্সিলের নির্বাচিত কাউন্সিলর ছিলেন। চিকিৎসা ও ছেলের সংসারের সঙ্গে সময় কাটাতে প্রায় সিডনি আসেন রণেশ মৈত্র। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গল্পটি সিডনিতে তার মুখে শোনা। ষাটের দশকে কলেজের ছাত্র রণেশ মৈত্র। পাবনায় বাম রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ওই সময়ে গ্রেফতার হলে পরীক্ষা উপলক্ষে তাকে ঢাকায় কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে আসা হয়। বঙ্গবন্ধুও তখন বন্দী ছিলেন ঢাকা জেলে। সকালে বিকালে বঙ্গবন্ধু জেলখানার ভিতর হাঁটতেন। একদিন রণেশ মৈত্রও ভয়ে ভয়ে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে হাঁটায় যোগ দেন। তার সঙ্গে রাজনীতির নানা আলাপ জুড়ে দেন। এরপর থেকে বঙ্গবন্ধুও তাকে হাঁটার সঙ্গী হিসাবে নিজে থেকে ডেকে নিতেন। একদিন বঙ্গবন্ধু তাকে কথায় কথায় বলেন, আমারতো আসল উদ্দেশ্য ভিন্ন। আমারতো আসল উদ্দেশ্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা। বামপন্থী যুবক রণেশ মৈত্র তখন তাকে মুখের ওপর উষ্মার স্বরে বলেন, স্বাধীনতাতো আপনাকে দিয়ে হবেনা। কারণ আপনার রাজনীতির মক্কা হলো আমেরিকা। আমেরিকা আপনাকে বাংলাদেশ স্বাধীন করতে দেবেনা। বঙ্গবন্ধু তখন তাকে বলেন, আমার নানা উইং নানা জায়গায় কাজ করছে। তাজউদ্দিনরা কাজ করছে স্বাধীনতার জন্যে।

যে সব বেকুবের দল বলে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা চাননি তারা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আন্দোলনও জানেনা। সেই ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে স্বাধীনতার নিউক্লিয়াস অনেক ষাটের দশক থেকে কাজ করছিল। সেই নিউক্লিয়াস ছাত্র নেতৃত্বের নেতার নামটিও ছিল মুজিব ভাই। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তখন একজন ছাত্রনেতা ছিলেন লুৎফুল হাই সাচ্চু। ১৯৯৭ সালে মুক্তিযুদ্ধের আগরতলার ইতিহাস খুঁজতে জনকন্ঠের হয়ে আমি আগরতলা গিয়ে মাসাধিককাল সময় কাজ করেছি। ওই সময় আগরতলার ওয়াকিফহাল লোকজনের কাছে একটা তথ্য পেয়ে চমকে উঠি। কেন্দ্রীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের হয়ে এই লুৎফুল হাই সাচ্চু ১৯৬৮ সাল থেকেই আগরতলা যাওয়া আসা করতেন! মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ভারতীয়দের তরফে কী ধরনের সহায়তা পাওয়া যেতে পারে তা জানতে তখন থেকেই গোপনে আগরতলা পাঠানো হতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তৎকালীন সেই ছাত্রনেতা।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের জন্যে বঙ্গবন্ধু গোপনে আগরতলা গিয়েছিলেন, পাকিস্তানিরা তা জেনে তার বিরুদ্ধে শুরু করেছিল তাদের ভাষায় আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা! এ মামলায় তাকে গ্রেফতার করে বিচারও করা হচ্ছিল। গণআন্দোলনের চাপে তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তানের সামরিক আয়ুবশাহী। আর বাংলাদেশের একদল মতলবি কিনা বালকসুলভ বলার চেষ্টা করে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা চাননি!

তারেক মার্কা ইতিহাসের স্তাবক মঈন সাহেব কী মুক্তিযুদ্ধকালীন রাজনৈতিক ঘটনাক্রম না পড়েই রাজনীতিতে চলে এসেছিলেন? আওয়ামী লীগের প্রবাসী নেতৃবৃন্দ ভারত পৌঁছবার পর বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে তার প্রতিনিধি হিসাবে তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী কাকে আলোচনার জন্যে দিল্লী নিয়ে গিয়েছিলেন? তিনি কী তাজউদ্দিন ছিলেন? না জিয়াউর রহমান ছিলেন?

তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে পালিয়ে আসা এক মেজরকে কী ইন্দিরার ডেকে কথা বলা সম্ভব ছিল? দিল্লীর সেই বৈঠকে তাজউদ্দিনের সঙ্গী হয়েছিলেন ব্যারিষ্টার আমির উল ইসলাম। ইন্দিরা তাদেরকে প্রবাসী নেতৃবৃন্দকে নিয়ে একটি প্রবাসী সরকার গঠনের পরামর্শ দেন। দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক ইন্দিরা গান্ধী এমন শুরুতেই বাংলাদেশ যুদ্ধের এমন একটি সুশৃংখল রাজনৈতিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। দিল্লী থেকে ফিরে একাত্তরের ১০ এপ্রিল তারা আগরতলা সার্কিট হাউসে প্রবাসী এমপিএ, এমএলএ'দের নিয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেন প্রবাসী সরকার গঠনের। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয় সেই প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান হবেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই সরকারটিই একাত্তরের ১৭ এপ্রিল শপথ নেয় মেহেরপুরের বৈদ্যেরনাথতলার আম্রকাননে। সেই ঐতিহাসিক স্থানটির নাম হয়ে যায় মুজিবনগর। প্রবাসী সরকারের নাম হয় মুজিবনগর সরকার।

সেই সরকারের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশকে ১১ টি সেক্টরে ভাগ করে ১১ জন সেক্টর কমান্ডার ঠিক করা হয়। যাদের একজন হন জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশের যুদ্ধটি হয়েছে এভাবে মুজিবনগর সরকারের রাজনৈতিক নেতৃত্বে, কর্তৃত্বে। মুক্তিযুদ্ধের প্রয়োজনে ভারত সরকারের কাছ থেকে যখন যা সহায়তা দরকার তা সেই সরকারের মাধ্যমেই এসেছে। এরজন্যে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোন বিশৃংখলা দানা বাঁধতে পারেনি। যুদ্ধ হয়েছে বঙ্গবন্ধুর নামে। কারণ সবাই তখন মনে করতেন যুদ্ধে জয় আসলে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধে যাবার আগে শ্লোগান দিতেন জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। যুদ্ধ থেকে ফিরে এসে অথবা বিজয় অর্জনের রণক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে শ্লোগান দিতেন জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। 'শোনো একটি মুজিবুরের থেকে লক্ষ মুজিবুরের ধবনি প্রতিধবনি', 'মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি' এই গানগুলো মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের মানুষকে আলোড়িত করতো। এই গানগুলো লেখা হয়েছিল কার নামে কার জন্যে? আর খালেদা-তারেকগং এর স্বরচিত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এই রাজনৈতিক নেতৃত্বের মুক্তিযুদ্ধটির নাম এখন হয়েছে, সীমান্ত পাড়ি দেয়া মুক্তিযুদ্ধ? আর তাদের মুক্তিযুদ্ধটি(!) এখানে হয়েছে ক্যান্টনমেন্টে পাকিস্তানিদের সঙ্গে দহরম মহরমে?

মঈন খানরা তাদের বর্তমান নেতা জিয়াকে মুক্তিযুদ্ধের কান্ডারি ভাবলে তার যুদ্ধকালীন নানা কাহিনীও খুঁজতে পারেন! জিয়া কোন রণাঙ্গনে কবে যুদ্ধ করেছেন তা দেশের মানুষকে জানালে উপকার হবে। বাংলাদেশের রৌমারি অঞ্চল পুরো নয় মাস স্বাধীন ছিল। ব্রহ্মপুত্রের কারণে বিচ্ছিন্ন থাকায় পাকিস্তানিরা সেখানে কোন দিন যেতে পারেনি। কর্নেল তাহের আহত হবার আগে জিয়া-তাহের সেখানে বেশ কিছুদিন ছিলেন। রৌমারির মুক্তিযোদ্ধারা জিয়া-তাহেরের ঝগড়া দেখতেন প্রায়। তাহের সব সময় ফ্রন্ট লাইনে চলে যাবার চেষ্টা করতেন আর কৌশলী জিয়া এর বিরোধিতা করতেন। ঝগড়া হতো এসব নিয়ে। যুদ্ধকৌশল নিয়ে জেনারেল ওসমানির সঙ্গে জিয়ার গোলমাল ছিল ওপেন সিক্রেট। এসব কারণে যুদ্ধের এক পর্যায়ে জিয়া এক রকম নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন অথবা সন্দেহজনক ভূমিকার কারণে তাকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়া হয়। ১৯৭১ সালে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সিলেটের একটি চা বাগানে এসে ওঠেন জিয়া। ওই সময়টায় তিনি কী নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, কেন বিজয়ের ওই সময়টায় তিনি যুদ্ধ বিচ্ছিন্ন ছিলেন তা খুঁজলে অনেক কাহিনী বেরিয়ে আসবে।

