Banner Advertiser

Monday, August 10, 2015

[mukto-mona] জনকণ্ঠের বিরুদ্ধে রুলের বিষয়ে রায় ১৩ আগস্ট



জনকণ্ঠের বিরুদ্ধে রুলের বিষয়ে রায় ১৩ আগস্ট


Background:

বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের ভয়াবহ স্খলন ???

প্রকাশিত: ১১ আগস্ট ২০১৫ ০০:৪১ টা | আপডেট: ১১ আগস্ট ২০১৫ ০৪:৪২ টা


লন্ডন প্রবাসী আবদুল গাফফার চৌধুরীর সাথে এক অনুষ্ঠানে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। ফাইল ছবি

খোমেনী ইহসানঃ

বাংলাদেশের প্রথম হিন্দু ও মনিপুরি প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে বিতর্কিত করতে ভয়াবহ স্থলনের জন্ম দিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।

সুরেন্দ্র কুমার সিনহা প্রধান বিচারপতি হওয়ার পর তার সম্বর্ধনা বর্জন দিয়ে বিদ্বেষের শুরু হলেও সিনহার সাথে ফোনালাপ করে তার রেকর্ড সংবাদ মাধ্যমের কাছে পৌঁছে দিয়ে স্খলনের নজিরই তৈরি করে ফেললেন বিচারপতি মানিক।

আর এই ফোনালাপের ভিত্তিতেই প্রধান বিচারপতি ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে জড়িয়ে অবমাননামূলক মন্তব্য লেখে দৈনিক জনকণ্ঠ।

তবে দেশের সংখ্যালঘু প্রধান বিচারপতিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা হলেও ফোনালাপের রেকর্ড থেকে পষ্ট হয়েছে, বিরোধী দলীয় নেতারা হাইকোর্ট থেকেই বিচারপতি মানিকের ব্যাপারে অনাস্থা দিয়ে আসলেও তিনি কিভাবে ব্যক্তিগত আগ্রহ থেকে বিরোধীদের মামলার বিচার কাজে বিশেষ আগ্রহ দেখান।

সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে উপস্থাপিত ফোনালাপের সিডি সূত্রে বিচারপতি মানিকের স্খলনের ঘটনা জানা যায়। এতে শোনা গেছে, প্রধান বিচারপতির সাথে বিচারপতি মানিক কথা বলছেন।

প্রধান বিচারপতির সাথে ফোনালাপ রেকর্ড করে গণমাধ্যমকে দেওয়ার ব্যাপারে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, 'একজন বিচারপতি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কী কথা বললেন, সেকথা টেপ করে বাইরে প্রকাশ করা শুধু আদালত অবমাননাই না, এটি তথ্য ও প্রযুক্তি আইনের অধীনে একটি অপরাধ।'

সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, প্রধান বিচারপতির সাথে ফোনালাপ গণমাধ্যমে বিচারপতি মানিকই সরবরাহ করেছেন। আপিল বিভাগের বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানিকালে একজন বিচারপতির মন্তব্যে এমনই ইঙ্গি পাওয়া গেছে।

বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞা বলেন, 'প্রধান বিচারপতি প্রশাসনিক ও বিচারিক দায়িত্ব পালন করে থাকেন। তাকে বিভিন্ন বিচারকদের সঙ্গে কথা বলতে হয়। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আমারও নানা বিষয়ে কথা হয়, বিতর্কও হয়। এখন আমি যদি সব সময় টেপ নিয়ে যাই, তাহলে প্রধান বিচারপতি আমাদের সঙ্গে কীভাবে কথা বলবেন? তাহলে কি কোনো প্রধান বিচারপতি কাজ করতে পারবেন?'

আর এই ফোনালাপের ভিত্তিতেই প্রধান বিচারপতির সাথে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবারের কেউ একজন সাক্ষাৎ করেছে বলে দাবি করে জনকণ্ঠ। তবে বিচারপতি মানিককে বেঞ্চে না রাখার কথা বলতেই যে বিএনপি নেতার স্বজন সাক্ষাৎ করেছেন তা চেপে যায় জনকণ্ঠ। বরং একটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করা হয় যে, বিচার প্রভাবিত করতেই সাক্ষাৎটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

ফোনালাপের রেকর্ড কার কাছ থেকে পাওয়া গেছে- এ ব্যাপারে আপিল বিভাগে জনকণ্ঠের দুই সম্পাদকের আইনজীবী সালাউদ্দন দোলন বলেন, এটা তারা কোনো বিচারপতির কাছ থেকে পাননি। আর সাংবাদিকরা তাদের সুত্র প্রকাশ করে না।

