Banner Advertiser

Friday, October 7, 2011

[ALOCHONA] KHALEDA BURNING FROM INSIDE !!!!!!!!!!!!!!!



শত্রুর মুখে ছাই ॥ শান্তির অন্বেষায় জাতিসংঘে শেখ হাসিনা
মুহম্মদ শফিকুর রহমান
আমাদের তথাকথিত বিরোধী দল নেত্রী থেকে শুরু করে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব পর্যন্ত অনেকে নন-স্টপ নাকে-মুখে মিথ্যে বলে বলে শেখ হাসিনাকে খাটো করার চেষ্টা করে চলেছেন। হেন নোংরামি নেই যে, তাঁরা করছেন না। কিন্তু যাঁর ধমনিতে বইছে জাতির জনকের রক্ত। সততা যাঁর শক্তি, আত্মবিশ্বাস যাঁর সাহস, বাংলার সাধারণ মানুষ যাঁর ভালোবাসার জায়গা, যতই শত্রুতা করা হোক তাঁকে খাটো করা যাবে না। বরং শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে তিনি দাপটের সঙ্গে এগিয়ে চলেছেন। দেশে তো বটেই, আন্তর্জাতিক পরিম-লেও। আর তাই দেখি মহিলা ও শিশু স্বাস্থ্য উন্নয়নে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে 'সাউথ সাউথ পুরস্কারে' ভূষিত করা হলো। এই বিরল সম্মানে তিনি যতখানি গৌরবের অধিকারী হলেন তার চেয়ে বেশি গৌরবান্বিত হলাম আমরা, এই বাংলাদেশের মানুষেরা। শেখ হাসিনা তাঁর এ গৌরবটি বাংলার ১৬ কোটি মানুষের প্রতি উৎসর্গ করলেন। তাঁর বিশ্বশান্তির মডেল জাতিসংঘভুক্ত দেশ গ্রহণ করেছে এবং তিনি ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
লেখার শুরুতে আমি বিরোধী দলের আগে 'তথাকথিত' শব্দটি ব্যবহার করেছি। এতে কেউ হয়ত রাগ করতে পারেন। কিন্তু আমি মনে করি যে দলের নেতারা মানুষের ভোট নিয়ে জনপ্রতিনিধি হলেন অথচ সংসদে গেলেন না, তাকে সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দল বলা যাবে না। বড়জোর একটি রাজনৈতিক দল বলা যেতে পারে, যার চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তাদের দাবি অনুযায়ী তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, কিন্তু একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার পুরস্কারও আনতে পারেননি।
কয়দিন আগে বেগম খালেদা জিয়ার বক্তৃতা শুনেছিলাম টেলিভিশনে। বিসমিল্লাহ থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত দলীয় কর্মসূচী ঘোষণার সময়টুকু কয়েক মিনিট বাদ দিলে সারাটা সময়ই কেবল শেখ হাসিনার কুৎসা_ শেখ হাসিনা ইহা করিয়াছেন, উহা করিয়াছেন (নেতিবাচক অর্থে)। এই খাতে ব্যর্থ ওই খাতে ব্যর্থ, একটি খাতেও সাফল্য দেখানি তিনি। অথচ মাত্র আড়াই বছরে শেখ হাসিনা ২২শ' মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন করেও বেগম জিয়ার ভাষায় ব্যর্থ? তিনি বিদ্যুতের লোডশেডিং দেখলেন, কিন্তু তাঁর সময়ে দিনে কত ঘণ্টা লোডশেডিং আর এখন কত ঘণ্টা এর কোন পরিসংখ্যান বা তথ্য উপস্থাপন করলেন না। কিংবা বর্তমানে দেশব্যাপী ৮-১০ কোটি সেলফোনের চার্জ দিতে গেলে দিনে কত বিদ্যুত খরচ হয় অথবা আইপিএসের চার্জ বা ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সার ব্যাটারি চার্জ দিতে কত বিদ্যুত খরচ হয়_ তারও পরিসংখ্যান খালেদা জিয়া দেননি। কারণ কেঁচো খুঁড়তে গেলে সাপ বেরিয়ে আসবে। তারই সুপুত্র তারেক রহমান খাম্বা কোম্পানি খুলে যেভাবে টাকা লুটেছেন, সাড়ে ৪ থেকে ৬ হাজার টাকার খাম্বা ১৬ থেকে ১৮ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন এবং চাহিদার বাইরেও জঊইকে সাল্পাই দিয়েছেন। আজও গ্রামাঞ্চলে সেসব খাম্বা লাশের মতো পথের পাশে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।
তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি হয়নি বলে খালেদা জিয়া ও তাঁর দলবল অনেক কথা বলেন। তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি কেন হয়নি তা কারও অজানা নয়। তবুও দায়ী করা হচ্ছে শেখ হাসিনাকে। এমনকি হাস্যকর হলো, তারা শেখ হাসিনার সরকারকে দায়ী করছেন না। দায়ী করছেন এককভাবে ব্যক্তি শেখ হাসিনাকে। একটা প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে, স্বাধীনতার ৪০ বছরের মধ্যে আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সাড়ে ৩ বছর (মুক্তিযুদ্ধের একাত্তর যোগ করলে সাড়ে ৪ বছর), plus শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত পাঁচ বছর plus ২০০৯ থেকে আজ পর্যন্ত পৌনে তিন বছর এই সোয়া ১১ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। আর বিএনপি ক্ষমতায় ছিল জিয়ার নেতৃত্ব ১৯৭৫ থেকে ১৯৮১ পর্যন্ত ৬ বছর, plus বিচারপতি সাত্তারের ৮ মাস, plus খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত ৫ বছর, plus ১৯৯৬-এর দেড় মাস, এই ১১ বছর সাড়ে ৯ মাস ক্ষমতায় ছিলেন। তাও আবার সামরিক শাসন দিয়ে দেশে কারফিউ চালিয়ে। মিলিটারি মিলিটারি মৈত্রী হিসেবে এরশাদের ৯ বছরের 'দেবর-ভাবীর' শাসন ধরলে আওয়ামীবিরোধীরা ক্ষমতায় ছিল প্রায় ২১ বছর। এখানেই প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে_ আপনারা তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি করলেন না কেন? বসে বসে রাম নামের কলা খেয়েছিলেন বুঝি। অথচ শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু হত্যার ২১ বছর পর ক্ষৈমতা এসে মাত্র ৫ বছরে গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি করলেন। চুক্তি করলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি প্রতিষ্ঠায়। কেবল আলোচনার বৈঠকে বসেই ৪০ হাজার সশস্ত্র বিদ্রোহীর অস্ত্র সমর্পণ বরং ৬০ হাজার উদ্বাস্তুকে ভারত থেকে ফেরত এনে বাংলাদেশের স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে আনা- কি বিশাল সাফল্যের ব্যাপার! যেদিন যখন বান্দরবানে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর ও সশস্ত্র বিদ্রোহীরা অস্ত্র সমর্পণ করেছিল সেই দৃশ্য দেখার সুযোগ আমার হয়েছিল। সমসত্ম প্রটোকল ব্রেক করে, এমনকি নিরাপত্তা বাহিনীর বাধা উপেৰা করে শেখ হাসিনা হেঁটে অস্ত্র সমর্পণকারী শান্তিবাহিনীর সদস্যদের মাঝে চলে যান। তাদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করে ফিরে আসেন।
সেদিন দেব গৌড়া ও আই কে গুজরালের নেতৃত্বে কেন্দ্রে ও জ্যোতি বসুর নেতৃত্বে পশ্চিম বাংলার বাম সরকার অর্থাৎ Friendly government ছিলেন, আজও তেমনি সোনিয়া-মনমোহন সিংয়ের নেতৃত্বে কেন্দ্রে Friendly government কিংবা পশ্চিম বাংলায় মমতা ব্যানার্জীর নেতৃত্বের সরকার আমাদের বৈরী সরকার ছিল না। তবু এক মমতার কারণে চুক্তি হলো না। ড. মনমোহন সিংয়ের সফরে মাত্র একদিন আগে মমতা ঢাকায় আসবেন না বলে জানালেন। মমতা অকূটনৈতিক আচরণ করলেন। যে কারণে