প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর, ২০১৫ ১৫:১০:৩২ |
গো-মাংস খাওয়ার গুজব রটিয়ে দাদরিতে সম্প্রতি একজনকে খুন ও তার আগে বিশিষ্ট কন্নড় যুক্তিবাদী এম এম কলবার্গি, নরেন্দ্র দাভোলকার ও গোবিন্দ পানাসারের খুনের ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার তাঁর সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ৮৮ বছরের লেখিকা নয়নতারা সহগল। সম্পর্কে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর ভাগ্নি নয়নতারা তাঁর ২৯ বছর আগে পাওয়া পুরস্কারটি ফিরিয়ে দেওয়ার পর কড়া সমালোচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। তাঁর বক্তব্য ছিল, ওই সব ঘটনার পরেও প্রধানমন্ত্রী মোদী মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছেন।ললিতকলা একাডেমির সাবেক চেয়ারম্যান বাজপেয়ী এদিন তাঁর সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার সময় বলেছেন, ''লেখক-শিল্পীদের বলিষ্ঠভাবে এগিয়ে আসার এটাই সেরা সময়। নয়নতারা সহগলের মতো প্রবীণ লেখিকা যেভাবে এগিয়ে এসে এ ব্যাপারে পথ দেখিয়েছেন, আমাদের সকলেরই তা অনুসরণ করা উচিত।''
মোদীকে দুষে খেতাব ফেরালেন নয়নতারা
নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়নতারা সহগল
আগামী ১৪ নভেম্বর নেহরুর ১২৬তম জন্মদিন। গত বছর তাঁর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শরদ যাদব, প্রকাশ কারাটের মতো তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ দলের নেতাদের আমন্ত্রণ করে একপ্রস্ত এই রাজনীতি করেছিলেন সনিয়া গাঁধী। দাদরি, জামশেদপুর, রাঁচি, মুজফ্ফরনগর-সহ দেশের বিভিন্ন অংশে গোষ্ঠী সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ডের বাতাবরণে ফের সেই রাজনীতিতে হাওয়া দিতে চাইছেন কংগ্রেস সভানেত্রী।
৮৮ বছরের নয়নতারা সহগল সম্পর্কে নেহরুর ভাগ্নি। গোমাংস খাওয়ার গুজবে দাদরিতে এক সংখ্যালঘুকে পিটিয়ে হত্যা করা, কন্নড় যুক্তিবাদী এম এম কালবার্গি, নরেন্দ্র দাভোলকর ও গোবিন্দ পানসারেকে হত্যার ঘটনাকে ভারতীয়ত্বের ওপর আঘাত হিসেবে আখ্যা দিয়ে আজ তিনি সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার ফিরিয়ে দেন। সেই সঙ্গে এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর তীক্ষ্ণ সমালোচনা করে বলেন, ''প্রধানমন্ত্রী নীরব। এ সব ঘটনার নিন্দা করে তিনি একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি। গোটা দেশ তাঁর বিবৃতির অপেক্ষায় রয়েছে, কারণ প্রতিদিন একটু একটু করে পরিস্থিতি ভয়ানক হয়ে উঠছে!'' তাঁর কথায়, ''মোদীর নেতৃত্বে পিছিয়ে যাচ্ছে ভারত। সংকীর্ণ হিন্দুত্বের পথে আশ্রয় নিচ্ছে! সমাজে অসহিষ্ণুতা বাড়ায় বহু মানুষ ভয়ে রয়েছেন।''
অতীতে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করার জন্য ইন্দিরা গাঁধীর বিরুদ্ধে ঝাঁঝালো সমালোচনা করেছিলেন নয়নতারা। নেহরু পরিবারের সঙ্গে যোগ থাকলেও সেই অর্থে কংগ্রেসের রাজনীতির সঙ্গে তাঁর বিশেষ যোগ ছিল না। কিন্তু তাঁর পদক্ষেপকে আজ সাধুবাদ জানিয়েছে কংগ্রেস। সেই সঙ্গে দলের শীর্ষ সারির নেতা দিগ্বিজয় সিংহ বলেন, ''দাদরির ঘটনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নীরব কে বলেছে? রাজনৈতিক বার্তা সব সময় মুখে প্রকাশ হয় না। মুজফ্ফরপুরের গোষ্ঠী সংঘর্ষে অন্যতম অভিযুক্ত বিজেপি সাংসদ সঞ্জীব বালিয়ানকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য করেই মোদী বুঝিয়ে দিয়েছেন, এই বিভাজনের রাজনীতিতে প্রত্যক্ষ সমর্থন রয়েছে।''
