Banner Advertiser

Tuesday, January 5, 2016

[mukto-mona] Re: {PFC-Friends} রাজনীতিতে কেন এই ভারতনির্ভরতা?



An unhappy BNP-wallah writes:  অপ্রিয় হলেও সত্য, আওয়ামী লীগের মতো বিএনপিও এখন মনে করতে শুরু করেছে দিল্লির সমর্থন ছাড়া রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব নয়। আসলে কি তাই? >>> . . . . .


What a pity! The guy is heartbroken <<  হেফাজতে ইসলামসহ ইসলামী ধারার দলগুলোকে ধরে রাখার কোনো পদক্ষেপ দলটি কি নিয়েছে? আওয়ামী লীগের শাসনামলের ৭ বছর ধরে নানাভাবে দেশের আলেম-ওলামা, মাদ্রাসা ছাত্র-শিক্ষক, পীর মশায়েখসহ তৌহিদি জনতা নিগৃহীত ও লাঞ্ছিত হচ্ছেন। তাদের ওপর জুলুম-নির্যাতন করা হচ্ছে ফ্রি স্টাইলে। মাদ্রাসা শিক্ষার ওপর বিষ ছড়ানো হচ্ছে। ধানের শীষের ভোটব্যাংকখ্যাত বিপদগ্রস্ত এই আলেম ও মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের পাশে কি দলটি দাঁড়িয়েছে, খোঁজখবর নিয়েছে, সহানুভূতি দেখিয়েছে? দিল্লির অনুকম্পায় ক্ষমতায় যাওয়ার সুবিধাবাদী কৌশল বিএনপিকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে?   >>

http://www.dailyinqilab.com/details/48548/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%8F%E0%A6%87-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AD%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BE?


 

From: pfc-friends@googlegroups.com <pfc-friends@googlegroups.com> on behalf of Zoglul Husain <zoglul@hotmail.co.uk>
Sent: Monday, January 4, 2016 6:33 PM
To: Zoglul Husain
Subject: {PFC-Friends} রাজনীতিতে কেন এই ভারতনির্ভরতা?
 
রাজনীতিতে কেন এই ভারতনির্ভরতা?
Forwarding to you the following:

রাজনীতিতে কেন এই ভারতনির্ভরতা? 
By স্টালিন সরকার 
Daily Inqilab
২০১৬-০১-০২   (2 January 2016)

