Banner Advertiser

Thursday, July 30, 2015

[mukto-mona] প্রকাশের জন্যে-



মার্কিন কংগ্রেসে বাংলাদেশে মানবাধিকার বিষয়ক বিল উত্থাপন

শিতাংশু গুহ, ৩০শে জুলাই ২০১৫, নিউইয়র্ক: মার্কিন কংগ্রেসে বাংলাদেশে মানবাধিকার বিষয়ক একটি বিল বুধবার ২৯শে জুলাই ২০১৫ উত্থাপিত হয়েছে (হাউজ রেজুলেশন ৩৯৬)। বিলটি এনেছেন হাওয়াই'র কংগ্রেসওমেন মিসেস তুলসী গ্যাবার্ড, কো-স্পন্সর করেছেন আরিজোনার ম্যাট সালমন এবং ইলিনয়েসের বব ডোল্ড। বিলটি বাই-পার্টিজান, অর্থাৎ কংগ্রেসের উভয় দলের সদস্যরা এটি এনেছেন। গ্যাবার্ড ডেমক্রেট, বাকি দু'জন রিপাবলিকান। বিলটিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে দেশের সকল নাগরিক, বিশেষত: নিপীড়িত সংখ্যালঘুদের মনবাধিকার রক্ষা করার। এতে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্টান শক্তিশালী করা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং  ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাস প্রতিরোধের আহবান জানানো হয়েছে।

হাউজে বিলটি উত্থাপন করে কংগ্রেসওমেন মিসেস তুলসী গ্যাবার্ড বাংলাদেশে সংখ্যালঘু, বিশেষত: হিন্দু নির্যাতন বন্ধের আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিগত ক্রুটিপূর্ণ নির্বাচনের পর দেশটি স্থিতিশীলতা সম্পর্কে আমি সন্ধিহান এবং বিশেষত: সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও হিন্দু-বৌদ্ধ-ক্রিস্টানদের ওপর আক্রমনের ব্যাপারে আমি চিন্তিত। তিনি বলেন, এসব আক্রমনের কোন বিচার হয়না।  তুলসী গ্যাবার্ড আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকারের উচিত সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেয়া এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা। উল্লেখ্য, তুলসী গ্যাবার্ড হাউজ ফরেন এফেয়ার্স কমিটির এশিয়া ও প্যাসিফিক সাব-কমিটির একজন সদস্য। একই সাব-কমিটির চেয়ারম্যান হচ্ছেন ম্যাট সালমন। মি: সালমন বলেছেন, বিলটি আনার লক্ষ্য হচ্ছে, আমরা চাই বাংলাদেশ অহিংসা গণতান্ত্রিক প্রতিযোগিতায় ফিরে আসুক, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পাক, সন্ত্রাস ও ধর্মীয় চরমপন্থা বন্ধ হোক।

