সাম্রাজ্যবাদীদের চক্রান্ত। ভ্যাকসিন ব্যবসা ।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কথিত জিকা ভাইরাস নিয়ে ব্যাপক মাতামাতির পর এখন বাংলাদেশেও জিকা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক। চট্টগ্রামে সন্ধান পাওয়া দেশের প্রথম জিকা আক্রান্ত রোগী ভালো আছে এবং তার পরিবারের কেউ এ রোগে আক্রান্ত হয়নি বলেও জানায় সে।
এদিকে দেশে জিকা রোগীর অস্তিত্ব স্বীকারের পর চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছে, জিকা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে সারাবিশ্বে এ পর্যন্ত একজন মানুষও মারা যায়নি। এই ভাইরাসের কারণে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যেমন- মস্তিষ্ক, হৃদপিন্ড, কিডনি, লিভার, ফুসফুস, রক্তনালী আক্রান্ত হয় না। এমনকি এ রোগে আক্রান্তকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয় না। এটা স্বীকার করেছে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীও। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেছে, জিকা প্রাণঘাতী কোনো ভাইরাস নয়। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শরীরে একটু ব্যথা অনুভব হতে পারে, একটু জ্বর আসতে পারে। এর বেশি কিছু হয় না।
অথচ জিকা নিয়ে সাম্রাজ্যবাদীদের চক্রান্ত ভয়াবহ। তাদের প্রচারণাও বিশ্বব্যাপী। তাদের প্রচারণা অনুযায়ী জিকা ভাইরাস এখন নতুন মহামারী, বিশ্বের ২৩টি দেশে জিকা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বজুড়ে 'বিস্ফোরকের মতো' ছড়িয়ে পড়ছে জিকা ভাইরাস। তাদের সাথে সূর মিলিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, ৩০ থেকে ৪০ লাখ মানুষ এ ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
গবেষকদের মতে, জিকা ভাইরাসের একটি প্রতিষেধক তৈরি করে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ১০ বছরেরও বেশি সময় লাগতে পারে। অথচ যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ২০১৬ সালের শেষ নাগাদ তারা মানুষের উপর পরীক্ষা চালানোর জন্য একটি প্রতিষেধক প্রস্তুত করতে পারবে। ব্রাজিলকে সাথে নিয়ে এর প্রতিষেধক আবিষ্কারেও লেগে গেছে যুুক্তরাষ্ট্র।
মূলত, 'অ্যানথ্রাক্স', 'বার্ড ফ্লু', 'সোয়াইন ফ্লু', 'ইবোলা'র মতো জিকা ভাইরাসও সাম্রাজ্যবাদীদের মিথ্যা প্রচারণা। এর পেছনে রয়েছে আন্তর্জাতিক ইসলামবিদ্বেষী ও সাম্রাজ্যবাদীদের শোষণ ও নিপীড়নের ভয়াবহ ষড়যন্ত্র। উল্লেখ্য, দুনিয়ার ওষুধের বাজার পুরোপুরি সাম্রাজ্যবাদীদের উপর নির্ভরশীল। ডব্লিউটিও'র মেধাস্বত্ব আইনের কারণে, পূর্ব আবিষ্কৃত নিরাময়ের কোনো মেডিসিন বা এতদসংক্রান্ত কোনো উদ্যোগ অন্য কোম্পানি বা রাষ্ট্রের সরকার তা প্রস্তুত করতে পারে না। ফলে বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানিগুলো নতুন রোগের প্রতিষেধক বা পুরাতন রোগের আধুনিক ওষুধ তৈরি করে হাতিয়ে নেয় কোটি কোটি ডলার।
জেনেটিক্যালি মডিফাই মশার মাধ্যমে জিকা ভাইরাস ছড়ানোর অন্যতম উদ্দেশ্যও যে তাই- এতে এটা প্রতীয়মান হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী প্রতিষেধক ব্যবসার বাজার তৈরি তাদের অন্যতম লক্ষ্য।
তাছাড়া জিকা ভাইরাসের নাম দিয়ে মহিলাদের গর্ভধারণে নিরুৎসাহিত করা হয়। যেহেতু মুসলিম মহিলাদের গর্ভধারণের হার বেশি এবং বিশ্বে মুসলমানদের সংখ্যা অবিশ্বাস্য হারে বাড়ছে। জিকা ভাইরাস আতঙ্কের মাধ্যমে মুসলিম মহিলাদের গর্ভধারণে নিরুসাহিত করাও এখন সহজ হয়েছে। সুতরাং জিকা ভাইরাস আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়ে সাম্রাজ্যবাদীদের ফাঁদে পা দেয়া সংশ্লিষ্ট মহলের জন্য কখনো উচিত হবে না। একইভাবে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে বাংলাদেশের সরকারকেও।
