Banner Advertiser

Saturday, October 3, 2015

[mukto-mona] এমপি লিটনের আছে অবৈধ অস্ত্রভাণ্ডার



এমপি লিটনের আছে অবৈধ অস্ত্রভাণ্ডার

তোহুর আহমদ, গাইবান্ধা থেকে | প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০১৫

কথায় কথায় আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেন 'গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। কখনও শটগান, কখনও পিস্তল আবার কখনও রিভলবার দিয়ে গুলি ছোড়েন তিনি। লিটনের সঙ্গে থাকেন একাধিক দেহরক্ষী। তার গাড়িবহরে থাকে বেশ কয়েকজন অস্ত্রধারী 'ক্যাডার গানম্যান'। তারাও কারণে-অকারণে বিশেষ স্টাইলে গুলি ফোটান। এসব আগ্নেয়াস্ত্রের বেশির ভাগই লাইসেন্সবিহীন।' -

সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন থেকে জনা গেছে এসব তথ্য। এমপি লিটন সংক্রান্ত এ প্রতিবেদনটি ছয় মাস আগে গাইবান্ধা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ সদর দফতরে পাঠানো হয়। এছাড়া এমপির 'হরহামেশা' আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে গাইবান্ধা জেলা পুলিশও উদ্বিগ্ন- এমন তথ্য জানিয়ে জেলা পুলিশের তরফ থেকে ২০১৩ সালের মার্চ মাসে এ সংক্রান্ত আরেকটি গোপনীয় প্রতিবেদন পুলিশ সদর দফতরে পাঠানো হয়। দুটি প্রতিবেদনেই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশসহ করণীয় নির্ধারণের নির্দেশনা চায় পুলিশ। কিন্তু এর ভিত্তিতে ঢাকা থেকে জেলা পুলিশের কাছে অদ্যাবধি তেমন কোনো নির্দেশনা আসেনি। তাই জেলা পুলিশের তরফ থেকে এমপিকে শুধু অস্ত্র ব্যবহারে 'সংযত' হতে বলা হয়। অনুসন্ধানে জানা গেছে, এমপি লিটনের অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি মজুদ রাখা হয় তার মালিকাধীন একটি হিমাগারে। যেটি এমপি লিটনের 'অস্ত্রভাণ্ডার' হিসেবে স্থানীয়দের কাছে ব্যাপক পরিচিত। লিটনের বাবা আশরাফ আলী খন্দকারের নামে হিমাগারটির নামকরণ করা হয়েছে। যেটি সরবানন্দ ইউনিয়নের উত্তর শাহবাজ এলাকায় অবস্থিত।
জানতে চাইলে গাইবান্ধা জেলার পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলাম শনিবার যুগান্তরকে বলেন, 'হ্যাঁ, এমপি সাহেবকে পুলিশের তরফ থেকে কয়েকবারই অস্ত্র ব্যবহারে সংযত হতে বলা হয়েছে। তিনি পুলিশের পরামর্শ শুনলে আজকের পরিস্থিতি তৈরি হতো না।'
জেলা পুলিশের একজন কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, অস্ত্র ব্যবহারে সংযত হতে বললে এমপি সাহেব পুলিশকে বলে থাকেন, প্রয়োজনের তাগিদে ভয় দেখানোর জন্য তিনি মাঝে মাঝে ফাঁকা গুলি ছোড়েন। কিন্তু গুলি করে এখন পর্যন্ত কাউকে তিনি খুন করেননি।
গাইবান্ধায় কর্মরত কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য যুগান্তরকে জানান, এমপি ও তার লোকজন যখন-তখন আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেন। তুচ্ছ কারণে তারা গুলি ছুড়ে আতংক তৈরি করেন। এমনও দিন গেছে এমপি ও তার লোকজন মিলে বিভিন্ন জায়গায় ৫০ রাউন্ড গুলিও খরচ করেছেন। পুলিশের ভাষায়, 'বেহিসাবি' এই গুলি খরচের হিসাব মেলাতে গুলির উৎসের খোঁজ শুরু হয়। এ সময় বিশ্বস্ত সোর্সে খবর নিয়ে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, লিটনের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন লোক ঢাকা ও রাজশাহীর কয়েকটি কালোবাজার থেকে বস্তায় ভরে আগ্নেয়াস্ত্রের গুলি আনেন। পুলিশ জানতে পারে, এমপির অস্ত্রের লাইসেন্সের বিপরীতে পুরান ঢাকার ওয়ারী ও রাজশাহীর তাইলাইমারী এলাকার দুটি অস্ত্রের দোকান থেকে গুলি আনা হয়। কিন্তু এসব গুলি ক্রয় ও খরচের তথ্য স্থানীয় থানায় জানানো বাধ্যতামূলক হলেও এমপি কখনোই তা জানাননি।
এ প্রসঙ্গে মন্তব্য নিতে শনিবার সংসদ সদস্য লিটনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, শুক্রবারের ঘটনার পর থেকেই সংসদ সদস্য লিটন গা-ঢাকা দিয়েছেন। বন্ধ করে রেখেছেন তার মোবাইল ফোনও।
