Banner Advertiser

Thursday, April 26, 2012

[mukto-mona] Fw: [KHABOR] ইলিয়াস আলী তড়িঘড়ি কেন বিমানে ঢাকায় ফিরেছিলেন, সঙ্গী কারা -অপহৃত হওয়ার ২ দিন আগে সিলেট গমন ॥দলীয় কোন্দল মেটাতে দফায় দফায় গোপন বৈঠক সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে


----- Forwarded Message -----
From: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>
To: Khobor <khabor@yahoogroups.com>
Sent: Thursday, April 26, 2012 7:17 PM
Subject: [KHABOR] ইলিয়াস আলী তড়িঘড়ি কেন বিমানে ঢাকায় ফিরেছিলেন, সঙ্গী কারা -অপহৃত হওয়ার ২ দিন আগে সিলেট গমন ॥দলীয় কোন্দল মেটাতে দফায় দফায় গোপন বৈঠক সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে

 

ইলিয়াস আলী তড়িঘড়ি কেন বিমানে ঢাকায় ফিরেছিলেন, সঙ্গী কারা
অপহৃত হওয়ার ২ দিন আগে সিলেট গমন ॥ দলীয় কোন্দল মেটাতে দফায় দফায় গোপন বৈঠক সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে
গাফফার খান চৌধুরী ॥ অপহৃত হওয়ার মাত্র ২ দিন আগে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ ইলিয়াস আলী মূলত কি কারণে সিলেট গিয়েছিলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। টানা ২ দিন সিলেটে অবস্থানকালে সিলেটের একাধিক হোটেলে গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন ইলিয়াস। গোপন বৈঠকে ইলিয়াস আলীর সঙ্গে অংশগ্রহণকারীদের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। ঘটনার দিন ইলিয়াস আলীর সঙ্গে সিলেট থেকে বিমানযোগে কে কে ঢাকায় এসেছেন তাদের শনাক্ত করা হচ্ছে। পাশাপাশি ওই বিমানে আসা অন্যান্য যাত্রীর বিষয়েও তথ্য সংগ্রহ চলছে। বিশেষ কোন পরিস্থিতিতে ইলিয়াস আলীকে বিমানযোগে ঢাকায় আসতে হয়েছিল কি-না এবং ঢাকার পৌঁছানোর দিনই অপহৃত হওয়ার পিছনে কোন যোগসূত্র আছে কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ৯ দিনেও হদিস মেলেনি অপহৃতদের। 
ইলিয়াস আলীর পারিবারিক সূত্র জানায়, ঘটনার মাত্র ২ দিন আগে ১৪ এপ্রিল ইলিয়াস আলী সিলেটে যান। সেখানে ২ দিন অবস্থান করেন। ১৭ এপ্রিল ইলিয়াস আলী বিমানযোগে ঢাকায় ফেরেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সিলেট বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল দীর্ঘদিন ধরেই চরমে। সম্প্রতি শওকত নামে ইলিয়াসের এক অনুসারী ক্যাডার খুন হয় ইলিয়াস আলীরই দক্ষিণহস্ত হিসেবে পরিচিত দিনার গ্রুপের হাতে। এ নিয়ে প্রায় ৪ মাস ধরে সিলেট বিএনপির রাজনীতিতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই গত ৪ এপ্রিল উত্তরা থেকে নিখোঁজ হন ইলিয়াস আলীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইফতেখার আহমেদ দিনার। অদ্যাবধি দিনারের কোন হদিস মেলেনি। দিনার নিখোঁজ হওয়ার পর সিলেটের রাজনৈতিক পরিস্থিতি মারাত্মক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অভ্যন্তরীণ কোন্দল মেটাতেই ইলিয়াস আলী গত ১৪ এপ্রিল সিলেট যান। সিলেটের একাধিক হোটেলে দফায় দফায় একান্ত বৈঠকে মিলিত হন। টানা ২ দিনে দফায় দফায় বৈঠক হয়। কিন্তু ফলাফল শূন্য। ২ দিন পর ১৭ এপ্রিল ইলিয়াস আলী দুপুর ৩টায় বিমানযোগে ঢাকায় আসেন। 
এরপর বাসায় পরিবারের সদস্য ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের সঙ্গে সময় কাটান। রাত পৌনে ১০টার দিকে চালক আনসার আলীকে সঙ্গে নিয়ে স্ত্রী তাহ্সিনা রুশদীর প্রাইভেটকারযোগে গুলশান বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে যাওয়ার কথা বলে রাজধানীর বনানী থানাধীন ২/১ নম্বর রোডের ৩ নম্বর বাড়ি থেকে বের হন।