দেশের রাজনীতিতে ভারতনির্ভরতা বাড়ছে। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে সৃষ্ট দেশে জাতীয়তাবাদী ধারার রাজনীতির পাশাপাশি পিকিংপন্থী, মস্কোপন্থী, মার্কিনপন্থী, দিল্লিপন্থী, পাকিস্তানপন্থী, সউদিপন্থী, শিউলপন্থীসহ নানামুখী রাজনীতির চর্চা হতো। জোটগত রাজনীতির কারণে বর্তমানে দেশের দলগুলো দুই ধারায় বিভক্ত।ভারতের কংগ্রেসের সঙ্গে বিরাজমান বন্ধুত্বে আওয়ামী লীগ বরাবরই দিল্লিমুখী রাজনীতিতে অভ্যস্ত। প্রকাশ্যে সেটা স্বীকার করে। অন্যদিকে জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী বিএনপি দেশমাতৃকার রাজনীতির বদলে হঠাৎ বিদেশনির্ভরশীল হওয়ায় কার্যত দেশের সব রাজনীতি হয়ে পড়েছে দিল্লির আজ্ঞাবাহী। কেউ প্রকাশ্যে, কেউ পর্দার আড়ালে দিল্লিকে খুশি রাখতে ব্যতিব্যস্ত। জাতীয়তাবাদী রাজনীতির এ কেমন চরিত্র? প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারত ৪৪ বছরেও বন্ধুত্বের পরিচয় দিতে পারেনি। অথচ ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদ করার দলও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। জাতীয় স্বার্থ, সীমান্ত হত্যা, তিস্তার পানি, টিপাই মুখে বাঁধ, ট্রানজিট, এমনকি ভারতের ইয়াবা-ভায়াগ্রা আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিবৃতি দেয়ার দল পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। ক্ষমতার রাজনীতিতে বড় দুই দলের এই দিল্লি তোষণের প্রতিযোগিতা কি দেশের জনগণের ওপর শুধুই আস্থাহীনতা? নাকি এর পেছনে অন্য রহস্য? রাজনৈতিক দলগুলোর এই দিল্লি তোষণনীতি 'এক সাগর রক্তের বিনিময়ে' স্বাধীন বাংলার নতুন প্রজন্মকে কী বার্তা দিচ্ছে? আমরা কি আত্মনির্ভরশীলতার বদলে পরমুখাপেক্ষী হয়ে যাচ্ছি? কাজী লেন্দুপ দর্জির রাজনৈতিক কৌশল গ্রহণ করছি? নাকি ১৭৫৭ সালের সেই বিয়োগাত্মক পরিণতি ভুলে গেছি? নতুন প্রজন্মকে কোথায় পাঠাচ্ছি? বাংলাদেশের মানুষের মতো 'রাজনীতি সচেতন' এবং 'রাজনীতি পাগল' মানুষ বিশ্বের কম দেশেই রয়েছে। ২৫ মার্চ কালরাতে হত্যাযজ্ঞের পর এমপি-নেতারা যখন প্রাণ বাঁচানোর জন্য পালাতে ব্যস্ত, তখন সাধারণ মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সেনাবাহিনী-বিডিআর-পুলিশ-আনসার-কৃষক-শ্রমিক-ছাত্র-শিক্ষক-দিনমজুর-রিকশাচালক-মসজিদের ঈমাম মুয়াজ্জিম-নৌকার মাঝি-পেশাজীবী-শ্রমজীবী মানুষ মুক্তিযুুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। মানুষ রাজনীতি সচেতন হওয়ায় এখনো গণতন্ত্র বলতে 'ভোট' বোঝেন। ভোটকে নাগরিক 'অধিকার' এবং নির্বাচনকে মানুষ 'উৎসব' মনে করেন। ভোটের অধিকার হারানোয় ক্ষমতাসীনদের উন্নয়নের ম-া-মিঠাই মানুষের মন গলাতে পারছে না। কবি-শিল্পীরা দেশমার্তৃকায় উদ্বুদ্ধ হয়ে 'এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা/ আমরা তোমাদের ভুলব না'র মতো হাজারো কালজয়ী দেশাত্মবোধক গান রচনা করেছেন। রক্তের বিনিময়ে সৃষ্ট সেই সুজলা-সুফলা শস্য-শ্যামলা বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো এখন কোন পথে? একসময় পাকিস্তানের পিন্ডী ও ভারতের দিল্লির রক্তচক্ষুকে 'খামোশ' হুংকারে থামিয়ে দেয়ার নেতা ছিলেন। এখন? ক্ষমতার লোভে জাতীয়তাবাদকে সিঁকেয় তুলে 'দিল্লি তোষণনীতি' যেন রাজনৈতিক দলগুলোর চলার 'পাথেও' হয়ে গেছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভারতপ্রীতি ঐতিহাসিক। আর বিএনপি দিল্লির আগ্রাসী নীতির বিরোধিতার কর্মসূচি নিয়ে আত্মপ্রকাশ করলেও এখন ক্ষমতায় যাওয়ার বাসনায় পর্দার আড়ালে 'দিল্লি তোষণনীতি' গ্রহণ করছে। কোন দল দিল্লির বেশি আজ্ঞাবাহী ভেতরে ভেতরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সে প্রতিযোগিতা চলছে। প্রশ্ন হলো বড় দুই দলের দিল্লির আজ্ঞাবাহী চেতনায় দেশের সার্বভৌমত্বের ভবিষ্যত কী?