কিন্তু ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে দুষ্কৃতীদের তা-বের পর ঘটনাস্থলে কয়েকবার পরির্দশনকালে ক্ষতিগ্রস্ত ও আক্রান্ত অধিকাংশ সংখ্যালঘু জানান, তাঁদের সঙ্গে প্রতিবেশী মুসলিম জনগোষ্ঠীর সম্প্রীতি এখনও অটুট আছে। এমনকি দুষ্কৃতীদের তা-বে প্রতিবেশী অনেকে বাধা দিয়েছে। সংখ্যালঘুরা জানিয়েছেন, পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা জাফর আহমদ ও তাঁর তিন পুত্র দুষ্কৃতকারীদের বাধা দিয়েছেন। প্রশ্ন উঠেছে তবে কারা এ তা-ব চালিয়েছে? এর জবাবে সংখ্যালঘুরা জানান, দুষ্কৃতকারীদের অধিকাংশই অপরিচিত। যাদের চেনা গেছে তাদের অনেকে ঘটনাস্থল থেকে ৬ কিলোমিটার দক্ষিণে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত লম্বাবিল গ্রামের। ওই রাতে দুষ্কৃতীদের তান্ডব থেকে প্রাণে রক্ষা পাওয়া ৮১ বছরের বয়োবৃদ্ধ পক্ষাঘাতগ্রস্ত প্রতিবন্ধী মিলন রুদ্র জানান, ওইরাতে নিজের ঘরে শুয়েছিলেন। তাঁর দু'হাত ও বাঁ পা অবশ থাকায় এছাড়া তার কোন উপায় ছিল না। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হঠাৎ চেঁচামেচি, হৈ-হুল্লোড় করে সবাই পালাতে থাকে। এ সময় তাঁর স্ত্রী প্রভা রুদ্র হাঁফাতে হাঁফাতে দৌড়ে এসে তাঁকে বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্য টানাটানি শুরু করে। ঠিক এ সময় অনেক লোক 'নারায়ে তকবির' সেøাগান দিয়ে তাঁর ঘরে আগুন দেয়। আগুন কম জ্বলছে দেখে তারা পেট্রোল ছিটিয়ে আগুনকে আরও উস্কে দেয়। এ অবস্থায় তাঁরা স্বামী-স্ত্রী ঘরের ভেতর ধোঁয়ায় আটকে পড়েন। মনে হচ্ছিল দু'জনই দম বন্ধ হয়ে মারা যাবেন। পরে লুকিয়ে লুকিয়ে আরও কয়েক সংখ্যালঘু এসে তাদের দু'জনকে টেনে-হিঁচড়ে পার্শ্ববর্তী ধানক্ষেতে নিয়ে যায়। অন্যদের মধ্যে তারা সেখানে আতঙ্কগ্রস্ত অবস্থায় রাত কাটায়।
পটিয়ায় সংঘটিত ঘটনায় স্থানীয় ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপ ইয়ার্ডের আরও এক শ্রমিক মঙ্গলবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। তার নাম মোঃ আলা উদ্দিন। এর আগে গত ৫ অক্টোবর ইব্রাহিম ও মহিউদ্দিন নামের দুই শ্রমিক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে হামলার সঙ্গে ওয়েস্টার্ন মেরিনের ৩৪ শ্রমিকের নাম প্রকাশ করে।
পটিয়ার কুলগাঁও ইউনিয়নের চার ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী ওয়েস্টার্ন মেরিনের শ্রমিক মোঃ আলাউদ্দিন। মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আকতার হোসেনের আদালতে আলাউদ্দিন জবানবন্দী প্রদান করে। এ সংক্রান্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কামাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তদন্ত কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আলাউদ্দিন ওয়েস্টার্ন মেরিনের পাইপ ফিটার। ঘটনার পর সে পালিয়ে যায়। গত ৭ অক্টোবর গভীর রাতে ফেনীর দাগনভূঁইয়া থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
এদিকে, রামুর বৌদ্ধ বিহারে ও বড়ুয়া পল্লীতে হামলা এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনাকে পুঁজি করে ফায়দা হাসিল করতে উগ্রবাদী সংগঠনের কর্মীরা অপপ্রচার অব্যাহত রেখেছে। রামু, উখিয়া ও টেকনাফে বৌদ্ধদের ওপর হামলা, বিহার ও বড়ুয়া পল্লী জ্বালিয়ে দেয়ার ঘটনায় মিয়ানমারে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী রাখাইনরাও মুসলমানদের মসজিদ পুড়িয়ে দিয়েছে বলে রোহিঙ্গাদের উত্তেজিত করে তোলার অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। মিয়ানমার সীমান্তের বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া খবরে জানা গেছে- সেটা স্রেফ গুজব। রবিবার মিয়ানমারের আকিয়াবে সে দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী ম্রাঅং রাখাইনদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। উক্ত বৈঠকে মন্ত্রী রাখাইনদের উদ্দেশ করে মুসলমানদের সঙ্গে মিলেমিশে বসবাস এবং সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। রামুর সহিংস ঘটনায় অভিযান চালিয়ে টেকনাফ ও রামু থানা পুলিশ আরও ৬ আসামিকে গ্রেফতার করেছে। সোমবার ভোরে রামুর উত্তর মিঠাছড়ি, চাকমারকুল, চা বাগান পাহাড়ীয়াপাড়ায় ও টেকনাফের জুয়ারিখেলা-লাতুরিখোলা এলাকায় পুলিশ এ অভিযান চালায়। মঙ্গলবার ধৃত দুষ্কৃতকারীদের আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ। হাকিম শুনানি শেষে ৬ আসামিকে এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। টেকনাফে আটক আসামিরা হচ্ছে আমির হোসেন ও আবুল কালাম। রামু থানা পুলিশ জানায়, ধৃত আসামি মোস্তাক আহমদ, রেজাউল করিম, মুবিন ও মনছুর আলীর বিরুদ্ধে গত শনিবার রাতে ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রামু এসে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে অনুরোধ জানানোর পর রামুসহ কক্সবাজারের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখন শান্তি বিরাজ করলেও মৌলবাদীরা মিয়ানমারে বৌদ্ধরা মসজিদ জ্বালিয়ে দিয়েছে বলে গুজব ছড়িয়ে ফায়দা হাসিল তথা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। কক্সবাজার ও বান্দরবানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এবং শরণার্থী শিবিরে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের বিদ্রোহী সংগঠনকে আগে থেকে সশস্ত্র সহায়তা প্রদান করে আসছিল জামায়াত-শিবির ও বিএনপি নেতাকর্মীরা। টেকনাফ-উখিয়ায় আশ্রিত মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের একটি বড় অংশ মৌলবাদী রাজনৈতিক দল-জামায়াত নেতাকর্মীদের প্রছন্ন সহযোগিতা ও ছত্রছায়ায় থাকে সর্বদা। নিষিদ্ধ ঘোষিত আরএসও, আরএনও, নূপা, এআরএনও, জঙ্গী মৌলবাদী সংগঠন হরকাতুল জিহাদ, হিযবুত তাহ্রীর, আলহারামাইন, এআরইউ এবং আল্লার দলসহ বহু সংগঠনের সদস্যরা গোপনে নানান অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। এদিকে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত টিম মঙ্গলবারও তদন্তের কাজ চালিয়ে গেছেন। ২-১ দিনের মধ্যে গঠিত টিমের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। রামুতে গত শনিবার রাতে বৌদ্ধ বিহার ও বড়ুয়া পল্লীতে হামলা, লুট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ধারণকৃত বহু ভিডিওফুটেজ ও ছবি তদন্তকারী টিম সংগ্রহ করেছে বলে জানা গেছে। ঐ ছবি দৃশ্যমান দুষ্কৃতকারীদের অনেকে এখন এলাকা ছাড়া। পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তাদের খুঁজছে।
বড়ুয়া নেতাদের বিবৃতি
গত শনিবার রামু ও রবিবার উখিয়া-টেকনাফে দুষ্কৃতকারী উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তিরা বিভিন্ন মন্দির, বৌদ্ধ বিহারসমূহে আক্রমণ, ভাংচুর ও আগুন দেয়াকে কেন্দ্র করে উখিয়া থানায় রুজুকৃত মামলায় প্রকৃত আসামিদের বাদ দিয়ে নিরপরাধ, নিরীহ ও ঘটনায় জড়িত নয়, এমন লোকদের আসামি করা হচ্ছে। উখিয়া থানায় রুজুকৃত একটি মামলায় উখিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট শাহজালাল চৌধুরীকে আসামি করায় নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন দীপংকর বৌদ্ধ বিহারের সাধারণ সম্পাদক মনোজ বড়ুয়া, বাবু লাল বড়ুয়া, জিতেন্দ্র বড়ুয়া, অমিয় কুমার বড়ুয়া, বাবুল বড়ুয়া ও সুধন বড়ুয়া। বিবৃতিদাতারা নিরপরাধ ব্যক্তিদের নাম মামলা থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানান।
