http://www.amardeshonline.com/pages/details/2012/03/31/138753
মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের আলোচনা সভায় বক্তারা : ভারতের প্রেসক্রিপশনে যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা চলছে
স্টাফ রিপোর্টার
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, বর্তমান শেখ হাসিনার সরকারকেও ভারতের বস্তা-ভর্তি টাকায় দেশি-বিদেশি চক্রান্তের মাধ্যমে ক্ষমতায় আনা হয়েছে। ক্ষমতায় গিয়ে তারা বিদেশিদের ঋণ শোধ করতে কাজ করছে। ভারতের প্রেসক্রিপশনে যুদ্ধাপরাধের নামে জাতীয় নেতাদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে বিচারের নামে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছে। গতকাল রাজধানীর ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে সংগঠনের ঢাকা মহানগরী সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হান্নান হোসাইনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিএনপির নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মোসলেম উদ্দিন। অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন সংগঠনের মহাসচিব মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইকবাল, মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী, ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক, বোরহানুদ্দিন, আনোয়ার হোসেন মিয়া প্রমুখ।
শফিউল আলম প্রধান বলেন, যেভাবে মীর জাফরকে ক্ষমতায় বসানো হয়েছিল তেমনি ভারতের বস্তা-ভর্তি টাকায় শেখ হাসিনাকেও ক্ষমতায় বসানো হয়েছে। তিনি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫ জন পাকিস্তানী সেনা কর্মকর্তাকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করলেন। আবার তিনিই ক্ষমা করে দিলেন। তেমনিভাবে জিয়াউর রহমানও শাহ আজিজুর রহমানের মতো লোককেও প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। কারণ শেখ মুজিব ও জিয়াউর রহমান জানতেন দেশ পরিচালনা করতে হলে জাতীয় ঐক্য দরকার। তারা বুঝতে পেরেছিলেন যুদ্ধ করে পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীন হলেও জাতীয় ঐক্য না থাকলে ভারতের কাছে আমাদের আবার বন্দি হতে হবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা যুদ্ধই করেননি তাদের আবার কিসের অপরাধ। জাতিকে মেধাশূন্য করতেই ভারতের প্রেসক্রিপশনে দেশপ্রেমিক জাতীয় নেতাদের বিচার করা হচ্ছে। এ বিচার বন্ধের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যদি বিচার করতে হয় তাহলে আগে ১৯৫ জন পাকিস্তানী সেনা কর্মকর্তাকে ফিরিয়ে এনে বিচার করুন। যদি বিচার করতে হয় তাহলে যারা ওইসব চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীকে ছেড়ে দিয়েছেন তারাও যুদ্ধাপরাধকে সমর্থন করেছেন। এজন্য তাদেরও মরণোত্তর বিচার হতে পারে।
- আমার ঢাকা
__._,_.___