Banner Advertiser

Thursday, April 26, 2012

[mukto-mona] ইলিয়াস আলীর অপহরণ! !!!!!!!



ইলিয়াস আলীর অপহরণ!
ড. মোজাম্মেল খান
এক সপ্তাহ বা তার বেশি সময় ধরে সমস্ত জাতিকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে বিরোধী দলের 'গণতান্ত্রিক' অধিকার চর্চার জন্য, যদিও সেটা করা হয়েছে সমস্ত নাগরিকের মৌলিক অধিকার হরণ করার মধ্য দিয়ে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হওয়ার প্রতিবাদে জনগণের এ মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছিল। আর এটা করতে গিয়ে এ পর্যন্ত ৫ জনকে জীবন দিতে হয়েছে, যাদের তিন জন ইলিয়াস আলীর এলাকার বিএনপি কর্মী এবং অন্য দু'জন সাধারণ মানুষ, যাদের একজনকে বাসের ভেতর ঘুমন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে মারা হয়েছে এবং অন্যজন পিকেটারদের আক্রমণ থেকে বাঁচতে গিয়ে তার ট্যাক্সি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে তিনি প্রাণ হারান। তাদের দু'জনই কোন দলের বড় মাপের কোন নেতা ছিলেন না; তাই তাদের মৃতদেহ দেখতে বা তাদের পরিবারের খোঁজখবর নিতে সরকারী বা বিরোধী দলের কোন নেতা বা সুশীল সমাজের কেউ তাদের কুঁড়েঘরে পদার্পণ করেননি।
আমার নিজের জানা ছিল না যে ইলিয়াস আলী বিএনপির কোন কেন্দ্রীয় নেতা। তাকে আমি সিলেটের বিএনপির নিউজমেকার হিসেবে জানতাম, এ জন্য নয় যে তার সাথে তার বিরোধী রাজনৈতিক দলের কোন ঘোরতর বিবাদ ছিল; তার নিজ রাজনৈতিক দলের বিবদমান গ্রুপের তিনি মধ্যমণি ছিলেন বলেই তিনি সংবাদপত্রে স্থান পেতেন। আমার মনে আছে প্রয়াত অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান, যিনি ইলিয়াস আলীকে তার নিজের দলের এক কর্মীকে হত্যার প্রেক্ষিতে জেলের প্রকোষ্ঠ থেকে মুক্ত করে আনার কথা প্রসঙ্গ টেনে তার সাথে চরম বিবাদের এক পর্যায়ে আক্ষেপ করে বলেছিলেন, "আমি গর্ত থেকে সাপ বের করে এনেছিলাম যে এখন আমাকেই দংশন করছে।" মাস খানেক আগে টরন্টোতে আমার এক বন্ধু, যার প্রয়াত শ্বশুর সিলেট শহর থেকে যতদিন বেঁচেছিলেন বিএনপির সাংসদ ছিলেন, এমনকি বিএনপি যখন একটি বাদে সব আসনেই বৃহত্তর সিলেটে পরাজিত হয়েছিল তখনও তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন, তিনি ইলিয়াস আলীর সব হত্যা, সন্ত্রাস ও ত্রাসের কাহিনী আমাদের কাছে এক সামাজিক আড্ডায় তুলে ধরেছিলেন এবং উপসংহার টেনেছিলেন এই বলে, এমন একজন মানুষ কেমন করে বিএনপির সিলেট জেলার সভাপতি হতে পারেন।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী ইলিয়াস আলী ছাত্রলীগ দিয়ে শুরু করে জাতীয় ছাত্রসমাজ ঘুরে অবশেষে ছাত্রদল হয়ে তিনি বিএনপিতে স্থান করে নিয়েছেন। ঢাকা শহরের অভিজাত এলাকায় তার প্রাসাদোপম অট্টালিকা 'সিলেট হাউস' তার বিশাল বিত্তভৈববের জানান দিয়ে চলেছে। তার বর্তমান রাজনৈতিক দল তাকে খুঁজে পাওয়ার জন্য এমন কিছুই নেই যা করছে না, তা জাতি বা তার মানুষদের যতই ত্যাগ স্বীকারের বিনিময়েই হোক না কেন। তার নিখোঁজ হওয়ার তৃতীয় দিনেই তার দল ঢাকাস্থ সমস্ত বিদেশী রাষ্ট্রদূতদের ডেকে তাদের কাছে নালিশ জানিয়েছেন এবং দলের একজন সিলেট থাকে আসা সহ-সভাপতি, যিনি বঙ্গবন্ধুর খুনীদের ১৯৭৬ সালে লিবিয়ায় আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন, টিভি ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে বললেন, 'গত কয়েক মাসে হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ করেছে বর্তমান সরকার।' কিন্তু ইলিয়াস আলীকে তার আজকের অবস্থানে আসতে অনেক 'পরিশ্রম' করতে হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা অবস্থায় তিনি এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত ছিলেন; দুই ছাত্রকে (যাদের লাশ পানির ট্যাংকে আবিষ্কৃত হয়েছিল) খুনের দায়ে দুই মেয়াদে তিন বছর কারাগার ভোগ করেছেন, যার দু'বছর বিএনপি শাসনেই। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। যদিও কমপক্ষে ৬ জন মানুষকে খুনের দায়ে তিনি অভিযুক্ত হয়েছেন তার কোনটাতেই অবশ্য, আরও অনেক ভাগ্যবান অপরাধীদের মতো (যারা দুই দলেই রয়েছেন), আদালত থেকে তিনি সাজাপ্রাপ্ত হননি।