কিছুদিন আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছে যে, 'দেশে জিকা ভাইরাস আক্রান্ত কোনো লোক নেই'। কিন্তু এখন প্রতিমন্ত্রী বললো যে- একজন রোগী পাওয়া গেছে। যদিও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেছে, জিকা প্রাণঘাতী কোনো ভাইরাস নয়। জিকা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বিশ্বে এ পর্যন্ত একজন মানুষও এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়নি।
কিন্তু আমরা সঙ্গতকারণেই বিশ্বাস রাখতে পারছি না। যেহেতু তাদের কথা পরিবর্তন হয়েছে। সুতরাং সামনে আরো হতে পারে। এটা অসম্ভব নয় যে, খোদ সাম্রাজ্যবাদীরাই তাদের প্রলুব্ধ করতে পারে এবং তারা জিকা ভাইরাসের পক্ষেই প্রচারণা চালাতে পারে। জনগণকে শুষে ব্যবসায়িক ফায়দা লুটতে পারে।
প্রসঙ্গত আমরা মনে করি, এক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে এদেশের জনগণকেও। এর আগে বার্ড ফ্লু আতঙ্ক ছড়িয়ে এদেশের ২০ হাজার কোটি টাকার সম্ভাবনাময় পোল্ট্রি শিল্প ধ্বংস করা হয়েছে। ৫০ লাখ বেকার তৈরি করা হয়েছে। শুধু ভারত থেকেই ১০০ কোটি ডিম আমদানি করতে হয়েছে। পাশাপাশি বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, বর্তমানে বিশ্বমন্দার কবলেও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ধাক্কা লাগেনি। এর প্রধান উসীলা হলো জনশক্তি রফতানী। কিন্তু গার্মেন্টস শিল্প ধ্বংসের মতোই সোয়াইন ফ্লু আতঙ্ক ছড়িয়ে দেশের জনশক্তি রফতানী খাতকেও ধ্বংস করার আন্তর্জাতিক হীন ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। বার্ডফ্লু ষড়যন্ত্র রোধে পুরোপুরি সফল হতে না পারলেও সোয়াইন ফ্লু ষড়যন্ত্র রোধে জনগণ অনেক বেশি সচেতনতার পরিচয় দিয়েছে। এবার জিকা ভাইরাসের ষড়যন্ত্র প্রতিরোধেও জনগণ আরো বেশি সক্রিয় হবে ইনশাআল্লাহ! এটাই প্রত্যাশা!
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কথিত জিকা ভাইরাস নিয়ে ব্যাপক মাতামাতির পর এখন বাংলাদেশেও জিকা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক। চট্টগ্রামে সন্ধান পাওয়া দেশের প্রথম জিকা আক্রান্ত রোগী ভালো আছে এবং তার পরিবারের কেউ এ রোগে আক্রান্ত হয়নি বলেও জানায় সে।
এদিকে দেশে জিকা রোগীর অস্তিত্ব স্বীকারের পর চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছে, জিকা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে সারাবিশ্বে এ পর্যন্ত একজন মানুষও মারা যায়নি। এই ভাইরাসের কারণে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যেমন- মস্তিষ্ক, হৃদপিন্ড, কিডনি, লিভার, ফুসফুস, রক্তনালী আক্রান্ত হয় না। এমনকি এ রোগে আক্রান্তকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয় না। এটা স্বীকার করেছে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীও। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেছে, জিকা প্রাণঘাতী কোনো ভাইরাস নয়। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শরীরে একটু ব্যথা অনুভব হতে পারে, একটু জ্বর আসতে পারে। এর বেশি কিছু হয় না।
অথচ জিকা নিয়ে সাম্রাজ্যবাদীদের চক্রান্ত ভয়াবহ। তাদের প্রচারণাও বিশ্বব্যাপী। তাদের প্রচারণা অনুযায়ী জিকা ভাইরাস এখন নতুন মহামারী, বিশ্বের ২৩টি দেশে জিকা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বজুড়ে 'বিস্ফোরকের মতো' ছড়িয়ে পড়ছে জিকা ভাইরাস। তাদের সাথে সূর মিলিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, ৩০ থেকে ৪০ লাখ মানুষ এ ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
