----- Forwarded Message -----
From: Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com>
To:
Sent: Thursday, June 14, 2012 3:47 PM
Subject: [Pro-Muslim] একাত্তরে হত্যাকাণ্ডের সময় উপস্থিতরাও অপরাধী'!!!!!!
From: Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com>
To:
Sent: Thursday, June 14, 2012 3:47 PM
Subject: [Pro-Muslim] একাত্তরে হত্যাকাণ্ডের সময় উপস্থিতরাও অপরাধী'!!!!!!
একাত্তরে হত্যাকাণ্ডের সময় উপস্থিতরাও অপরাধী' | ||||
|
ঢাকা, জুন ১৪ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- একাত্তরে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর হত্যাকাণ্ড যারা দেখেও তাদের সঙ্গে ছিল, তারাও অপরাধী বলে মন্তব্য করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। বৃহস্পতিবার মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামী নেতা মো. কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ পুনর্বিবেচনার শুনানির এক পর্যায়ে এই মন্তব্য করেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীর। তিনি বলেন, "আসামিপক্ষের শুনানিতে বলা হয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধ হতে হলে ঘটনাটি ব্যাপকভাবে বিস্তৃত, পদ্ধতিগত এবং তা সম্পর্কে আসামির নলেজ থাকতে হবে। কিন্তু ক্রিমিনাল ট্রায়াল আমরা সিআরপিসি দিয়ে করি। এতে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, ওই অপরাধে তার নলেজ থাকতে হয়। "কিন্ত এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের মতামত হলো, একাত্তরের ২৫ মার্চ রাত থেকে পরবর্তী ৯ মাস দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী এদেশের সাধারণ মানুষের ওপর যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। এতে ২৫ মার্চ রাতে ঢাকাতে নিহত হয়েছে অসংখ্য নিরীহ মানুষ। সে সংখ্যা কেউ ২০ হাজার আবার কেউবা ৭০ হাজার বলছে।" "ওই হত্যাকাণ্ডের সময় যারা পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে উপস্থিত ছিল; তারাও অপরাধী। কেননা তাদের উদ্দেশ্যই ছিল বাঙালি জাতিকে নিধন করা," বলেন বিচারক। তিনি বলেন, "যে ব্যক্তি পাক বাহিনীর সঙ্গে থেকে এই হত্যাকাণ্ডের কথা জানে, সে সারাদেশে ৯ মাসে যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তার খবরও জানে। আমরা ধরে নেব, ওই অপরাধ তাদের নলেজে ছিল।" এই বিষয়ে আসামিপক্ষের কাছে কোনো দৃষ্টান্ত থাকলে তা ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করতে বলেন বিচারক। এর আগে অভিযোগ গঠনের আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদনে জামায়াত নেতার আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, "মানবতাবিরোধী অপরাধ বিষয়টা অনেক বড়। এই অপরাধ হতে হলে ঘটনাটি হতে হবে ব্যাপকভাবে বিস্তৃত, পদ্ধতিগত এবং তা সম্পর্কে আসামির নলেজ থাকতে হবে। "কিন্তু এসব বিষয়ে অভিযোগ গঠনের আদেশে কিছুই বলা হয়নি। তাছাড়াও একই ঘটনায় কামারুজ্জামানকে প্রধান আসামি বলা হচ্ছে, আবার সহযোগী বলা হচ্ছে, যেটা আইনত ঠিক নয়।" জবাবে প্রসিকিউটর কে এম সাইফুল ইসলাম বলেন, "মানবতাবিরোধী ঘটনার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ব্যাপকভাবে বিস্তৃত, পদ্ধতিগত এবং তা সম্পর্কে আসামির নলেজ থাকতে হবে, এটা ঠিক নয়। এই বিষয়টা এসেছে বহুদিন পর। তাছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে এ বিষয়টি নেই।" "সুতরাং আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন সঠিক হয়েছে। এটা পুনর্বিবেচনার সুযোগ নেই," বলেন তিনি। দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর ট্রাইব্যুনাল এই বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ১৯ জুন দিন নির্ধারণ করেছে। গত ৪ জুন একাত্তরে হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতন, দেশত্যাগে বাধ্যকরাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সাত ধরনের ঘটনায় কামারুজ্জামানকে অভিযুক্ত করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। ওই মামলায় ২ জুলাই থেকে সাক্ষ্য গ্রহণের দিন নির্ধারিত আছে। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/পিসি/এমআই/০০২৬ ঘ. |
|
|
|
__._,_.___