গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধ: কারাদচিজের ৪০ বছর কারাদণ্ড
গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের সাবেক সার্বীয় নেতা রাদোভান কারাদচিজকে ৪০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ১৯৯৫ সালে সংঘটিত সেব্রেনিৎসা গণহত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধের দায়ে তাঁকে এই দণ্ডাদেশ দেন জাতিসংঘের একটি আদালত। আজ দ্য হেগে এই রায় ঘোষণা করা হয়। খবর বিবিসির।
সেব্রেনিৎসা গণহত্যাসহ কয়েকটি অপরাধে জড়িত থাকায় কারাদচিজের বিরুদ্ধে ১১টি অভিযোগ আনা হয়েছিল। এর মধ্যে ১০টিই দোষী সাব্যস্ত হন সাবেক সার্বীয় এই নেতা। যদিও বর্তমানে ৭০ বছর বয়সী কারাদচিজ তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছেন। তিনি দাবি করেন, ব্যক্তিগতভাবে এই অপরাধ করা হয়েছিল, তাঁর অধীনে থাকা সেনারা এতে জড়িত নয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কারাদচিজের এই মামলাটিকে যুদ্ধাপরাধের মামলাগুলোর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছিল।
কারাদচিজের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এই মামলার বিরুদ্ধে তাঁরা আপিল করবেন।
http://www.prothom-alo.com/international/article/808909/
আরও পড়ুন
: সার্বীয় নেতা কারাদজিচ বসনীয় গণহত্যার মূল হোতা: আন্তর্জাতিক আদালত
সার্বীয় নেতা কারাদজিচ বসনীয় গণহত্যার মূল হোতা: আন্তর্জাতিক আদালত
প্রথম আলো ডেস্ক | তারিখ: ২৮-১০-২০০৯
গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক আদালত নব্বইয়ের দশকে বসনিয়ায় সংঘটিত গণ-আদালতের মূল হোতা হিসেবে সার্বীয় নেতা রাদোভান কারাদজিচকে চিহ্নিত করেছেন। হেগে অনুষ্ঠানরত এই বিচার কার্যক্রমে আন্তর্জাতিক আদালতের আইনজ্ঞ অভিযোগ করেন, কারাদজিচ একজন কট্টর জাতীয়তাবাদী। তিনি মুসলমানবিহীন একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। তবে সার্ব নেতা কারাদজিচ তাঁর বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন। যুদ্ধাপরাধ সংক্রান্ত এই আন্তর্জাতিক আদালতে কারাদজিচ নিজেই নিজের আইনজ্ঞের ভূমিকা পালন করছেন। তিনি এই আদালতের কাছে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য আরও কমপক্ষে নয় মাস সময় প্রার্থনা করেছেন।
এদিকে বসনিয়ায় সংঘটিত গণহত্যার জন্য আরেক অভিযুক্ত সার্বিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বিলজানা প্লাভসিচকে মুক্তি দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন সুইডেনের একটি আন্তর্জাতিক আদালত। বিলজানা প্লাভসিচ ১৯৯৩ সালে বসনিয়া যুদ্ধের সময় সাবেক যুগোস্লাভিয়ার একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। সেই যুদ্ধে নারকীয় বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে তাঁর সংশ্লিষ্টতা ছিল বলে অভিযোগ আনা হয়। জাতিতে সার্ব সাবেক যুগোস্লাভিয়ার এই জাঁদরেল নারী কর্মকর্তাকে ২০০৩ সালে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে সুইডেনের একটি আদালত ১১ বছরের কারাদণ্ড দেন। ভালো আচরণের জন্য ছয় বছরের মাথায় তাঁকে মুক্তি দেওয়ার আদেশ দিলেন আদালত।
হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক আদালতের আইনজ্ঞরা আরও বলেন, রাদোভান কারাদজিচ নব্বইয়ের দশকে অনেক যুদ্ধাপরাধ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তিনি তাঁর সার্বীয় সেনাদের দিয়ে হাজার হাজার বসনিয়ান মুসলিম ও ক্রোয়াটদের হত্যা করিয়েছিলেন। ওই হত্যাকাণ্ডগুলোর পরিকল্পনা ও নির্দেশ তাঁর মাধ্যমেই এসেছে। এই সাবেক সার্বীয় নেতার বিভিন্ন বার্তা, টেলিফোন কল ও অন্যান্য দাপ্তরিক কাগজপত্র থেকে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রমাণ বেরিয়ে এসেছে। এ ছাড়া রাদোভান কারাদজিচের বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক উক্তিও এই বিচার কার্যক্রমে তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগকে সমর্থন করে। তিনি বসনিয়ার যুদ্ধের সময় একবার বলেছিলেন, 'সার্বীয় সেনারা বসনিয়ার রাজধানী সারায়েভোকে বধ্যভূমিতে পরিণত করবে।' ওই ঘোষণার পরই সার্বীয় সেনারা সারায়েভোতে প্রায় তিন লাখ মুসলিম জনগণকে হত্যা করে।
http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2009-10-28/news/15552
Karadzic guilty of Bosnia genocide, jailed for 40 years ...
Avgv‡`i mgq.Kg : 03/11/2014
http://www.amadershomoys.com/newsite/2014/11/03/136903.htm#.VFfOmjTF8-0
Source: উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
__._,_.___