বন্ধুত্বের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ
অনলাইন ডেস্ক
'বাঙালিরা বেরিয়ে আসুন।' একজন বন্দুকধারীর কণ্ঠ। এরপরই ভয়ে ভয়ে বাথরুমের দরজা খুলে বেরিয়ে আসেন বাবুর্চি সমীর বাড়ই। বেরিয়ে দেখেন দাড়ি কামানো জিনস ও টি-শার্ট পরা দুই তরুণ দাঁড়ানো। তারা বলছে 'আপনাদের এত ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমরা বাঙালিদের মারব না। শুধু বিদেশিদের মারব।' এসময় সমীর মেঝের দিকে তাকিয়ে দেখেন, ছয়-সাতটি মৃতদেহ পড়ে আছে। যাদের গুলি করার পর কোপানো হয়েছে। এদের সবাইকে বিদেশি মনে হচ্ছিল তার।
সমীর বাড়ই বলেন, বিদেশিদের মারলেও ওই তরুণেরা রেস্তোরাঁর কর্মী ও বাংলাদেশিদের সঙ্গে সব সময় নরম আচরণ করেছে। জঙ্গিরা বলেছে, বিদেশিরা স্বল্প কাপড় পরে, মদ পান করে। আর এরাই ইসলামের প্রসারের পথে বাধা। তাই তাদের হত্যা করতে হবে।
বাড়ই আরও বলেন, বন্দুকধারীরা চাচ্ছিল, তাদের কর্মকাণ্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেন ছড়িয়ে যায়। তাই ওই ব্যক্তিদের হত্যা করার পর তারা রেস্তোরাঁর কর্মীদের ওয়াই-ফাই চালু করতে বলে। ওয়াই-ফাই চালু করা হলে তারা রেস্টুরেন্টের খদ্দেরদের মুঠোফোন ব্যবহার করে নিহত ব্যক্তিদের ছবি পোস্ট করে।
রমজান মাস হওয়ায় শনিবার ভোর সাড়ে তিনটার দিকে মুসলমানদের সাহরি খাওয়ার জন্য রেস্টুরেন্টের কর্মীদের জঙ্গিরা বলে, মাছ ও চিংড়ি রান্না করে তাদের যেন খাওয়ানো হয়। তাদের যেন চা-কফি দেয়া হয়। তখন তরুণেরা বাংলায় কথা বলছিল। অনেকে আবার বিদেশিদের সঙ্গে ইংরেজিতেও কথা বলছিল। তবে হামলাকারীরা সবাই স্মার্ট ও সুশিক্ষিত ছিল। তাদের দিকে তাকালে কেউই বিশ্বাস করবে না যে তারা এ কাজ করতে পারে।
সকালের দিকে বন্দুকধারীরা হিজাব পরা কয়েকজন নারীকে ছেড়ে দেয়। এসময় ফারাজ হোসেন নামের এক বাংলাদেশি তরুণকেও ছেড়ে দিয়েছিল জঙ্গিরা। ছাড়া পাওয়া এক জিম্মির কাছ থেকে ঘটনাটি শুনেছেন ফারাজের নিকটাত্মীয় হিশাম হোসেন।
হিশাম বলেন, মুক্তি পাওয়া বাংলাদেশিরা বেরিয়ে যাওয়ার সময় ফারাজকে তাদের সঙ্গে যাওয়ার জন্য বারবার ডাকতে থাকেন। কিন্তু তখন তার সঙ্গে পশ্চিমা পোশাক পরা দুজন নারী ছিলেন। বন্দুকধারীরা ওই নারীদের জিজ্ঞেস করেছিল, তারা কোথা থেকে এসেছেন। উত্তরে একজন ভারত ও একজন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসার কথা জানান। এটি শুনে বন্দুকধারীরা তাদের ছাড়তে রাজি হয়নি।
এমন অবস্থায় আবার ফারাজ জঙ্গিদের বলেন, আমার এই দুই বন্ধুর কী হবে? জঙ্গিরা বলে, ওদের ছাড়া হবে না। ফারাজও বলেন, দুই বন্ধুকে ফেলে রেখে আমি যাব না। কিন্তু পরের দিন তাদের সঙ্গে ফারাজ হোসেনের লাশ পাওয়া যায়। শনিবার এমনই একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে নিউইয়র্ক টাইমস।
ফারাজ হোসেন (২০) আমেরিকার আটলান্টায় ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন। তিনি গ্রীষ্মের ছুটিতে ঢাকা এসেছিলেন। তাদের বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়তেন ঢাকার মেয়ে অবিন্তা কবির। আর যুক্তরাষ্ট্রের বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন ভারতীয় তরুণী তারুশি জৈন। এই তিনজন তাই ছিলেন পরস্পরের বন্ধু। কিন্তু সে দিন জঙ্গিদের হিংস্র থাবায় এই তিনজনই মারা যান।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে গুলশান ২ নম্বরের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালিয়ে দেশি-বিদেশি অন্তত ৩৩ জনকে জিম্মি করে জঙ্গিরা। সেখান থেকে ১৩ জন জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও ২০ জনের লাশ জবাই করা অবস্থায় পাওয়া যায়। শনিবার সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানে জিম্মি সংকটের অবসান হয়।
মানবকণ্ঠ/জেডএইচ
সমীর বাড়ই বলেন, বিদেশিদের মারলেও ওই তরুণেরা রেস্তোরাঁর কর্মী ও বাংলাদেশিদের সঙ্গে সব সময় নরম আচরণ করেছে। জঙ্গিরা বলেছে, বিদেশিরা স্বল্প কাপড় পরে, মদ পান করে। আর এরাই ইসলামের প্রসারের পথে বাধা। তাই তাদের হত্যা করতে হবে।
