From: Capt. Farid Hossain <farid2002hossain@hotmail.com>
To: mnik <manik195709@yahoo.com>; abid.bahar@gmail.com; PROGRESSIVE <progressive-muslim@yahoogroups.com>; CHOTTOLA <chottala@yahoogroups.com>
Sent: Sunday, June 24, 2012 11:46 PM
Subject: দেশ চলে এসেছে শায়েস্তা খানের জমানায় : ভারসাম্যহীন মন্ত্রীবচন বাণী নাকি বাচালতা
To: mnik <manik195709@yahoo.com>; abid.bahar@gmail.com; PROGRESSIVE <progressive-muslim@yahoogroups.com>; CHOTTOLA <chottala@yahoogroups.com>
Sent: Sunday, June 24, 2012 11:46 PM
Subject: দেশ চলে এসেছে শায়েস্তা খানের জমানায় : ভারসাম্যহীন মন্ত্রীবচন বাণী নাকি বাচালতা
দেশ চলে এসেছে শায়েস্তা খানের জমানায় : ভারসাম্যহীন মন্ত্রীবচন বাণী নাকি বাচালতা
গৃহপালিত অথবা বন্যপ্রাণী পাগল হলে সিটি করপোরেশন অথবা বনবিভাগ সেগুলোকে দ্রুত পরপারে পাঠানোর ব্যবস্থা নেয়। আর মানুষ পাগল হলে চিকিত্সার জন্য পাঠানো হয় মানসিক হাসপাতালে। অবশ্য প্রত্যন্ত গ্রামে আধুনিক চিকিত্সা ব্যবস্থার অনুপস্থিতির কারণে হাতুড়ে ডাক্তার অথবা কবিরাজরা সংশ্লিষ্ট লোকটিকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভার অনেক সদস্য রীতিমত মানসিক অসুস্থতায় ভুগছেন। গত কিছু দিন ধরে তারা জাতির উদ্দেশে যেসব ভাষণ, বক্তব্য ও বাণী দান করেছেন তা শুনে ও পড়ে যে কোনো সচেতন মানুষ এ রকম সিদ্ধান্তে আসতেই পারেন। সম্প্রতি এই বাণী দানকারী তালিকায় নিজের নাম সংযুক্ত করেছেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. ক্যাপ্টেন মজিবর রহমান ফকির। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলকে লালবাগ দুর্গের প্রতিষ্ঠাতা মুঘল সুবেদার শায়েস্তা খানের জমানার সঙ্গে তুলনা করে তিনি যে অমৃত বাণী উদগিরণ করেছেন তার মূল কথা হলো, আওয়ামী লীগের সুশাসনে দেশ শায়েস্তা খানের আমলে চলে এসেছে। আওয়ামী লীগ সরকার কৃষকবান্ধব। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশে কোনো খাদ্যঘাটতি থাকে না। কেউ না খেয়ে মরে না। এখন একজন রিকশাওয়ালা একদিনের আয় দিয়ে এক মণ ধান কিনতে পারে। অর্থাত্ দেশে এখন মহা সুশাসন কায়েম হয়েছে। তার এই বাণী পাঠ করে সুশীল সমাজের কী হাল হয়েছে জানি না। সাধারণ মানুষের আক্কেল গুড়ুম। তাদের চক্ষু চড়ক গাছে পরিণত হয়েছে। নানা অভিব্যক্তির কোরাস উঠেছে সাধু, সাধু।
কবি বলে গেছেন এত ভঙ্গ বঙ্গদেশ তবু রঙ্গে ভরা। এই রঙ্গ এখন বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেলেও, তা যে দেশছাড়া হয়নি, তারই প্রমাণ আমাদের মন্ত্রিসভার সম্মানিত সদস্য এবং শাসক দলের নেতাকর্মীরা মাঝে-মধ্যেই উপস্থাপন করেন। রঙ্গ এখন অনুকূল বাতাসে ফুলে-ফেঁপে ওঠা তাদের হৃদয়গত বলেই, তাদের জিহ্বা হয়ে উঠেছে লাগামছাড়া এবং চোখ থেকে উধাও হয়ে গেছে সব রকম লোকলজ্জা। সেজন্যই যখন যা খুশি বলার একতরফা ক্ষমতা তাদের আয়ত্তাধীন। সুস্থ ও স্বাভাবিকতা যদি তাদের মধ্যে থাকতো তাহলে এ ধরনের কাণ্ডজ্ঞানবর্জিত দায়িত্বহীন উক্তি উত্সারিত হতো না। শায়েস্তা খান কেবলমাত্র টাকায় ৮ মণ চাল দিয়েই ইতিহাসে অমরত্ব লাভ করেননি। তিনি কায়েম করেছিলেন সত্যিকারের সুশাসন। তার শাসনকালে মানুষ ঘরে-বাইরে সর্বত্র নিরাপদ ছিল। বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদতো না। ইংরেজ ডাচ বণিকদের তিনি যেমন কুর্নিশ করতে বাধ্য করেছিলেন, তেমনি রাখাইন তথা মগ জলদস্যুদের নির্মূল করেছিলেন চিরতরে। অসাধারণ সব স্থাপত্য নির্মাণ করে ঢাকাকে পরিণত করেছিলেন প্রাচ্যের রোমাঞ্চ নগরীতে। প্রতিমন্ত্রী ফকির সাহেবের এইসব ইতিহাস জানার কথা নয়। কারণ তাদের প্রধান অস্ত্র হলো স্তাবকতা ও দুর্নীতি। পাশাপাশি মানুষের জীবন, সমাজ ও স্বাধীনতাকে বিপন্ন করে তোলা।
