পাগলামি না গুণ্ডামি
জুয়েল রাজ
পাগল প্রবীর শিকদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, অত:পর ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে ৩ দিনের রিমান্ডের আদেশ পেয়েছে আদালতের কাছ থেকে। আসুন সেই আনন্দে আমরা দু বাহু তুলে নাচি। ৭ দিন মাফ পাওয়া গেছে।
শহীদ সন্তান সাংবাদিক প্রবীর শিকদারকে কিভাবে রাতের আঁধারে গ্রেফতার করা হয়েছে, হাতকড়া পরিয়ে আদালতে হাজির করা হয়েছে তা সারা পৃথিবীর মানুষ দেখেছে। সম্প্রতি সাংবাদিক প্রবীর সিকদার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে বলেন, 'আমি খুব স্পষ্ট করেই বলছি, নিচের ব্যক্তিবর্গ আমার জীবন শঙ্কা তথা মৃত্যুর জন্য দায়ী থাকবেন: ১. এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এমপি, ২. রাজাকার নুলা মুসা ওরফে ড. মুসা বিন শমসের, ৩. ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী বাচ্চু রাজাকার ওরফে মাওলানা আবুল কালাম আজাদ এবং এই তিন জনের অনুসারী-সহযোগীরা।'
প্রবীর শিকদার অপরাধ করেছেন। সরকারের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে তাঁকে খুনের সম্ভাবনার কথা বলেছেন। ৫৭ ধারায় স্পষ্ট বলা আছে ''ইলেকট্রনিক মাধ্যমে মিথ্যা, অশ্লীল বা মানহানিকর তথ্য প্রকাশ-সংক্রান্ত অপরাধ এই ধারায় গণ্য হবে। ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে মিথ্যা ও অশ্লীল কিছু প্রকাশ করলে এবং তার কারণে মানহানি, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগলে বা কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উসকানি দেয়া হলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে। আর যে এই আইন লঙ্ঘন করবে তাকে অনধিক ১০ বছর কারাদণ্ড এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান আছে।''
আইনের ৫৪, ৫৬, ৫৭ ও ৬১ ধারায় উল্লেখিত অপরাধকে আমলযোগ্য ও অজামিনযোগ্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
অতএব প্রবীর শিকদার গ্রেফতার হতেই পারেন কিংবা জামিন নাই পেতে পারেন। আইনের ধারা তাই বলে আদালত, পুলিশ তো আর আইনের ঊর্ধ্বে না!
কিন্তু অবাক করার বিষয় হল যে মহান তিন জনের মানহানী করলেন তারা কেউ নয়, অভিযোগ করলেন ফরিদপুরের এক আইনজীবি স্বপন পাল। তাই মন্ত্রী মহোদয়কে দোষী করার কোন সুযোগ নাই।
বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেন, 'যে অভিযোগ এনেছে এটাকে পাগলের পাগলামি ছাড়া আমি আর কিছুই মনে করি না। তার সঙ্গে আমার কনফ্লিক্টের কোনও ইস্যুই নাই।' স্থানীয় সরকারমন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন,'আমরা রাজনীতি করি। আমরা কাউকে খুন করতে যাব এটা কোনও বাস্তব কথা? এটা কোনও বক্তব্য হতে পারে?' তিনি বলেন, 'সুস্থ মস্তিষ্কের' কোনও মানুষ এ ধরনের কথা বলতে পারে না। প্রবীর শিকদারের বক্তব্যকে একটি পাগলামি বলে বর্ণনা করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী। এ বিষয়টিকে ফরিদপুরের বিষয় বলে উল্লেখ করে মন্ত্রী দাবি করেন, এর সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই। এমন পাগলকে শায়েস্তা করা উচিৎ মাননীয় বিয়াই মন্ত্রী। কিন্তু পাগলকে পাবনা না পাঠিয়ে ঢাকা থেকে ফরিদপুরে পাঠিয়ে দিলেন কেন সেটা বুঝলাম না?
খোদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর বক্তব্যে তো আমি নিজেই পাগল হবার যোগাড় ! মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, প্রবীর সিকদার তার মৃত্যুর আশঙ্কা প্রকাশ করে একজনকে দায়ী করেছেন। এ ঘটনায় যে মামলা হয়েছে সেই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'ফেসবুকে লেখার কারণে সাংবাদিক প্রবীর সিকদারকে গ্রেফতার করা হয়নি।'
তিনি বলেন, 'মাননীয় মন্ত্রীর পক্ষে জিডি হয়েছে। প্রবীর সিকদার লিখেছেন, তিনি মারা গেলে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী দায়ী থাকবেন। সে কারণেই জিডি হয়েছে। এটিই মূল কারণ তাকে (প্রবীর সিকদার) ধরার।' স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'ফেসবুকে লেখা তাকে গ্রেফতারের মূল কারণ নয়। ফেসবুকে তো অনেকেই লিখছে।'' এখন কি জন্য আসলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে আমি বুঝি নাই।
ছোট একটা কৌতুক বলার লোভ সামলাতে পারছি না, স্বামী স্ত্রী দুজনের মধ্যে প্রতি রাতে মশারি টানানো নিয়ে ঝামেলা হয়। একসময় তারা একটা সিদ্ধান্তে আসলো নিয়ম করে দুজনে মশারি টানাবে। স্বামী ভদ্রলোক প্রস্তাব দিল আজকে থেকে আমি তুমি মশারি টানাবে আমি ঘুমাব। কাল আমি ঘুমাব তুমি মশারি টানাবে''
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য ও আমার কাছে সেইরকম ধাঁধা মনে হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, "প্রবীর সিকদারকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। আমার ঘনিষ্ঠজন। তিনি যখন আরেকবার বিপদে পড়েছিলেন, আমার ক্ষুদ্র সামর্থ্য অনুসারে পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। প্রবীর শিকদারের গ্রেফতার হওয়ার ঘটনা দুঃখজনক বলে আমি মনে করি।"
তবে প্রবীর সিকদারের গ্রেফতারের ঘটনা সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতায় বাধা হবে বলে মনে করেন না ইনু।
তিনি আরও জানান গণমাধ্যমের কোনো কর্মী যদি প্রশাসন, কোনো জঙ্গিবাদি গোষ্ঠী বা 'মাফিয়া চক্রের' দ্বারা নিগৃহীত হয়, তথ্য মন্ত্রণালয় এবং সরকার সেখানে গণমাধ্যমকর্মীর পক্ষে দাঁড়ায় বলেও দাবি করেন তিনি।
"কোনো সাংবাদিক তথ্য তুলে ধরার জন্য নিগৃহীত হচ্ছেন কি-না, সেই ব্যাপারাটায় যদি বলি, তাহলে অবশ্যই আমরা সাংবাদিকের পক্ষে থাকব, গণমাধ্যমের পক্ষে থাকব। আমাদের সরকার অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করছে।"
প্রবীর শিকদারের গ্রেফতারটা ঠিক কোন কারনে মাননীয় মন্ত্রী কি বলবেন?
সরকার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বেশ খোলাখুলি বলেছেন "অঙ্গ হারানো একজন মানুষকে হাতকড়া দিয়ে নিয়ে যাওয়া, তার ছবি প্রকাশ করা, এতো তড়িঘড়ি করে তাকে রিমান্ডে নেয়া স্বাভাবিক মনে হয়নি।
"তাকে হাতকড়া পরিয়ে রাতের আঁধারেই ফরিদপুর নিয়ে যেতে হল? এতো এফিশিয়েন্ট হয়ে গেল পুলিশ, ডিবি?"
এসব ঘটনার পর কোনো বিবেকবান মানুষের আর শান্ত হয়ে থাকার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেন ।
"সাংবাদিক, সাংবাদিকতা একটি প্রতিষ্ঠান। আমি মনে করি একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আরেকটি প্রতিষ্ঠানের এভাবে দাঁড়ানো উচিত নয়।"
সরকারের উচ্চপর্যায়ের এমন বক্তব্যের পর এবার প্রবীর শিকদারকে আমরা পাগল হিসাবেই ধরে নিতে পারে। তাঁর ঘাড়ে মাথা কয়টা? পাগল ছাড়া কেউ কি বাংলাদেশে এমন সাহস করে।
১৯৭১ এ পরিবারের ১১ জনকে নিজের চোখের সামনে খুন হতে দেখেও শিক্ষা হয়নি। ২০০১ সালে হাত পা অকেজো করে ও যে মানুষের শিক্ষা হয়নি বাংলাদেশে ''সেই রাজাকার'' লেখা যাবে না। সংখ্যালঘুর বাড়ি ঘর দখল করা অলিখিত আইন। এসব নিয়ে লেখা যাবে না। ফুল পাখি প্রজাপতি সাগর নদী আকাশ বাতাস নিয়ে লিখুন। জীবনানন্দ লিখয়াছেন আবার আসিব ফিরে এই কবিতা একটু বদলে লিখতে পারেন
''আবার আসিব ফিরে বুড়িগঙ্গার তীরে এই বাংলাস্তানে।
হয়তো মানুষ নয় - হয়তো নুলা মুসা কিংবা নুরুর পোলার বেশে...
