Kindly read Motia Ch.'s comment on Khaleda Zia !!
বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বিএনপিকে আবারও সংসদে ফিরে আসার আহান জানিয়ে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, আওয়ামী লীগ কোন অপশক্তি ও রক্তচক্ষুকে ভয় পায় না। গণতন্ত্রের চর্চা করলে বিরোধীদলকে সবরকম সহযোগিতা করা হবে। তা না করে ১২ মার্চ কর্মসূচীর নামে ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করা হলে বিরোধীদলকে সমুচিত জবাব দেয়া হবে। স্বাধীনতাবিরোধীদের নিয়ে বিএনপি ঢাকা দখল করবে, আর আওয়ামী লীগ বসে বসে আঙ্গুল চুষবে- তা হবে না। নেতারা যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য দলীয় নেতাকর্মীসহ সমমনাদের ঐক্যকে সুদৃঢ় করে প্রস্তুত থাকার আহান জানান। '১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি জনগণের ভোটাধিকার হরণকারী, স্বৈরাচারী খালেদা জিয়ার ভোট ডাকাতির কালো দিবস' শীর্ষক আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় নেতারা এ আহান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, গণতন্ত্রের চর্চা করলে বিরোধীদলকে সরকার সবরকম সহযোগিতা করবে। তা না করে ষড়যন্ত্রের পথে গেলে সমুচিত জবাব দেয়া হবে। ১৮ ডিসেম্বরের মতো সমাবেশের নামে বোমাবাজি-নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে গেলে জনগণের নিরাপত্তা বিধানে যা যা করা দরকার সরকার তার সবকিছু করবে। তিনি বলেন, পার্লামেন্ট ছাড়া অন্য কোন পথে ক্ষমতা দখলের চিন্তা করলে বিএনপি ভুল করবে।
'সরকারকে ল্যাংড়া-লুলা বানিয়ে দেয়া হবে' বিরোধীদলীয় নেতার এমন বক্তব্যের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া যে কয়দিনই সংসদে গেছেন, দু'জন মিলে তাঁকে ধরে বসাতে ও ওঠাতে হয়েছে। তত্তবধায়ক সরকার তার ছেলে তারেকের মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দিয়েছে। এমন ল্যাংড়া-লুলা-কানা-খোঁড়া খালেদা জিয়ার দলেই আছে, আওয়ামী লীগে নয়। আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্রকারী নয়, জনগণকে সঙ্গে নিয়েই রাজনীতি করে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এখন সুর নরম করে তত্তাবধায়কের বদলে আন্তর্বর্তীকালীন সরকার চাইছেন। তবে সংসদের বাইরে কোন পরিবর্তন আনা যাবে না। তাই খালেদা জিয়া যা কিছুই চান, তার জন্য সংসদেই আসতে হবে।
এ সময় তিনি বিএনপিকে ল্যাংড়া, লুলা, খোঁড়া, ভেঙ্গুর, লেঙ্গুড়ের দল উল্লেখ করে বিরোধীদলীয় নেতাকে বাক সংযমের আহান জানান।
দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ কোন অপশক্তি ও রক্তচক্ষুকে ভয় পায় না। আত্মশক্তি শাশ্বত শক্তি, পেশীশক্তি শাশ্বত শক্তি নয়। তিনি ও তার দলের নেতা-কর্মীরা আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে রাজনীতি করেন। বিভিন্ন সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারি ও তার আগে পরের কয়েকদিনে দেশে যে সকল ঘটনা ঘটেছে আজ কোন সংবাদপত্রে বা চ্যানেলে সে বিষয়ে কোন রিপোর্ট বা নিবন্ধ দেখা যায়নি। এভাবে ইতিহাস ভুলে যাওয়া সঙ্গত নয় মন্তব্য করে সৈয়দ আশরাফ সত্যকে সত্য, ন্যায়কে ন্যায় বলা এবং ইতিহাসকে সঠিকভাবে তুলে ধরার জন্য সাংবাদিকসহ দেশবাসীর প্রতি আহান জানান।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কোন চ্যালেঞ্জে বিশ্বাস করে না। কারণ রাজনীতি কোন কুস্তি খেলা নয়। এক শ' মিটার দূরত্বের দৌড়ও নয়। রাজনীতি হলো মানুষের বাঁচার মন্ত্র। আগামী নির্বাচনে ভোট দিয়ে জনগণই নির্ধারণ করবে কে ক্ষমতায় আসবে। কাজেই মিথ্যাচার, হুমকি, অশ্লীলতা, ইতিহাসকে আড়াল করা এসব কোন কিছু করে লাভ হবে না। তিনি বলেন, যে জাতি ইতিহাস স্মরণ রাখে না, সে জাতির কোন ভবিষ্যত ভাল হতে পারে না। বিরোধী দলের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্য আরও দৃঢ় করার আহান জানান তিনি।
আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারিতে একদলীয় নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলার জনগণের সঙ্গে মীরজাফরী করেছেন। এজন্য জনগণের উচিত তাঁকে প্রতিহত করা।
আরেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সতীশ চন্দ্র রায় বলেন, দেশে রাজনীতির নামে ষড়যন্ত্র করছে বিরোধী দল। এ ষড়যন্ত্র সম্পর্কে দলের নেতা-কর্মীসহ দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহান জানান তিনি।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাঙালী জাতি ও গণতন্ত্রের জন্য একটি কলঙ্কজনক দিন। সরকারকে ল্যাংড়া-লুলা বানানোর মতো বক্তব্য দিয়ে খালেদা জিয়া তার অধপতনের প্রমাণ দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। হানিফ বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালে খালেদা জিয়া গোটা জাতিকে, প্রশাসনকে ও বিচার ব্যবস্থাকে ল্যাংড়া-লুলা বানিয়ে দিয়েছিলেন।
আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, খালেদা জিয়া সংসদে না গেলেও সংসদের দোহাই দিয়ে আদালতে পিভিলেজ নিয়েছেন, যা রীতিমতো অন্যায়। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যদি রাজনৈতিক কর্মসূচী দেয় তাহলে সেটা এক বা একাধিক কর্মসূচী হলেও সাংঘর্ষিক হয় না। তা না হয়ে যদি বিশেষ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের কর্মসূচী হয় তাহলে সমস্যা সৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক।
বেগম মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নেতা খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, আমিনুল ইসলাম আমিন, এনামুল হক শামীম, এম এ আজিজ, ফয়েজ উদ্দীন মিয়া, মুকুল চৌধুরী, হাজী মোহাম্মদ সেলিম, আওলাদ হোসেন, এ্যাডভোকেট সনজিদা খানম এমপি, যুবলীগের হারুন অর রশীদ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, তাঁতী লীগের এনাজুর রহমান চৌধুরী ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের এ্যাডভোকেট মোল্লা মোঃ আবু কাওছার।
সভাপতির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, গণতন্ত্রের চর্চা করলে বিরোধীদলকে সরকার সবরকম সহযোগিতা করবে। তা না করে ষড়যন্ত্রের পথে গেলে সমুচিত জবাব দেয়া হবে। ১৮ ডিসেম্বরের মতো সমাবেশের নামে বোমাবাজি-নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে গেলে জনগণের নিরাপত্তা বিধানে যা যা করা দরকার সরকার তার সবকিছু করবে। তিনি বলেন, পার্লামেন্ট ছাড়া অন্য কোন পথে ক্ষমতা দখলের চিন্তা করলে বিএনপি ভুল করবে।
'সরকারকে ল্যাংড়া-লুলা বানিয়ে দেয়া হবে' বিরোধীদলীয় নেতার এমন বক্তব্যের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া যে কয়দিনই সংসদে গেছেন, দু'জন মিলে তাঁকে ধরে বসাতে ও ওঠাতে হয়েছে। তত্তবধায়ক সরকার তার ছেলে তারেকের মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দিয়েছে। এমন ল্যাংড়া-লুলা-কানা-খোঁড়া খালেদা জিয়ার দলেই আছে, আওয়ামী লীগে নয়। আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্রকারী নয়, জনগণকে সঙ্গে নিয়েই রাজনীতি করে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এখন সুর নরম করে তত্তাবধায়কের বদলে আন্তর্বর্তীকালীন সরকার চাইছেন। তবে সংসদের বাইরে কোন পরিবর্তন আনা যাবে না। তাই খালেদা জিয়া যা কিছুই চান, তার জন্য সংসদেই আসতে হবে।