নতুন প্রজন্ম কোন চেতনায় উদ্বুদ্ধ হবেন? মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কি দিল্লিনির্ভরশীলতাকে প্রশ্রয় দেয়? নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের সময় ভারত তোষণনীতি থেকে সরে আসতে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান দেশের বিশিষ্ট নাগরিকেরা। তাদের অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরে সম্পাদিত চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ হয়েছে উপেক্ষিত। ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে ভারত সরকারের সমর্থনের বিনিময়ে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অমীমাংসিত বিষয় বাদ দিয়ে দিল্লির সব চাহিদা একে একে মিটিয়ে দেয়া হচ্ছে, এমন অভিযোগ তারা তোলেন। শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমাদের শাসক দুর্বল আর নতজানু হওয়ায় রাষ্ট্র জনগণের স্বার্থ রক্ষা করতে পারছে না। প্রতিরোধের জাতীয়তাবাদ হারিয়ে গেছে। জনসমর্থন হারিয়ে সরকার ফ্যাসিবাদে পরিণত হওয়ায় যুবসমাজ বিপথগামী হচ্ছে। সংস্কৃতি হচ্ছে জনগোষ্ঠীর মেরুদ-। হিন্দির আগ্রাসনে সেই মেরুদ- ভেঙে দেয়া হচ্ছে। অধ্যাপক আকমল হোসেন বলেন, তিস্তার পানি নেই। অথচ শাসকরা পরিকল্পিতভাবে ভারতকে তুষ্ট রাখছে। স্বল্প কথায় দুই শিক্ষাবিদের মর্মার্থ বর্তমান রাজনীতির বাস্তবতা। আওয়ামী লীগ সব সময় দিল্লি তোষণনীতি গ্রহণ করলেও জাতীয় স্বার্থ ও গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোতে বিএনপি প্রতিবাদী ছিল। দিল্লির আগ্রাসী নীতির বিরোধিতা করায় বিএনপি দেশের জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী মানুষ, সংগঠন, প্রতিষ্ঠানগুলোর সমর্থন ও ভোট পেয়ে আসছে। কিন্তু হঠাৎ করেই যেন পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। বামধারা ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কিছু দল ছাড়া ভারতের আগ্রাসী নীতির বিরোধিতা করার এখন কণ্ঠ নেই। অপ্রিয় হলেও সত্য দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা, তিস্তার পানির হিস্যা, টিপাইমুখে বাঁধের বিরোধিতা, সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদ, কারণে-অকারণে বাংলাদেশের ভূখ-ে বিএসএফের প্রবেশ, সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করে চারদেশীর সড়কের নামে ট্রানজিট দেয়া, সমুদ্রবন্দর ভারতকে ব্যবহার করতে দেয়া, বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বিদ্যুতের লাইন ভারতের নিয়ে যাওয়া, হিন্দি-হিন্দুত্ববাদী সংস্কৃতির আগ্রাসন প্রতিরোধে ডাক দেয়ার কণ্ঠ যেন নিঃশেষ হয়ে গেছে। এমনকি এক বছরে ৭০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার, ভয়াবহ দুর্নীতি, সরকারের ভুল নীতির কারণে জিএসপি না পাওয়া, হলমার্ক, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারিরও প্রতিবাদ করা হয় না। মুক্তিযুদ্ধের 'চেতনা' আর 'জাতীয়তাবাদ' কি দিল্লির