গবেষকদের মতে, জিকা ভাইরাসের একটি প্রতিষেধক তৈরি করে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ১০ বছরেরও বেশি সময় লাগতে পারে। অথচ যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ২০১৬ সালের শেষ নাগাদ তারা মানুষের উপর পরীক্ষা চালানোর জন্য একটি প্রতিষেধক প্রস্তুত করতে পারবে। ব্রাজিলকে সাথে নিয়ে এর প্রতিষেধক আবিষ্কারেও লেগে গেছে যুুক্তরাষ্ট্র।
মূলত, 'অ্যানথ্রাক্স', 'বার্ড ফ্লু', 'সোয়াইন ফ্লু', 'ইবোলা'র মতো জিকা ভাইরাসও সাম্রাজ্যবাদীদের মিথ্যা প্রচারণা। এর পেছনে রয়েছে আন্তর্জাতিক ইসলামবিদ্বেষী ও সাম্রাজ্যবাদীদের শোষণ ও নিপীড়নের ভয়াবহ ষড়যন্ত্র। উল্লেখ্য, দুনিয়ার ওষুধের বাজার পুরোপুরি সাম্রাজ্যবাদীদের উপর নির্ভরশীল। ডব্লিউটিও'র মেধাস্বত্ব আইনের কারণে, পূর্ব আবিষ্কৃত নিরাময়ের কোনো মেডিসিন বা এতদসংক্রান্ত কোনো উদ্যোগ অন্য কোম্পানি বা রাষ্ট্রের সরকার তা প্রস্তুত করতে পারে না। ফলে বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানিগুলো নতুন রোগের প্রতিষেধক বা পুরাতন রোগের আধুনিক ওষুধ তৈরি করে হাতিয়ে নেয় কোটি কোটি ডলার।
জেনেটিক্যালি মডিফাই মশার মাধ্যমে জিকা ভাইরাস ছড়ানোর অন্যতম উদ্দেশ্যও যে তাই- এতে এটা প্রতীয়মান হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী প্রতিষেধক ব্যবসার বাজার তৈরি তাদের অন্যতম লক্ষ্য।
তাছাড়া জিকা ভাইরাসের নাম দিয়ে মহিলাদের গর্ভধারণে নিরুৎসাহিত করা হয়। যেহেতু মুসলিম মহিলাদের গর্ভধারণের হার বেশি এবং বিশ্বে মুসলমানদের সংখ্যা অবিশ্বাস্য হারে বাড়ছে। জিকা ভাইরাস আতঙ্কের মাধ্যমে মুসলিম মহিলাদের গর্ভধারণে নিরুসাহিত করাও এখন সহজ হয়েছে। সুতরাং জিকা ভাইরাস আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়ে সাম্রাজ্যবাদীদের ফাঁদে পা দেয়া সংশ্লিষ্ট মহলের জন্য কখনো উচিত হবে না। একইভাবে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে বাংলাদেশের সরকারকেও।
কিছুদিন আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছে যে, 'দেশে জিকা ভাইরাস আক্রান্ত কোনো লোক নেই'। কিন্তু এখন প্রতিমন্ত্রী বললো যে- একজন রোগী পাওয়া গেছে। যদিও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেছে, জিকা প্রাণঘাতী কোনো ভাইরাস নয়। জিকা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বিশ্বে এ পর্যন্ত একজন মানুষও এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়নি।
কিন্তু আমরা সঙ্গতকারণেই বিশ্বাস রাখতে পারছি না। যেহেতু তাদের কথা পরিবর্তন হয়েছে। সুতরাং সামনে আরো হতে পারে। এটা অসম্ভব নয় যে, খোদ সাম্রাজ্যবাদীরাই তাদের প্রলুব্ধ করতে পারে এবং তারা জিকা ভাইরাসের পক্ষেই প্রচারণা চালাতে পারে। জনগণকে শুষে ব্যবসায়িক ফায়দা লুটতে পারে।
প্রসঙ্গত আমরা মনে করি, এক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে এদেশের জনগণকেও। এর আগে বার্ড ফ্লু আতঙ্ক ছড়িয়ে এদেশের ২০ হাজার কোটি টাকার সম্ভাবনাময় পোল্ট্রি শিল্প ধ্বংস করা হয়েছে। ৫০ লাখ বেকার তৈরি করা হয়েছে। শুধু ভারত থেকেই ১০০ কোটি ডিম আমদানি করতে হয়েছে। পাশাপাশি বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, বর্তমানে বিশ্বমন্দার কবলেও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ধাক্কা লাগেনি। এর প্রধান উসীলা হলো জনশক্তি রফতানী। কিন্তু গার্মেন্টস শিল্প ধ্বংসের মতোই সোয়াইন ফ্লু আতঙ্ক ছড়িয়ে দেশের জনশক্তি রফতানী খাতকেও ধ্বংস করার আন্তর্জাতিক হীন ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। বার্ডফ্লু ষড়যন্ত্র রোধে পুরোপুরি সফল হতে না পারলেও সোয়াইন ফ্লু ষড়যন্ত্র রোধে জনগণ অনেক বেশি সচেতনতার পরিচয় দিয়েছে। এবার জিকা ভাইরাসের ষড়যন্ত্র প্রতিরোধেও জনগণ আরো বেশি সক্রিয় হবে ইনশাআল্লাহ! এটাই প্রত্যাশা!
__._,_.___