এক লেখায় আমি বলেছিলাম 'মমতারা এ রকমই।' এ মমতাই চরম সাম্প্রদায়িক দল বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে মন্ত্রী পর্যন্ত হয়েছিলেন। যেমন আমাদের দেশেও স্বাধীনতাবিরোধী চরম সাম্প্রদায়িক শক্তি জামায়াতের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে বিএনপি ৰমতায় গিয়েছিল। এখনও সেই গাঁটছড়া আছে। তবে হ্যাঁ, মমতা ভারতের একটি state-এর মুখ্যমন্ত্রী তার সঙ্গে আমাদের কেবল সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার তুলনা করতে চাই না, আমি কেবল মিল-অমিলটা বোঝাবার চেষ্টা করলাম।
তবে হ্যাঁ, ড. মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরে বেগম খালেদা জিয়া কোন সাফল্য না দেখলেও আমরা অনেক সাফল্য দেখতে পাচ্ছি।
রাষ্ট্রীয় অর্থনীতি, কূটনীতি বা বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম যে ব্যাপারটি বিবেচনা করা হয় তা হলো একটি দেশের সঙ্গে আরেকটি দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে কি নেই। সে দিকটার দিকে তাকালে সহজেই বলা যায়_ ছিল না, এখন স্থাপিত হলো। বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে আস্থা, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ পুনর্স্থাপন করলেন শেখ হাসিনা এবং বর্তমান ভারতের সবচেয়ে শক্তিধর নেত্রী মিসেস সোনিয়া গান্ধী ও প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং। ড. সিংয়ের আগে সেনিয়া গান্ধীও ঢাকায় এসেছেন এবং শেখ হাসিনার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসএম কৃষ্ণার বৈঠক বা আমাদের দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েস ও নিরূপমা রাওয়ের মধ্যকার বৈঠকগুলো ছিল পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, সমতা ও আন্তরিকতার পরিবেশের মধ্যে। তার সুফলও আমরা পেয়েছি। জল ও স্থল সীমানা সমস্যার সমাধান, আমাদের ৪৮টি পণ্যের শুল্কমুক্ত ভারতের বাজারে প্রবেশ, ট্রানজিটের ক্ষেত্রে নেপালে ও ভুটানের অন্তর্ভুক্তি এবং সর্বোপরি জিয়া-খালেদা-এরশাদ গং দীর্ঘদিন ধরে যে বৈরিতা লালন করে আসছিল শেখ হাসিনা তাকে বন্ধুত্বে ফিরিয়ে আনলেন। এসবের মূল্য খালেদা জিয়ার কাছে না থাকতে পারে। কিন্তু আমাদের কাছে আছে। তিস্তা চুক্তিও যে একেবারেই হবে না তা খালেদা জিয়া তার নেতিবাচক রাজনীতির কারণে চাইতে পারেন, আমরা বিশ্বাস করি না। আমরা মনে করি হবে, এখনও সোয়া দুই বছর বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আছেন, অতএব, হতাশ হইও না বন্ধু, ধীরে।
বেগম খালেদা জিয়া ড. মনমোহনের ঢাকা সফরে কোন সাফল্য খুঁজে পেলেন না, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রদত্ত বহুল প্রশংসিত ভাষণ বা 'শান্তির মডেল' উপস্থাপন বা 'সাউথ সাউথ পুরস্কার' লাভ, এসবেও কোন সাফল্য দেখলেন না। বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে বেশি অসত্য ভাষণদানকারী বিএনপি মহাসচিব বরং শেখ হাসিনার শান্তির মডেলকে ঠাট্টা করে বলেছেন, 'তিনি (শেখ হাসিনা) দেশকে অশান্তির মধ্যে ঠেলে দিয়ে বিশ্বে শান্তি খুঁজে বেড়াচ্ছেন।' তার জানা দরকার, আজকের বিশ্বে কোন একটি দেশ এককভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না। এখনকার সময় হলো পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে নিজেকে ও বন্ধুকে সামনে নিয়ে যেতে হবে_তা সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কই হোক বা অর্থনৈতিক উন্নয়ন হোক। যে কারণে আজকের বিশ্বকে বলা হয় Gloval Village. কি ছিল শেখ হাসিনার শান্তির মডেলটি_
