Banner Advertiser

Friday, May 6, 2016

[mukto-mona] ফাঁসির দড়ির কাছে জামায়াতের আমির



  1. ফাঁসির দড়ির কাছে জামায়াতের আমির


ফাঁসির দড়ির কাছে জামায়াতের আমির

♦ বদরপ্রধানের রিভিউ আবেদন খারিজ, বাকি শুধু প্রাণভিক্ষার আবেদন ও লিখিত আদেশ বেরোনো
♦ আদেশ কারাগারে পৌঁছানোর পরই কার্যক্রম শুরু

আশরাফ-উল-আলম   

৬ মে, ২০১৬ ০০:০০



ফাঁসির দড়ির কাছে জামায়াতের আমির

মতিউর রহমান নিজামী

ফাঁসির দণ্ড এড়াতে পারলেন না একাত্তরের আলবদর বাহিনীর প্রধান ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী। সাবেক এই মন্ত্রীর ফাঁসি পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদন গতকাল বৃহস্পতিবার খারিজ করে দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এ আদেশের পর নিজামীর সামনে এখন শুধু রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করার সুযোগ আছে। তবে তিনি ক্ষমা চেয়ে প্রাণভিক্ষার আবেদন করবেন কি না সে জন্য সময় দেওয়া এবং আপিল বিভাগের লিখিত আদেশ পাওয়ার জন্য অপেক্ষা ছাড়া ফাঁসি কার্যকর করতে আর কোনো আইনি বাধা নেই।

নিজামী একাত্তরে জামায়াতের ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের সভাপতি ছিলেন না বলে দাবি করলেও আপিল বিভাগ ওই দাবি গ্রাহ্য করেননি। আবার আদালতে নিজামীর পক্ষে করা লিখিত জবাবে স্বীকার করা হয়েছে নিজামী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহযোগী ছিলেন। আপিল বিভাগ রিভিউ আবেদনের ওপর শুনানিতে বলেছেন, তাঁকে শাস্তি দেওয়ার জন্য এটাই যথেষ্ট। নিজামীর আইনজীবী বলেছিলেন, রাজনৈতিক বিশ্বাস থেকে নিজামী তাদের সমর্থন দিয়েছেন। কিন্তু তিনি কোনো হত্যাকাণ্ড বা অন্য কোনো ঘটনায় সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন না। আপিল বিভাগ এই দাবিও গ্রাহ্য করেননি। ফলে রিভিউ আবেদন খারিজ হয়ে যায়।

গতকাল আদেশ দেওয়ার সময় আদালত কোনো মন্তব্য করেননি। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতি সকাল সাড়ে ১১টায় এজলাসে আসন গ্রহণ করার পর এক শব্দে রিভিউ আবেদন নিষ্পত্তি করে আদেশ দেন। প্রধান বিচারপতি শুধু বলেন, 'ডিসমিসড' (খারিজ)। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আদেশ দেওয়া হয়।

আদালত কক্ষে ছিলেন আইনজীবী ও গণমাধ্যমের ব্যাপকসংখ্যক কর্মী। আদালত এলাকায় নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল নজিরবিহীন। বহিরাগত কাউকে আদালত কক্ষে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ভোর থেকেই সুপ্রিম কোর্টের চারদিকে নিরাপত্তাবেষ্টনী তৈরি করা ছিল।

মানবতাবিরোধী এই অপরাধীর রিভিউ আবেদন সর্বসম্মতভাবে খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এ বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

আপিল বিভাগের এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে বদরপ্রধান নিজামীর আইনি লড়াই শেষ হলো। এখন তাঁর দণ্ড কার্যকর করার পালা। এই দণ্ড কার্যকর করার আগে তিনি কিছুটা সময় পাবেন রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদন করা না করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে। মানবতাবিরোধী অপরাধীদের রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার সাংবিধানিক অধিকার না থাকলেও আপিল বিভাগ নিজ ক্ষমতাবলে তাঁদের এ সুযোগ দিয়েছেন। তাঁরা যদি রাষ্ট্রপতির কাছে কোনো আবেদন না করেন তবে সরকার যেকোনো মুহৃর্তে এই দণ্ড কার্যকর করতে পারবে।

আইনমন্ত্রী বললেন, একাত্তরের ঋণ শোধের আরেকটি ধাপ : আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গতকাল মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে অন্যান্য আসামির ফাঁসি যেভাবে কার্যকর করা হয়েছে নিজামীরও সেই প্রক্রিয়ায় দণ্ড কার্যকর করা হবে। তবে রিভিউ আবেদন খারিজের লিখিত রায়ের কপি পাওয়ার পর রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদন করার জন্য সন্তোষজনক সময় দেওয়া হবে।

আইনমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের পর বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি ছিল, তা থেকে ধীরে ধীরে দেশ আইনের শাসনের সংস্কৃতিতে ফিরে যাচ্ছে, যার প্রমাণ এই রায়। তিনি বলেন, 'চিরকালই আমরা বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতাযুদ্ধের শহীদদের কাছে ঋণী থাকব। ঋণ শোধ করার জন্য কিছু পদক্ষেপ থাকতে হয়। নিজামীর শেষ ধাপের এই বিচার ঋণ শোধের প্রক্রিয়া। দেশ আজ কিছুটা হলেও ভারমুক্ত।'

