Banner Advertiser

Tuesday, October 9, 2012

[mukto-mona] মন্ত্রীর এপিএসের গাড়ি চালকের স্টোরি, মিডিয়ার হুড়াহুড়ি!!!!!!!!!



মন্ত্রীর এপিএসের গাড়ি চালকের স্টোরি, মিডিয়ার হুড়াহুড়ি
মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী
প্রায় তিন সপ্তাহ চোখের চিকিৎসা নিতে সুদূর কিউবায় অবস্থান শেষে গত শনিবার সকালে দেশে ফিরেছি। উত্তরায় ভাড়া বাড়িতে ঢুকতেই দেখি পরিবারের সদস্যরা খুব আগ্রহ ভরে আরটিভিতে প্রচারিত একটি এক্সক্লুসিভ ইন্টারভিউ দেখছেন, তাদের একজন বলে উঠলেন, 'একি করলেন সুরঞ্জিত বাবু!' আমার বুঝে উঠতে কিছুটা সময় নিচ্ছিল। তা ছাড়া আড়াই দিনের টানা বিমান ভ্রমণে ভীষণ ক্লান্ত ছিলামÑতাই মনোযোগ দিতে পারছিলাম না। পরদিন রবিবার সকালে প্রাতঃভ্রমণের সময় হকার আমার সব পত্রিকা হতে তুলে দিয়ে চলে গেল। দেখলাম বেশির ভাগ পত্রিকাই সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে নিয়ে শীর্ষ খবর ছাপিয়েছে। বিএনপি-জামায়াতপন্থী পত্রিকাগুলো এতে দারুণ মওকা পেয়েছেÑএটি সহজে বোঝা যায়। এ বাইরের নানা সাইজের পত্রিকায় এমন সব শিরোনাম করা হয়েছে যা এত সহজে এত বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী একজন মানুষ সম্পর্কে কোন ধরনের যাচাই-বাছাই না করে করা কতটা নৈতিকভাবে সমর্থনযোগ্য হয়েছে তা আমাকে দারুণভাবে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেছে। কোন বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত শেষে, অথবা কোন আদালতের রায় শেষে এমন শিরোনামকে গুরুত্ব দিয়ে মিডিয়া যদি বিষয়টিকে প্রচার করত তাহলে তাতে কারও কিছু বলার হয়ত থাকত না বরং তাতে দুর্নীতিবাজ যেই হোন, যত বড়ই হোনÑএমন কথার বাস্তবায়নে প্রচারণা হিসেবে এটি সমর্থনযোগ্য হতো। আরটিভির মতো একটি টিভি চ্যানেল সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এপিএসের গাড়িচালক আজম খানের সাক্ষাতকারের সঙ্গে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বক্তব্যসহ বিষয়টি প্রচার করলে শ্রোতা দর্শকরা বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন, তাতে বিষয়টির গুরুত্ব নতুন মাত্রা পেত। কিন্তু টিভি চ্যানেলটি প্রথমবার এবং দ্বিতীয়বার যেভাবে এককভাবে কৃতিত্ব নেয়ার মানসিকতা থেকে আজম খানের ইন্টারভিউ প্রচার করেছে, তার ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন টিভি চ্যানেল এবং পত্রপত্রিকা প্রতিযোগিতার মানসিকতা থেকে এক পক্ষীয়ভাবে স্টোরি হিসেবে এটিকে প্রচার করেছেÑতা বেশ বিস্ময়কর মনে হয়েছে। সব পত্রিকাই বিষয়টিকে অতিমাত্রায় গুরুত্ব দিয়েছে তা বলব না, তবে এমন স্টোরিকে কভার না দিতে যাওয়ার বিষয়টিকে ঝুঁকি হিসেবে বিবেচনায় নিয়েই কোন কোন পত্রিকা সংবাদ হিসেবে তা প্রকাশ করেছে। তবে যেভাবেই ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় সুরঞ্জিত