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক গতকালই অবশ্য একটি নির্দেশিকা জারি করে সব রাজ্য সরকারকে বার্তা দিয়েছে যে, ধর্মীয় হিংসা কখনওই বরদাস্ত করা হবে না। দাদরির হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের সমর্থনে বেশ কয়েক জন বিজেপি বিধায়ক মুখ খুলেছিলেন। তখনই কংগ্রেস, সমাদবাদী পার্টি, আপ ও বামেরা বিজেপির সমালোচনায় সরব হয়। আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ বলেছিলেন, ''প্রধানমন্ত্রী শুধু ধৃতরাষ্ট্রের মতো অন্ধই নন, মূক ও বধিরও বটে!'' কাল কেন্দ্রের নির্দেশিকা জারি হলেও প্রধানমন্ত্রী কিন্তু এ নিয়ে এখনও কিছুই বলেননি।
কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির এক সদস্য আজ জানান, দাদরির এই ঘটনার সূত্রেই আগামী মাসে নেহরুর জন্মদিন উদ্যাপনের গুরুত্ব বাড়ছে। যে ভাবে নেহরুর ঐতিহ্যকে মোদী সরকার খাটো করার চেষ্টা করছে এবং বিভিন্ন প্রকল্প ও প্রতিষ্ঠান থেকে নেহরুর নামকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তাতে এক সময় দল ভেবেছিল উদ্যাপনের সেটাই থিম হোক। কিন্তু কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের অনেকের মতে সেটাই থিম করলে মনে হবে বংশবাদকেই আগলে রাখছে কংগ্রেস। এমনকী, সনিয়া-রাহুলও মনে করছেন, ধর্মনিরপেক্ষতা ও দেশে সহিষ্ণুতার বাতাবরণ টিকিয়ে রাখার জন্য নেহরুর দশর্নকেই থিম করা হোক। বর্তমান সময়ে সেটাই প্রাসঙ্গিক। তাতে সরকার বিরোধী ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দলগুলোকে এক ছাতার তলায় আনার চেষ্টাও করা যাবে তার মাধ্যমে।
প্রশ্ন হল, এ বারও কি সেই অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সীতারাম ইয়েচুরিদের নিমন্ত্রণ জানানো হবে? জবাবে দলের ওই কেন্দ্রীয় নেতা জানান, সে বিষয়ে সম্ভাবনা থাকলেও এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে এ ব্যাপারে সন্দেহ নেই যে, নেহরুর জন্মদিন উদ্যাপনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক বার্তা দিয়ে সাড়া ফেলার সব রকম চেষ্টা করবে কংগ্রেস। সে জন্য কাল সব রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে দিল্লিতে বৈঠকে ডেকেছেন সনিয়া। নেহরুর জন্মদিন উদ্যাপনের মূল অনুষ্ঠান হবে দিল্লির তালকাটোরা স্টেডিয়ামে। কালকের বৈঠকে রাজ্যস্তরে কর্মসূচি স্থির করার পর মূল অনুষ্ঠানের আয়োজন নিয়ে আলোচনায় বসবেন সনিয়া। তবে সর্বভারতীয় কংগ্রেসের এক সাধারণ সম্পাদকের কথায়, নেহরুর জন্মদিনকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস রাজনৈতিক সাড়া ফেলতে পারবে কি না তা অনেকটাই নির্ভর করছে বিহার ভোটের ওপর। ৮ নভেম্বর বিহার ভোটের ফল প্রকাশ হবে। তাতে বিজেপি জিতলে ১৪ নভেম্বরের অনুষ্ঠান রাজনৈতিক ভাবেই দমে যাবে। কিন্তু বিহারে লালু-নীতীশ-কংগ্রেসের মহাজোটের পক্ষে ফল হলে নেহরুর জন্মদিন পালনের অনুষ্ঠানের মাত্রাও বদলে যাবে। সেই মঞ্চকে পুরোদস্তুর ধর্মনিরপেক্ষ জোটের মঞ্চে পরিণত করার চেষ্টা করবেন সনিয়া গাঁধী।
fvi‡Z Miæi gvsm LvIqvi Drme
6 students suspended over 'beef festival' at college - The ...
evev‡K wcwU‡q nZ¨vi ciI mv¤úª`vwqK m¤úªxwZ Pvb miZvR
সরতাজের শান্তির ডাক:
Son of Man Lynched For Beef Appeals For Peace - Eisamay
Also read:
'যারা গরু খায় তাদের এমনই হওয়া উচিত'
ভারতের উত্তর প্রদেশের দাদরি গ্রামে গরুর গোশত খাওয়ার অপরাধে মুহাম্মাদ আখলাখকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ফায়দা লুটতে এখন সব রাজনৈতিক দলই মাঠে নেমেছে। এ ঘটনায় ভারতজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে অস্বত্বিতে পড়া বিজেপি বিরোধীদের সমালোচনার জবাব দিতে মুজফ্ফরনগরে দাঙ্গার মূলহোতা বিতর্কিত বিধায়ক সঙ্গীত সোমকে মাঠে নামিয়ে আরোা বেকায়দায় পড়েছে। ................
- See more at: http://www.thebengalitimes.com/politics/2015/10/05/5780#sthash.Qpzo9BJ1.dpuf
http://www.thebengalitimes.com/politics/2015/10/05/5780
দাদরি-হত্যা : ফায়দা লুটতে আসরে নামল সব দলই
__._,_.___