এ সময় আদালত বলে, আবেদনে (আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতির) বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীকে সাক্ষী মেনে সূত্র প্রকাশ করা হয়েছে।

জবাবে সালাউদ্দিন দোলন বলেন, আমরা কোনো বিচারপতির কাছ থেকে টেপ পাইনি। জনকণ্ঠ টেপ পরীক্ষা করে দেখেছে, অন্য প্রান্তে ছিলেন বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী।

তবে এক পর্যায়ে সালাউদ্দিন দোলন জানান, ফোনালাপের রেকর্ডের ভিত্তিতে জনকণ্ঠে মন্তব্য প্রতিবেদনটি ছাপা হয়েছে।

২০১২ সালের ডিসেম্বরে জামায়ত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র দৈনিক আমার দেশও ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি নিজামুল হক ও ব্রাসেলস প্রবাসী আহমেদ জিয়াউদ্দিনের কথোপকথনের রেকর্ডের ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।

তবে এ ঘটনায় তৎকালীন হাইকোর্টের বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বাধীন দ্বৈত বেঞ্চ আমার দেশ-এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি রুল জারি করেছিলেন। রুলে স্কাইপ সংলাপ প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি, আমার দেশ সম্পাদক ও সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদককে গ্রেফতারে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তাও জানাতে বলেছিলেন।  

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর দিন সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে আপিল বিভাগের ১ নম্বর আদালত কক্ষে সংবর্ধনা জানানো হয়। এতে আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতি উপস্থিত হন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে অনুপস্থিত থাকেন বিচারপতি মানিক।

প্রধান বিচারপতির সাথে মানিকের ফোনালাপ 

সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বৃহত্তর বেঞ্চে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ও বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের ফোনালাপের সিডি উপস্থাপন করা হয়। ফোনালাপটি তুলে ধরা হলো-
 
বিচারপতি মানিক: এই যে সেদিন বললেন না, আপনি সেদিন বললেন যে, সাকার ফ্যামিলি আপনার কাছে এপ্রোচ করছে আমারে না করার জন্য কিন্তু পরবর্তী টাইমে দেন।
প্রধান বিচারপতি: সাকারটাতো হিয়ারিং হয়ে গেছে।
বিচারপতি মানিক: না, সেটা বলতেছি না। আপনি বলছিলেন, সাকার ফ্যামিলি আপনাকে বলছে আমাকে না রাখার জন্য এ জন্য রাখতে পারেন নাই।
প্রধান বিচারপতি: হ্যাঁ..হ্যাঁ।
বিচারপতি মানিক: কিন্তু, এখন পরবর্তীটা
প্রধান বিচারপতি: পরবর্তীতে হিয়ারিংয়ে যেটাই যাই, আমি আপনাকেই রাখব।
বিচারপতি মানিক: আমার কিন্তু আছে আর এক মাস।
প্রধান বিচারপতি: হ্যাঁ..?
বিচারপতি মানিক: এক মাস আছে।
প্রধান বিচারপতি: এক মাস আছে? কবে শেষ হবে?
বিচারপতি মানিক: আমারতো... মানে এই ছুটিতেই শেষ। নইলে আর পাব না কিন্তু। আমাকে দেন। অন্তত সাকার ফ্যামিলি থেকে আপনাকেও বলছে আপনি দিতে পারেন নাই, সাকার ফ্যামিলি মেম্বাররা বলছে। কিন্তু এইটাতো...
প্রধান বিচারপতি: সাকার ফ্যামিলি মেম্বার মানে, সাকার পক্ষ থেকে।
বিচারপতি মানিক: যাই হোক, সাকার পক্ষ থেকে বলছে আমারে না দেয়ার জন্য।
প্রধান বিচারপতি: হ্যা না দিতে বলছিলেন।

আরেক সিডিতে বিচারপতি মানিকের সাথে আরেকটি টেলিফোন আলাপে প্রধান বিচারপতি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদের 'বাড়ি আত্মসাৎ' মামলা নিয়ে কথা বলেন। এতে শোনা গেছে-