শেখ মুজিবের শাসনামলে ১০ লাখ মানুষ মরে গিয়েছিলেন দুর্ভিক্ষে। শাসক শ্রেণীর রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৩০ হাজার মানুষ। শেখ হাসিনার বিগত শাসনামলে জেলায় জেলায় তৈরি হয়েছিল গডফাদার। মানুষ পরিণত হয়েছিল ১২ টুকরো লাশে। ধর্ষণের সেঞ্চুরি উদযাপন করেছিল ছাত্রলীগের সোনার ছেলে। এবার তো মানুষের লাশ কুচিকুচি হয়ে যাচ্ছে। ঘরে থাকলে খুন। পথে বেরুলে গুম। প্রশাসন, অর্থনীতি, বিচারব্যবস্থাসহ সব প্রতিষ্ঠান এখন ধ্বংসের কিনারে। গ্যাস, পানি, বিদ্যুত্, দ্রব্যমূল্যের ভয়াবহ সঙ্কটে মানুষ দিশেহারা। প্রতিকারহীন শক্তির পায়ের নিচে এখন প্রতিনিয়ত পিষ্ট হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা। এই রকম একটি দুর্নীতিগ্রস্ত দুঃশাসনামলের সঙ্গে শায়েস্তা খানের শাসনামলের তুলনা করা শুধু বাচালতা নয়, রীতিমত মানসিক বিকারগ্রস্ততাও বটে।
তবে এই ধরনের অমিয় বাণী দেশের মানুষ হরহামেশাই শুনে শুনে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। প্রতিমন্ত্রী ফকির সাহেবই এক্ষেত্রে একক চ্যাম্পিয়ন নন। তার আগে আরেক ফকির (সর্বহারা) শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া সগর্বে উচ্চারণ করেছিলেন শেখ হাসিনার শাসনামলে দেশে এখন আর ফকির নেই। বাণিজ্যমন্ত্রী থাকাকালে ফারুক খান দেশবাসীকে অসিয়ত করেছিলেন কম কম খাবার খেতে। অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন সপ্তাহে একদিন বাজারে না যেতে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের উপদেশ দেন, পুলিশ থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহাউল্লাসে ঘোষণা করেছিলেন তিনি সফল। তবে সবাইকে টেক্কা দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বর্তমানে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রবীণ রাজনীতিবিদ জিল্লুর রহমান। তিনি বলেছিলেন, শেখ হাসিনা যে কীর্তি স্থাপন করেছেন, তার সঙ্গে শুধু মাদার তেরেসা, নেলসন ম্যান্ডেলা, মহাত্মা গান্ধী কিংবা আব্রাহাম লিংকনেরই তুলনা হতে পারে। দেখা যাচ্ছে, বাণী বিতরণে আওয়ামী সরকারের মন্ত্রীদের কেউ কারও চেয়ে কম যান না।
জাতির দুর্ভাগ্য এইসব মানসিক ভারসাম্যহীন প্রলাপ তাদের প্রতিনিয়ত হজম করতে হয়। কিন্তু এইসব হজম শক্তিরও একটা সীমা-পরিসীমা আছে। সীমা লঙ্ঘনের বিপদ সম্পর্কে বার বার সাবধান করেছে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ। সেজন্যই গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়গণ এবং এর মাধ্যমে সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ থাকবে, ঠোঁট ও জিহ্বাকে একটা শৃঙ্খলার মধ্যে এনে দেশ ও দশের সেবায় ভালোভাবে মনোনিবেশ করুন। তাতে যেমন দেশের মানুষ হাঁফ ছেড়ে বাঁচবে আর আপনারাও ভালো কিছু করে যাচ্ছেন বলে একধরনের পরিতৃপ্তি লাভ করতে পারবেন।
কবি বলে গেছেন এত ভঙ্গ বঙ্গদেশ তবু রঙ্গে ভরা। এই রঙ্গ এখন বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেলেও, তা যে দেশছাড়া হয়নি, তারই প্রমাণ আমাদের মন্ত্রিসভার সম্মানিত সদস্য এবং শাসক দলের নেতাকর্মীরা মাঝে-মধ্যেই উপস্থাপন করেন। রঙ্গ এখন অনুকূল বাতাসে ফুলে-ফেঁপে ওঠা তাদের হৃদয়গত বলেই, তাদের জিহ্বা হয়ে উঠেছে লাগামছাড়া এবং চোখ থেকে উধাও হয়ে গেছে সব রকম লোকলজ্জা। সেজন্যই যখন যা খুশি বলার একতরফা ক্ষমতা তাদের আয়ত্তাধীন। সুস্থ ও স্বাভাবিকতা যদি তাদের মধ্যে থাকতো তাহলে এ ধরনের কাণ্ডজ্ঞানবর্জিত দায়িত্বহীন