সংসদ সদস্যের অস্ত্র ও ক্যাডার বাহিনী : পুলিশ জানায়, সংসদ সদস্যের লাইসেন্স করা দুটি অস্ত্র রয়েছে। এর একটি ইতালির তৈরি পলো ব্র্যান্ডের রিভলবার এবং অপরটি অত্যাধুনিক শটগান। এছাড়া তার কাছে রয়েছে জার্মানির তৈরি ক্ষুদ্রাকৃতির রিভলবার। যেটি সব সময়ই তার কোমরে বাঁধা থাকে। এ অস্ত্রটির লাইসেন্স নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছে পুলিশ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সংসদ সদস্যের গাড়িবহর বের হলে তার সঙ্গে প্রায় ছায়ার মতো লেগে থাকেন স্থানীয় কিছু ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা। তাদের কাছেও বিভিন্ন মডেলের অস্ত্র থাকে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদের মধ্যে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সামিউল ইসলাম ওরফে সামু, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা আজম, সুকুলচন্দ্র ও শ্যামল চন্দ্রের কাছে অস্ত্র আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় পুলিশ ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, সংসদ সদস্যের প্রধান গানম্যান হিসেবে কাজ করেন তার শ্যালক সোহাগ। তিনি প্রকাশ্যে দুটি অস্ত্র বহন করেন। এর একটি অত্যাধুনিক নাইন এমএম বিদেশী পিস্তল এবং অপরটি আমেরিকার তৈরি বেরেটা ব্র্যান্ডের রিভলবার। এ দুটি অস্ত্রের লাইসেন্সের বিষয়ে স্থানীয় থানায় কোনো তথ্য নেই। স্থানীয় একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা যুগান্তরকে বলেন, দুটি অস্ত্রই বিদেশ থেকে এনে শ্যালককে উপহার দিয়েছেন সংসদ সদস্য লিটন। সূত্র বলছে, দুই নম্বর সোনারায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিরানও অস্ত্রধারী। তিনি সংসদ সদস্যের সঙ্গে সশস্ত্র অস্থায় থাকেন। তার কাছে একটি উন্নত প্রযুক্তির কাটা রাইফেল ও একটি পিস্তল আছে। তবে পিস্তলটি লাইসেন্সকৃত বলে প্রচার করেন মিরান। সংসদ সদস্য কোথাও অস্ত্রের শোডাউন দেখালে তার সঙ্গে থাকা গানম্যানরাও একযোগে এসব অস্ত্র প্রদর্শন করে। এলোপাতাড়ি গুলিও ছোড়ে তারা।
অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন মজনু হিরো। তিনি সংসদ সদস্যের অস্ত্র ব্যবহার ও অস্ত্রধারী ক্যাডারদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করতেন। এ কারণে গঠনতন্ত্র ভঙ্গ করে মজনুকে বাদ দিয়ে সংসদ সদস্যের তল্পিবাহক হিসেবে পরিচিত সামেস উদ্দীন বাবুকে সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়। সূত্রমতে, সংসদ সদস্যের অস্ত্রধারী ক্যাডারদের তালিকায় প্রথম সারিতেই সামেস উদ্দীন বাবুর অবস্থান। বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ কুমার চাকিও সংসদ সদস্যের গানম্যান হিসেবে কাজ করেন বলে অভিযোগ আছে। স্থানীয় থানা সূত্র জানায়, চাকি নিজেও মাদকসেবী এবং অবৈধ অস্ত্রধারী। তিনি সংসদ সদস্যের মদের আসরে বিশেষ কায়দায় মদ পরিবেশনে বেশ দক্ষতা অর্জন করেছেন। এছাড়া সংসদ সদস্যের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত যুবলীগ নেতা মাহমুদুল ইসলাম লিমনের কাছেও একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মদের টেবিলে গুলির হিসাব : বামনডাঙ্গা রেলস্টেশনের পাশে রেলের একটি পরিত্যক্ত অফিস ভবনে সারা রাত মদপান চলে। এখানে প্রায় প্রতিদিনই উপস্থিত থাকেন সংসদ সদস্য লিটন। এ জায়গাটিকে সংসদ সদস্যের বিশেষ আড্ডার জায়গা হিসেবে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় সবাই চেনেন। এখানে মূলত রাত ১০টার পর হাজির হন সংসদ সদস্য। এর পরপরই মদপানের আসর শুরু হয়ে যায়। রাত ১০ থেকে শুরু হয়ে চলে শেষরাত পর্যন্ত। এ আসরে নিয়মিত উপস্থিত থাকেন এমন একজন আওয়ামী লীগ নেতা শনিবার যুগান্তরকে বলেন, কিছুটা মদ পেটে যেতেই এমপি সাহেব বেতাল হয়ে পড়েন। এরপর কিছু