বিচারপতি মানিক: আচ্ছা কালকে তো ১১ নাম্বারে মওদুদের। মওদুদেরটা ১১ নাম্বারে। মওদুদেরটায় কিন্তু আমার নাম ছিলো লিস্টে।......আজকে কিন্তু আমার নাম নেই।......আমি ছিলাম কিন্তু। আপনি কালকে বললেন না কালকে, মওদুদ আসছিলো। আপনার হাতে পায়ে ধরছে।
প্রধান বিচারপতি: হ্যাঁ।
বিচারপতি মানিক: কি বলছে?
প্রধান বিচারপতি: আপনি দয়া করে যাকে দেন চৌধুরী সাহেবকে দিবেন না। হাতে পায়ে ধরছে।
বিচারপতি মানিক: ধরছেতো কি হইছে?
প্রধান বিচারপতি: অস্পষ্ট
বিচারপতি মানিক: কি বলছে, যে মানিক সাহেবকে দিবেন না?
প্রধান বিচারপতি: হ্যাঁ, জ্বি, জ্বি।
বিচারপতি মানিক: হ্যাঁ, কি বলছে?
প্রধান বিচারপতি: চৌধুরী সাহেবকে বাদ দিয়ে যাকে দেন। তাকে দিয়েন না।

ফোনালাপের ভিত্তিতে বিতর্কিত লেখা

প্রধান বিচারপতির সাথে বিচারপতি মানিকের ফোনালাপের ভিত্তিতে গত ৬ জুলাই ভারতভিত্তিক সাউথ এশিয়া মনিটর নামে একটি নিউজপোর্টালে 'আইএসআই'স গ্রিপ ইজ স্টিল স্ট্রং ইন বাংলাদেশ' শীর্ষক একটি নিবন্ধ লেখেন দৈনিক জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট স্বদেশ রায়।

ওই নিবন্ধে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী পরিবারের একজন প্রধান বিচারপতির সাথে সাক্ষাৎ করে মানবতাবিরোধী অপরাধে দেয়া মৃত্যুদণ্ডের আপিলের রায় প্রভাবিত করার অভিযোগ করা হয়। 

এরপর  গত ১৬ জুলাই `সাকার পরিবারের তৎপরতা॥ পালাবার পথ কমে গেছে' শিরোনামে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করে দৈনিক জনকণ্ঠ। যার লেখক পত্রিকাটির নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়।

নিবন্ধে বলা হয়, "৭১'র অন্যতম নৃশংস খুনী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। নিষ্পাপ বাঙালী রক্তে যে গাদ্দারগুলো সব থেকে বেশি হোলি খেলেছিল এই সাকা তাদের একজন। এই যুদ্ধাপরাধীর আপিল বিভাগের রায় ২৯ জুলাই। পিতা মুজিব! তোমার কন্যাকে এখানেও ক্রশে পিঠ ঠেকিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। তাই যদি না হয়, তাহলে কিভাবে যারা বিচার করছেন সেই বিচারকদের একজনের সঙ্গে গিয়ে দেখা করে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবারের লোকেরা? তারা কোন পথে বিচারকের কাছে ঢোকে, আইএসআই ও উলফা পথে না অন্য পথে? ভিকটিমের পরিবারের লোকদেরকে কি কখনও কোনো বিচারপতি সাক্ষাৎ দেয়। বিচারকের এথিকসে পড়ে! কেন শেখ হাসিনার সরকারকে কোনো কোনো বিচারপতির এ মুহূর্তের বিদেশ সফর ঠেকাতে ব্যস্ত হতে হয়। যে সফরের উদ্যোক্তা জামায়াত-বিএনপির অর্গানাইজেশান। কেন বিতর্কিত ব্যবসায়ী আগে গিয়ে সেখানে অবস্থান নেয়। কী ঘটতে যাচ্ছে সেখানে। ক্যামেরনই পরোক্ষভাবে বলছেন সকল সন্ত্রাসীর একটি অভয়ারণ্য হয়েছে লন্ডন।"

আদালত অবমাননার অভিযোগ

গত ২৯ জুলাই মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আপিলের রায় ঘোষণা করে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ। এ রায়ে বিএনপিরর অন্যতম এ শীর্ষ নেতার ফাঁসির রায় বহাল রাখা হয়।

ফাঁসির রায় ঘোষণার দিনিই জনকণ্ঠের মন্তব্যের জন্য পত্রিকাটির সম্পাদক ও প্রকাশক আতিকউল্লাহ খান মাসুদ ও নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়কে ৩ আগস্ট আপিল বিভাগে তলব করা হয়।