আবার আসিব ফিরে বংলাস্তানকে ভালবেসে
আমার গাড়িতে লাল সবুজের পতাকা ভালোবেসে।
শেখ মুজিবের রক্তে ভেজা এই এই করুণ ডাঙায়!''
আপনার পাগলামি হিসাবে ধরে নিবে সবাই। স্বাধীনতার পরও রাজাকার আলবদরদের মাথায় ছাতা ধরে হাটে দেশেরে পুলিশ, সিঁড়ি দিয়ে হুইল চেয়ার টেনে নামায় পুলিশ আইনজীবী নামক ভাঁড়ের দল।
এই দেশে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ্ব প্রেমিক পাগলের অবশ হাতে থাকে হাতকড়া। নকল পা টেনে টেনে নিয়ে দাঁড়াতে হয় কাঠগড়ায়। প্রবীর শিকদার এই দেশ আপনার মতো বঙ্গবন্ধু প্রেমীর না। শেখ হাসিনার ভাইয়ের না। এই দেশ গুণ্ডাদের, রাজাকার ও তার উত্তরসূরীদের। বাকি সব আমরা আপনার মতোই পাগল।
মানবকণ্ঠ/জেআর/এমআর
শহীদ সন্তান সাংবাদিক প্রবীর শিকদারকে কিভাবে রাতের আঁধারে গ্রেফতার করা হয়েছে, হাতকড়া পরিয়ে আদালতে হাজির করা হয়েছে তা সারা পৃথিবীর মানুষ দেখেছে। সম্প্রতি সাংবাদিক প্রবীর সিকদার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে বলেন, 'আমি খুব স্পষ্ট করেই বলছি, নিচের ব্যক্তিবর্গ আমার জীবন শঙ্কা তথা মৃত্যুর জন্য দায়ী থাকবেন: ১. এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এমপি, ২. রাজাকার নুলা মুসা ওরফে ড. মুসা বিন শমসের, ৩. ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী বাচ্চু রাজাকার ওরফে মাওলানা আবুল কালাম আজাদ এবং এই তিন জনের অনুসারী-সহযোগীরা।'
প্রবীর শিকদার অপরাধ করেছেন। সরকারের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে তাঁকে খুনের সম্ভাবনার কথা বলেছেন। ৫৭ ধারায় স্পষ্ট বলা আছে ''ইলেকট্রনিক মাধ্যমে মিথ্যা, অশ্লীল বা মানহানিকর তথ্য প্রকাশ-সংক্রান্ত অপরাধ এই ধারায় গণ্য হবে। ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে মিথ্যা ও অশ্লীল কিছু প্রকাশ করলে এবং তার কারণে মানহানি, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগলে বা কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উসকানি দেয়া হলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে। আর যে এই আইন লঙ্ঘন করবে তাকে অনধিক ১০ বছর কারাদণ্ড এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান আছে।''
আইনের ৫৪, ৫৬, ৫৭ ও ৬১ ধারায় উল্লেখিত অপরাধকে আমলযোগ্য ও অজামিনযোগ্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
অতএব প্রবীর শিকদার গ্রেফতার হতেই পারেন কিংবা জামিন নাই পেতে পারেন। আইনের ধারা তাই বলে আদালত, পুলিশ তো আর আইনের ঊর্ধ্বে না!
কিন্তু অবাক করার বিষয় হল যে মহান তিন জনের মানহানী করলেন তারা কেউ নয়, অভিযোগ করলেন ফরিদপুরের এক আইনজীবি স্বপন পাল। তাই মন্ত্রী মহোদয়কে দোষী করার কোন সুযোগ নাই।
বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেন, 'যে অভিযোগ এনেছে এটাকে পাগলের পাগলামি ছাড়া আমি আর কিছুই মনে করি না। তার সঙ্গে আমার কনফ্লিক্টের কোনও ইস্যুই নাই।' স্থানীয় সরকারমন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন,'আমরা রাজনীতি করি। আমরা কাউকে খুন করতে যাব এটা কোনও বাস্তব কথা? এটা কোনও বক্তব্য হতে পারে?' তিনি বলেন, 'সুস্থ মস্তিষ্কের' কোনও মানুষ এ ধরনের কথা বলতে পারে না। প্রবীর শিকদারের বক্তব্যকে একটি পাগলামি বলে বর্ণনা করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী। এ বিষয়টিকে ফরিদপুরের বিষয় বলে উল্লেখ করে মন্ত্রী দাবি করেন, এর সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই। এমন পাগলকে শায়েস্তা করা উচিৎ মাননীয় বিয়াই মন্ত্রী। কিন্তু পাগলকে পাবনা না পাঠিয়ে ঢাকা থেকে ফরিদপুরে পাঠিয়ে দিলেন কেন সেটা বুঝলাম না?
খোদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর বক্তব্যে তো আমি নিজেই পাগল হবার যোগাড় ! মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, প্রবীর সিকদার তার মৃত্যুর আশঙ্কা প্রকাশ করে একজনকে দায়ী করেছেন। এ ঘটনায় যে মামলা হয়েছে সেই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'ফেসবুকে লেখার কারণে সাংবাদিক প্রবীর সিকদারকে গ্রেফতার করা হয়নি।'
তিনি বলেন, 'মাননীয় মন্ত্রীর পক্ষে জিডি হয়েছে। প্রবীর সিকদার লিখেছেন, তিনি মারা গেলে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী দায়ী থাকবেন। সে কারণেই জিডি হয়েছে। এটিই মূল কারণ তাকে (প্রবীর সিকদার) ধরার।' স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'ফেসবুকে লেখা তাকে গ্রেফতারের মূল কারণ নয়। ফেসবুকে তো অনেকেই লিখছে।'' এখন কি জন্য আসলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে আমি বুঝি নাই।
ছোট একটা কৌতুক বলার লোভ সামলাতে পারছি না, স্বামী স্ত্রী দুজনের মধ্যে প্রতি রাতে মশারি টানানো নিয়ে ঝামেলা হয়। একসময় তারা একটা সিদ্ধান্তে আসলো নিয়ম করে দুজনে মশারি টানাবে। স্বামী ভদ্রলোক প্রস্তাব দিল আজকে থেকে আমি তুমি মশারি টানাবে আমি ঘুমাব। কাল আমি ঘুমাব তুমি মশারি টানাবে''
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য ও আমার কাছে সেইরকম ধাঁধা মনে হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, "প্রবীর সিকদারকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। আমার ঘনিষ্ঠজন। তিনি যখন আরেকবার বিপদে পড়েছিলেন, আমার ক্ষুদ্র সামর্থ্য অনুসারে পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। প্রবীর শিকদারের গ্রেফতার হওয়ার ঘটনা দুঃখজনক বলে আমি মনে করি।"
তবে প্রবীর সিকদারের গ্রেফতারের ঘটনা সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতায় বাধা হবে বলে মনে করেন না ইনু।
তিনি আরও জানান গণমাধ্যমের কোনো কর্মী যদি প্রশাসন, কোনো জঙ্গিবাদি গোষ্ঠী বা 'মাফিয়া চক্রের' দ্বারা নিগৃহীত হয়, তথ্য মন্ত্রণালয় এবং সরকার সেখানে গণমাধ্যমকর্মীর পক্ষে দাঁড়ায় বলেও দাবি করেন তিনি।
"কোনো সাংবাদিক তথ্য তুলে ধরার জন্য নিগৃহীত হচ্ছেন কি-না, সেই ব্যাপারাটায় যদি বলি, তাহলে অবশ্যই আমরা সাংবাদিকের পক্ষে থাকব, গণমাধ্যমের পক্ষে থাকব। আমাদের সরকার অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করছে।"
প্রবীর শিকদারের গ্রেফতারটা ঠিক কোন কারনে মাননীয় মন্ত্রী কি বলবেন?
সরকার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বেশ খোলাখুলি বলেছেন "অঙ্গ হারানো একজন মানুষকে হাতকড়া দিয়ে নিয়ে যাওয়া, তার ছবি প্রকাশ করা, এতো তড়িঘড়ি করে তাকে রিমান্ডে নেয়া স্বাভাবিক মনে হয়নি।
"তাকে হাতকড়া পরিয়ে রাতের আঁধারেই ফরিদপুর নিয়ে যেতে হল? এতো এফিশিয়েন্ট হয়ে গেল পুলিশ, ডিবি?"
