বর্তমানছাত্রলীগকে চরিত্রপাল্টাতেহবে
লেখক: ইত্তেফাক | রবি, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০১২, ২৩ মাঘ ১৪১৮
ছাত্রলীগের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
ছাত্রলীগকে চরিত্র পাল্টিয়ে আদর্শভিত্তিক রাজনীতি করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ছাত্রলীগের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের বর্তমান নেতা-কর্মীদের এ পরামর্শ দেন। তাদেরকে লেখাপড়ার প্রতি মনোনিবেশ করতেও উপদেশ দেন তিনি। একইসঙ্গে 'সুযোগসন্ধানীদের' বিষয়েও ছাত্রলীগ নেতৃত্বকে সজাগ থাকতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। খবর বিডিনিউজ ও বাসস'র।
শেখ হাসিনা বলেন, কিছু কিছু লোক থাকে যারা সব সময় গভর্নমেন্ট পার্টি। তারা মনে করে, যে সরকারই আসুক না কেন, তাদের কিছু হবে না। আমার সঙ্গে সেটা চলবে না। সুযোগসন্ধানীদের এনে দল ভারি করার দরকার নেই। রাজনীতিতে সততার গুরুত্ব তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ছাত্রলীগের উদ্দেশ্যে বলেন, সততা থাকলে মাথা উঁচু করে কথা বলা যায়। যে নেতৃত্ব সততার সঙ্গে জীবন চালাতে পারে, সে নেতৃত্ব দেশকে কিছু দিতে পারে। গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় কেউ যেন বাধা দিতে না পারে সেজন্য ছাত্র সমাজকে সজাগ ও সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে বলেন, ধ্বংসাত্মক রাজনীতি পরিহার করুন,
দেশের জন্য কাজ করুন এবং জনগণের পাশে দাঁড়ান তাহলে আপনি জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হবেন। গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হয় এমন কার্যক্রম পরিহার করার জন্য বিরোধী দলীয় নেতার প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার চেষ্টা না চালানোর জন্য বিরোধী দলীয় নেতার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোন প্রচেষ্টাই বিচার কার্যক্রম থেকে যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে পারবে না।
বিএনপি-জামায়াত জোটের চলমান আন্দোলনকে যুদ্ধাপরাধী ও তার দুর্নীতিগ্রস্ত দুই পুত্রকে রক্ষার প্রচেষ্টা হিসাবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সম্প্রতি লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর ও রাজশাহীতে ৫ ব্যক্তির মৃত্যুর জন্য বিএনপি নেত্রী দায়ী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জনগণ দুর্নীতিপরায়ণ রাজনীতিবিদ, লুটেরা, জঙ্গিদের মদদদাতা ও যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষাকারীদের আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তোফায়েল আহমদ তার সাবেক সংগঠনের নেতাদের নীতি ও আদর্শে উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, ছাত্রলীগের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থাকলে তা মিটিয়ে ফেলতে হবে। আমাদের অগ্রযাত্রা ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে যেন ম্লান না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ছাত্রলীগের আরেক সাবেক সভাপতি এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের বলেন, ভালো কাজের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। সরকারের অর্জনগুলো অচিরেই দৃশ্যমান হবে।
ছাত্রলীগের সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে জাহাঙ্গীর কবীর নানক, আব্দুল মান্নান, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, শাহে আলম, বাহাদুর বেপারী বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম।
Desh-Bondhu,
'Desher Kotha Bolay'
'Desher Kotha Bolay'
__._,_.___