'ভুল' বলিতে 'ভুল' করিওনা
www.channelionline.com |
<< 'হাসিনা সরকারকে আঘাত হানো'এই স্লোগানে বাংলাদেশে কে কে কারা কারা নানা ছদ্মাবরণে এক হলো এবার পাঠক তা বুঝে নিন। পদ্মা সেতু হয়ে গেলে হাসিনা সরকারের ভাবমূর্তি বেড়ে যাবে, অতএব ওটার দুর্নীতি নিয়ে বিশাল হাঁক ডাক শুরু করে দাও। সশস্ত্র আঘাতের জন্য বিএনপি-জামাতের মধ্যে থেকে স্ট্রাইক ফোর্স তৈরি করো। শান্তিমহান সম্পর্কে প্রশংসা-কনসার্ট বাজিয়ে হাসিনা সরকারকে পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন করো।
২০১৪-এর নির্বাচনে হাসিনাকে কোনমতেই ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনা যাবে না। এই হলো অধ্যাপক মজিনার পাঠদান।ঐ মজিনা পাঠশালায় প্রাক্তন মস্কোপন্থী কোন কোন সম্পাদক, অর্থনীতিবিশ্লেষকরা লেখা পড়া করতেন, সেটা কি কারো জানার বাকী আছে? পাশাপাশি কওমী মাদ্রাসা আর জামাতের বৈরী সম্পর্ককে জোড়া লাগাতে মজিনা জগতের কোন কোন দক্ষ পুঙ্গবকে আনা হয়েছিলো সে খবরও গোপন ছিলোনা। অতএব সৃষ্ট হলো হেফাজত।
২০১৩ সনের ৫ মে ঘটানো হলো কওমী-জামায়াত রাজপথ-অভ্যুত্থান। সেসময়ে ক্ষমতায় আসীন হবার জন্য মজিনা-আদর পেয়েছিলেন কারা কারা, সেখবরওতো লুকোনো ছিলনা। হাসিনা সরকার বুদ্ধিদীপ্ত শক্ত হাতে তা সামাল দিয়েছিলো রাষ্ট্রশক্তি দিয়ে। অতঃপর বিএনপি-জামায়াতের সহিংস হিংস্র আঘাত এলো, যেন ২০১৪ সনের নির্বাচন না হতে পারে। সুশীলদের বুজরুকী জমায়েত হলো যেন নির্বাচন না হতে পারে। হাসিনা সরকার যেন 'অসাংবিধানিক' হয়ে পড়ে। এসকল কাজেই মাহফুজ আনামদের বেপরোয়া উদ্যোগ প্রকাশ্যেই ঘটেছে। কিছুতেই কিছু হলোনা। বৃহৎ প্রতিবেশী এবার আর শ্যাম চাচার পক্ষে নেই। যেভাবেই হোক 'দশম জাতীয় সংসদ' গড়ে বিএনপি-জামায়াত-মজিনা-সুশীল কুশীলদের মিলিত চক্রান্ত ভন্ডুল করে দাও।
এর কয়েকমাস পরে ডেইলি স্টার ভবনের ভাড়া করা কক্ষে একটি সেমিনারের জন্য গিয়েছিলাম আয়োজকদের একজন হিসাবে। ড. খলিকুজ্জামান ছিলেন ঐ সেমিনারের সভাপতি। মধ্যাহ্ন আহারের সময় ড. খলিকুজ্জামান সকাশে এলেন মাহফুজ আনাম। বলে উঠলেন: আমরা সবাই মিলে হাসিনাকে সরাতে চাইলাম, তিনি বরং সবাইকে একযোগে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দিলেন। মাহফুজ আনাম যে সাংবাদিকতার চৌকাঠ পেরিয়ে ক্ষমতা-ষড়যন্ত্রে অগ্রসেনানীর ভূমিকা পালন করে চলছিলেন, তার জন্য আর কিসের প্রমাণ প্রয়োজন! . . . >>>
__._,_.___