এ সময় তিনি বিএনপিকে ল্যাংড়া, লুলা, খোঁড়া, ভেঙ্গুর, লেঙ্গুড়ের দল উল্লেখ করে বিরোধীদলীয় নেতাকে বাক সংযমের আহান জানান।
দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ কোন অপশক্তি ও রক্তচক্ষুকে ভয় পায় না। আত্মশক্তি শাশ্বত শক্তি, পেশীশক্তি শাশ্বত শক্তি নয়। তিনি ও তার দলের নেতা-কর্মীরা আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে রাজনীতি করেন। বিভিন্ন সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারি ও তার আগে পরের কয়েকদিনে দেশে যে সকল ঘটনা ঘটেছে আজ কোন সংবাদপত্রে বা চ্যানেলে সে বিষয়ে কোন রিপোর্ট বা নিবন্ধ দেখা যায়নি। এভাবে ইতিহাস ভুলে যাওয়া সঙ্গত নয় মন্তব্য করে সৈয়দ আশরাফ সত্যকে সত্য, ন্যায়কে ন্যায় বলা এবং ইতিহাসকে সঠিকভাবে তুলে ধরার জন্য সাংবাদিকসহ দেশবাসীর প্রতি আহান জানান।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কোন চ্যালেঞ্জে বিশ্বাস করে না। কারণ রাজনীতি কোন কুস্তি খেলা নয়। এক শ' মিটার দূরত্বের দৌড়ও নয়। রাজনীতি হলো মানুষের বাঁচার মন্ত্র। আগামী নির্বাচনে ভোট দিয়ে জনগণই নির্ধারণ করবে কে ক্ষমতায় আসবে। কাজেই মিথ্যাচার, হুমকি, অশ্লীলতা, ইতিহাসকে আড়াল করা এসব কোন কিছু করে লাভ হবে না। তিনি বলেন, যে জাতি ইতিহাস স্মরণ রাখে না, সে জাতির কোন ভবিষ্যত ভাল হতে পারে না। বিরোধী দলের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্য আরও দৃঢ় করার আহান জানান তিনি।
আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারিতে একদলীয় নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলার জনগণের সঙ্গে মীরজাফরী করেছেন। এজন্য জনগণের উচিত তাঁকে প্রতিহত করা।
আরেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সতীশ চন্দ্র রায় বলেন, দেশে রাজনীতির নামে ষড়যন্ত্র করছে বিরোধী দল। এ ষড়যন্ত্র সম্পর্কে দলের নেতা-কর্মীসহ দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহান জানান তিনি।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাঙালী জাতি ও গণতন্ত্রের জন্য একটি কলঙ্কজনক দিন। সরকারকে ল্যাংড়া-লুলা বানানোর মতো বক্তব্য দিয়ে খালেদা জিয়া তার অধপতনের প্রমাণ দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। হানিফ বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালে খালেদা জিয়া গোটা জাতিকে, প্রশাসনকে ও বিচার ব্যবস্থাকে ল্যাংড়া-লুলা বানিয়ে দিয়েছিলেন।
আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, খালেদা জিয়া সংসদে না গেলেও সংসদের দোহাই দিয়ে আদালতে পিভিলেজ নিয়েছেন, যা রীতিমতো অন্যায়। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যদি রাজনৈতিক কর্মসূচী দেয় তাহলে সেটা এক বা একাধিক কর্মসূচী হলেও সাংঘর্ষিক হয় না। তা না হয়ে যদি বিশেষ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের কর্মসূচী হয় তাহলে সমস্যা সৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক।
বেগম মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নেতা খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, আমিনুল ইসলাম আমিন, এনামুল হক শামীম, এম এ আজিজ, ফয়েজ উদ্দীন মিয়া, মুকুল চৌধুরী, হাজী মোহাম্মদ সেলিম, আওলাদ হোসেন, এ্যাডভোকেট সনজিদা খানম এমপি, যুবলীগের হারুন অর রশীদ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, তাঁতী লীগের এনাজুর রহমান চৌধুরী ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের এ্যাডভোকেট মোল্লা মোঃ আবু কাওছার।
__._,_.___