৩ আগস্ট আদালতে উপস্থিত হয়ে জনকণ্ঠের সম্পাদক আতিকউল্লাহ খান মাসুদ এবং নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায় আদালতে হাজির হয়ে জবাব দাখিলের জন্য ৩ মাস সময় চাইলে এক সপ্তাহ সময় দেন আপীল বিভাগ। এ সময় প্রধান বিচারপতিকে রুলের শুনানি থেকে বাদ দেওয়ার আবেদন করলে তা খারিজ করা হয়।

রবিবারের শুনানি

৯ আগস্ট রবিবার সকাল ৯টায় জনকণ্ঠের দুই সম্পাদক আপিল বিভাগের ১ নম্বর বেঞ্চের হাজির হন। 

শুরুতে জনকণ্ঠের আইনজীবী সালাউদ্দিন দোলন আদালতে একটি আবেদন দাখিল করেন, যাতে প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়ে বেঞ্চ পুনর্গঠনের অনুরোধ জানানো হয়।

শুনানিতে তিনি বলেন, 'প্রধান বিচারপতি অন্য একজন বিচারপতির সঙ্গে কথা বলেছেন। সে রেকর্ড সংগ্রহে আছে। যেহেতু প্রধান বিচারপতি এ মামলায় একটি পক্ষ তাই ন্যায়বিচারের স্বার্থে এ মামলার শুনানি থেকে প্রধান বিচারপতির সরে যাওয়া প্রয়োজন।'

এ লেখা কি শুধু প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে লেখা হয়েছে, না কি আপিল বিভাগের সব বিচারপতিকে নিয়ে লেখা হয়েছে- আইনজীবীর কাছে সেই প্রশ্ন রাখে আদালত।

এ সময় প্রধান বিচারপতি ওই নিবন্ধটি পড়ার জন্য সালাউদ্দিন দোলনকে বলেন। নিবন্ধের একটি অংশে বলা হয়েছে, 'প্রধান বিচারপতি তার আদালতে ফখরুলের মামলার শুনানির সময় বললেন, যাদের নির্দেশে কর্মসূচি ডাকার ফলে পেট্রোল বোমায় মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা হয়, তারা এই হত্যার দায় এড়াতে পারে না। অথচ দেখা গেল সুপ্রিম কোর্ট থেকে মির্জা ফখরুল জামিন পেয়ে গেল। প্রধান বিচারপতি বলেছেন, আদালতের গঠনমূলক সমালোচনা করা যাবে। তাই তার কাছে বিনীত প্রশ্ন- ১৪৩ জনকে পুড়িয়ে মারার অন্যতম হুকুমের আসামি কিভাবে চিকিৎসার জন্য জামিন পায়?'

আইনজীবীর এই অংশ উপস্থাপনের পর প্রধান বিচারপতি বলেন, 'এর মাধ্যমে পুরো আপিল বিভাগের কর্তৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। কী দুঃসাহস! এ প্রশ্ন তোলার এখতিয়ার তাকে কে দিয়েছে?'

এই প্রসঙ্গে শেখ হাসিনার প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় জামিন নিয়ে একটি মন্তব্যের আপিল বিভাগ থেকে 'শোকজ'র কথা উল্লেখ করে আদালত।

প্রধান বিচারপতি বলেন, 'এখানে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্তরাও এসে বলেছেন, ন্যায়বিচার পাবেন না। বেঞ্চ পরিবর্তনের জন্য। আমরা তা মঞ্জুর করিনি।'

এই পর্যায়ে সালাউদ্দিন দোলন বলেন, দুটি বিষয় আলাদা।

আদালত বলে, আইন সবার জন্য একই ভাষায় কথা বলে। ফাঁসির আসামির সুরক্ষা আরো বেশি প্রয়োজন। এক পর্যায়ে আদালত আবেদনটি নামঞ্জুর করে দেয়।

এরপর আদালত অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে জনকণ্ঠের ওই নিবন্ধটি উপস্থাপন করতে বললে তিনি তা পড়ে শোনান।

এরপর মাহবুবে আলম, 'কোর্টে না এসে এসি রুমে বসে লিখলে এমন ভুল হয়। লেখায় বিচার বিভাগকে হেয় করা হয়েছে।'

প্রধান বিচারপতি অ্যার্টনি জেনারেলের কাছে জানতে চান- ওই নিবন্ধের কোন কোন অংশ অবমাননামূলক।