বিলটিতে বলা হয়েছে: 
(১). ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ একটি ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে স্বাধীনতা লাভ করেছে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, ক্রিস্টান ও অবিশ্বাসীদের আবাসভূমি হিসাবে।
(২). ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী স্থানীয় মিলিশিয়াদের সহায়তায় মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে এর ভুড়ি ভুড়ি প্রমান রয়েছে।
(৩). যদিও সংখ্যা নিয়ে মতানৈক্য আছে, তবু বিভিন্ন রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ঐসময় ৩০লক্ষ মানুষ নিহত হয়েছে, ১কোটি মানুষ বিতাড়িত এবং  ২লক্ষ মাবোন সম্ভ্রম হারিয়েছে।  ম্যাসাচুটসের সাবেক সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডী সিনেট ফ্লোরে এর নিন্দা করেছেন এবং সিনেট জুডিশিয়ারি কমিটির হিয়ারিং-এ এক রিপোর্টে লিখেছেন, "মার্কিন সরকারের ফিল্ড-রিপোর্ট; অসংখ্য প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকের রিপোর্ট; বিবিধ আন্তর্জাতিক সংস্থা, যেমন বিশ্বব্যাংক ও অন্যান্য সংস্থার প্রদত্ত রিপোর্ট থেকে জানা যায়, পূর্ব-বাংলায় (পূর্ব-পাকিস্তানে) সন্ত্রাসের রাজত্ব চলছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে হিন্দুরা, তাদের জমিজমা কেড়ে নেয়া হয়েছে, তাদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে, এবং কোথাও কোথাও তাদের বাড়িঘর 'এইচ' চিহ্ন দিয়ে মার্কা দেয়া হয়েছে। আর এসবই করা হয়েছে ইসলামাবাদ থেকে সামরিক শাসনের আওতায় সরকারী নির্দেশবলে।
(৪). যুদ্ধের পর আন্তর্জাতিক জুরিস্ট কমিশনের (আইসিজে) এক রিপোর্টে নিশ্চিত করা হয়েছে যে,  পাকিস্তানী মিলিটারী ও দেশীয় প্যারামিলিটারি মিলিশিয়ারা ১ কোটি হিন্দুকে সমূলে নির্মূল বা বিতাড়িত করার উদ্যোগের জন্যে দায়ী।
(৫). বাঙালী জাতীয়তাবাদীরাও যুদ্ধকালীন সময়ে পাকিস্তানী সমর্থক বলে বিহারীদের ওপর আক্রমন চালিয়েছে।
(৬). আন্তর্জাতিক ক্রাইম ট্রাইবুনাল-এর বিপক্ষে বিএনপি-জামাত (জেইআই)-ছাত্র শিবির (আইসিএস) ও তাদের সমর্থকরা সহিংস দাঙ্গা করেছে, ডজন ডজন বোমা ফুটিয়েছে, রেললাইন উপড়ে ফেলেছে, নিরাপত্তা রক্ষীদের ওপর আক্রমন করেছে, জোর করে ব্যবসা-বানিজ্য বন্ধ রেখেছে এবং এতে সাধারণ মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়েছে।
(৭). বিএনপি-জামাত (জেইআই)-ছাত্র শিবির (আইসিএস) ট্রাইবুনালের রায়ের পর হিন্দুদের ওপর আক্রমন করেছে এবং এতে প্রায় ৫০টি মন্দির ও ১৫০০ ঘরবাড়ী ধ্বংশ হয়েছে।
(৮). সন্ত্রাসের পর এমেনিস্টি ইন্টারন্যাশানাল শংকা প্রকাশ করে বলেছে, 'বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় চূড়ান্ত রিস্কের মধ্যে আছে'---এটা দু:খজনক যে, তারা শুধুমাত্র তাদের ধর্মের কারণেই আক্রান্ত। কর্তিপক্ষের উচিত এদের যথাযথ নিরাপত্তা বিধান করা।
(৯). সাম্প্রতিক নির্বাচনের আগেপরে একইভাবে বিএনপি-জামাত (জেইআই)-ছাত্র শিবির (আইসিএস) হিন্দুদের ওপর আক্রমন চালিয়েছে। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ ক্রিস্টান ঐক্য পরিষদ-এর মতে এতে ৪৯৫টি হিন্দুবাড়ী ক্ষতিগ্রস্ত, ৫৮৫টি ব্যবসা প্রতিষ্টান আক্রান্ত বা লুট; ১৬৯টি মন্দির ধ্বংস হয়েছে।
(১০). ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদীরা বৌদ্ধ, ক্রিস্টান ও আহমেদিয়াদের ওপরও আক্রমন চালিয়েছে।
(১১). জামাত (জেইআই)-ছাত্র শিবির (আইসিএস) ও অন্যান্য চরমপন্থী গ্রুপ যেহেতু দেশের স্থিতিশীলতা ও ধর্মনিরপেক্ষতার ওপর হুমকি স্বরূপ, সেহেতু ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর সন্ত্রাসের আশংকা সবসময় থেকেই যায়।
(১২). সাম্প্রতিক ক্রুটিপূর্ণ নির্বাচন দেশে সহিংসতার জন্ম দিতে পারে যা বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্রের জন্যে হুমকীস্বরূপ।
(১৩). উদ্যত চাপাতিধারী ইসলামী মৌলবাদীরা ২৬শে ফেব্রুয়ারী বইমেলায় পুলিশের সামনে নিরেশ্বরবাদী মার্কিন নাগরিক অভিজিত রায়কে হত্যা ও তার স্ত্রী রাফিদা আহমদকে আহত করেছে।
(১৪). ইসলামী মৌলবাদীদের নিরেশ্বরবাদী বা অবিশ্বাসীদের ওপর হামলা করার একটি ইতিহাস আছে এবং এ পর্যন্ত গত ১১ বছরে তাদের হাতে ৮জন খুন হয়েছে এবং আর কয়েক ডজন পালিয়ে জীবন বাচাচ্ছে।
(১৫). ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর বারংবার আক্রমন, ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা বৃদ্ধি এবং জামাত (জেইআই)-ছাত্র শিবির (আইসিএস) ও চরমপন্থী গ্রুপের দ্বারা ক্রমবর্ধমান অস্থিতিশীলতা বৃদ্ধি বাংলাদেশে মার্কিন অর্থনৈতিক ও কৌশলগত স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
(১৬). গত বছর থেকে ইরাক ও সিরিয়ার সাথে সংশ্লিস্ট প্রো-ইসলামিক স্টেট-এর সাথে সম্পৃক্ত বেশ কিছু চরমপন্থী গ্রেফতারে প্রতীয়মান হয় যে, বাংলাদেশে ইসলামিক চরমপন্থা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
(১৭). যুক্তরাষ্ট্র-এর উচিত বাংলাদেশের সাথে আরো ঘনিষ্টভাবে উভয়পক্ষের স্বার্থরক্ষায় নিযুক্ত হওয়া, যাতে বাংলাদেশে মানবাধিকার, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্র বজায় থাকে এবং যাতে ধর্মীয় মৌলবাদ ও চরমপন্থা প্রতিরোধ করা যায়।