আনিসুল হক বলেন, 'সবচেয়ে বড় জিনিস হচ্ছে, আমার বয়স ৬০ বছর। আমি (একাত্তরের ঘটনাপ্রবাহ) দেখেছি। রায়গুলো ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত ইমোশনাল ব্যাপার। তিনি বলেন, '১৯৭১ সালে এদের দাম্ভিকতা, আচার-ব্যবহার, দি অডাসিটি অ্যান্ড দ্য ওয়ে দে বিহেভ...সেই সবগুলোর বিচার হয়ে সাজা হচ্ছে, সেটা দেখতেও খুব ভালো লাগে।' মন্ত্রী বলেন, এই রায়ের ফলে বিচারপ্রার্থীরা এই আশ্বাস পাবেন যে অপরাধ করে কেউ বিচারের আওতার বাইরে থাকবে না। অপরাধ করলেই শাস্তি হবে। এটাই আইনের শাসনের সবচেয়ে বড় মাপকাঠি।

মন্ত্রী আরো বলেন, এ ধরনের অপরাধীদের বিচারে এতগুলো ধাপ (সাক্ষীদের আইনজীবীর মাধ্যমে জেরা করা, আত্মপক্ষ সমর্থন করা, আপিল, রিভিউ) বিশ্বের কোথাও দেওয়া হয় না। বাংলাদেশে তাদের সর্বাত্মক আইনি সুযোগ দিয়ে বিচার শেষ করা হচ্ছে।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আর কোনো আইনি বাধা নেই : মানবতাবিরোধী এই অপরাধীর দণ্ড কার্যকর করতে আইনগত আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রায়ের পর নিজ কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ফাঁসি কার্যকর করতে আর কোনো আইনি বাধা নেই। শুধু রিভিউ খারিজের লিখিত রায়ের কপি কারাগারে পৌঁছাতে হবে। এই রায় নিজামীকে পড়ে শোনানোর পর তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হবে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি না। প্রাণভিক্ষা চাইলে রাষ্ট্রপতির আদেশ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আর প্রাণভিক্ষা না চাইলে সরকার ফাঁসি কার্যকর করবে।

নিজামীর প্রধান আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন রায়ের সময় আদালতে ছিলেন না। আরেক আইনজীবী এস এম শাহজাহান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ের পর প্রধান আইনজীবীর পক্ষে তিনি বলেন, সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পর রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার সুযোগ রয়েছে আসামির। তবে নিজামী সাহেব প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি না এটা নির্ভর করছে তাঁর নিজের বা পরিবারের সিদ্ধান্তের পর।

নিজামীরা জড়িত ছিলেন কি না সন্দেহ মাহবুবের : পরে খন্দকার মাহবুব হোসেন আইনজীবী সমিতির তাঁর কার্যালয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনটি করা হয়েছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার জন্য। অন্যদিকে দালাল আইন নামে একটি আইন করা হয়েছিল। দালাল আইনে বিচার করার জন্য যেসব ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল তার চিফ প্রসিকিউটর তিনি ছিলেন উল্লেখ করে বলেন, দালাল আইনে বিচার করা নিয়ে সে সময় দেশে চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। পরে বঙ্গবন্ধু সব দালালকে ক্ষমা করে দেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন থাকলে ওই আইনে বর্তমানে যেসব ব্যক্তির বিচার করা হচ্ছে তাঁদের বিচার করা যায় না। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর আইন সংশোধন করে বিচার করা হচ্ছে। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল। কিন্তু ওইসব ঘটনায় এঁরা (নিজামী-মুজাহিদ গং) জড়িত ছিলেন কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। একটি রাজনৈতিক উদ্দেশে বিচার করা হচ্ছে। এটি ঠিক হচ্ছে কি না ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তথা ইতিহাস দেখবে। তবে যে বিচার করা হচ্ছে এতে সাক্ষীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সাক্ষ্য নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

আদেশের কপি কারাগারে যায়নি : সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গতকাল আপিল বিভাগের আদেশের কপি কারাগারে যায়নি। আদেশের কপি কারাগারে পৌঁছানোর আগে ফাঁসি কার্যকর হবে না। এর আগে আবদুল কাদের মোল্লা, মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, সাকা চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ক্ষেত্রে রিভিউ আবেদন খারিজ হওয়ার রায়ের কপি কারাগারে যাওয়ার পরই ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছিল। কাদের মোল্লার রিভিউ আবেদন ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। সেদিনই সংক্ষিপ্ত রায়ের কপি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছায়। কামারুজ্জামানের রিভিউ আবেদন গত বছর ৬ এপ্রিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। তবে সেদিনই লিখিত রায় দেননি আদালত। আদালত ৮ এপ্রিল ৩৬ পৃষ্ঠার একটি পূর্ণাঙ্গ রায় দেন। এরপর ১১ এপ্রিল রাতে তাঁর ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এর আগে দুজনের কাছেই জানতে চাওয়া হয়েছিল তাঁরা রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন কি না। তাঁরা ক্ষমা না চাওয়ায় সরকারের আদেশে কার্যকর হয় ফাঁসি। সাকা ও মুজাহিদের রিভিউ আবেদন খারিজ হয় গত বছর ১৮ নভেম্বর। খারিজ আদেশ কারাগারে পৌঁছায় ২০ নভেম্বর। এরপর দুজনই প্রাণভিক্ষার আবেদন জানান। কিন্তু রাষ্ট্রপতি ওই আবেদন নাকচ করে দেওয়ার পর ২২ নভেম্বর দুজনের ফাঁসি কার্যকর হয়।