প্রধান বিচারপতি বলেন, 'এখানে অনেক সাংবাদিক এসেছেন। সংবিধানে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার কথা বলা আছে। কিন্তু সেখানে বিধি-নিষেধ রয়েছে। সংবিধানে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসংগত বিধি-নিষেধের কথা বলা হয়েছে। সাংবাদিকরা কতটুকু লিখতে পারেন? তাদের মনে একটি ক্ষোভ আছে। এর সমাধান হওয়া উচিত।'

এ সময় সংবিধানের ৩৯ নম্বর অনুচ্ছেদ পড়ে শুনিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আইনের দ্বারা নির্ধারিত স্বাধীনতা রয়েছে।

এ সময় আদালত বলে, আইন বলতে কী বলা হয়েছে সংবিধানে? সংবিধানের ১১১ অনুচ্ছেদে বলা আছে যে সুপ্রিম কোর্টের রায়ও আইন।

শুনানিতে মির্জা ফখরুলের জামিনের প্রসঙ্গ টেনে মাহবুবে আলম বলেন, কেউ মৃত্যু মুখে থাকলে সুপ্রিম কোর্ট তার চোখ বন্ধ রাখতে পারে না। লেখায় কোথাও এ বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি। অ্যার্টনি জেনারেলের তুলে ধরা স্বদেশ রায়ের নিবন্ধের অংশবিশেষ তুলে ধরেন।

এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, আইন অনুযায়ী প্রধান বিচারপতির বিদেশ যাওয়ার বিষয়টি একান্তই তার নিজের এখতিয়ার। এমনকি উচ্চ আদালতের বিচারকসহ বিচার বিভাগের কোনো ব্যক্তির বিদেশ যাওয়ার বিষয়টিও প্রধান বিচারপতির এখতিয়ারের অন্তর্ভুক্ত।

'প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সাবেক একাধিক প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বৈঠক করেছি। তাদের পরামর্শ নিয়েছি কিভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। …প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একাধিক বৈঠক হয়েছে। তিনি বিচার বিভাগ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি বিচার বিভাগের ক্ষেত্রে নাক গলান না।'

যোগ না দেওয়া লন্ডন সফর প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, 'লন্ডনে বাংলাদেশি ছাত্রদের একটি সংগঠন আছে। সেই সংস্থার নির্বাচন হয়েছে। তারাই আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। সেখানে বাংলাদেশি সমাজে মৌলভীবাজার ও সিলেটের লোক বেশি। যেহেতু আমার বাড়ি মৌলভীবাজারে, তাই তারা আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। তারা টিকেট দিতে চেয়েছে। আমাদের হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতির স্ত্রীও মৌলভীবাজারের। তিনিও আমাকে টিকেট দিতে চাইলেন। আমি তাদের এই প্রস্তাব গ্রহণ করিনি। আমার সেখানে সফরের বিষয়ে দূতাবাস সব ঠিক করেছে।'

'এখন সাংবাদিকরা লিখে দিলেই কি কেউ বিএনপি-জামায়াত হয়ে যাবে? কে সার্টিফিকেট দেবে?'

এ পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি তার লন্ডন সফর সংশ্লিষ্ট নথি উপস্থাপন করতে তার একান্ত সচিব আনিসুর রহমানকে নির্দেশ দেন।

বিচারপতি এসকে সিনহা বলেন, 'সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলা থেকে যদি প্রধান বিচারপতি নিজেকে প্রত্যাহার করে নিতেন তবে কারা লাভবান হত? শুনানি শেষে রায়ের আগে যদি প্রধান বিচারপতি সরে যেত তাহলে তো ওই মামলায় রায়ই হত না।'

এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, 'জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্যই এ নিবন্ধ লেখা হয়েছে। কাদের মোল্লার মামলায় রায় লিখেছেন আপনি। সাঈদীর মামলার রায়ও লিখেছেন। মুজাহিদ এবং সাকার মামলায় আমরা রায়ের অনুলিপির অপেক্ষায় আছি। আপনি অত্যন্ত সুচারূভাবে সালাহউদ্দিন কাদেরের মামলাটি শেষ করেছেন। তারা তো এ মামলায় বিলম্ব করতে চেয়েছিল।'

প্রধান বিচারপতি বলেন, 'যুদ্ধাপরাধের মামলা নিষ্পত্তির বর্তমান বেঞ্চ তো এখন হয়নি। আমি দায়িত্ব নেওয়ার দিনই এ বেঞ্চ গঠিত হয়। আর সংবিধান অনুযায়ী বেঞ্চ গঠনের বিষয়টি একান্তই প্রধান বিচারপতির এখতিয়ার। আর আগে যুদ্ধাপরাধের প্রতিটি মামলাতেই বিভক্ত রায় হয়েছে। এ বেঞ্চ গঠনের পর কোনো বিভক্ত রায় হয়নি।'