পদতলে মাথা ঠেলে দেয়া? ভারত ও পাকিস্তানের ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনৈতিক দলগুলো আদর্শ নীতি-নৈতিকতায় বিপরীতমুখী। অথচ জাতীয় স্বার্থে তারা সবাই এক এবং অভিন্ন থাকেন। সোনিয়া ছুটে যান মোদির বাসায় এবং নেওয়াজ শরিফের অফিসে ছুটে যান বেনজির ভুট্টোর অনুসারীরা। ভারতের দাদাগিরিকে থোরাই কেয়ার করে হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র থেকে সংবিধান সংশোধন করে নেপাল ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে রূপলাভ করেছে। ভারতের আগ্রাসী নীতির বিরুদ্ধে দেশমার্তৃকায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নেপালের রাজনৈতিক দলগুলো ঢাল-তরোয়ালবিহীন অবস্থায় ঐক্যবদ্ধ যুদ্ধ করছে। মালে সফরে গিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের বক্তব্যে দেয়ার পর তার তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে মালদ্বীপ সরকার। মালে সফরে সুষমাকে তেমন গুরুত্বই দেয়া হয়নি। অথচ রক্ত দিয়ে লেখা নাম 'বাংলাদেশের' চিত্র উল্টো। ১৯৭২ সালের ১৯ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ইন্দিরা গান্ধীর মধ্যে 'ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী চুক্তি' স্বাক্ষর করা হয়। সেই চুক্তির বিষয় ছিল দুই দেশের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, পারস্পরিক সহযোগিতা, আঞ্চলিক অখ-তা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান প্রদর্শন। কিন্তু ভারত চুক্তির কোনো শর্তই রক্ষা করেনি। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ বেরুবাড়ি ভারতকে ছেড়ে দেয়। ওই চুক্তি অনুযায়ী ৪৪ বছর পর ছিটমহল বিনিময় হলেও এখনো তিনবিঘা করিডোর দেয়নি ভারত। ফলে এ চুক্তিকে মওলানা ভাসানী থেকে শুরু করে বিএনপিসহ দেশপ্রেমী দলগুলো 'গোলামি চুক্তি' আখ্যা দেয়। ১৯৯৭ সালের ১৮ মার্চ সেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়। ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ওই বছরের ১২ ডিসেম্বর জ্যোতিবসুর মধ্যস্থতায় দিল্লিতে ৩০ বছর মেয়াদি 'গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি' স্বাক্ষরিত হয়। পহেলা জানুয়ারি ১৯৯৭ থেকে এ চুক্তি কার্যকর হয়। এই চুক্তিও কার্যকর করেনি ভারত। পদ্মায় পানির ন্যায্য হিস্যা মেলেনি। যার জন্য খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি, বামধারা ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী দলগুলো এই চুক্তিকে 'দাসত্ব চুক্তি' আখ্যা দেয়। ভারতের স্বার্থে ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যকার তথাকাথিত 'উন্নয়ন সম্পর্ক' সব ক্ষেত্রেই দলটি দিল্লির দাদাগিরি নীতির বিরোধিতায় ছিল। দেশের শতকরা ৮০ ভাগ মানুষের মনোভাব তাই। কিন্তু হঠাৎ করে দলটি ভারতের আগ্রাসী নীতির বিরোধিতার মনোভাব থেকে সরে এসে দিল্লি তোষণনীতি গ্রহণ করে। অমিত শাহ-খালেদা জিয়ার ফোনালাপ, নির্বাচনে বিজেপির বিজয়ে অতি উৎফুল্লতার মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে। প্রশ্ন হলো বিএনপির কেন এই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে দাঁড়ানো? ধর্মনিরপেক্ষতা থেকে হিন্দুত্ববাদে ফিরে যাওয়ার পথে ভারতের শাসকরা কি বিএনপিকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসাবে? অপ্রিয় হলেও সত্য, আওয়ামী লীগের