কারাবিধি প্রযোজ্য নয় : প্রচলিত কারাবিধি অনুযায়ী রায়ের কপি কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছানোর ২১ থেকে ২৮ দিনের মধ্যে আসামির ফাঁসি কার্যকর করতে হয়। কিন্তু মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসি কার্যকর করার ক্ষেত্রে প্রচলিত কারাবিধি প্রযোজ্য হবে না। এ অপরাধের বিচারের জন্য করা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালস আইনে বলা হয়েছে, আপিল নিষ্পত্তি হওয়ার পর ফাঁসির আদেশ বহাল থাকলে সরকার তা কার্যকর করবে। রিভিউ খারিজসংক্রান্ত আদেশের কপি পাওয়ার পর ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত্ত আসামি ইচ্ছা করলে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারেন। আসামি যদি কোনো আবেদন না করেন সে ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশ পেলেই কারা কর্তৃপক্ষ ফাঁসি কার্যকর করবে। নিজামী এখন গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে আছেন।

যে তিন অপরাধে মৃত্যুদণ্ড : আপিল বিভাগের রায়ে তিনটি অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। এগুলো হলো—

সাঁথিয়ার বাউশগাড়ি ও ডেমরা গ্রামের ৪৫০ জনকে হত্যা, ৩০-৪০ নারীকে ধর্ষণ (অভিযোগ নং-২) : অভিযোগে বলা হয়, একাত্তরের ১০ মে সকাল ১১টার দিকে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার বাউশগাড়ি গ্রামের রূপসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি সভা হয়। স্থানীয় শান্তি কমিটির সদস্য ও রাজাকারদের উপস্থিতিতে ওই সভায় নিজামী বলেন, শিগগিরই পাকিস্তানি সেনারা শান্তি রক্ষার জন্য আসবে। ওই সভার পরিকল্পনা অনুসারে পরে ১৪ মে ভোর সাড়ে ৬টার দিকে বাউশগাড়ি, ডেমরা ও রূপসী গ্রামের প্রায় ৪৫০ জনকে পাকিস্তানি সেনারা হত্যা করে। প্রায় ৩০-৪০ জন নারীকে সেদিন ধর্ষণ করে পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা।

ধুলাউড়ি গ্রামের ৫২ জনকে হত্যা (অভিযোগ নং-৬) : অভিযোগে বলা হয়, নিজামীর নির্দেশে ১৯৭১ সালের ২৭ নভেম্বর পাবনার ধুলাউড়ি গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের খুঁজতে যায় পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা। তারা গ্রামের ডা. আব্দুল আউয়াল ও তাঁর আশপাশের বাড়িতে হামলা চালিয়ে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ৫২ জনকে হত্যা করে।

বুদ্ধিজীবী হত্যা (অভিযোগ নং-১৬) : মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের ঊষালগ্নে অসংখ্য বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করে আলবদর বাহিনী। দেশের বুদ্ধিজীবী শ্রেণীকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার জন্য পরিকল্পিতভাবে আলবদর সদস্যরা ওই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। ইসলামী ছাত্রসংঘ ও আলবদর বাহিনীর প্রধান হিসেবে ওই গণহত্যার দায় নিজামীর ওপর বর্তায়।

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগের মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুন নিজামীকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই বছরের ২ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাঁকে। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। ২০১১ সালের ১১ ডিসেম্বর নিজামীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ফরমাল চার্জ (আনুষ্ঠানিক অভিযোগ) দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। ২০১২ সালের ৯ জানুয়ারি তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। এতে হত্যা, খুন, ধর্ষণ এবং অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৫টি অভিযোগ ছিল। ওই বছরের ১৫ মার্চ নিজামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি হয়। তাঁর বিরুদ্ধে বুদ্ধিজীবী হত্যার অভিযোগ না থাকায় বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে ট্রাইব্যুনাল ওই দিন রাষ্ট্রপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে বুদ্ধিজীবী হত্যার অভিযোগ যুক্ত করে ২০১২ সালের ২৮ মে ১৬টি অভিযোগ গঠন করা হয় নিজামীর বিরুদ্ধে। ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল এক রায়ে নিজামীকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরের ২৩ নভেম্বর আপিল বিভাগে আপিল করেন নিজামী। গত ৬ জানুয়ারি আপিল বিভাগও মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন।

- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/first-page/2016/05/06/355180#sthash.w3UnegL9.dpuf


__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___