নিউইয়র্ক থেকে এনা: নিউইয়র্কে ২৬ মার্চকে বাংলাদেশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট ডে ঘোষণা করেছেন নিউইয়র্ক সিটির গভর্ণর এন্ড্রু কুমো। গত ২৬ মার্চ মুক্তধারা ফাউন্ডেশন এবং বাঙালি চেতনা মঞ্চ আয়োজিত মহান স্বাধীনতা দিবসের শোভাযাত্রা শেষে আলোচনা সভায় নিউইয়র্ক সিটির গভর্ণর এন্ড্রু কুমোর প্রতিনিধি হ্যাসকে প্যারেক গভর্ণরের এই ঘোষণা পত্র পাঠ করেন। ঘোষণা পত্রে গভর্ণর এন্ড্রু কুমো নিউইয়র্কে ২৬ মার্চ বাংলাদেশ ইন্ডিপেন্ডন্ট যে ঘোষণা করেন। হ্যাসকে প্যারেক গভর্নরের এই ঘোষণা পত্রটি শোভাযাত্রার আহবায়ক একুশে পুরস্কারপ্রাপ্ত নাট্যকার জামাল উদ্দিন হোসেনের হাতে হস্তান্তর করেন।
সেমন্তী ওয়াহেদ এবং রানু ফেরদৌসের পরিচালনায় শোভা যাত্রায় গ্র্যান্ড মার্শাল ছিলেন নিউইয়র্ক সিটির কম্পোট্রোলার। স্কট এম স্ট্রিঙ্গার। মার্শাল ছিলেন পাবলিক এডভোকেট ল্যাটিসিয়া জেমস, নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের ইমিগ্রেশন এফেয়ার্স এর কমিশনার নিশা আগরওয়াল, নিউইয়র্ক স্টেট সেনেটর হোজে প্যারাল্টা, নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কন্স্যুলেটের কন্সাল জেনারেল শামীম আহসান, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও আমেরিকার মূলধারার কাউন্সিলম্যান ড. নূরন নবী, জ্যাকসন হাইটস পুলিশ প্রিসেক্টের কমান্ডার ইন চীফ ব্রায়ান সি হ্যানেসি।
গ্র্যান্ড মার্শাল সিটি কম্পেট্রোলার স্কট স্ট্রিঙ্গাল বলেন, নিউইয়র্ক সিটিতে বাংলাদেশী কম্যুনিটি দিন দিন বাড়ছে এবং তারা সততার সাথে কাজ করে সিটির অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। তিনি বলেন, এই সিটিতে প্রায় ২০০ দেশের অভিভাসী রয়েছেন এবং প্রায় ১৭৮টির মত ভাষা রয়েছে। আজকে বাংলাদেশের ৪৫ তম স্বাধীনতা দিবসের বার্ষিকীতে আমি বাংলাদেশের সকল মানুষকে অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা জানাই। তিনি নিউইয়র্ক সিটির পক্ষ মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের কর্ণধার বিশ্বজিত সাহার কাছে একটি সাইটেশন হস্তান্তর করেন। বিশ্বজিত সাহা এই স্বীকৃতিকে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রবাসী বাংলাদেশীদের উৎসর্গ করেন।
পাবলিক এডভোকেট ল্যাটিশিয়া জেমস বলেন, আমি বাংলাদেশে যেতে চাই। তিনি বলেন, এই সিটিতে দক্ষিণ এশিয়ানদের মধ্যে বাংলাদেশীদের অবস্থান পঞ্চম।স্টেট সিনেটর হোজে প্যারাল্টা স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশীদের মূলধারার রাজনীতি করার আহবান জানান।হ্যান্সেকে প্যারেক তার বক্তব্যের শুরুতেই মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বলেন, নিউইয়র্কে বাংলাদেশীরা দিন দিন বাড়ছে। আর এই সব অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তারা তাদের ইতিহাস, ঐতিহ্যকে আমাদের মধ্যে উপস্থাপন করে আমাদের কালচারকেও সমৃদ্ধ করছে। তিনি তার বক্তব্য শেষে গভর্ণরের ঘোষণা পত্রটি পাঠ করেন।
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা এবং মাথায় ও বুকে ধারণ করে শোভাযাত্রাটি বিকেল সাড়ে ৫টায় শুরু হয় জ্যাকসন হাইটসের ডাইভার সিটি প্লাজা থেকে। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত এই স্লোগানটি কয়েক ব্লক দূরে আলোচনা সভাস্থল ৬৯ স্কুলের অডিটোরিয়ামে এসে শেষ হয়। এই প্যারেডে নিউইয়র্কের বিভিন্ন সংগঠনসহ সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশীরা অংশগ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশী অধ্যুষিত এলাকা জ্যাকসন হাইটসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন বাঙালি চেতনা মঞ্চের চেয়াম্যান আব্দুর রহিম বাদশা, চেতনা মঞ্চের কর্মকর্তা শাখাওয়াত আলী, সাংবাদিক হাসান ফেরদৌস, নিনি ওয়াহেদ, সাহিত্যিক ফেরদৌস সাজেদীন প্রমুখ। দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা জানানো হয় এবং বিভিন্ন পর্বে কবিতা পাঠ করেন প্রবাসের কবি এবং সাহিত্যিকরা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পী তাজুল ইমামসহ প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পীরা।
__._,_.___