১. শেখ হাসিনা তার শান্তির মডেল সম্পর্কে বলেছেন, 'এটি একটি বহুমাত্রিক ধারণা যেখানে গণতন্ত্র ও উন্নয়নকে সর্বাগ্রে স্থান দেয়া হয়েছে।' তিনি এর নাম দিয়েছেন, 'জনগণের ৰমতায়ন এবং শান্তিকেন্দ্রিক উন্নয়ন মডেল।' এর মূল বিষয় হলো সকল মানুষকে সমান চোখে দেখা এবং মানসিক সামর্থ্য উন্নয়নের কাজে লাগানো।
২. অর্থনৈতিক উন্ননের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার চিন্তা হলো শান্তির পথে ধনী-দরিদ্র বা উন্নয়নশীল দেশের যৌথ প্রচেষ্টায় সকলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধন।
৩. জলবায়ু ও পরিবেশের উন্নয়নের ৰেত্রে যৌথ প্রচেষ্টা।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে তার শান্তির মডেল উপস্থাপন করলে সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানগণ অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে তাকে করতালি দিয়ে সমর্থন জানান।
শেখ হাসিনা জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেন। কেবল বাংলায় ভাষণ দেয়ার প্রাক্কালে শেখ হাসিনা সভাপতির অনুমতি গ্রহণকালে ইংরেজীতে দুটি বাক্য উচ্চারণ করেন আর পুরো বক্তৃতাই করেন বাংলায়। বক্তৃতা শেষে শেখ হাসিনা বাংলাকে জাতিসংঘের দাফতরিক ভাষা (official language) হিসেবে গ্রহণ করার দাবি জানিয়ে বলেন, বিশ্বের ৩০০ মিলিয়ন মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলেন এবং এই ভাষার রয়েছে দীর্ঘ ঐতিহ্য ও অনেক কালজয়ী সাহিত্য। সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বাংলা ভাষার কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই ভাষায় সাহিত্য রচনা করেন এবং আমাদের স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালের এই দিনে (২৪ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেন_এই দুই মহাপুরম্নষ বিশ্বজয় করেছিলেন। এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সর্বসম্মতিক্রমে জাতিসংঘের ১৩৬তম দিন হিসেবে সদস্য পদ লাভ করে। "আজ এই মহিমান্বিত সমাবেশে (২৪ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪) দাঁড়িয়ে আপনাদের সঙ্গে আমি এই জন্য পরিপূর্ণ সন্তুষ্টির ভাগীদার যে, বাংলাদেশের সাড়ে ৭ কোটি মানুষ আজ এই পরিষদে প্রতিনিধিত্ব করিতেছেন। আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের পূর্ণতা চিহ্নিত করিয়া বাঙালী জাতির জন্য ইহা একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।
"...শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে সকল মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের উপযোগী একটি বিশ্ব গড়িয়া তোলার জন্য বাঙালী জাতি পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, আমাদের অঙ্গীকারের সহিত শহীদানের বিদেহী আত্মাও মিলিত হইবেন।...বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম হইতেছে সার্বিক অর্থে শান্তি ও ন্যায়ের সংগ্রাম। আর সেই জন্যই জন্মলগ্ন হইতে বাংলাদেশ বিশ্বের নিপীড়িত জনতার পাশে দাঁড়াইয়া আসিতেছে। ...বর্তমান অর্থনৈতিক সঙ্কট শুধুমাত্র শান্তি এবং আন্তর্জাতিক সমঝোতার পরিবেশেই সমাধান করা সম্ভব। (বাংলাদেশে সমাজ বিপ্লবে বঙ্গবন্ধুর দর্শন_ খন্দকার মোহাম্মদ ইলিয়াস সম্পাদিত)।"
