'খালেদার এপিএসের দুর্নীতি নিয়ে লেখা কই' | ||||
|
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারীর বিরুদ্ধে 'দুর্নীতির' অভিযোগ ওঠার পরও তিনি পদত্যাগ না করায় বর্তমান ঘটনা নিয়ে বিরোধী দলের সমালোচনার 'অধিকার' নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের পদত্যাগের বিষয় নিয়ে প্রকাশ্যে প্রথম কথা বলেন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা। এপিএসের গাড়িতে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাওয়ার ঘটনায় এক সপ্তাহজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার পর গত সোমবার রেল মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ছাড়েন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তাকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করা হয়েছে। সহকারীর গাড়িতে অর্থ পাওয়ার দায় নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে সুরঞ্জিত প্রথমে বলেছিলেন, তার এপিএস বাইরে কী করে বেড়ায়, তা তার জানার কথা নয়। পরে অবশ্য দায় নিজের কাঁধে নিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, "আমিও বলতে পারি, এপিএসরা কে, কোথায়, কী করে বেড়াচ্ছে, আমারো তা জানার কথা না। এপিএসের কারণে মন্ত্রী পদত্যাগ করেছে, এই নজির বাংলাদেশে নেই। আওয়ামী লীগ এই নজির স্থাপন করেছে।" মন্ত্রীর পদত্যাগ নিয়ে জাতীয় দৈনিকগুলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "প্রধানমন্ত্রী থাকতে খালেদা জিয়ার এপিএস শামসুল আলম দুর্নীতি করেছিল, কই তিনি তো পদত্যাগ করেননি। বিরোধী দলের নেত্রীর এপিএসের দুর্নীতির কথা তো কেউ পত্রিকায় লিখছেন না। এগুলো স্মরণ রাখা উচিত। "কারো যদি উদ্দেশ্য থাকে জিঘাংসা, তা হলে লিখতে পারেন, আমার কিছু বলার নেই," বলেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, "আমার একটা প্রশ্ন সাংবাদিকদের কাছে, খালেদা জিয়া ইনকাম ট্যাক্সের ফাইলে সম্পদের যে হিসাব দিয়েছে, তা ঠিক আছে কিনা?" সুরঞ্জিতকে নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদেও বস্তুনিষ্ঠতার অভাব রয়েছে বলে স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "রুলস অফ বিজনেস দেখে পত্র-পত্রিকাগুলোতে লিখলে ভালো হয়। বড় বড় ইংরেজি কাগজে যারা লেখেন, 'সুরঞ্জিত ব্যাক'।" সুরঞ্জিতের অব্যাহতিপত্রে রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর না করা পর্যন্ত তা কার্যকর হত না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমরা তা করিনি, তাকে সরিয়ে দিয়ে দপ্তরবিহীন করেছি। তদন্ত হচ্ছে। রেজাল্ট বের হলে রাষ্ট্রপতি সিদ্ধান্ত নেবেন।" দপ্তরবিহীন প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, "তাজও পদত্যাগ করেছে। আমরা তা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাইনি। সে এখনো দপ্তরবিহীন মন্ত্রী রয়ে গেছে।" তানজিম আড়াই বছর আগে পদত্যাগপত্র দিলেও সরকারের পক্ষ থেকে এ নিয়ে কিছুই স্পষ্ট করা হয়নি। বৃহস্পতিবারই প্রধানমন্ত্রী প্রথম এ নিয়ে কথা বললেন। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসইউএম/এমআই/১৬৪৬ ঘ. | |
| |
| |
|
__._,_.___