সেইলক্ষ্যে- হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ প্রস্তাব নিচ্ছে যে, 
I হাউজ ১৯৭১-এর ভিকটিমদের কথা স্বীকার করছে।
ii বাংলাদেশ সরকারকে আহবান জানাচ্ছে, আইনের শাসন, নির্বাচন প্রক্রিয়া ও যুদ্ধাপরাধের বিচারে আন্তর্জাতিক রীতিনীতি মেনে চলতে।
iii বাংলাদেশ সরকারকে আহবান জানাচ্ছে, চরমপন্থী গ্রুপ যেমন জামাত (জেইআই)-ছাত্র শিবির (আইসিএস) যারা দেশের ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্র ও স্থিতিশীলতার জন্যে হুমকিস্বরূপ তাদের কর্ম-তত্পরতা ঠেকাতে।
iv বাংলাদেশ সরকারকে আহবান জানাচ্ছে, সকল নাগরিকের বিশেষত: দুর্বল ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষার।

উল্লেক্ষ্য যে, এই বিলটি কংগ্রেসের বাইরে বেশ কয়েকটি গ্রুপ সমর্থন দিয়েছে, তন্মধ্যে হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেসন এবং যুক্তরাষ্ট্র হিন্দু বৌদ্ধ ক্রিস্টান ঐক্য পরিষদ; আমেরিকান এথিয়েস্ট; আমেরিকান হিউম্যানিস্ট এসোসিয়েশন; সেন্টার ফর ইনকুয়ারী; দেলওয়ার ভ্যালী বাংলাদেশী এসোসিয়েশন; স্যাকুলার কোয়ালিশন অফ আমেরিকা অন্যতম। প্রশ্ন হলো, এরপর কি? বিলটি কি কংগ্রেসে আলোচনার জন্যে উঠবে?





__._,_.___

Posted by: Sitangshu Guha <guhasb@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___