শেখ হাসিনাকে সাউথ সাউথ পুরস্কারটি দেয়া হয় বিশ্ব নারী ও শিশু স্বাস্থ্য উন্নয়নে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ। 'জাতিসংঘ ইকোনমিক কমিশন ফর অফ্রিকা,' 'জাতিসংঘ এন্টিগুয়া-বারবুডার স্থায়ী মিশন' 'আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন (আইটিইউ)' এবং 'সাউথ সাউথ নিউজ' যৌথভাবে এ পুরস্কার প্রবর্তন করে। শেখ হাসিনার হাতে পুরস্কারটি তুলে দেন আইটিইউর মহাসচিব হামাদুন টোরে। এবার আরও যারা এ পুরস্কার পেলেন তারা হলেন ডোমিনিকান রিপাবলিকের প্রেসিডেন্ট লিওনেল ফার্নান্দেজ, রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামি, সেনেগালের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ওয়াদে এবং জনসন এ্যান্ড জনসনের ভাইস চেয়ার মোরি এমসি কয়কেও। শেখ হাসিনার এই পুরস্কার অর্জনের একটি ছোট্ট উদাহরণ দিচ্ছি (১) নারীর ক্ষমতায়নের মাঝে মাতৃকালীন ছুটি ৬ মাস করা।
এর আগেও শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক সেরেস পুরস্কার, বিশ্ব খাদ্য সংস্থার পুরস্কার এবং আমেরিকার বোস্টন, ঢাকা, বিশ্বভারতী, ইংল্যান্ডের ডান্ডি, অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল, জাপানের ওয়াসেদা, জার্মানির ইউনিভার্সিটিসহ বিশ্বের বহু নামী-দামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ডক্টরেট ডিগ্রীতে ভূষিত হন। আমি মনে করি, এসব কারণে বিএনপির মধ্যে একটা Jealus কাজ করতে পারে। কিন্তু 'শান্তি মডেল'-এর ব্যাপারে Jealus না থাকাই উচিত। কারণ এটি শেখ হাসিনার মাধ্যমে গোটা দেশ ও জাতির জন্য সম্মান বয়ে আনবে।
যারা আজ Jealus-এর কারণে শেখ হাসিনার সব কাজের সমালোচনা করেন বা যে টিভি চ্যানেল 'জনতার কথা' নাম দিয়ে 'সিলেক্টেড' পথচারীর মুখের সামনে ডাণ্ডা ধরে প্রতিনিয়ত শেখ হাসিনা ও সরকারের তুলোধুনো করার চেষ্টা করছেন তাদের উদ্দেশে বলি, আপনাদের কোন নেতা-নেত্রী এরূপ একটি পুরস্কার পেলেও আমরা অভিনন্দন জানাব। আমরা হীনম্মন্যতায় ভুগি না। 'জনতার কথা'র টিভি চ্যানেলটির জন্য একদিন আমরা আন্দোলন করেছি, মানববন্ধন করেছি, কিন্তু রাস্তার কোন লোককে দিয়ে অর্থমন্ত্রীকে 'মূর্খ' বলানো বা মন্ত্রীদের 'লেখাপড়া করার' পরামর্শ দেয়ানোর মতো ধৃষ্টতা কোনভাবেই বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা নয়। জনশ্রম্নতি হলো_নিউজ চ্যানেল না পাওয়ার ৰোভ থেকে এসব করা হচ্ছে। এটা সত্য হলে দুঃখজনক।

ঢাকা, ০৭ অক্টোবর ২০১১
লেখক : ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক



__._,_.___


[Disclaimer: ALOCHONA Management is not liable for information contained in this message. The author takes full responsibility.]
To unsubscribe/subscribe, send request to alochona-owner@egroups.com




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___