উক্তি উত্সারিত হতো না। শায়েস্তা খান কেবলমাত্র টাকায় ৮ মণ চাল দিয়েই ইতিহাসে অমরত্ব লাভ করেননি। তিনি কায়েম করেছিলেন সত্যিকারের সুশাসন। তার শাসনকালে মানুষ ঘরে-বাইরে সর্বত্র নিরাপদ ছিল। বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদতো না। ইংরেজ ডাচ বণিকদের তিনি যেমন কুর্নিশ করতে বাধ্য করেছিলেন, তেমনি রাখাইন তথা মগ জলদস্যুদের নির্মূল করেছিলেন চিরতরে। অসাধারণ সব স্থাপত্য নির্মাণ করে ঢাকাকে পরিণত করেছিলেন প্রাচ্যের রোমাঞ্চ নগরীতে। প্রতিমন্ত্রী ফকির সাহেবের এইসব ইতিহাস জানার কথা নয়। কারণ তাদের প্রধান অস্ত্র হলো স্তাবকতা ও দুর্নীতি। পাশাপাশি মানুষের জীবন, সমাজ ও স্বাধীনতাকে বিপন্ন করে তোলা।
শেখ মুজিবের শাসনামলে ১০ লাখ মানুষ মরে গিয়েছিলেন দুর্ভিক্ষে। শাসক শ্রেণীর রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৩০ হাজার মানুষ। শেখ হাসিনার বিগত শাসনামলে জেলায় জেলায় তৈরি হয়েছিল গডফাদার। মানুষ পরিণত হয়েছিল ১২ টুকরো লাশে। ধর্ষণের সেঞ্চুরি উদযাপন করেছিল ছাত্রলীগের সোনার ছেলে। এবার তো মানুষের লাশ কুচিকুচি হয়ে যাচ্ছে। ঘরে থাকলে খুন। পথে বেরুলে গুম। প্রশাসন, অর্থনীতি, বিচারব্যবস্থাসহ সব প্রতিষ্ঠান এখন ধ্বংসের কিনারে। গ্যাস, পানি, বিদ্যুত্, দ্রব্যমূল্যের ভয়াবহ সঙ্কটে মানুষ দিশেহারা। প্রতিকারহীন শক্তির পায়ের নিচে এখন প্রতিনিয়ত পিষ্ট হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা। এই রকম একটি দুর্নীতিগ্রস্ত দুঃশাসনামলের সঙ্গে শায়েস্তা খানের শাসনামলের তুলনা করা শুধু বাচালতা নয়, রীতিমত মানসিক বিকারগ্রস্ততাও বটে।
তবে এই ধরনের অমিয় বাণী দেশের মানুষ হরহামেশাই শুনে শুনে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। প্রতিমন্ত্রী ফকির সাহেবই এক্ষেত্রে একক চ্যাম্পিয়ন নন। তার আগে আরেক ফকির (সর্বহারা) শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া সগর্বে উচ্চারণ করেছিলেন শেখ হাসিনার শাসনামলে দেশে এখন আর ফকির নেই। বাণিজ্যমন্ত্রী থাকাকালে ফারুক খান দেশবাসীকে অসিয়ত করেছিলেন কম কম খাবার খেতে। অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন সপ্তাহে একদিন বাজারে না যেতে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের উপদেশ দেন, পুলিশ থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহাউল্লাসে ঘোষণা করেছিলেন তিনি সফল। তবে সবাইকে টেক্কা দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বর্তমানে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রবীণ রাজনীতিবিদ জিল্লুর রহমান। তিনি বলেছিলেন, শেখ হাসিনা যে কীর্তি স্থাপন করেছেন, তার সঙ্গে শুধু মাদার তেরেসা, নেলসন ম্যান্ডেলা, মহাত্মা গান্ধী কিংবা আব্রাহাম লিংকনেরই তুলনা হতে পারে। দেখা যাচ্ছে, বাণী বিতরণে আওয়ামী সরকারের মন্ত্রীদের কেউ কারও চেয়ে কম যান না।
জাতির দুর্ভাগ্য এইসব মানসিক ভারসাম্যহীন প্রলাপ তাদের প্রতিনিয়ত হজম করতে হয়। কিন্তু এইসব হজম শক্তিরও একটা সীমা-পরিসীমা আছে। সীমা লঙ্ঘনের বিপদ সম্পর্কে বার বার সাবধান করেছে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ। সেজন্যই গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়গণ এবং এর মাধ্যমে সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ থাকবে, ঠোঁট ও জিহ্বাকে একটা শৃঙ্খলার মধ্যে এনে দেশ ও দশের সেবায় ভালোভাবে মনোনিবেশ করুন। তাতে যেমন দেশের মানুষ হাঁফ ছেড়ে বাঁচবে আর আপনারাও ভালো কিছু করে যাচ্ছেন বলে একধরনের পরিতৃপ্তি লাভ করতে পারবেন।
- সম্পাদকীয়
__._,_.___