বাবুকে উপস্থাপন করার চেষ্টা করা হোক না কেন, সাধারণভাবে এর প্রভাব আরও তীব্রভাবে পড়েছে, এতে শুধু বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকেই মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়নি, আওয়ামী লীগের রাজনীতি, অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির ধারক-বাহকসহ এর আদর্শকেও এ সময়ে ভীষণভাবে হেয় করার অপার সুযোগ কোন কোন মহল থেকে নেয়া হয়েছে। তাদের জন্য এমন সুবর্ণ সুযোগ খুব একটা আসে না। সুতরাং তারা সুরঞ্জিত বাবুকে হাতের কাছে পেয়ে বিশেষ সম্প্রদায় এবং দেশের অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিকেও একহাত নিয়েছে। সর্বত্র আলোচনা-সমালোচনায় এমন ইস্যুটি সরগরম ছিল বা এখনও আছে। তাতে যুক্তি দিয়ে কিছু বলা, উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করা খুব একটা হালে পানি পাচ্ছিল না, অনেকে বেশ বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন। কেউ কেউ এর সরল সমাধান হিসেবে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের দফতরবিহীন মন্ত্রিত্ব থেকেও সরে দাঁড়ানোর পক্ষে মত দেন। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে টকশোতে সে ধরনের আলোচনাই শোনা যাচ্ছিল। একটি বড় ধরনের নেতিবাচক প্রচারণার মুখে পড়েছিল দেশের উদার গণতন্ত্রের রাজনীতি। এটি কি খুব সঙ্গত হয়েছে? এমন প্রশ্নের উত্তর খোঁজা কি জরুরী নয়? আবারও বলছি, কোন বিশ্বাসযোগ্য তথ্য-প্রমাণের তদন্ত শেষে এমন সংবাদ পরিবেশনার নেতিবাচক কোন প্রভাব পড়ত না বরং তাতে গণতন্ত্রের সংস্কৃতিই শক্তিশালী হতো, মানুষ আরও বেশি আস্থা নিয়েই দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিকে বুঝতে পারত। কিন্তু একপক্ষীয় প্রচারণার সুযোগটি সবচেয়ে বেশি নিয়েছে হয়ত বড় ধরনের কোন মাফিয়া গোষ্ঠী, বিশেষ কোন চক্র এবং রাজনৈতিক শক্তি যারা এক ঢিলে দুই, তিন বা বহু পাখি মারার অপেক্ষায় ছিল। সে ক্ষেত্রে তারা হয়ত আপাতত সফল হয়েছে। সরকার দৃঢ়ভাবে এ ঘটনার একটি সুষ্ঠু তদন্ত সম্পন্ন করে যদি প্রকৃত সত্য দেশবাসীর সামনে তুলে ধরতে পারে তা হলে হয়ত এর ক্ষতি অনেকটা পুষিয়ে ওঠা সম্ভব হবে, নতুবা কোন মতেই তা হবার নয়।
এবার বিষয়টি নিয়ে কিছু সঙ্গত চিন্তার প্রক্ষেপণ থেকে আজম খানের বলা কাহিনী এবং একজন মন্ত্রীর অবস্থানের বিষয়টিকে দেখার চেষ্টা করছি। আজম খান সাবেক রেলমন্ত্রীর কোন সরকারী, ব্যক্তিগত বা পারিবারিক গাড়িচালকও ছিল না। যে গাড়িতে মন্ত্রী হিসেবে বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের আসা যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে সেই গাড়ির ড্রাইভার যতখানি তার বাসভবনের আঙ্গিনায় প্রবেশ করার সুযোগ পায়, একজন এপিএসের ড্রাইভারের কি তা হওয়ার কোন বাস্তবতা থাকে? একজন এপিএসের ড্রাইভার একজন মন্ত্রীর কোন অফিসে বা বাসাবাড়িতে যাওয়া-আসা করেন, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হতে পারেনÑএমনটি কতটা বাংলাদেশে বিরাজ করছে তা ভেবে দেখা দরকার। একই সঙ্গে সেই এপিএসের গাড়িচালকের মাধ্যমে বা তার উপস্থিতিতে কোন মন্ত্রী টাকা পয়সা, তদ্বির ইত্যাদি নিয়ে কথা বলবেন, তাকে শুনতে দেবেন তাও কতটা বিশ্বাসযোগ্য ভেবে দেখার বিষয়। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত রেল মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেন ঘটনাটি ঘটার খুব অল্প ক'দিন আগে। এরই মধ্যে তিনি এবং তাঁর পুত্র রেলওয়ের নিয়োগ বাণিজ্যের অর্থ আদায়ের চ্যানেল এতটা স্থাপন করে ফেলেছেন তাও কি খুব সম্ভবপর বিষয়? যেহেতু মন্ত্রিত্বের তিন মাসের এমন সম্পর্ক স্থাপন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারেÑতাই এখানে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সংসদের আইন ও বিচার সংসদীয় কমিটির সভাপতির পুরো সময়টিকেও আজম খান দুর্নীতির সময় হিসেবে উল্লেখ করে এর একটি বিশ্বাসযোগ্যতা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। আজম খানকে খুব সহজ-সরল গাড়িচালক ভাববার কোন কারণ নেই। তিনি গল্পে চেষ্টা করেছেন নিজেকে একজন সৎ ও সাহসী মানুষ হিসেবে তুলে ধরতে। খুবই ভাল কথা। তিনি নিজেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী বলেও দাবি করেছেন। এসবই খুব ভাল কথা। তা হলে তো তার পালিয়ে বেড়ানোর কোন প্রয়োজন ছিল না, এখনও নেই। সরকার সমর্থক একজন সৎ গাড়িচালককে সরকার গুম করে দেবে, মেরে ফেলে দেবে, এসব করে সরকার আরও বিপদ ডেকে আনবেÑএমনটি বোধ হয় বিশ্বাসযোগ্য নয়। বরং আজম খান পারতেন দুদকের কাছে গিয়ে উপস্থিত হতে অথবা মানবাধিকারের সঙ্গে জড়িত বিশেষ কিছু সংগঠনের কাছে। কিন্তু তিনি যেভাবে লুকিয়ে থেকে আরটিভির মাধ্যমে গোটা দেশে গণমাধ্যমের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন তাতে নানা প্রশ্ন ওঠা খুবই স্বাভাবিক। সরকারের উচিত তার জীবনের পূর্ণ নিরাপত্তা বিধান করে প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনার সুযোগ নেওয়া, কোন বিশেষ মহল দ্বারা আজম খান ব্যবহৃত হয়ে যদি কিছু করে থাকে সেটিও তুলে ধরা। আমি জানি না, সরকার বিষয়টিকে সেভাবে আদৌ ভাবছে কিনা? আজম খানের বক্তব্য, তার পালিয়ে বেড়ানো, নতুন বিয়ে করা, উপার্জন ছাড়া চলতে পারা ইত্যাদি নিয়ে হাজারো প্রশ্ন উত্থাপিত হচ্ছে। আদৌ একজন মন্ত্রী এবং এপিএসের গাড়ি চালকের মাধ্যমে এমন কোন দুর্নীতি ঘটানো সম্ভব কিনা মন্ত্রিত্বের এত কম সময়ে এত সব অর্থ কেলেঙ্কারি করা, পুত্রের ব্যবসায় সেই অর্থ বিনিয়োগ করাÑসবই মিলিয়ন প্রশ্নের জন্ম দেয়। জন্ম দেয় একজন আজম খানের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে একজন ঈর্ষণীয় তথ্য, জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতার অধিকারী