বাড়ই আরও বলেন, বন্দুকধারীরা চাচ্ছিল, তাদের কর্মকাণ্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেন ছড়িয়ে যায়। তাই ওই ব্যক্তিদের হত্যা করার পর তারা রেস্তোরাঁর কর্মীদের ওয়াই-ফাই চালু করতে বলে। ওয়াই-ফাই চালু করা হলে তারা রেস্টুরেন্টের খদ্দেরদের মুঠোফোন ব্যবহার করে নিহত ব্যক্তিদের ছবি পোস্ট করে।
রমজান মাস হওয়ায় শনিবার ভোর সাড়ে তিনটার দিকে মুসলমানদের সাহরি খাওয়ার জন্য রেস্টুরেন্টের কর্মীদের জঙ্গিরা বলে, মাছ ও চিংড়ি রান্না করে তাদের যেন খাওয়ানো হয়। তাদের যেন চা-কফি দেয়া হয়। তখন তরুণেরা বাংলায় কথা বলছিল। অনেকে আবার বিদেশিদের সঙ্গে ইংরেজিতেও কথা বলছিল। তবে হামলাকারীরা সবাই স্মার্ট ও সুশিক্ষিত ছিল। তাদের দিকে তাকালে কেউই বিশ্বাস করবে না যে তারা এ কাজ করতে পারে।
সকালের দিকে বন্দুকধারীরা হিজাব পরা কয়েকজন নারীকে ছেড়ে দেয়। এসময় ফারাজ হোসেন নামের এক বাংলাদেশি তরুণকেও ছেড়ে দিয়েছিল জঙ্গিরা। ছাড়া পাওয়া এক জিম্মির কাছ থেকে ঘটনাটি শুনেছেন ফারাজের নিকটাত্মীয় হিশাম হোসেন।
হিশাম বলেন, মুক্তি পাওয়া বাংলাদেশিরা বেরিয়ে যাওয়ার সময় ফারাজকে তাদের সঙ্গে যাওয়ার জন্য বারবার ডাকতে থাকেন। কিন্তু তখন তার সঙ্গে পশ্চিমা পোশাক পরা দুজন নারী ছিলেন। বন্দুকধারীরা ওই নারীদের জিজ্ঞেস করেছিল, তারা কোথা থেকে এসেছেন। উত্তরে একজন ভারত ও একজন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসার কথা জানান। এটি শুনে বন্দুকধারীরা তাদের ছাড়তে রাজি হয়নি।
এমন অবস্থায় আবার ফারাজ জঙ্গিদের বলেন, আমার এই দুই বন্ধুর কী হবে? জঙ্গিরা বলে, ওদের ছাড়া হবে না। ফারাজও বলেন, দুই বন্ধুকে ফেলে রেখে আমি যাব না। কিন্তু পরের দিন তাদের সঙ্গে ফারাজ হোসেনের লাশ পাওয়া যায়। শনিবার এমনই একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে নিউইয়র্ক টাইমস।
ফারাজ হোসেন (২০) আমেরিকার আটলান্টায় ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন। তিনি গ্রীষ্মের ছুটিতে ঢাকা এসেছিলেন। তাদের বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়তেন ঢাকার মেয়ে অবিন্তা কবির। আর যুক্তরাষ্ট্রের বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন ভারতীয় তরুণী তারুশি জৈন। এই তিনজন তাই ছিলেন পরস্পরের বন্ধু। কিন্তু সে দিন জঙ্গিদের হিংস্র থাবায় এই তিনজনই মারা যান।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে গুলশান ২ নম্বরের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালিয়ে দেশি-বিদেশি অন্তত ৩৩ জনকে জিম্মি করে জঙ্গিরা। সেখান থেকে ১৩ জন জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও ২০ জনের লাশ জবাই করা অবস্থায় পাওয়া যায়। শনিবার সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানে জিম্মি সংকটের অবসান হয়।
মানবকণ্ঠ/জেডএইচ
- See more at: http://www.manobkantha.com/2016/07/04/139243.php#sthash.nCQ9fiuL.dpuf
---------- message ----------
From: 'Razzak Syed' via PFC-Friends <pfc-friends@googlegroups.com>
From: 'Razzak Syed' via PFC-Friends <pfc-friends@googlegroups.com>
Date: 2016-07-04 15:58 GMT-04:00
Subject: Re: {PFC-Friends} পৃথিবী জেনে রাখো, ফারাজই বাংলাদেশ
To: pfc-friends@googlegroups.com
Does anyone come across the news that Mr. Faraz was one of the terrorist.
Video taken by the Korean couple, clearly shows that Faraz was with back pack marked '
Wilson' brand, holding guns and looking through the glass doors.
What a nation, how they twist the stories and make people Heroes or if they don't like then nailed to 'zero'.
Capt. Razzak A. Syed
Capt. Razzak A. Syed
Sent from my iPhone
আরও পড়ুন :
বন্ধুদের বাঁচাতে গিয়েই প্রাণ দিয়েছেন ফারাজ!
পৃথিবী জেনে রাখো, ফারাজই বাংলাদেশ
আনিসুল হক | আপডেট: ১২:৩৬, জুলাই ০৪, ২০১৬
wnRve †bB Avevi gymjgvb Kx‡mi! †b‡g Gj Rw½i aviv‡jv A¯¿
Avgv‡`i mgq.Kg : 04/07/2016
মসজিদে নববীর কাছে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত ৫
__._,_.___