এ পর্যায়ে অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, 'এ মামলায় রুল ইস্যুর পর জনকণ্ঠে আদালতকে প্রভাবিত করার মতো কোন লেখা প্রকাশিত হয়েছে কি-না আপনি দেখবেন। তারপর বিষয়টি আদালতকে জানাবেন। আর রুল ইস্যুর লেখাটি কুৎসামূলক কি-না তা জানাবেন।'

জনকণ্ঠের আইনজীবী সালাউদ্দিন দোলন প্রধান বিচারপতির সঙ্গে এক বিচারপতির কথোপকথন তুলে ধরা শুরু করলে এক পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, 'কোনো মামলায় কেউ শুনানিতে আগ্রহী হলে তাকে সরিয়ে দেওয়া প্রধান বিচারপতির কর্তব্য। কোনো কেনো বিচারপতি বিভিন্ন মামলা শোনার আগ্রহ দেখান।…তাদের ব্যক্তিগত ইন্টারেস্ট আছে ধরে নিয়ে প্রধান বিচারপতিকে মাঝে মাঝে বেঞ্চ পুনর্গঠন করতে হচ্ছে।'

এরপর অ্যাটর্নি জেনারেল দাঁড়িয়ে বলেন, তারা শুধু আদালত অবমাননাই করছে না, তারা এই আদালতকে বিতর্কিতও করতে চাচ্ছে।

প্রধান বিচারপতি জনকণ্ঠের আইনজীবীকে উদ্দেশ করে বলেন, 'আবেদনে একজন বিচারপতির কথা বলা হয়েছে, তার নাম দিতে হবে।…বিচারপতিদের একটি নীতিমালা আছেন। কোন বিচারপতি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন, তাও দেখতে হবে।'

সকাল ১১টার দিকে বিরতিতে যায় আদালত। বিরতির পর আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে প্রধান বিচারপতি বলেন, 'বিচার বিভাগ বা প্রধান বিচারপতি কাচের দেয়াল নয়। রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের একটি অঙ্গ বিচার বিভাগ। …একজন বিচারকও যদি কলঙ্কিত হয়, তাহলে বিচার বিভাগের ক্ষতি।'

তিনি বলেন, 'প্রধান বিচারপতি কাচের দেয়াল নয়, যে ইট মারলে ঝন ঝন করে ভেঙে যাবে।...এটি হালকা বিষয় নয়। আমরা একমত হয়েছি, সোমবার আপিল বিভাগের বৃহত্তর বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হবে।'

সোমবার বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানি

১০ আগস্ট সোমবার আপিল বিভাগের বৃহত্তর বেঞ্চে দৈনিক জনকণ্ঠের দুই সম্পাদকের আদালত অবমাননার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির মধ্যে ছয় বিচারপতিই বেঞ্চে ছিলেন। তারা বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিয়া, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

আপিল শুনানিতে শুধু বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককেই বাদ রাখা হয়।

সকাল ৯টা ১০ মিনিটে শুনানির শুরুতে জনকণ্ঠের আইনজীবী সালাউদ্দিন দোলন বিচারপতি মানিককে না রাখার বিষয়টি তুলেন।

তিনি বলেন, 'রবিবার আদালত বৃহত্তর বেঞ্চ গঠনের আদেশ দিয়েছিলেন। আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম যে আপিল বিভাগের সব বিচারপতিরা বসবেন। আজ দেখছি একজন বিচারপতি নেই।'

আইনজীবীকে উদ্দেশ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, 'কাকে নিয়ে বেঞ্চ গঠন করা হবে, এটা প্রধান বিচারপতির সাংবিধানিক এখতিয়ার। আপনি আপনার সীমা অতিক্রম করছেন। বিচারকের কিছু এথিকস আছে। একজন বিচারক এই এথিকসের বাইরে যেতে পারেন না।...সকলেই আমাদের কাছে বিচারপ্রার্থী। তবে কোনো বিচারক যদি কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে একটি মামলায় নিজেকে যুক্ত রাখতে চান, তবে প্রধান বিচারপতি হিসেবে তাকে বাদ দিতে হয়।'

এরপর বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা কিছু কথা বলার পর আইনজীবী দোলন বলেন, 'প্রধান বিচারপতি এই মামলায় একজন পক্ষ। এজন্য আমরা প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়ে বেঞ্চ পুনর্গঠনের আবেদন করেছিলাম।'