মতো বিএনপিও এখন মনে করতে শুরু করেছে দিল্লির সমর্থন ছাড়া রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব নয়। আসলে কি তাই? ঐতিহাসিক কারণে আওয়ামী লীগ ভারতের ওপর নির্ভরশীল। দলটির কর্মকৌশল ভারতকে খুশি রেখেই করা হয়। দলটি যখনই ক্ষমতায় এসেছে নানাভাবে দেশের স্বার্থের চেয়ে ভারতের স্বার্থকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করেছে। যার কারণে বিগত কংগ্রেস সরকার ২০১৪ সালের ৫ জানুুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে সব ধরনের সহায়তা করেছে। দেশটির পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং ঢাকায় এসে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসানোর লক্ষ্যে সবাইকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তাব দেন। ভারতের সদ্যবিদায়ী ঢাকাস্থ হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য হলো, 'ভারত মনে করে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন সংবিধানের ধারাবাহিকতার জন্য অপরিহার্য ছিল।' ভোটারবিহীন নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের পক্ষে বিশ্বের দেশে দেশে দিল্লির শাসকরা দূতিয়ালি করেছে। আওয়ামী লীগ নেতাদের মুখে 'সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যা নয়; গরু ব্যবসায়ীদের হত্যা করা হয়েছে' ট্রানজিটে মাশুল নেয়া হবে 'অসৌজন্যমূলক', ভারতই বাংলাদেশ স্বাধীন করে দিয়েছে ইত্যাদি বক্তব্য দিয়ে নতজানুতার প্রমাণ দিয়েছে। এসব কারণে দেশের মানুষ মনে করে, আওয়ামী লীগ দিল্লির মুখাপেক্ষী দল। কিন্তু জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী বিএনপি? এ দলটি কি দেশের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা আর মননের খবর রাখে? বিগত ৭ বছরে বিএনপির কয়টি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে জনগণের স্বার্থ ছিল? বিএসএফের সীমান্ত হত্যায় তারা মুখে কুলুপ এঁটে থাকেন। দিল্লি অখুশি হতে পারে এমন আশঙ্কায় ভারতের মন্ত্রীদের মুসলিমবিদ্বেষী উসকানিমূলক বক্তব্যের পরও থাকেন নীরব। দিল্লিকে খুশি করতে এখন দলটির নীতিনির্ধারকরা সদা ব্যস্ততায় বলে দেন, কার্যত তারাও এখন জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে নেই। দিল্লির মুখাপেক্ষী হয়েছেন ক্ষমতায় যাওয়ার মোহে। দেশে যখন আওয়ামী লীগের ধর্মনিরপেক্ষতা ও বাঙালি জাতীয়তাবাদের তোড়জোড়, তখন জিয়াউর রহমান 'বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের দর্শন' নিয়ে হাজির হন (বাঙালি জাতীয়তাবাদ হলো বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ-আসাম-ত্রিপুরার বাংলা ভাষাভাষীদের সমন্বয়ে। আর বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ হলো শুধু বাংলাদেশে বসবাসরত বাংলা ভাষাভাষীদের)। দেশের মানুষ জিয়ার সে নতুন দর্শন গ্রহণ করে এবং জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান হিসেবে রাজনীতিতে এসেও অল্প সময়ের মধ্যেই জনগণের নেতায় পরিণত হন। জিয়ার সেই বিএনপির একি হাল! ৯ বছর ধরে বিএনপি ক্ষমতার বাইরে। এ সময়ে পদ্মা-মেঘনা-যমুনা-তিস্তা-বুড়িগঙ্গায় অনেক পানি গড়িয়েছে। অনেক শিশু-কিশোর বুঝতে শিখেছে, নতুন ভোটার হয়েছে, তরুণ-যুুুুুবকরা ভোটার হয়েছে, কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করেছেন কোটি কোটি নাগরিক। ড. ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দিনের দুর্নীতিবিরোধী জামানার পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ব্যবহার করে ৭ বছরে নানাভাবেই অগ্রসর হয়েছে। 'দিল্লি ছাতা' মাথায় রেখেই তারা এগিয়ে যাচ্ছে এবং আগামীর ভবিষ্যৎ নির্মাণ করছে। ক্ষমতার বাইরে থেকেও দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় বিএনপি কী করেছে? কোটি কোটি নতুন ভোটারদের কাছে জিয়ার আদর্শ তুলে ধরার কি চেষ্টা করেছে? এদেশের মানুষের রন্ধ্রে রন্ধ্রে জাতীয়তাবাদী দেশপ্রেম ও ইসলামী মূল্যবোধ। এসব মানুষ বিএনপির সমর্থক হওয়ায় আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মসূচিই হলো বিএনপির বিরোধিতা করা এবং দলটি সম্পর্কে সত্য-মিথ্যা নেতিবাচক ধারণা তুলে ধরা। এ কাজে তারা মিডিয়াকে ব্যবহার করছে এবং অর্থকড়ি দিয়েই হাজার হাজার বুদ্ধিজীবী-সুশীল সমাজ-শিক্ষাজীবী-পেশাজীবী-সংস্কৃতিসেবীকে মাঠে নামিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে 'চেতনা'কে পুঁজি করে এগিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি কি সেটাকে মোকাবিলা করার কোনো উদ্যোগ নিয়েছে? আওয়ামী লীগ তাদের ভোটব্যাংক সংখ্যালঘুদের ধরে রাখতে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে। নানামুখী সুবিধা দিচ্ছে সংখ্যালঘুদের। আওয়ামী লীগের ভারতপ্রীতি পছন্দ করেন না এমন নাগরিকরা বিএনপির ভোটব্যাংক হিসেবে পরিচিত। তাদের জন্য বিএনপি কী করেছে? হেফাজতে ইসলামসহ ইসলামী ধারার দলগুলোকে ধরে রাখার কোনো পদক্ষেপ দলটি কি নিয়েছে? আওয়ামী লীগের শাসনামলের ৭ বছর ধরে নানাভাবে দেশের আলেম-ওলামা, মাদ্রাসা ছাত্র-শিক্ষক, পীর মশায়েখসহ তৌহিদি জনতা নিগৃহীত ও লাঞ্ছিত হচ্ছেন। তাদের ওপর জুলুম-নির্যাতন করা হচ্ছে ফ্রি স্টাইলে। মাদ্রাসা শিক্ষার ওপর বিষ ছড়ানো হচ্ছে। ধানের শীষের ভোটব্যাংকখ্যাত বিপদগ্রস্ত এই আলেম ও মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের পাশে কি দলটি দাঁড়িয়েছে, খোঁজখবর নিয়েছে, সহানুভূতি দেখিয়েছে? দিল্লির অনুকম্পায় ক্ষমতায় যাওয়ার সুবিধাবাদী কৌশল বিএনপিকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে? 'মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে, বয়সের মধ্যে নহে' কবির এ পঙ্্ক্তি যথার্থই। জীবিত না থাকলেও কর্মের কারণেই আমাদের মাঝে এখনো বেঁচে রয়েছেন কবি নজরুল ইসলাম, রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর, একে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, জওহরলাল নেহারু, করমচাঁদ গান্ধী, ইন্দারা গান্ধী, কাজী লেন্দুপ দর্জি, নবাব সিরাজ-উদ-দৌল্লা, মীর জাফর, জগৎ শেঠ, খন্দকার মোসতাকসহ হাজারো দেশবরেণ্য বিশিষ্টজন। তারা স্বমহিমায় অবস্থান করছেন মানুষের হৃদয়ে। এই ব্যক্তিত্বদের কাকে কীভাবে মানুষ স্মরণ করছে? কাজী লেন্দুপ দর্জির পরিণতির কথা মনে পড়ে? লেন্দুপ দর্জির সিকিম এখন ভারতের ২৮তম প্রদেশ। অথচ ব্রিটিশ থেকে উপমহাদেশ স্বাধীনতা পাওয়ার পর গণভোটে সিকিমের মানুষ ভারতের অধীনে না থাকার পক্ষে রায় দিলে জওহরলাল নেহেরু সিকিমকে স্বাধীনতা দিতে বাধ্য হন। পরবর্তীকালে ভারতের প্রধানমস্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সিকিমকে ভারতের অধীনে নেয়ার আগ্রাসী নীতি গ্রহণ করেন। তিনি কাজে লাগান সিকিমেরই প্রধানমন্ত্রী কাজী লেন্দুপ দর্জিকে। ১৯৭৪ সালের