রামুতে এখনও আতঙ্ক
সোমবার প্রধানমন্ত্রী রামুতে এসে বড়ুয়া সম্প্রদায়ের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে যাওয়ার পর রামুর বড়ুয়া পল্লীতে শান্তি বিরাজ করলেও আতঙ্ক কাটেনি এখনও। জঙ্গীরা ধরা না পড়ায় তারা খুবই ভীতির মধ্যে রাত যাপন করছে বলে জানিয়েছেন বড়ুয়া নেতারা। রামুতে অচেনা লোকজন দেখলে এখনও তাদের হৃদয় কেঁপে ওঠে। কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে ঘাপটি মেরে থাকা জঙ্গীরা সুযোগ বুঝে ফের অঘটন ঘটাতে পারে বলে এ সন্দেহ দানা বেঁধে আছে সংখ্যালঘুদের মনে।
মাইনরিটি প্রতিনিধি দল
বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ-এর ৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রামু, উখিয়া ও টেকনাফে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, হিন্দু মন্দির, বৌদ্ধ বিহার ও বড়ুয়াপল্লীতে অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছে। মাইনরিটি ওয়াচের সভাপতি রবীন্দ্র ঘোষের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের অন্য দুই সদস্য হচ্ছেন শিশির দাশ ও বনমালী সরকার। তাঁরা পরিদর্শনকালে বলেন, রামুতে যে ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, তা আমাদের দেশের জন্য খুবই দুঃখজনক একটি ঘটনা। নেতৃবৃন্দ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
বিএনপির সাংসদের উসকানিতেই রামুতে হামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার | তারিখ: ০৮-১০-২০১২
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৌদ্ধবিহারে হামলার ঘটনায় বিরোধী দল বিএনপির স্থানীয় সাংসদ লুত্ফুর রহমানকে দোষারোপ করে বলেছেন, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে রামুতে হামলার আগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন সেখানকার উত্তেজিত মানুষকে শান্ত করার চেষ্টা করছিল। কিন্তু সেই সময় বিএনপির স্থানীয় সাংসদ গিয়ে সেখানে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। তারপর হাজার হাজার মানুষ লাঠিসোঁটা নিয়ে মন্দিরে আগুন দেয়।
আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজারের রামু উপজেলার কিজারী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জনসভাস্থলে বক্তব্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। এই মাঠের পাশে রামুর কেন্দ্রীয় বৌদ্ধবিহার। গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে বিহারটি পুড়িয়ে দেয় দুষ্কৃতকারীরা। মাঠের পূর্ব পাশে বৌদ্ধদের ১৫টি ঘরও পোড়ানো হয় ওই রাতে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৌদ্ধবিহারে হামলার ঘটনায় তিনি মর্মাহত ও হতাশ। তিনি বলেন, বাংলাদেশে এর আগে এ রকম জঘন্যতম ঘটনা ঘটেনি। আন্তর্জাতিকভাবে দেশের সম্মান ক্ষুণ্ন করতেই এই হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, হামলার ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না। জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তি দেওয়া হবে।
জনসভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী জানান, পুড়ে যাওয়া ১২টি বৌদ্ধবিহারের সংস্কার সরকারি অর্থে করা হবে। তিনি বলেন, বৌদ্ধবিহারগুলোর সংস্কারের জন্য যা যা করা দরকার, সরকারের পক্ষ থেকে তা করা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভান্ডার থেকে এক কোটি ৩৪ লাখ আর বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে দুই কোটি ৪৮ লাখ নগদ টাকা (মোট তিন কোটি ৮২ লাখ ৪৬ হাজার টাকা ) ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের দেওয়া হবে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের গৃহনির্মাণের জন্য ৩০৭ বান টিন, ৩৫.৬২ মেট্রিক টন চাল, ২৪৬টি কম্বল, ১০৭ বান্ডিল কাপড়চোপড় ও স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য ২৯ সেট বই দেবে সরকার।
জনসভাস্থল থেকে পুড়ে যাওয়া বৌদ্ধবিহার ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বাড়িতে গিয়ে ত্রাণ দেন শেখ হাসিনা। এরপর তিনি কক্সবাজারে যাবেন। সেখানে সরকারি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন।
জনসভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক, বীর বাহাদুর এমপি, তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদার প্রমুখ। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ কে আহম্মেদ হোসেন। বক্তব্য দিয়েছেন পুড়ে যাওয়া রামু কেন্দ্রীয় শিলাবিহারের পরিচালক সত্যপ্রিয় মহাথেরো।
এর আগে সকাল সোয়া ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারে পৌঁছান। সেখান থেকে তিনি রামুতে যান। রামুতে উগ্রবাদী দুষ্কৃতকারীদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বৌদ্ধমন্দির ও বসতবাড়ি পরিদর্শন, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ত্রাণ ও অনুদানের অর্থ বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলা সদরে দুষ্কৃতকারীদের একাধিক দল বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের শত বছরের পুরোনো ১২টি বৌদ্ধবিহার ও মন্দিরে আগুন লাগায়। পুড়িয়ে দেয় বৌদ্ধপল্লির ৪০টির মতো বসতবাড়ি। ভাঙচুর করে শতাধিক ঘরবাড়ি।
বৌদ্ধধর্মাবলম্বী এক তরুণের ফেসবুকে (সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম) পবিত্র কোরআন শরিফের অবমাননাকর ছবি ব্যবহার করা হয়েছে—এমন অভিযোগে শনিবার গভীর রাতে ওই হামলা চালানো হয়।
রামুর ঘটনার পর টেকনাফ, উখিয়া, পটিয়ায় বেশ কয়েকটি বৌদ্ধবিহার ও বাড়ি এবং একটি হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট চালায় দুষ্কৃতকারীরা।
হামলার জন্য লোক আনা হয় কক্সবাজার থেকে
কামরুল হাসান ও আব্দুল কুদ্দুস, কক্সবাজার থেকে | তারিখ: ০৮-১০-২০১২
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-10-08/news/296078
তারিখ: ০৮-১০-২০১২
সোমবার, ৮ অক্টোবর ২০১২, ২৩ আশ্বিন ১৪১৯
রামুতে তাণ্ডব ॥ নেতৃত্বে জামায়াত০ মিয়ানমারে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের প্রতিশোধস্পৃহা উস্কে দেয় ঘটনা
০ সুযোগ নেয় মৌলবাদীরা
০ প্রধানমন্ত্রী যাচ্ছেন আজসোমবার, ৮ অক্টোবর ২০১২, ২৩ আশ্বিন ১৪১৯সোমবার, ৮ অক্টোবর ২০১২, ২৩ আশ্বিন ১৪১৯বিএনপি-জামায়াত কেন বার বার সংখ্যালঘুদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে?মুনতাসীর মামুনসোমবার, ৮ অক্টোবর ২০১২, ২৩ আশ্বিন ১৪১৯সরেজমিন উখিয়া
হামলাকারীদের চিনলেও ভয়ে নাম বলছে না কেউ
কামরুল হাসান ও আব্দুল কুদ্দুস, কক্সবাজার থেকে | তারিখ: ০৪-১০-২০১২
'
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের নেপথ্য কারিগর কারা?http://www.kalerkantho.com/index.php?view=details&archiev=yes&arch_date=02-10-2012&type=gold&data=College&pub_no=1020&cat_id=3&menu_id=151&news_type_id=1&index=5#.UG0LsZjA_LY
রামুর ঘটনায় বিপুল টাকার লেনদেন!