বিচারপতি ওয়াহ্হাব মিঞা বলেন, 'আদালত অবমাননার বিষয়টি আলাদা। এর সঙ্গে অন্য কিছু মেলালে হবে না।'

তখন আইনজীবী দোলন বলেন, মক্কেলের পক্ষ থেকে তার বক্তব্য উপস্থাপনের অধিকার আছে।

এরপর ৯টা ২০ মিনিটের দিকে বিরতিতে যায় আদালত। ১৫ মিনিট পর এজলাসে ফিরে আসেন বিচারপতিরা।  

পরে প্রধান বিচারপতি বলেন, 'আইনজীবীদের এথিকসের বিষয় আছে। খালেদা জিয়ার বাড়ির মামলায় বিচারপতির প্রতি অনাস্থা জানিয়ে আবেদন প্রস্তুত করা হয়েছিল। কিন্তু সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ওই আবেদন উত্থাপন করতে বিব্রতবোধ করেছিলেন।'

বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞা বলেন, 'প্রধান বিচারপতি প্রশাসনিক ও বিচারিক দায়িত্ব পালন করে থাকেন। তাকে বিভিন্ন বিচারকদের সঙ্গে কথা বলতে হয়। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আমারও নানা বিষয়ে কথা হয়, বিতর্কও হয়। এখন আমি যদি সব সময় টেপ নিয়ে যাই, তাহলে প্রধান বিচারপতি আমাদের সঙ্গে কীভাবে কথা বলবেন? তাহলে কি কোনো প্রধান বিচারপতি কাজ করতে পারবেন?'

এরপর অ্যাটর্নি জেনারেল প্রকাশিত নিবন্ধে তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিনের প্রসঙ্গটি তুলে ধরেন।

এক পর্যায়ে বিচারপতি ওয়াহহাব মিঞা বলেন, 'এখানে শুধু প্রধান বিচারপতিকে মেলাইন করা হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের ভাবমূর্তিতে আঘাত করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান। সর্বোচ্চ আদালতের ভাবমূর্তি ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।'

এ সময় বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, 'মির্জা ফখরুলের জামিনের বেঞ্চে চারজন ছিলাম। চারজনের ইনটিগ্রিটি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।'

এ সময় রাষ্ট্রের প্রধান আইনজীবী মাহবুবে আলম বলেন, 'এ বিষয়ে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে।'

প্রধান বিচারপতি বলেন, 'সাংবাদিকরা এত স্বাধীন যে প্রধান বিচারপতির দেশ সফরে যাওয়া উচিত কি না তাও কি সাংবাদিকদের কাছ থেকে জানতে হবে! কোন অনুষ্ঠান বিএনপি-জামায়াতের? অনুষ্ঠানে রাজাকার আছে কি না ? সেখানে যাব কি না?'

এ পর্যায়ে বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞা বলেন, 'বাড়ি যাওয়ার আগে তাদের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে, যাব কি না? যদি গিয়ে দেখি, জামায়াতের কেউ বসে আছে? সাংবাদিকরা মত প্রকাশ করতে পারবেন। তবে তাদের লেখার আগে ভাবতে হবে, যা লিখছেন তা সঠিক কি না। প্রধান বিচারপতি প্রতিষ্ঠানের প্রধান। তাকে হেয় করা হলে পুরো বিচার বিভাগকে ধ্বংস করা হয়।'

এ সময় জনকণ্ঠের আইনজীবী দোলন প্রধান বিচারপতি ও বিচার মানিকের ফোনালাপের রেকর্ডের প্রসঙ্গ তুলেন।

দোলন বলেন, 'আপিল বিভাগের একজন বিচারপতির সঙ্গে প্রধান বিচারপতির কথোপকথন এসেছে। এতে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও মওদুদ আহমদের মামলার প্রসঙ্গ রয়েছে।'
 
এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, 'আদালত নিয়ে কুৎসা রটাবেন না।'

এ পর্যায়ে আদালত কক্ষে উপস্থিত সরকারপন্থী দুই আইনজীবী কে এম সাইফুদ্দিন আহমেদ ও নূরুল ইসলাম সুজন আইনজীবী দোলনের বক্তব্যে তীব্র আপত্তি জানান। বেলা ১১টার দিকে দিকে তাদের থামিয়ে আদালত নির্ধারিত বিরতিতে যায়।

