After March 12 , Bangladesh will be "FREE OF RAZAKARS", inshallah .
১২ মার্চ কি ঘটবে? ॥ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা হতে পারে
যুদ্ধাপরাধীর বিচার ঠেকাতে জামায়াত-শিবির মাঠে নামাবে জঙ্গীদের ॥ নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে রাজধানী
শংকর কুমার দে ॥ আগামী ১২ মার্চ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর আক্রমণ করতে পারে জামায়াত শিবির ও জঙ্গীরা। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠনের সদস্যদের মাঠে নামাতে পারে। নাশকতার আশঙ্কার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের আত্মরক্ষার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রাজধানীতে এদিন প্রায় ২৫ হাজার পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে মোতায়েন করা হচ্ছে। রাজধানীকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলার পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে বসানো হয়েছে আর্চওয়ে মেটাল ডিটেক্টর, গোপন মুভি ক্যামেরা ও সিসি টিভি। পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তরফ থেকে সম্মিলিতভাবে ১২ মার্চের কর্মসূচীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একাধিক কন্ট্রোলরুম বসানো হচ্ছে। চেকপোস্টগুলোতে যানবাহন ও সন্দেহভাজনদের নিয়মিত তল্লাশি চলছে। পাশাপাশি আপৎকালীন মুহূর্ত মোকাবেলায় পুলিশের ক্রাইসিস রেসপন্স টিম, সোয়াট, বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, নারী পুলিশ টিম এবং র্যাবের পিকআপ ও মোটরসাইকেল টহল টিম, বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াডকে সর্বক্ষণিকভাবে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। রাজধানীতে বসানো হচ্ছে পাঁচ শ' সিসি টিভি ও গোপন মুভি ক্যামেরা। বিশেষ বিশেষ স্থান ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হচ্ছে। কূটনীতিকপাড়ার নিরাপত্তার জন্য নিরাপত্তা চৌকি ও টহল টিম মোতায়েন করা হচ্ছে। রাজধানীর নিরাপত্তার জন্য দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের আনা হচ্ছে।
রাজধানী ঢাকাকে অচল ও অবরুদ্ধ করে দিতে জামায়াত-শিবির ও জঙ্গীদের তৎপরতায় এবং প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে দুর্বৃত্তরা বিদ্যুত স্টেশন, ওয়াসা অফিস, পানির পাম্প, পুলিশ ও র্যাব সদর দফতরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় বড় ধরনের হামলা চালানোর পাঁয়তারা করছে। দেশকে অস্থিতিশীল করতে মহলগুলো দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে আসছে। রাজধানীর ধর্মীয় উপাসনালয়গুলো কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে রাখা হচ্ছে। ঐতিহাসিক স্থানসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হবে। কূটনীতিকপাড়াসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পুলিশ ও র্যাবের বাড়তি টহল টিম কাজ করছে। ঢাকা ছাড়াও কুমিল্লা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, বগুড়া, রাজশাহী, ফরিদপুর, যশোর, খুলনা, নারায়ণগঞ্জসহ কয়েক জেলায় হামলার ঘটনা ঘটতে পারে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালে জামায়াত নানা ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে তৎপরতা চালাচ্ছে।
পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার রেকর্ড থেকে জানা গেছে, গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীতে জামায়াত-শিবির ও জঙ্গীরা চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়েছে। তাদের হামলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, পথচারী, সাংবাদিক, ৩৮ জন পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ অন্তত শতাধিক আহত হন। হামলাকারীরা অন্তত ২ শতাধিক যানবাহনে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর ভোরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে জামায়াত-শিবির রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলা ও বেপরোয়া তা-ব চালিয়েছে। সেদিন রাজধানী ঢাকাতে অন্তত ২৫টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। গত ১১ জানুয়ারি শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযম গ্রেফতারের পর জামায়াত-শিবির রাজধানীতে চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে পুরো ঢাকা মহানগর রণক্ষেত্রে পরিণত করে। জামায়াত-শিবির ও জঙ্গীরা পুলিশের প্যাট্রোল ইন্সপেক্টর আবুল বাশারকে গাড়ি থেকে টেনেহিঁচড়ে রীতিমতো অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর পুলিশ কর্মকর্তাকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করে। মারধরের সময় পুলিশ কর্মকর্তার ৮ রাউন্ড গুলিসহ সরকারী আগ্নেয়াস্ত্রটি খোয়া যায়। এ দিনের হামলায় ১০ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়। পুলিশ কর্মকর্তা হাতজোড় করে মাফ চাইলেও হামলাকারী জামায়াত-শিবির ও জঙ্গীরা ক্ষমা করেনি।
গত ২৯ জানুয়ারি বিএনপির বাতিল করা গণমিছিলটিই সর্বশেষ জামায়াতÑশিবির ও জঙ্গীদের টার্গেট ছিল। গণমিছিলে বেপরোয়া হামলা চালিয়ে স্মরণকালের ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টির পরিকল্পনাকে সামনে রেখে এগোয় তারা। এমন আশঙ্কা থেকেই পুলিশ রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করে। এতে প- হয়ে যায় জামায়াতের বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা। রাজধানীর বাতিল গণমিছিল কর্মসূচী পালনকালে পরিকল্পিতভাবে চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুরে গুলিতে ৪ জন নিহত হওয়ার সুযোগ নিয়ে লাশ ফেলার রাজনীতি শুরুর চেষ্টা করেছে।
গোয়েন্দা সংস্থার এক উর্ধতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গোয়েন্দা সংস্থার সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী আগামী ১২ মার্চের কর্মসূচী ঘিরে জামায়াতÑশিবির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর আক্রমণ, হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, বিশৃঙ্খলা, নৈরাজ্য ও নাশকতার নীলনকশা তৈরি করেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করতে তারা বিএনপির কাঁধে ভর করে এ ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে আগামী ১২ মার্চে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ জন্য চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে লাশ ফেলে যাতে সরকারের ঘাড়ে দায়-দায়িত্ব চাপিয়ে ফায়দা লোটা যায় সেই পথ বেছে নিতে পারে বলে গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে আশঙ্কার কথা সরকারের উর্ধতন মহলে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে বসানো হয়েছে আর্চওয়ে মেটাল ডিটেক্টর, গোপন মুভি ক্যামেরা ও সিসি টিভি। পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তরফ থেকে সম্মিলিতভাবে ১২ মার্চের কর্মসূচীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একাধিক কন্ট্রোলরুম বসানো হচ্ছে। চেকপোস্টগুলোতে যানবাহন ও সন্দেহভাজনদের নিয়মিত তল্লাশি চলছে। পাশাপাশি আপৎকালীন মুহূর্ত মোকাবেলায় পুলিশের ক্রাইসিস রেসপন্স টিম, সোয়াট, বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, নারী পুলিশ টিম এবং র্যাবের পিকআপ ও মোটরসাইকেল টহল টিম, বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াডকে সর্বক্ষণিকভাবে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। রাজধানীতে বসানো হচ্ছে পাঁচ শ' সিসি টিভি ও গোপন মুভি ক্যামেরা। বিশেষ বিশেষ স্থান ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হচ্ছে। কূটনীতিকপাড়ার নিরাপত্তার জন্য নিরাপত্তা চৌকি ও টহল টিম মোতায়েন করা হচ্ছে। রাজধানীর নিরাপত্তার জন্য দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের আনা হচ্ছে।