যে কোন সভ্য ও গণতান্ত্রিক সমাজে গুম, অপহরণ বা বিচার বহির্ভূত হত্যাকা- কোন অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য নয়। যে বিচার বহির্ভূত হত্যাকা- বিএনপি আমলে শুরু হয়েছিল সেটা দুঃখের বিষয় আজও অব্যাহত রয়েছে যদিও এর সংখ্যা অনেক কমে এসেছে। বিগত বিএনপি এবং বর্তমান সরকারের আমলে গুম, নিখোঁজ এবং পরে অনেকের লাশ পাওয়া গেলেও এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্টভাবে সাব্যস্ত হয়নি কিভাবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল। সত্যের খাতিরে এ কথা স্বীকার করতে হবে যে একজন গুম হয়ে মানুষকে জীবিত খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন কাজ, এমনকি যে সমাজে আইনের শাসন পুরোপুরি বিদ্যমান। এমনকি টরন্টোর মতো পৃথিবীর অন্যতম নিরাপদ শহরেও গত বিশ বছরে কোন নিখোঁজ হওয়া মানুষকে জীবিত খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমি এ লেখাটি যখন লিখছি তখনও টরন্টো শহরে এক ১৬ বছরের বালককে খোঁজা হচ্ছে, যে গত ৭ দিন থেকে যে নিখোঁজ।
ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হওয়ার পরদিনই একটা শক্তিশালী বিএনপি প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাকে উদ্ধারের দাবি জানান। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী স্বীকার করেন যে, এ অপহরণ সরকারের জন্য বিব্রতকর। কিন্তু এ ধরনের একটা ভাল উদ্যোগ দুই প্রধান নেত্রীর অনেত্রীসুলভ বক্তব্যের কারণে দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। একদিকে প্রধানমন্ত্রী বললেন, বিএনপি নেত্রী হয়ত ইলিয়াস আলীকে লুকিয়ে রেখেছেন; আর অন্যদিকে বিরোধী নেত্রী বললেন গোয়েন্দা সংস্থা এবং র্যাবই যে তাকে অপহরণ করেছে সে ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত। ইলিয়াস আলীর রাজনৈতিক জীবনের ঘটনা প্রবাহের আলোকে তার নিখোঁজ হওয়ার পেছনে নিম্নোক্ত চারটির যে কোন একটি কারণ বা সংস্থা জড়িত থাকেতে পারে। প্রথমত সরকারের কোন কর্তাব্যক্তির নির্দেশে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা; দ্বিতীয়ত, তারই দলের বিবদমান কোন গ্রুপ; তৃতীয়ত, তার শত্রুরা কেউ যাদের সাথে রাজনীতির কোন সম্পর্ক নেই এবং চতুর্থত, তিনি নিজেই কোথাও আত্মগোপন করে থাকতে পারেন যার কারণ তিনি নিজেই একমাত্র বলতে পারবেন।
প্রথম সম্ভাবনা নিয়ে প্রথম আলোচনা করা যাক। ইলিয়াস আলীর সঙ্গে স্থানীয় কোন আওয়ামী লীগ নেতার বিরোধ বা শত্রুতা ছিল এমন খবর কোথাও পাওয়া যায়নি। উপরন্তু বিরোধী শিবিরে তার মতো বিবদমান নেতার উপস্থিতি যে কোন দলের জন্য বিরাট আশীর্বাদ। আর পৃথিবীতে কি এমন কোন কারণ আছে যার জন্য আওয়ামী লীগ তার মতো একজন নিচের স্তরের নেতাকে উধাও করতে যাবে সেটা ভাবা দুষ্কর। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিম-লে একমাত্র দু'জন প্রধান নেত্রী ছাড়া অন্য কারও উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি রাজনৈতিক সমীকরণে কোন পরিবর্তন যে আনবে না সেটা সর্বজনবিদিত।