বিরতির আইনজীবী দোলন প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বিচারপতি মানিকের কথোপকথনের অডিও রেকর্ডের শ্রুতিলিখন উপস্থাপন শুরু করেন।

এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, 'এক বিচারপতির সঙ্গে কথা হয়েছে। তাই বলে কি তা রেকর্ড করতে হবে? প্রধান বিচারপতি প্রশাসনিক কাজে যে কোনো বিচারপতির সঙ্গে কথা বলতে পারেন।'

এরপর সালাউদ্দিন দোলন বিচারপতিদের শপথ সংক্রান্ত সংবিধানের অনুচ্ছেদ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, 'যদিও সংবিধান সংশোধনের পর সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল ও আচরণবিধি নেই।'

প্রধান বিচারপতি বলেন, 'আপনি কি বুঝাতে চাচ্ছেন যে প্রধান বিচারপতি শপথ ভঙ্গ করেছেন? এজন্য তার পদে থাকার অধিকার নেই?'

এ সময় আদালত ওই রেকর্ডের সূত্র জানতে চাইলে দোলন বলেন, 'এটা তারা কোনো বিচারপতির কাছ থেকে পাননি। আর সাংবাদিকরা তাদের সুত্র প্রকাশ করে না।'

এ সময় আদালত বলেন, 'আবেদনে বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীকে সাক্ষী মেনে সূত্র প্রকাশ করা হয়েছে।'

জবাবে সালাউদ্দিন দোলন বলেন, 'আমরা কোনো বিচারপতির কাছ থেকে টেপ পাইনি। জনকণ্ঠ টেপ পরীক্ষা করে দেখেছে, অন্য প্রান্তে ছিলেন বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী।'

এর পর প্রধান বিচারপতি বিচারপতি মানিক প্রসঙ্গে বলেন, 'সারাদেশে কি স্বাধীনতার পক্ষের একজন বিচারপতিই আছেন? আর একজনই কি সব যুদ্ধাপরাধের বিচার করবেন? দেশে কি আর কোনো বিচারপতি নাই। একজন বিচারপতি চিরকাল থাকবেন না। এই দেশে একজন বিচারক চলে যাবেন, আরেকজন বিচারক আসবেন। এই প্রতিষ্ঠান টিকে থাকবে। কেউই অপরিহার্য নয়।'

জনকণ্ঠের দুই সম্পাদকের মামলার শুনানির জন্য সকাল থেকেই আপিল বিভাগের এজলাস কানায় কানায় পূর্ণ ছিল। এ মামলাটির নিউজ কাভার করতে আজ আদালতে দেশি-বিদেশি গনমাধ্যমের অনেক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

জনকণ্ঠের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সালাহউদ্দিন দোলন, ব্যারিস্টার মুন ইমু রহমান খান, ব্যারিস্টার ফয়সাল আহম্মেদ পাটোয়ারী, অ্যাডভোকেট আইনুন নাহার।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

পরে শুনানি শেষে দৈনিক জনকণ্ঠের সম্পাদক মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদ ও নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়ের আদালত অবমাননার বিষয়ে আগামী ১৩ আগস্ট আদেশের দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ। ওই দুই দিনও দুই সম্পাদককে আদালতে যেতে বলা হয়েছে।

http://onlinebangla.com.bd/post/10072/  বিচারপতি-শামসুদ্দিন-চৌধুরী-মানিকের-ভয়াবহ-স্খলন


আরও পড়ুন: স্বীকার করলেন প্রধান বিচারপতি

তারিখ: ১১/০৮/২০১৫
  • সাকা পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ
  • "আপনি বলেছিলেন- সাকার ফ্যামিলি/ আপনাকে বলছে আমাকে না রাখার জন্য.../ প্রধান বিচারপতি- হ্যাঁ হ্যাঁ".../ হ্যাঁ, না দিতে বলেছিলেন।
  • "আপনি বললেন না কালকে, মওদুদ আসছিলো। আপনার হাতে পায়ে ধরেছে।/ প্রধান বিচারপতি- হ্যাঁ। ...হাতে পায়ে ধরছে







http://www.dailyjanakantha.com/?p=details&csl=136085

জনকণ্ঠের মন্তব্য প্রতিবেদনটি পড়ুন : সাকার পরিবারের তৎপরতা ॥ পালাবার পথ কমে গেছে - স্বদেশ রায়

তারিখ: ১৬/০৭/২০১৫

http://www.dailyjanakantha.com/?p=details&csl=131979

Inline image 1




__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___