Banner Advertiser

Saturday, October 24, 2015

[mukto-mona] মোসাদের গোয়েন্দা কর্তা কে এই রিতা কাৎজ?




মোসাদের গোয়েন্দা কর্তা কে এই রিতা কাৎজ?

Saturday, October 24, 2015 || Time : 10:33:38 PM

মোসাদের গোয়েন্দা কর্তা কে এই রিতা কাৎজ?

ডেস্ক রিপোর্ট: নাম রিতা কাৎজ। ৫২ বছর বয়স্কা এ নারী ঢাকা ও রংপুরে দুই বিদেশী নাগরিক খুন হওয়ার পর আইএসআইএসকে জড়িয়ে টুইটার বার্তা দিয়েছেন। পৃথক দুই টুইটার বার্তায় তিনি দাবি করেছেন- এ হত্যাকাণ্ড আইএসআইএস ঘটিয়েছে। বার্তায় রিটা অপপ্রচারও চালিয়েছেন বাংলাদেশ নিয়ে। এ কারণেই তার সম্পর্কে ব্যাপক অনুসন্ধান শুরু করেছে বিভিন্ন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো ওই নারীর বিষয়ে সরকারকে সতর্ক থাকতে বলেছে। প্রশ্ন উঠেছে কে এ রিতা কাৎজ। ঢাকা এবং রংপুরে দু'জন বিদেশী নাগরিক খুনের ঘটনায় আইএসআইএসকে জড়িয়ে সংবাদ প্রচার করে নজরে আসে সার্চ ফর ইন্টারন্যাশনাল টেরোরিস্ট এন্টাইটিস (এসআইটিই) সাইট। 

এ সাইটটি ওয়াশিংটনভিত্তিক একটি বেসরকারি গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগী প্রতিষ্ঠান। রিতা কাজ করছেন হোমল্যান্ড সিকিউরিটিজের সাবেক পরিচালক জোস ডিভনের সঙ্গে। রিতা এর আগে প্রকাশ্যে কাজ করেছেন ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ও মার্কিন তদন্ত গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের সঙ্গে। অনর্গল আরবি ভাষায় পারদর্শী রিতা ছদ্মবেশে থেকেছেন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের আন্দোলনেও। অথচ কাজ করেছেন ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা 'মোসাদ'-এর হয়ে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রিতা কাৎজের এনআইটিই সংস্থায় অর্থায়ন, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ পদ্ধতি, প্রচারণার চূড়ান্ত উদ্দেশ্য কালো চাদরে আবৃত। একই ভাবে তার মদতদাতাদের পরিচিতিও কালো চাদরে ঢাকা।

আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার বিভিন্ন সূত্র জানায়, রিতা কাৎজের জন্ম ১৯৬৩ সালে ইরাকের বসরায়। জন্মগতভাবে তিনি ইহুদি ধর্মের অনুসারী। ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ১৯৬৮ সালের দিকে তৎকালীন সাদ্দাম সরকার প্রকাশ্যে ফাঁসি কার্যকর করে রিতার বাবার। ওই সময় তিন সন্তান নিয়ে রিতার মা পালিয়ে যান ইরানে। সেখান থেকে চলে যান ইসরাইলের 'বাট ইয়াম' শহরে। সেখানেই পরে তাদের ঠিকানা হয়।

বসরায় জন্ম নেয়ায় কারণে আরবিতে পারদর্শী হন রিটা। কেউ কেউ বলছেন, বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়েই রিতাকে আরবি শেখানো হয়েছে। পরে তাকে চাকরি দেয়া হয়েছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীতে। প্রতিরক্ষা বাহিনীর তত্ত্বাবধানেই তেলআবিব বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি, ইতিহাস আর মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ে পড়াশোনা করেন রিতা। ১৯৯৭ সালে চিকিৎসক স্বামীর সঙ্গে পাড়ি দেন আমেরিকায়। জাল ভিসার কারণে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে আটক হয়েছিলেন। পরে ওই জালিয়াতির কথা স্বীকারও করেন তিনি।

আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার তথ্যমতে, ১৯৯৭ সালেই মার্কিন মধ্যপ্রাচ্যে গবেষণা ইন্সটিটিউটে চাকরি পান রিতা। হলিল্যান্ড ফাউন্ডেশন নামে একটি গ্র"প হামাসের পক্ষে কাজ করছে বলে উদ্ঘাটন করেন রিতা। এরপর থেকে গোয়েন্দাগিরিতে তার মর্যাদা বেড়ে যায়। তখনই বোরকা পরে মুসলিম নারীর পরিচয়ে শব্দ রেকর্ডিং যন্ত্রসহ ছুটে বেড়ান ইসলামী সম্মেলনে। হামাসের ফান্ড সংগ্রাহকদের সঙ্গে ঘুরেছেন মসজিদে। প্যালেস্টাইনি সমর্থকদের সঙ্গে থেকেছেন তাদের আন্দোলনে। ওই সময় এফবিআই তাকে লুফে নেয় ইসলামী জঙ্গিসহ বিদেশী সন্ত্রাসী গ্র"পের তথ্য সংগ্রহের জন্য।

২০০২ সালে ইরাক আক্রমণের আগে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত মুসলমানদের ওপর কড়া নজরদারি করা হয়। সে সময় রিতা প্রতিষ্ঠা করেন এসআইটিই নামের সংস্থাটি। গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং অনলাইনে ফাঁস করা এ সংস্থার প্রধান কাজ। আল কায়দা নেটওয়ার্ক, আইএসআইএস নেটওয়ার্ক, হামাস, ইসলামিক জিহাদ এবং হিজবুল্লাহ নিয়ে তার প্রতিষ্ঠান নিয়মিত প্রচারণা চালায়।

রংপুরে জাপানি নাগরিক খুন হওয়ার পর ৩ অক্টোবর রিতা কাৎজের করা টুইটার বার্তায় আইএস দায় স্বীকার করেছে বলে দাবি করা হয়। একইভাবে ২৮ সেপ্টেম্বর রিতা কাৎজের টুইট বার্তায় ইতালিয়ান নাগরিক সিজারি তাভেল্লা খুনের বিষয়ে আইএসআইএস করেছে বলে টুইট করেন রিতা। তার টুইট বার্তায় আইএস এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকারের বিষয়ে লিংক চাওয়া হয়। কিন্তু তিনি কোনো লিংক দেননি। দুটি টুইট বার্তার পরই টুইটার ব্যবহারকারী বেশ কয়েকজন রিতার কাছে লিংক জানতে চান। টুইটার ব্যবহারকারীরা তার টুইট বার্তাটি ভুয়া বলেও মন্তব্য করেন।

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, রিতা কী বেসরকারি সংস্থায় কাজ করছেন না কি কোনো গোয়েন্দা সংস্থার বেসরকারি মুখপাত্র হিসেবে প্রপাগান্ডা চালাচ্ছেন- এনিয়ে ব্যাপক বিতর্ক রয়েছে। সিআইএ, কেজিবি, মোসাদ, এম-১৬ এর মতো প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যে ইন্টেলিজেন্স তথ্য প্রকাশ করছে না সেটা প্রকাশ করছে এসআইটিই সাইট। তাদের এ কর্মকাণ্ড পৃথিবীর বহু নেতৃস্থানীয় দেশের গোয়েন্দা সামর্থ্যকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইরাক আক্রমণের আগে সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে গণবিধ্বংসী অস্ত্রের কথা বলেছিল মার্কিন ও ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। সেটা মিথ্যা ও বানোয়াট প্রমাণিত হওয়ায় কালো প্রচারণার দায় পড়েছিল তাদের ওপর। মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য তারা সমালোচিত হয়েছিল পৃথিবীজুড়ে। তাই মিথ্যা বা বানোয়াট প্রচারণার দায়টা আর সরাসরি নিতে চায় না কোনো সংস্থা বা দেশ। এখন প্রতীয়মান হচ্ছে যে, বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমেই প্রচারণা চালাচ্ছে তারা। তাত্ত্বিকভাবে এটা ধূসর প্রচারণা হিসেবে পরিচিত।

রিটা কাৎজের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে কোনো তথ্য আছে কিনা জানতে চাইলে পুলিশ সদর দফতরের এআইজি নজরুল ইসলাম জানান, তার বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থাগুলে খোঁজখবর নিচ্ছে।
সূত্র:যুগান্তর
গ্লোবাল নিউজ ২৪ ডটকম/রিপন/ডেরি 

http://theglobalnews24.com/details.php?id=58116






__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___