রাজধানী ঢাকাকে অচল ও অবরুদ্ধ করে দিতে জামায়াত-শিবির ও জঙ্গীদের তৎপরতায় এবং প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে দুর্বৃত্তরা বিদ্যুত স্টেশন, ওয়াসা অফিস, পানির পাম্প, পুলিশ ও র্যাব সদর দফতরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় বড় ধরনের হামলা চালানোর পাঁয়তারা করছে। দেশকে অস্থিতিশীল করতে মহলগুলো দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে আসছে। রাজধানীর ধর্মীয় উপাসনালয়গুলো কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে রাখা হচ্ছে। ঐতিহাসিক স্থানসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হবে। কূটনীতিকপাড়াসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পুলিশ ও র্যাবের বাড়তি টহল টিম কাজ করছে। ঢাকা ছাড়াও কুমিল্লা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, বগুড়া, রাজশাহী, ফরিদপুর, যশোর, খুলনা, নারায়ণগঞ্জসহ কয়েক জেলায় হামলার ঘটনা ঘটতে পারে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালে জামায়াত নানা ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে তৎপরতা চালাচ্ছে।
পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার রেকর্ড থেকে জানা গেছে, গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীতে জামায়াত-শিবির ও জঙ্গীরা চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়েছে। তাদের হামলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, পথচারী, সাংবাদিক, ৩৮ জন পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ অন্তত শতাধিক আহত হন। হামলাকারীরা অন্তত ২ শতাধিক যানবাহনে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর ভোরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে জামায়াত-শিবির রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলা ও বেপরোয়া তা-ব চালিয়েছে। সেদিন রাজধানী ঢাকাতে অন্তত ২৫টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। গত ১১ জানুয়ারি শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযম গ্রেফতারের পর জামায়াত-শিবির রাজধানীতে চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে পুরো ঢাকা মহানগর রণক্ষেত্রে পরিণত করে। জামায়াত-শিবির ও জঙ্গীরা পুলিশের প্যাট্রোল ইন্সপেক্টর আবুল বাশারকে গাড়ি থেকে টেনেহিঁচড়ে রীতিমতো অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর পুলিশ কর্মকর্তাকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করে। মারধরের সময় পুলিশ কর্মকর্তার ৮ রাউন্ড গুলিসহ সরকারী আগ্নেয়াস্ত্রটি খোয়া যায়। এ দিনের হামলায় ১০ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়। পুলিশ কর্মকর্তা হাতজোড় করে মাফ চাইলেও হামলাকারী জামায়াত-শিবির ও জঙ্গীরা ক্ষমা করেনি।
গত ২৯ জানুয়ারি বিএনপির বাতিল করা গণমিছিলটিই সর্বশেষ জামায়াতÑশিবির ও জঙ্গীদের টার্গেট ছিল। গণমিছিলে বেপরোয়া হামলা চালিয়ে স্মরণকালের ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টির পরিকল্পনাকে সামনে রেখে এগোয় তারা। এমন আশঙ্কা থেকেই পুলিশ রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করে। এতে প- হয়ে যায় জামায়াতের বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা। রাজধানীর বাতিল গণমিছিল কর্মসূচী পালনকালে পরিকল্পিতভাবে চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুরে গুলিতে ৪ জন নিহত হওয়ার সুযোগ নিয়ে লাশ ফেলার রাজনীতি শুরুর চেষ্টা করেছে।
গোয়েন্দা সংস্থার এক উর্ধতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গোয়েন্দা সংস্থার সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী আগামী ১২ মার্চের কর্মসূচী ঘিরে জামায়াতÑশিবির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর আক্রমণ, হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, বিশৃঙ্খলা, নৈরাজ্য ও নাশকতার নীলনকশা তৈরি করেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করতে তারা বিএনপির কাঁধে ভর করে এ ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে আগামী ১২ মার্চে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ জন্য চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে লাশ ফেলে যাতে সরকারের ঘাড়ে দায়-দায়িত্ব চাপিয়ে ফায়দা লোটা যায় সেই পথ বেছে নিতে পারে বলে গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে আশঙ্কার কথা সরকারের উর্ধতন মহলে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
__._,_.___