Banner Advertiser

Sunday, January 10, 2016

[mukto-mona] Fwd: প্রকাশের জন্যে-



'বাংলাদেশকে শুধু উন্নত হলে চলবে না, মুক্ত হতে হবে'

স্বাগত ২০১৬। বিদায়ী বছরের একেবারে শেষে দু'টি সু-সংবাদ সবাইকে দেশ সম্পর্কে আরো আশাবাদী করবে। এরমধ্যে একটি হলো উপজেলা নির্বাচন এবং অপরটি ব্লগার রাজীব হত্যার বিচার। টুকটাক ভিন্নমত থাকলেও উপজেলা নির্বাচন আশার সঞ্চার করেছে যে দেশে সুষ্টু নির্বাচন সম্ভব। আর রাজীব হত্যা মামলার রায়ে অনেকে অখুশি হলেও  এসত্য প্রমাণিত যে সরকার ব্লগার হত্যার বিচারে অনাগ্রহী নন। নুতন বছরে জব্বর খবর হলো খালেদা জিয়ার শিল্পমন্ত্রী যুদ্ধাপরাধী নিজামীর ফাঁসীর রায় বহাল। আরো একটি সু-সংবাদ যে, এটর্নী জেনারেল বলেছেন, চান্দু মিয়ার, মানে যাকে চাঁদে দেখা গেছে, তার রায়ের রিভিউ'র জন্যে আবেদন করবেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, পদ্মাসেতু ইত্যাকার দৃষ্টান্ত টেনে এনে আরো বলা যায়, একটি সুন্দর দেশের জন্যে প্রতিটি হত্যার বিচার যেমনি দরকার, তেমনি দরকার অগ্রগতি এবং একইসাথে প্রয়োজন গণতন্ত্র ও মানবিক উন্নয়ন। মানবিক উন্নয়নের কথাটা এজন্যে বললাম যে, গেল বছরের শেষ দিনে ঢাকার একটি টিভি অনুষ্ঠানে একজন সাধারণ মানুষ বললেন যে, 'দিনে পাঁচ হাজার কথা বললে দেশের মানুষ নাকি সাঁড়ে তিন হাজারই মিথ্যা বলে'!

প্রায়শ: এ গল্পটি আমি বলি: বাংলাদেশের একজন মানুষকে যদি বলা হয় 'আপনাকে আমেরিকা বা সৌদী আরবে থাকার স্থায়ী সুযোগ দেয়া হলে  আপনি কোথায় যাবেন'? আমার ধারণা নিরানব্বই শতাংশ মানুষ আমেরিকায় আসার পক্ষে মত দেবেন। এর কারণ হলো গণতন্ত্র। গণতন্ত্র আছে বলে আমেরিকা একজন মানুষকে মানুষ হিসাবে সন্মান করে। আর গণতন্ত্রের অভাবে সৌদিরা আমাদের 'মিসকিন' হিসাবে ট্রিট করে। পাকিস্তান আমলের একেবারে শেষের দিকে আমি একবার আগরতলা গেলে হটাতই আমার নিজেকে মুক্ত মনে হয়েছিলো, যেন প্রানভরে নিঃশ্বাস নিয়েছিলাম। তখন ভেবেছিলাম হয়তো 'হিন্দুস্থান' বলে এমত মনে হয়েছে, পরে বুঝেছি আসলে তা নয়, ওটা গণতন্ত্র। গণতন্ত্র মানুষকে মুক্ত করে। বাংলাদেশকে তাই শুধু উন্নত হলেই চলবে না, মুক্ত হতে হবে এবং এজন্যে নির্ভেজাল গণতন্ত্র চাই।  

​মিডিয়ায় দেখলাম বাংলাদেশের ৮২% মানুষ 'শরিয়া' আইনের পক্ষে মতামত ব্যক্ত করেছেন। ৮০% বলেছেন তারা অন্যদের সাথে থাকতে চাননা! এই সময়ে পৃথিবীতে যেসব দেশে শরিয়া চালু আছে, আর যেসব দেশে গণতন্ত্র আছে এর একটা তুলনামূলক চিত্র পাশাপাশি তুলে ধরলে মানুষের পক্ষে বুঝতে সুবিধা হতো। যে কারণে একজন মানুষ সৌদিতে থাকতে চাইবেন না, একই কারণে তিনি বাংলাদেশেও শরিয়া আইন চাইতে পারেন না। ​সৌদি আরব ২০১৫ সালে ১৫৭ জনের শিরচ্ছেদ করেছে। ২০১৬-র শুরুতে একদিনে ৩৪জনের শিরচ্ছেন করেছে এবং এনিয়ে বিতন্ডায় ইরান-সৌদি আরব এখন যুদ্ধের মুখোমুখি। দু'টো দেশেই ইসলাম বেশ পাকাপোক্তভাবে আছে, তবু কেন তাদের মধ্যে ঝগড়া? কারণ ধর্ম দিয়ে রাষ্ট্র চলেনা। এযুগে রাষ্ট্র ব্যবস্থায় ধর্ম অচল।