দ্বিতীয় সম্ভাবনা যে তাদেরই বিবদমান গ্রুপের কেউ এ কাজটি করেছে সেটা সম্পর্কে ধারণা পেতে হলে ওই দলের স্থানীয় বিবদমান গ্রুপ সম্পর্কে জানতে হবে। এ ব্যাপারে ২১ এপ্রিলের আমাদের সময় পত্রিকায় 'জনপ্রতিনিধি ইলিয়াস আলী, ছাত্রনেতা ইলিয়াস আলী' শিরোনামে এবং ২৪ এপ্রিলের কালের কণ্ঠে 'নিখোজ ইলিয়াস অবসান ঘটাবেন সব বিরোধের' শিরোনামে ওদের স্থানীয় প্রতিনিধিদের দুটো বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এপ্রিলের ৩ তারিখে দিনার এবং জুনায়েদ নামে দুই নেতা ওদের দলেরই এক ছাত্রদল নেতার খুনের মামলায় ঢাকায় জামিন নিতে এসে নিখোঁজ হন। কিন্তু এ নিখোঁজের খবর খুব কমই সংবাদমাধ্যমে স্থান পেয়েছে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো বিএনপি নেত্রী যখন সংবাদ সম্মেলনে ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারকে সময়সীমা বেঁধে দিলেন তখন ভুলেও তিনি আর দুই নিখোঁজ নেতার নামও উল্লেখ করলেন না। এর থেকে কি এ ধারণাই করাই স্বাভাবিক নয় যে, ওই দুই নেতার নিখোঁজের সঙ্গে ইলিয়াস আলীর নিখোঁজের ঘটনা কোন ধারাবাহিক ঘটনা নয়; বরং আগেকার ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবেই ইলিয়াস আলীকে নিখোঁজ করা হয়েছে?
কয়েক বছর আগে একজন সাবেক রাষ্ট্রদূত এবং বিএনপির উপদেষ্টা আমাকে বলেছিলেন যে, তিনি যখন জানলেন তাঁর জীবনের মূল্য পাঁচ শ' টাকারও কম তখন তিনি নির্বাচন করার ইচ্ছে থেকে সরে এলেন। যেহেতু তিনি যে নির্বাচনী এলাকা থেকে মনোনয়ন পাওয়ার আশা পোষণ করেছিলেন সে এলাকার বিদ্যমান বিএনপি নেতা প্রয়োজনে পাঁচ শ' টাকারও কম পয়সা দিয়ে তাকে হত্যা করাতে পারেন। ঠিক একইভাবে আমার এক নিকট আত্মীয় গত সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাওয়ার আগে আমার মতামত জানতে চেয়েছিলেন। আমি তার নিজের দলের যারা ওই মনোনয়ন প্রত্যাশী তাদের তরফ থেকে তার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্নতার কথা জানিয়েছিলাম এবং সে কথা ভেবে তিনি আর মনোনয়ন প্রত্যাশী হননি। নরসিংদীর জনপ্রিয় মেয়র তার নিজের দলের লোকদের হাতেই নিহত হয়েছেন, বিরোধীদের হাতে নয়।
তৃতীয় সম্ভাবনা হলো তার পথযাত্রায় তিনি যে শত্রুসমূহ সৃষ্টি করেছেন, তাদেরই কেউ এ ঘটনা ঘটাতে পারে যার সঙ্গে রাজনীতির কোন সম্ভাবনা নাও থাকেতে পারে। চতুর্থত, তিনি কোন বিশেষ কারণে নিজেই আত্মগোপনে যেতে পারেন।
যে কারণেই হোক না কেন সবার জন্য মঙ্গল হতো বিএনপি যদি তদন্তকারী সংস্থাসমূহকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিত যেমনভাবে ইলিয়াস আলীর স্ত্রী প্রথম দিকে অতি পরিপক্বভাবে সহযোগিতার হস্ত প্রসারিত করেছিলেন। বিএনপি নেত্রী অবশ্য সেটা করতে এখন তাকে নিষেধ করেছেন বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। দ্বিতীয় সম্ভাবনা সত্য হলে এটা উদ্ধারকারী সংস্থার জন্য অনেক সহায়ক হিসেবে কাজ করত। অবশ্য বিএনপির নেত্রীর প্রধান উদ্দেশ্য আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটানো, যেটা অবশ্য ২১ আগস্টের মহাহত্যাযজ্ঞের পরেও তার নিজের সরকারের ক্ষেত্রেও ঘটেনি। অবশ্য সেটা ঘটলেও কিভাবে ইলিয়াস আলী তার প্রিয় পরিবারের কাছে ফিরে আসবে সেটা পরিষ্কার নয়, যদি তিনি বিএনপির দাবি অনুযায়ী সরকারী সংস্থা কর্তৃক অপহৃত হয়ে থাকেন, যেটা অবশ্য বিএনপির অন্ধ সমর্থক ছাড়া অন্য কাউকে বিশ্বাস করানো কঠিন হবে।
লেখক : অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, যন্ত্রকৌশল বিভাগ, শেরিডান বিশ্ববিদ্যালয়, টরন্টো, কানাডা



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___