সংসদ ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ রাজনীতিবিদ বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এভাবে কুঁজো হওয়া, এটি কি সত্যি একজন এপিএসের গাড়িচালক আজম খানের একক কৃতিত্ব, নাকি এর পেছনে রয়েছে গভীর কোন রহস্য, ষড়যন্ত্র, রেল মন্ত্রণালয়ের বা গোটা রাজনীতির বিরুদ্ধে শক্তভাবে অবস্থান নেয়া কোন মহাশক্তিধর গোষ্ঠীর পরিকল্পনা, মিলিত শক্তির আঘাত। বিষয়টিকে হাল্কাভাবে না দেখে গভীর প্রজ্ঞার সঙ্গে দেখা উচিত, সেভাবে ব্যবস্থা নেয়া জরুরী। তা করা না হলে আসল আজম খান বা নতুন কোন আজম খানকে তৈরি করে নানা কল্পকাহিনী বানানো, ঘটনা সৃষ্টি করা কোন কোন মহলের পক্ষে মোটেও অসম্ভব কিছু নয়। বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে ইতিবাচক যেমন অনেক দিক আছেÑ হত্যা, খুন, অপপ্রচার, মিথ্যাচার ইত্যাদির মতো ঘৃণ্য ঘটনার নজিরও কম নয়। বিষয়গুলো সে কারণে মোটেও ভুলে যাওয়া উচিত নয়।
লেখাটি শেষ করব বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে ব্রিটিশ শাসনের শেষের দিকে উদিত আর্থ-সামাজিক বাস্তবতায় সৃষ্ট একটি গল্পের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা এবং তার ওপর ভিত্তি করে রচিত একটি প্রবাদটিকে স্মরণ করিয়ে দিতে। গল্পটি আমাকে সম্প্রতি শুনিয়েছেন একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারী প্রকৌশলী, যিনি জনকণ্ঠে প্রকাশিত অনেকের সঙ্গে আমার লেখাও খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়েন, টেলিফোনে আলাপও করেন। ইঞ্জিনিয়ার ফারুক সাহেবের বলা সেই গল্পটি এমনÑএক ভদ্রলোক শহরে চাকরি করেন। ছুটিতে গ্রামে গেছেন। গ্রামের চায়ের দোকানে চা পান করছিলেন। সেখানে বেশ ক'জন ব্যক্তি নানা বিষয় নিয়ে তর্ক থেকে ঝগড়া বাধিয়ে একে অপরকে গালমন্দ করছিল। ভদ্রলোক অশালীন এসব মন্তব্যকারী ব্যক্তিটিকে একটু কড়া ভাষাতেই শাসাচ্ছিলেন। কিন্তু গ্রামের অবাধ্য মানুষটি মোটেও তা গ্রাহ্য করতে চাচ্ছিল না। তার পরিচয় জানতে চাইলে সে একটি প্রবাদ দিয়ে তার পরিচয় প্রদান করে। প্রবাদটি হচ্ছেÑ
"থানার দারোগা বাবুর নৌকার মাঝি
তার নৌকার লাগি যে বানায় কাছি
মোর বাড়ি তার কাছাকাছি।" পাঠক উদ্ধৃত ব্যক্তিটির পরিচয় কী পেলেন? সে এলাকার দারোগা বাবুর বাড়ির নাম ব্যবহার করলেও সেই দারোগার নৌকার মাঝির কাছি (দড়ি) যে তৈরি করে তেমন একজন মানুষের বাড়ির কাছে তার নিজের বাড়ি বলার পরও নিজের বাড়িটির পরিচয় দেয়নি বা দিতে পারেনি। মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত তেমন বেয়াড়া কোন ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর মুখোমুখি হলেন কিনা জানি না। আসল কালো বিড়াল নাকি হিংস্র বাঘটিকে চিহ্নিত করলে এসব নেপথ্য কাহিনী বের হয়ে আসবেই।

লেখক: শিক্ষাবিদ ও গবেষক



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___