নির্বাচনের আগে লেন্দুপের সিকিম ন্যাশনাল কংগ্রেস (এসএনসি) ভারতের ইশারায় সারাদেশে অরাজকতা, বিরোধী দলের লোকজনকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশে অস্থিরতার সৃষ্টি করে। ওই বছর নির্বাচনে ভারতের সহায়তায় লেন্দুপের দল ৩২ সংসদীয় আসনের মধ্যে ৩১টি আসন পায়। লেন্দুপ দর্জি একদিকে সিকিমের জনগণের কাছে স্লোগান দেয়, 'গণতন্ত্রের সংগ্রাম চলবে।' অন্যদিকে তারই সহায়তায় সিকিমকে বিনা যুদ্ধেই জয় করে অঙ্গরাজ্যে পরিণত করে ভারত। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর আমবাগানের যুদ্ধে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ-দৌল্লার পরাজয়ের ইতিহাস স্মরণ করুন। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির তাঁবেদার মীর জাফর, জগৎ শেঠ, মহারাজা স্বরূপচাঁদ, রায় দুর্লভ, উমিচাঁদ, রাজা রাজবল্লভ, মীর কাসেম, ইয়ার লতিফ খান, মহারাজা নন্দকুমার, মিরন, ঘষেটি বেগম, মুহাম্মদী বেগ, দানিশ শাহ'র পরিণতি কী হয়েছে? মীর জাফর দুরারোগ্য কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত হয়ে ৭৪ বছর বয়সে করুণভাবে মৃত্যুবরণ করেন। জগৎ শেঠকে দুর্গের চূড়া থেকে গঙ্গায় নিক্ষেপ করা হয়। রায় দুর্লভ যুদ্ধের পর কারাগারে নিক্ষিপ্ত হন এবং সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন। উমিচাঁদ মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে উন্মাদ অবস্থায় রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে ঘুরে মৃত্যুবরণ করেন। রাজা রাজবল্লভ পদ্মায় ডুবে মর্মান্তিকভাবে মারা যান। মীর জাফরকে ক্ষমতাচ্যুত করে নিজে ক্ষমতা দখল করেন মীর কাশিম। ইংরেজদের সাথে তার বিরোধ বাধে ও বকসারের যুদ্ধ পরাজিত হয়ে রাস্তায় তার করুণ মৃত্যু ঘটে। ইয়ার লতিফ খান যুদ্ধের পর হঠাৎ করে নিরুদ্দিষ্ট হয়ে যান। মহারাজা নন্দকুমারকে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝোলানো হয়। মিরন মারা যান বজ্রপাতে। ঘষেটি বেগমের মৃত্যু হয় নৌকাডুবিতে। মুহাম্মদী বেগ অপ্রকৃতিস্থ হয়ে কূপে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। সাপের কামড়ে মারা যান দানিশ শাহ। রাজনীতিতে দেশপ্রেম এবং দেশপ্রেমের নামে আত্মপ্রবঞ্চনার রাজনীতির পরিণতি কী হয় সেটা ভেবে দেখা উচিত। বর্তমান নেতাদের ভূমিকার মূল্যায়ন করবে ইতিহাস। নেতানেত্রীদের এই নতজানু মানসিকতার রাজনৈতিক কৌশলে 'একটি ফুলকে বাঁচাব বলে যুদ্ধ করি'র ফুল নামের দেশটি স্বকীয়তা নিয়ে বাঁচবে তো? মামলা আর পুলিশি গ্রেফতার এড়াতে দেশান্তরী ড. তুহিন মালিক একটি জাতীয় দৈনিকে লিখেছেন, 'জনসংখ্যা বাড়ছে, কিন্তু মানুষ বাড়ছে না।' তার এ বক্তব্যের সুর ধরে বলা যায়, 'দেশে ব্যাঙের ছাতার মতো রাজনৈতিক দল বাড়ছে, নেতানেত্রীর সংখ্যাও বাড়ছে; কিন্তু দেশপ্রেমী নেতানেত্রীর সংখ্যা ক্রমেই কমে যাচ্ছে।' 
www.dailyinqilab.com
স্টালিন সরকার : দেশের রাজনীতিতে ভারতনির্ভরতা বাড়ছে ...

Copyright Daily Inqilab



--
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "PFC-Friends" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to pfc-friends+unsubscribe@googlegroups.com.
For more options, visit https://groups.google.com/d/optout.


__._,_.___

Posted by: Farida Majid <farida_majid@hotmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___