বৌদ্ধ জনপদে হামলাবৌদ্ধদের কাছে গিয়ে এখন
হামলাকারীদের মায়াকান্না!http://www.dailykalerkantho.com/?view=details&type=gold&data=Income&pub_no=1021&cat_id=1&menu_id=13&news_type_id=1&index=2
Also Read:
ফাঁস হচ্ছে নেপথ্য তথ্য
০ সর্বমোট ২৭ বৌদ্ধ বিহার ও মন্দির ভস্মীভূত
০ যুবদল ও এমপির জড়িত থাকার সেলফোন কললিস্ট মিলছে
০ ৪৮ ঘণ্টায় প্রণীত নীলনক্সা
কার ইন্ধনে পরিকল্পিত হামলা
কামরুল হাসান ও আব্দুল কুদ্দুস, কক্সবাজার থেকে | তারিখ: ০৩-১০-২০১২
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-10-03/news/294675
তাৎক্ষণিক
বৌদ্ধবিহারে হামলা ও প্রশাসনের ভূমিকা
সুলতানা কামাল | তারিখ: ০৩-১০-২০১২
........ প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্যে, যারা এই কাজ করেছে, তারা ঘটনার শুরুতেই ফেসবুক থেকে সেই ছবি ছাপিয়ে পোস্টার বানিয়ে তা প্রদর্শন করে উসকানিমূলক বক্তব্য দিতে থাকে। নিমেষের মধ্যে নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে ট্রাকভর্তি বিক্ষোভকারীরা এসে আক্রমণের কাজে লেগে পড়ে। তাদের হাতে স্পষ্টত পেট্রল ও পাউডার-জাতীয় পদার্থ ছিল, যা দিয়ে আগুন লাগানো হয়েছে। এটাও জানা গেছে যে একটি জাহাজ তৈরির কারখানার ৫০০ কর্মীও মন্দির আক্রমণে অংশগ্রহণ করে। পটিয়ায়ও দুটি বৌদ্ধমন্দিরে আগুন লাগানো হয়েছে একই কায়দায়। .......
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-10-03/news/294643
Several Facebook users, meanwhile, said Uttam Barua, the Ramu youth being accused of Quran defamation, did not post the photo deemed to be offensive to Islam. They said Uttam was tagged in the photo from a Facebook ID called 'Insult Allah' and so he was in no way responsible.
bangladesh muslims attack buddhists..burn temples:
Related:The Religion-Traders routinely frame stories to establish their narrow objective:Here is one example ...... (just a tip of the iceberg):
Muslim Cleric Khalid Jadoon Accused of Framing Christian Girl with Down's Syndrome
Opposing Views - 2 days agoMuslim cleric Khalid Jadoon was arrested for trying to frame 11-year-old Rimsha Masih, who is accused of burning pages of a Koran near ...
Police escort blindfolded Muslim cleric Khalid Jadoon as he is brought before a judge at a court in Islamabad, September 2, 2012.Ayaz GulSeptember 02, 2012
ISLAMABAD — Police in Pakistan have arrested aMuslim cleric for allegedly planting evidence against a Christian girl accused of blasphemy. The development has raised hopes the girl may be released in a case that has revived calls for reform in the country's controversial anti-blasphemy laws. ..........Details At:
__._,_.___