এ সময় বাড়ির সামনে ২টি মোটরসাইকেলে ৫ যুবদল নেতা অপেক্ষা করছিলেন। এদের মধ্যে ৩ জনকে নিজের গাড়িতে তুলে নেন ইলিয়াস আলী। এরপর যান হোটেল রূপসী বাংলায়। সেখানে তাঁরা বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে রাত ১২টা ২ মিনিটের দিকে ইলিয়াস আলী বনানীর বাসার উদ্দেশে রওনা হন। রাত সোয়া ১২টার দিকে বনানীর ২ নম্বর সড়কের ২ নম্বর বাড়ির সাউথ পয়েন্ট স্কুল এ্যান্ড কলেজের খুব কাছাকাছি পৌঁছলে চালক আনসার আলীসহ ইলিয়াস আলী অপহৃত হন। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, হোটেল রূপসী বাংলার ৭টি সিসি টিভি দফায় দফায় পর্যালোচনা করা হয়েছে। ওই রাতে ইলিয়াস আলীর সঙ্গে থাকা যুবদল নেতা মীর নেওয়াজ, আমজাদ হোসেন, মোনায়েম মুন্না, মোটরসাইকেলের চালক হিসেবে থাকা যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর ও শরীফ এবং এ্যাডভোকেট আহসান হাবিবকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের তথ্যের ভিত্তিতেই সিলেট বিএনপির বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। 
সিলেটের হোটেলে ইলিয়াস আলীর সঙ্গে বৈঠককারীদের বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। এমনকি সিলেট থেকে ইলিয়াস আলীকে তড়িঘড়ি করে বিশেষ কোন পরিস্থিতিতে বিমানযোগে ঢাকায় আসতে হয়েছিল কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিমানে ইলিয়াস আলীর সঙ্গী হিসেবে কে কে ছিলেন সে বিষয়েও অনুসন্ধান চলছে। বিমানের যাত্রীদের বিষয়েও খোঁজখবর নিচ্ছে গোয়েন্দারা। 
জানা গেছে, রাজনৈতিক টানাটানিতে ইলিয়াস আলীর পরিবার উভয় সঙ্কটে রয়েছে। এদিকে দলের হাইকমান্ডের নির্দেশের বাইরে যেতে পারছেন না, আবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গেও অভিযানে যেতে পারছেন না। এমনকি যোগাযোগ পর্যন্ত প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। বিরোধী দল ইলিয়াস আলীকে পুঁজি করে রাজনীতি করছে। আর সরকারী দল ইলিয়াস আলীকে উদ্ধারের নামে নানা ধরনের সান্ত¡নার কথা বলছে। মাঝখান থেকে সবাই সুবিধে ভোগ করছে। কিন্তু ইলিয়াস আলীর উদ্ধারের বিষয়ে কোন অগ্রগতি নেই। বৃহস্পতিবারও ইলিয়াস আলীর পরিবারের তরফ থেকে ইলিয়াস আলী অপহৃত হওয়ার বিষয়ে কোন বিবৃতি বা কোন কিছুই জানানো হয়নি। ইলিয়াস আলীর ছোট ছেলে লাবিব সারার ইলিয়াস জনকণ্ঠকে জানায়, তার মা ভীষণ অসুস্থ। তিনি মিডিয়ার সামনে কোন কথা বলবেন না। এমনকি পরিবারের অন্য কেউ এ বিষয়ে কোন কথা বলবে না। 
এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ইলিয়াস আলীকে উদ্ধারে সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। রাজনৈতিক রশি টানাটানিতে চরম বিপাকে ইলিয়াস আলীর পরিবার। পরিবারের তরফ থেকে ইলিয়াস আলীর অপহৃত হওয়ার বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে নারাজ। ইলিয়াস আলীকে উদ্ধারে সাধ্যমতো চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে সরকারের দাবি। তবে ৯ দিনেও উদ্ধার হয়নি ইলিয়াস আলী ও তাঁর গাড়িচালক আনসার আলী। এমনকি অপহৃতরা জীবিত না মৃত তাও নিশ্চিত করতে পারেনি কেউ। 
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরেও ইলিয়াস আলী অপহৃত হতে পারেন। আবার অভ্যন্তরীণ কোন্দলের সুযোগ নিয়েও কোন দেশী-বিদেশী গোষ্ঠী অপহরণের ঘটনাটি ঘটাতে পারে। এছাড়া সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে স্বাধীনতাবিরোধীরাও এমন ঘটনা ঘটাতে পারে
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=15&dd=2012-04-27&ni=94472

শুক্রবার, ২৭ এপ্রিল ২০১২, ১৪ বৈশাখ ১৪১