সেই জিয়া পরবর্তীকালে কিভাবে বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়ান, ক্ষমতা পেয়ে জয়বাংলাকে নির্বাসনে পাঠিয়ে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ ধবনিকে করেন তার দলীয় ও জাতীয় শ্লোগান, দালাল আইন বাতিল করে বিচারাধীন যুদ্ধাপরাধীদের জেল থেকে বের করে তাদেরকে নিয়ে কিভাবে রাজনৈতিক দল গঠন এসব সবিস্তার অনুসন্ধান করলে যে সত্য বেরিয়ে আসে তাহলো জিয়া মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন বাধ্য হয়ে। ক্ষমতা পেয়ে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে ফিরিয়ে নিয়ে গেছেন পাকিস্তানি ধারায়।

পাকিস্তানি এসাইনমেন্টে! আর তিনি যে একের পর এক মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের হত্যা করেছেন তা ক্ষমতার লোভে নয়, প্রেমে! তাই নয় কি মঈন। খানগং? এসব প্রেসক্লাবের ভিতর নিরাপদ একটি পরিবেশে বলেছেন বলে বেঁচে গেছেন! প্রকাশ্যে রাস্তাঘাটে 'বলিয়েন না, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের পক্ষের প্রিয় প্রজন্মের পোলাপান প্যাদানি প্রদান করিবে'!

http://www.monitor-bd.net/newsdetail/detail/200/135261


বিএনপির নতুন পাগলাবাবার নাম আব্দুল মঈন খান ||ফজলুল বারী

বিএনপির নতুন পাগলাবাবার নাম আব্দুল মঈন খান ||ফজলুল বারীবাংলাদেশপ্রেস ডেস্ক || বিএনপির নতুন পাগলাবাবার নাম আব্দুল মঈন খান ইনি বলেছেন, জিয়া চাইলে নাকি ১৯৭১ সালেই ক্ষমতা নিতে পারতেন! তার ক্ষমতার লোভ ছিলোনা বলে তিনি তা করেননি! জিয়ার যে এমন একটা শয়তানি চিন্তা ছিলোনা তা নয়। কিন্তু জিয়া কেন সেই শয়তানি থেকে ফিরেছিলেন তা মঈন পাগলা না বুঝলে জিয়া নিশ্চয় বুঝেছেন! কারন জিয়া জানতেন তখন তেমন একটা অপচেষ্টায় কিল একটাও মাটিতে পড়তোনা কারন এই মুক্তিযুদ্ধ সাধারন কোন বিদ্রোহের ঘটনা ছিলোনা। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলন চলছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে। সত্তুরের নির্বাচনে তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সারা পাকিস্তানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। মুক্তিযুদ্ধ উপলক্ষে এক কোটি শরণার্থীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিলে ইন্দিরা তাজউদ্দিন-ব্যারিষ্টার আমির উল ইসলামকে ডেকে কথা বলেন। তাদের প্রবাসী সরকার গঠনের পরামর্শ দেন। ইন্দিরা বা ভারতীয় কর্তৃপক্ষ জিয়া বা কোন সামরিক যদু মধুকে ডেকে কথা বলেছে? বা বলা সম্ভব ছিল? জিয়া কী জানেন না তার মতো একটা মেজর ক্ষমতা নিলে এটি আর কোন মুক্তিযুদ্ধ না, বিভিন্ন দল উপদলের গৃহযুদ্ধে রূপ নিতো! অথবা এমন একটি বিশৃংখলা সৃষ্টির হোতা হিসাবে তাকে সেখানে গ্রেফতার করতো ভারতীয়রাই! অতএব মঈন পাগলাদের বলবো এইসব পাগলামো তত্ত্ব বাদ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বড় সময়ে জিয়া কেন নিষ্ক্রিয় ছিলেন সেটা খুঁজতে মন দিন। ১৩ ডিসেম্বর সিলেট সীমান্তে পৌঁছেও কেন আত্মগোপন করেন সেটি খুঁজে বের করুন। আর জিয়ার ক্ষমতা লিপ্সা ছিলোনা? তাহলে কী সে তলে তলে বঙ্গবন্ধুর হত্যা পরিকল্পনাকারীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে? কর্নেল তাহের সহ শত শত মুক্তিযোদ্ধাকে সে হত্যা করেছে কী প্রেমে না ক্ষমতার মোহে?
http://bangladeshpress.com/news/view/80979



__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___