ছবিতে ২১ আগস্ট ট্র্যাজেডি
আগস্ট ২১, ২০১৫
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ট্রাকে বানানো মঞ্চে বক্তৃতা করছিলেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে তিনি বক্তব্য শেষে 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু' বলে এগিয়ে গেলেন সিঁড়ির দিকে। তখনই একের পর এক গ্রেনেড হামলা হয়। তাঁকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ১৩টি গ্রেনেড। সেই ২১ আগস্ট আজ। আওয়ামী লীগের 'সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিবিরোধী' সমাবেশে নারকীয় গ্রেনেড হামলার আজ ১১ তম বার্ষিকী। ওই হামলায় দলের তৎকালীন কেন্দ্রীয় মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ নিহত হন ২২ জন নেতা-কর্মী। আহত হন শেখ হাসিনা, আইভি রহমানের স্বামী প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, আওয়ামী লীগের নেতা আমির হোসেন আমু, প্রয়াত আবদুর রাজ্জাক, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তসহ পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী।
২০০৪ সালে ২১ আগস্ট বিকেলে 'সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিবিরোধী' সমাবেশে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য দিচ্ছেন। বক্তব্য শেষে হতেই তাঁকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ১৩টি গ্রেনেড।
বিপুলসংখ্যক দলীয় নেতা-কর্মীর সামনে ভাষণ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা। কে জানত একটু পরেই ঘটবে নারকীয় সেই হামলা।
গ্রেনেড হামলার পরপরই ট্রাকের ওপরে বানানো মঞ্চে বসে পড়ে প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে ঘিরে ধরে মানব ঢাল তৈরি করেন আওয়ামী লীগের নেতারা।
গ্রেনেডের প্রচণ্ড শব্দে কানে হাত দিয়ে ট্রাকের ওপর নিচু হয়ে বসে পড়েন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান।
ট্রাকের ওপরে থাকা সংবাদকর্মীদের আত্মরক্ষার চেষ্টা।
মুহূর্তেই সভাস্থল যেন হয়ে ওঠে মৃত্যুপুরী। আহত হয়ে লুটিয়ে পড়েন সভায় উপস্থিত দলীয় নেতা-কর্মীরা। তবে ভাগ্য গুনে ছবির এই তিন নারী বেঁচে আছেন। তবে পঙ্গুত্ব ও সীমাহীন যন্ত্রণায় কাটছে তাঁদের দিন।
সভাস্থলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে আহত-নিহত নেতা-কর্মীরা।
গুরুতর আহত আইভি রহমান। তাঁকে টেনে তোলার চেষ্টা এক কর্মীর। পরে তিনি মারা যান।
হামলায় শিকার হয়ে পড়ে আছেন এরা।
হামলায় আওয়ামী লীগ নেতা সাবের হোসেন চৌধুরী ও সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের হতবাক দশা।
আহত আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে ব্যানারে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা।
আহত অবস্থায় কাতরাচ্ছেন এক নারী।
আহত এক কর্মীকে উদ্ধার করছে কয়েকজন।
আহত এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছেন অন্যরা।
আহত আরও একজনকে ভ্যানগাড়িতে করে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হামলাস্থলে আহত কয়েকজন নারী।
গ্রেনেড হামলার পর যে যেদিকে পারে ছুটছে। আহত কয়েকজনকে উদ্ধারের জন্য এক ব্যক্তির আহ্বান।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ওই দিন আহত হন সংবাদকর্মীরাও।
ব্যানারে করেই আহত এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছেন কয়েকজন।
হামলার পর দুর্ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা জুতা-স্যান্ডেল।
এ কেমন বর্বরতা!
ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা একটি তাজা গ্রেনেড। এটি বিস্ফোরিত হয়নি। পরে পুলিশ এটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
ইত্তেফাকের প্রয়াত জ্যেষ্ঠ ফটোসাংবাদিক মীর মহিউদ্দিন সোহন আহত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন।
ঘটনার পর আশপাশের দোকানপাট ও যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা।
মুহূর্তেই পাল্টে যায় ঢাকার রাজপথ। সচিবালয়ের সামনে গাড়িতে আগুন দেয় বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা।
হামলার পর ঘটনাস্থলে পুলিশের অ্যাকশন।
হাসপাতালে আহত নেতা-কর্মীরা। তাঁদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম অবস্থার তৈরি হয়।
__._,_.___