সুযোগসন্ধানী তাকে ঘিরে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। তারা এমপির কাছে নানা জনের নামে নালিশ জানাতে শুরু করেন। তখন মাতাল অবস্থায় অভিযোগ শুনে এমপি ক্ষিপ্ত হয়ে ওই সব লোককে ফোন লাগাতে বলেন। ফোনে তিনি তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এমনকি গুলি করে মেরে ফেলার হুমকিও দেন। এমপির কাছ থেকে হুমকি পাওয়ার তালিকায় আছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানার ওসি থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা। এমনকি নিজ দলের নেতাকর্মীরাও। সুন্দরগঞ্জ থানার সাবেক ওসি মোজাম্মেল হক এভাবে গালিগালাজ শুনে ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে নিজ উদ্যোগে বদলি হন। তিনি বর্তমানে গোবিন্দগঞ্জ থানায় কর্মরত আছেন। বর্তমান ইউএনও আবদুুুল হাই মিলটনকেও গভীর রাতে প্রায়ই ফোন করেন এমপি। এভাবে ফোনে হুমকি-ধমকি ও গালিগালাজ শেষ হলে মদের আসরে হালকা গান-বাজনা শুরু হয়। এমপি নিজেও গান ধরেন। মদের আসর আরও জমজমাট করতে এডিবির বরাদ্দকৃত তহবিল থেকে তিনি ৫ লাখ টাকার বাদ্যযন্ত্র কিনে মদের আসরে নিয়ে এসেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, সুন্দরগঞ্জ থানার সাবেক এক ওসি নিজেও এমপির সঙ্গে মদের আসরে নিয়মিত উপস্থিত থাকতেন। এছাড়া বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা শাহার আলী, আওয়ামী লীগ নেতা মহির নিয়মিত এমপির মদের আসরে যোগ দেন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা মহির বিভিন্ন জায়গা থেকে মদ এনে এমপির কাছে সরবরাহ করেন। এমপির পছন্দের তালিকায় আছে বিদেশী ব্র্যান্ডের হুইস্কি, ভদকা ও আমদানি নিষিদ্ধ বিদেশী বিয়ার। সূত্র জানায়, এমপিকে মদ সাপ্লাই দেয়ার পাশাপাশি মহির নিজেও মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছেন। সম্প্রতি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে মহির আটক হন। কিন্তু এমপি ফোন করে মাত্র ২ হাজার টাকা জরিমানার বিনিময়ে মহিরকে ছাড়িয়ে নেন। জরিমানার ২ হাজার টাকাও দেন এমপি লিটন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সুজাসহ স্থানীয় বিএনপির কিছু নেতাকর্মীও এমপির মদের আসরে নিয়মিত যোগ দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, এসব বিষয়ে জেলার উচ্চপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তারা সবই জানেন। কিন্তু সঙ্গত কারণেই তারা সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে তেমন কোনো শক্ত পদক্ষেপ নিতে পারেন না।
সূত্র জানায়, সারারাত মদ পান শেষে ভোরবেলা আস্তানা থেকে বের হন এমপি। তখন তিনি থাকেন অনেকটাই উন্মাদের মতো। এরপর তিনি তাণ্ডব শুরু করেন। স্থানীয়রা বলছেন, ১৫ মে মাতাল অবস্থায় এমপি রেলগেট এলাকার মোতালেব হোসেনের বাড়ির দরজায় লাথি মারেন। বিনা কারণে উত্তেজিত হয়ে সেখানে তিনি হৈচৈ শুরু করেন। একপর্যায়ে সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি পরপর ২ রাউন্ড গুলি ছুড়ে চলে যান। এর কিছুদিন পর সর্বানন্দ ইউনিয়নের রামভদ্র কদমতলায় রাত ৩টার দিকে কোনো কারণ ছাড়াই গাড়ি থেকে নেমে ফাঁকা গুলি ছোড়েন লিটন। মাতাল অবস্থায় বামনডাঙ্গা বাজারে স্থানীয় আতিয়ার রহমানের বাড়ির সামনে এক রাউন্ড গুলি করেন। সর্বানন্দ পুরাতন ইউনিয়ন কার্যালয়ের কাছে স্থানীয় হাফিজার রহমানের বাড়ি ভাংচুর করে এমপির লোকজন। সেখানে গিয়েও এক রাউন্ড গুলি ছোড়েন তিনি। একপর্যায়ে হাফিজার রহমানের ঘরের টিনও খুলে নেয়া হয়।
অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, সাবেক ইউএনও আবু রাফা মোহাম্মদ আরিফের সঙ্গে এমপির মতবিরোধ দেখা দিলে চরম অবস্থা সৃষ্টি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে এমপি তার দিকে পিস্তল তাক করেন। ভয় দেখানোর জন্য তিনি সেখানে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলিও ছোড়েন। অবশ্য এ ঘটনার কিছুদিন পরই ইউএনও ওপর মহলে তদবির করে বদলি হয়ে যান। ২৫ সেপ্টেম্বর ঈদের রাতেও ছাইতনতলা এলাকায় একই ধরনের ঘটনা ঘটে। ছাইতনতলা এলাকাটি এমপির শ্বশুরবাড়ি এলাকা হলেও তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে সেখানে পাঁচ রাউন্ড গুলি ছোড়েন তিনি। ওই রাতেই তিনি খানাবাড়ি রামভদ্র এলাকায়ও এক রাউন্ড গুলি করেন। এরপর বন্দরের চৌমাথায় ২ রাউন্ড গুলি করলে এলাকায় আতংক নেমে আসে। এ রকম ধারাবাহিক অঘটনের সিরিজ ঘটনার অংশ হিসেবেই শুক্রবার স্কুলছাত্র শাহদাত এমপির হাতে গুলিবিদ্ধ হয়। শুক্রবার শাহদাতকে গুলি করে এমপি ফিরে আসার সময় স্থানীয় একজন মাছ ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করেও গুলি ছোড়েন তিনি। গুলির প্রচণ্ড শব্দ পেয়ে ওই মাছ ব্যবসায়ী মাটিতে হামাগুড়ি দিয়ে পালিয়ে বাঁচেন। গত বছর ডিসেম্বরে বামনডাঙ্গা রেল স্টেশনের পাশে হাসানগঞ্জ কালিতলা বাজারে যাত্রাগানের আসরে মাতাল অবস্থায় হাজির হন এমপি। যাত্রার মঞ্চে উঠে তিনি এক নর্তকিকে জড়িয়ে ধরেন। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত দর্শকরা সমস্বরে প্রতিবাদ করে উঠলে এমপি লিটন পিস্তল বের করে গুলি ছোড়েন। এতে যাত্রামঞ্চের ওপর লাগানো শামিয়ানা ফুটো হয়ে যায়। ওই ফুটো হয়ে যাওয়া শামিয়ানা পরে পুলিশ খুলে নিয়ে যায়।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ ক্ষুব্ধ : এমপির এসব কর্মকাণ্ডের কারণে উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও গণ্যমান্য ব্যক্তি তো বটেই, স্থানীয় সরকারদলীয় নেতাকর্মীরাও ক্ষুব্ধ। প্রথম দিকে তারা আড়ালে-আবডালে এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা ও প্রতিবাদ করতেন। কিন্তু এখন উপজেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের শীর্ষ নেতারাও প্রকাশ্যে এমপির বিরোধিতা করছেন। ফলে স্থানীয় পর্যায়ে আওয়ামী লীগ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রেজাউল করিম রেজা যুগান্তরকে বলেন, এমপির বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে স্থানীয় নেতাকর্মীরা আজ কোনঠাসা। সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি ও সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার বর্তমান মেয়র আবদুুল্লাহ আল মামুন বলেন, এমপিকে তারা একাধিকবার সংশোধন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু এমপি তাদের কথা শোনেননি। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গোলাম কবির বলেন, এমপি তার বিতর্কিত কর্মকাণ্ড বন্ধ না করলে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় সরকার চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম বলেন, এমপি হয়ে তিনি প্রকাশ্যে মাতলামি করেন এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
  - See more at: http://www.jugantor.com/first-page/2015/10/04/332524#sthash.pQbVoorj.dpuf
'আব্বা কোইচে এমপির নামে কেস করবে, তার শাস্তি হোবে'
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
Published : Saturday, 3 October, 2015 at 7:16 PM
  
'আব্বা কোইচে এমপির নামে কেস করবে, তার শাস্তি হোবে'










মানবকণ্ঠ/এবিএমএস/জেডএইচ
- See more at: http://www.manobkantha.com/2015/10/03/69620.php#sthash.qY7oJTZT.dpuf
এমপি লিটনের বিরুদ্ধে মামলা
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
Published : Saturday, 3 October, 2015 at 8:29 PMUpdate: 03.10.2015 9:57:06 PM

কিভাবে এমপির বিরুদ্ধে মামলা চালাব?

Saturday, October 3, 2015 || Time : 10:37:12 AM

http://theglobalnews24.com/details.php?id=55241/





__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___