আমাদের সময়.কম
আমিন ইকবাল : পারিবারিক জীবনে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া লেগেই থাকে। একটু ভুল বোঝাবুঝি কিংবা সামান্য অপরাধেই শুরু হয় রাগারাগি, রেষারেষি। জন্মা নেয় মান-অভিমানও। অনেক স্বামী তখন স্ত্রীকে শাসন করতে চান। প্রয়োজনে মারধরও করেন। কিন্তু তিনি কি জানেন " স্ত্রীকে কতটুকু শাসন করার অধিকার দিয়েছে ইসলাম?"
হাদিসের বর্ণনা অনুয়ায়ী নারীগণ বক্র স্বভাবের হয়ে থাকে। তাদেরকে একেবারে ছেড়ে দিলে বক্রই থেকে যাবে, আবার অতিরিক্ত কড়া শাসন করতে চাইলে ভেঙে যাবে। তাই নারীদের একটু-আধটু শাসন করতে হবে এবং শাসনের ক্ষেত্রে মধ্যপন্থা অবলম্বন করতে হবে। হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সা. বলেন " 'তোমরা নারীদের সঙ্গে সদ্ব্যহার করবে। কেননা তাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে পাঁজরের হাড় থেকে এবং সবচেয়ে বাঁকা হচ্ছে পাঁজরের ওপরের হাড়। যদি তুমি তা সোজা করতে যাও, তাহলে তা ভেঙে যাবে। আর যদি যেভাবে আছে সেভাবে রেখে দাও তাহলে বাঁকাই থাকবে। অতএব, তোমাদেরকে উপদেশ দেয়া হলো নারীদের সঙ্গে সদ্ব্যহার করার।" [বুখারি : ৫১৮৫, ৫১৮৬, ৩৩৩১, সহিহ মুসলিম : ৩৫৩৯]।
হাদিসের মর্মার্থ হলো " তাদেরকে সংশোধনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। তবে পূর্ণ সংশোধন হবে এমন আশা করাটা হবে বোকামি।"
এক্ষেত্রে ইসলামের বক্তব্য হলো "স্ত্রী অবাধ্য হলে প্রথমে তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে এবং উপদেশ দিয়ে সংশোধন করার চেষ্টা করতে হবে। এতে কাজ না হলে" বিছানা ত্যাগ করতে হবে। (বিছানা ত্যাগ মানে " স্ত্রীর পাশে না শুয়ে পাশের কোনো খাট, ফ্রোর কিংবা একই বিছানায় ভিন্ন দিকে ফিরে ঘুমানো)। এতেও সমাধান না হলে "প্রয়োজনে কিছুটা মারধর করা যাবে।"
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, 'পুরুষেরা নারীদের উপর কর্তৃত্বশীল এজন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে। আর যাদের মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা কর, তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর। যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে তাদের জন্য অন্য কোনো পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সবার উপর শ্রেষ্ঠ।' [সুরা নিসা : আয়াত- ৩৪]। এ তিনটি বিষয়ের মধ্যে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা উচিত। প্রথমে বোঝাতে হবে কিংবা উপদেশ দিতে হবে। বোঝানো এবং উপদেশ দেয়া ছাড়া বিছানা ত্যাগ করা যাবে না। আবার বিছানা ত্যাগ ছাড়া মারধর করাও যাবে না।
মারধর করার ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে " মারধরের অর্থ নির্যাতন করা নয়, তাকে কষ্ট দেয়া নয়, তাকে লাঞ্ছিত করা নয় বরং তার আত্মমর্যাদায় আঘাত দিয়ে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা।" এজন্যই ইসলাম বিশেষজ্ঞগণ শর্ত করেছেন "শরীরে প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়" এমন মারধর করা যাবে না, চেহারা বা স্পর্শকাতর স্থানেও মারা যাবে না। মারবে রুমাল, পেঁচানো কাপড় কিংবা মেসওয়াক দিয়ে। তবে এতটুকু মারধর ইসলামে অনমূদিত থাকলেও শাসনের জন্য সেটা পছন্দনীয় পন্থা নয়। হজরত রাসুল সা. বলেছেন 'ভালো লোক এমন করে না'।
শাসন করতে গিয়ে অনেকে রাগের বশত বাড়াবাড়ি করে ফেলেন। ফলে হিতে বিপরীত হয়। পরবর্তীতে নিজেকেই লজ্জিত হতে হয়। এ থেকে বাঁচার উপায় হলো "ঠিক রাগের মুহূর্তে কিছু বলবেন না বা করবেন না। কী কী শব্দ বা কোন ধরনের ভাষায় বকাঝকা করবেন" তা ঠিক করে নিন। বকাঝকা বা প্রহার করার আগে চিন্তা করুন" তার সাথেই আবার অনেক কিছু করতে হবে, তখন যেন লজ্জা না পেতে হয়।
আমাদের মনে রাখা উচিতÑ স্বামী শাসক আর স্ত্রী শাসিত নয়। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কটা শাসক-শাসিতের নয়, বরং সম্পর্কটা হলো ভালোবাসার, মায়া-মমতার। অতএব কোনো শাসনই যেন ভালোবাসার দাবি সরিয়ে নিছক রাগ ও ক্ষোভ চরিতার্থের জন্য না হয়! সবশেষে বলবÑ স্ত্রীকে শাসন নয়, ভালোবাসায় জড়িয়ে রাখুন আজীবন।
Is Islam misogynistic religion? Not at all.
"Early Islam sought to elevate women and define them as independent agents possessed of free will, responsible for their own actions and imbued with certain rights over men."
There are misogynistic people in all sects of life regardless of their believes. There are extreme feminists too.
"The more famous and powerful I get the more power I have to hurt men."
Please consider looking at a broader sense instead of putting Muslims always in hot water and giving free rides to other culprits.
Misogyny is a human nature intertwined with the culture. A common sense approach can stop the frequent clashes which are frequently triggered by superiority complex.
Regards,
Syed
__._,_.___