এসব ঘটনার পর কোনো বিবেকবান মানুষের আর শান্ত হয়ে থাকার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেন ।
"সাংবাদিক, সাংবাদিকতা একটি প্রতিষ্ঠান। আমি মনে করি একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আরেকটি প্রতিষ্ঠানের এভাবে দাঁড়ানো উচিত নয়।"
সরকারের উচ্চপর্যায়ের এমন বক্তব্যের পর এবার প্রবীর শিকদারকে আমরা পাগল হিসাবেই ধরে নিতে পারে। তাঁর ঘাড়ে মাথা কয়টা? পাগল ছাড়া কেউ কি বাংলাদেশে এমন সাহস করে।
১৯৭১ এ পরিবারের ১১ জনকে নিজের চোখের সামনে খুন হতে দেখেও শিক্ষা হয়নি। ২০০১ সালে হাত পা অকেজো করে ও যে মানুষের শিক্ষা হয়নি বাংলাদেশে ''সেই রাজাকার'' লেখা যাবে না। সংখ্যালঘুর বাড়ি ঘর দখল করা অলিখিত আইন। এসব নিয়ে লেখা যাবে না। ফুল পাখি প্রজাপতি সাগর নদী আকাশ বাতাস নিয়ে লিখুন। জীবনানন্দ লিখয়াছেন আবার আসিব ফিরে এই কবিতা একটু বদলে লিখতে পারেন
''আবার আসিব ফিরে বুড়িগঙ্গার তীরে এই বাংলাস্তানে।
হয়তো মানুষ নয় - হয়তো নুলা মুসা কিংবা নুরুর পোলার বেশে...
আবার আসিব ফিরে বংলাস্তানকে ভালবেসে
আমার গাড়িতে লাল সবুজের পতাকা ভালোবেসে।
শেখ মুজিবের রক্তে ভেজা এই এই করুণ ডাঙায়!''
আপনার পাগলামি হিসাবে ধরে নিবে সবাই। স্বাধীনতার পরও রাজাকার আলবদরদের মাথায় ছাতা ধরে হাটে দেশেরে পুলিশ, সিঁড়ি দিয়ে হুইল চেয়ার টেনে নামায় পুলিশ আইনজীবী নামক ভাঁড়ের দল।
এই দেশে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ্ব প্রেমিক পাগলের অবশ হাতে থাকে হাতকড়া। নকল পা টেনে টেনে নিয়ে দাঁড়াতে হয় কাঠগড়ায়। প্রবীর শিকদার এই দেশ আপনার মতো বঙ্গবন্ধু প্রেমীর না। শেখ হাসিনার ভাইয়ের না। এই দেশ গুণ্ডাদের, রাজাকার ও তার উত্তরসূরীদের। বাকি সব আমরা আপনার মতোই পাগল।
মানবকণ্ঠ/জেআর/এমআর
http://www.manobkantha.com/2015/08/18/58906.php
"আওয়ামী লীগ কি আর ক্ষমতায় থাকতে চাচ্ছে না"
"আওয়ামী লীগ কি আর ক্ষমতায় থাকতে চাচ্ছে না"
Avgv‡`i mgq.Kg : 18/08/2015
http://www.amadershomoys.com/newsite/2015/08/18/375960.htm
AvBbRxex cv‡"Qb bv cÖexi wmK`vi
wbR¯^ cÖwZ‡e`K: Z_¨ cÖhyw³ AvB‡b AvUK mvsevw`K cÖexi wmK`vi Zvi c‡¶ AvBbRxex cv‡"Qb bv e‡j `vwe... বিস্তারিত
''আওয়ামী লীগ মনে হয় আর ক্ষমতায় থাকতে চাচ্ছে না''
http://www.dw.com/bn/ আওয়ামী-লীগ-মনে-হয়-আর-ক্ষমতায়-থাকতে-চাচ্ছে-না/a-18653890
শমসেরকে নিয়ে সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের সেই রিপোর্ট
RELATED STORIES: প্রবীর সিকদারকে গ্রেপ্তার: নিন্দা, প্রতিবাদ, বিক্ষোভ
সাংবাদিক প্রবীর সিকদারপ্রবীর সিকদারের বিরুদ্ধে মামলা, ফেইসবুকে নিন্দার ঝড়
2015-08-17 14:45:41.0
- http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article1012254.bdnews
মুসা শমসের নিয়ে স্ট্যাটাস, সাংবাদিক আটক
2015-08-16 23:44:57.0
- http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article1012137.bdnews
__._,_.___