বাংলাদেশের অবস্থা অনেকটা গোজাখিচুরীর মত, রাষ্ট্রধর্মও আছে, আবার গণতন্ত্রও আছে! অথবা কোনটাই নাই। কারণ, ধর্ম এবং গণতন্ত্র একসাথে  চলেনা। আর ধর্ম নিয়েই যদি থাকবো, তবে পাকিস্তান থেকে বেরিয়ে আসার দরকারটা কি ছিলো? রাষ্ট্রে ধর্মের অনুপ্রবেশ ঘটলে রাজনীতি থাকেনা, কারণ সবকিছু তখন ধর্মের বাতাবরণে চলে। এজন্যে মুসলিম বিশ্বে কোন রাজনীতিক নেই। রাজা আছে, বাদশা আছে, কিন্তু রাষ্ট্রনায়ক নেই। এজন্যেও রাশিয়া-আমেরিকা মিলে ইরানের ইউরেনিয়াম নিয়ে যেতে পারে, আনবিক বোমা নিয়ে পাকিস্তানকে আমেরিকার পায়ের কাছে বসে থাকতে হয়! ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান স্বাধীন হয়েছিলো, গণতান্ত্রিক ভারত এখন বিশ্বের ষষ্ট শক্তিধর দেশ, আর ধর্মভিত্তিক দেশ পাকিস্তান আজ বেঁচে আছে আমেরিকার প্রয়োজনে বা দয়ায়!

বাংলাদেশেও ধর্ম যত জেঁকে বসছে, অশান্তি ততই বাড়ছে। উন্নতি হচ্ছে, কিন্তু দেশ বসতির অযোগ্য হয়ে যাচ্ছে। সৌদি আরবও উন্নত, কিন্তু বসবাসের অযোগ্য। প্রায় সবগুলো ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রেরই একই অবস্থা, এবং ঐসব দেশের নাগরিকরা সুযোগ দিলে সবাই পশ্চিমা দেশে বা আমেরিকায় পাড়ি জমাবে। তারপরও ধর্মীয় রাষ্ট্র চাই? মাত্র গতকাল প্রগতিশীল ক'জনার সাথে কথা বলছিলাম, তাদের জিজ্জাসা করলাম, আপনি কি আপনার ২০ বছরের মেয়েকে একা ঢাকা, রিয়াদ, তেহরান পাঠাবেন? পাকিস্তান তো অবশ্যই নয়! উত্তরটা আমিই দিয়ে বললাম, আমি তো পাঠাবোই না, আপনারাও পাঠাবেন না। তবে আমরাই কিন্তু আমাদের মেয়েটাকে লন্ডন, প্যারিস বা বার্লিনে পাঠাবো। সবাই সায় দিলেন, তখন জিজ্জাসা করলাম, এর কারণ কি? ৩১শে ডিসেম্বর ২০১৫ রাতে জার্মানীতে যা হয়েছে তা বলে আর কাউকে লজ্জা দিতে চাইনা! কেউ হয়তো বলতে পারেন, উন্নত দেশের মানুষ কি ধর্ষণ করেনা? করে, তবে ধর্ষিতা বিচার পায়। আর সৌদি আরবে প্রায়শ: ধর্ষিতাকেই দন্ডিত করা হয়। বাংলাদেশও কি সৌদি শাসন ব্যবস্থা চায়? 

একসময় দাসপ্রথা ছিলো। একদা সতীদাহ ছিলো। এখন ওগুলো নেই, বা ঐসব ফিরিয়ে আনার কথা কেউ চিন্তা করেনা। আধুনিক উন্নত গণতান্ত্রিক বিশ্বে তাই শরীয়াও অচিন্তনীয়। সমস্যা হলো, আমাদের দেশের মানুষকে কেউ এসব বোঝায় না, কিন্তু উল্টোটা যাদের বোঝানোর কথা তারা থেমে নেই, তাই ৮২% মানুষ শরিয়ার পক্ষে মত দিতে পারে। শরিয়া যে এযুগে অচল একথাটা তো মানুষকে বোঝাতে হবে! গতকাল একই বৈঠকে আরো বলেছিলাম, এই মুহুর্তে যদি ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত খুলে দিয়ে বলা হয়, লাহোর ও অমৃতসরের মানুষ ইচ্ছে করলে সকল সুযোগ-সুবিধাসহ এদেশ থেকে ওদেশে গিয়ে স্থায়িনিবাস গড়তে পারবেন। ফলাফল বোধকরি, অমৃতসর থেকে একজন হিন্দু-শিখ লাহোর যাবেননা, মুসলমানরাও হয়তো কেউ যাবেন না, বা গেলেও সেই সংখ্যাটা হবে একেবারে নগন্য। পক্ষান্তরে লাহোর অর্ধেক খালি হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকবে উজ্জ্বল। এর কারণও গণতন্ত্র, কারণ গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা মানুষকে মানুষ হিসাবে বাঁচার সুযোগ দেয়, যা ধর্ম বা কমিউনিজম দেয়না।

যাহোক, ৮ই ডিসেম্বর ঢাকায় সুলতানা কামাল এক সাংবাদিক সন্মেলনে বলেছেন যে মন্ত্রী ও সাংসদরা হিন্দুদের বাড়ীঘর-জমিজমা দখল করছেন। তিনি নুতন কোন কথা বলেননি বা সত্য কথাই বলেছেন, প্রশ্নটা হলো ২০১৬-তেও কি একই ধারা চলবে?

শিতাংশু গুহ, কলাম লেখক।
নিউইয়র্ক। ১০ই জানুয়ারী ২০১৬।





__._,_.___

Posted by: Sitangshu Guha <guhasb@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___