নির্মলেন্দু গুণ: মায়ানমারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে চাই
নিরস্ত্র নিরপরাধ রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশুদের ওপর বার্মার সৈনিকদের বর্বর অত্যাচারের যে ভিডিওচিত্রগুলি আড়চোখে দেখলাম, তাতে প্রশ্ন জাগলো মনে, ১৯৭১ সালের পাক-সেনারা কি তুলনামূলকভাবে কম নিষ্ঠুর ছিলো?
১৯৭১ সালে পাকসেনাদের অত্যাচারের ভিডিও চিত্র ধারণ করা আজকের মতো সহজ ছিলো না বলে,
আমার এমনটি মনে হতে পারে।
আমি বিভিন্নসূত্রে ফেইসবুকে আপলোডকৃত মায়ানমারে ঘটতে থাকা নির্মমতার ভিডিওচিত্রগুলি আড়চোখে দেখেছি। ঐ রকমের মানব-পীড়নের দৃশ্য সোজা চোখে দেখার সাহস আমি সঞ্চয় করতে পারিনি।
আমার পক্ষে মায়ানমারের রাজনেতিক নেতৃত্বের ঔদ্ধত্ব এবং তার বর্বর সেনাদের এই অবিশ্বাস্য অমানবিক আচরণ মেনে নেয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আমি ঘুমাতে পারছি না।
আমি মনে করি, বাংলাদেশের পক্ষে বার্মা সরকারের যথেচ্ছাচারের নীরব দর্শক হয়ে সীমান্তে সীমাবদ্ধ থাকার সুযোগ নেই। শয়তানদের সমুচিত জবাব দেবার জন্য এখন আমাদের সীমান্ত অতিক্রম করার সময় এসেছে। মায়ানমারের সামরিক জান্তা ও শান্তির জন্য নোবেলজয়ী অশান্তি বেগমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার কথা এখনই গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হোক। অনেক হয়েছে, আর নয়।
আমি ভগ্নবক্ষ নিয়েও সেই ন্যায়যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করতে রাজী আছি। আমি বিশ্বাস করি, যুদ্ধ শুরু হলে বিশ্ববিবেক আমাদের পাশে থাকবে এবং ১৯৭১ এর মতো বার্মার বর্গীদের বর্ববতার বিরুদ্ধে আমরাই জয়ী হবো।
জয় বাংলা।
নয়াগাঁও
৬/৯/১৭
মিয়ানমারে গণহত্যা, আমরা কী করতে পারি : সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
রোহিঙ্গা
ভারতের সোনালি ইতিহাসে ছেদ পড়েছে - মণি শঙ্কর আয়ার: কংগ্রেসের সাবেক সাংসদ।
__._,_.___