পালিয়ে বেড়ানোর বর্ণনা দিলেন ইমতিয়াজ বুলবুল
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের ১৪তম সাক্ষী সুরকার, গীতিকার ও সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল আজ বৃহস্পতিবার সাক্ষ্য দিয়েছেন। জবানবন্দিতে তিনি বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগারে আটক থাকা অবস্থায় শহীদ সিরু মিয়া দারোগা ও তাঁর ছেলে আনোয়ার কামালের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। একাত্তরের ঈদের দিন রাতে পাকিস্তানি সেনারা তাঁদের হত্যা করে।
বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ আহমেদ ইমতিয়াজের জবানবন্দি নেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি জেয়াদ-আল-মালুম। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে তিনি জবানবন্দি দেন। তবে এ সময় গোলাম আযম ট্রাইব্যুনালে হাজির ছিলেন না।
জবানবন্দিতে আহমেদ ইমতিয়াজ বলেন, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি আজিমপুরের ওয়েস্ট অ্যান্ড হাইস্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন। ২৭ মার্চ কারফিউ শিথিল হলে তিনি বাইসাইকেল নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, পলাশী ফায়ার সার্ভিস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠ, রোকেয়া হল ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের চারদিকে ঘুরে অসংখ্য লাশ দেখেন। তখন তিনি সিদ্ধান্ত নেন, এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নিতে হবে। ২৭ মার্চ বিকেলে তিনি এক বিহারির বাসায় ঢুকে বন্দুক ছিনতাই করেন এবং কয়েকজনকে নিয়ে ছোটো একটি দল গঠন করেন। সজীব নামের একজনকে দলটির প্রধান করা হয়। তাঁরা বেশ কয়েকজন বিহারির বাসা থেকে কিছু অস্ত্র ছিনতাই করেন এবং জিঞ্জিরায় প্রথম ক্যাম্প গঠন করেন। পাকিস্তানি সেনারা জিঞ্জিরার ক্যাম্পে আক্রমণ করলে তাঁরা টিকে থাকতে না পেরে জায়গা পরিবর্তন করে পইট্টায় চলে যান। সেখান থেকে বুড়িগঙ্গা নদীতে অস্ত্র ফেলে দিয়ে ঢাকায় ফিরে আসেন।
জবানবন্দির একপর্যায়ে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর পরিচালিত বিভিন্ন অভিযান ও পালিয়ে বেড়ানোর ঘটনার বিবরণ দেন। তিনি বলেন, আগস্টের প্রথম সপ্তাহে তিনি ভারতের আগরতলা হয়ে মেলাঘরে চলে যান। সেখানে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিয়ে ঢাকায় ফিরে সজীব বাহিনীতে যোগ দেন। তাঁরা লালবাগ এলাকায় কাজ করতেন। ২৯ অক্টোবর তিনি আবারও সহযোদ্ধা মানিক, মাহবুব ও সারোয়ারকে নিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাঝামাঝি তন্তর চেকপোস্টের কাছে পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারদের হাতে ধরা পড়েন। পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকাররা তাঁদের তিন ঘণ্টা ধরে পাশবিক নির্যাতন চালায়। পরে তাঁদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়ে আলাদা করে ফেলা হয়। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন আলী রেজার কাছে। আলী রেজা তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল দেন। পরে আবার চারজনকে একত্রে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগারে পাঠানো হয়।
আহমেদ ইমতিয়াজ জবানবন্দিতে বলেন, কারাগারে ঢুকে তিনি তাঁদের মতো কয়েকজন ছাত্র ও বন্দীদের সঙ্গে পরিচিত হন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন তাঁর বয়সী একজন ছেলে কামাল এবং তাঁর বাবা সিরু মিয়া, নজরুল, কুমিল্লার বাতেন ভাই, শফিউদ্দিনসহ আরও অনেকে। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি প্রদর্শনী ৪৯৬-এর তিনটি ছবি সাক্ষীকে দেখালে তিনি সিরু মিয়া ও তাঁর ছেলেকে শনাক্ত করেন।
বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ আহমেদ ইমতিয়াজের জবানবন্দি নেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি জেয়াদ-আল-মালুম। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে তিনি জবানবন্দি দেন। তবে এ সময় গোলাম আযম ট্রাইব্যুনালে হাজির ছিলেন না।
জবানবন্দিতে আহমেদ ইমতিয়াজ বলেন, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি আজিমপুরের ওয়েস্ট অ্যান্ড হাইস্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন। ২৭ মার্চ কারফিউ শিথিল হলে তিনি বাইসাইকেল নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, পলাশী ফায়ার সার্ভিস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠ, রোকেয়া হল ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের চারদিকে ঘুরে অসংখ্য লাশ দেখেন। তখন তিনি সিদ্ধান্ত নেন, এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নিতে হবে। ২৭ মার্চ বিকেলে তিনি এক বিহারির বাসায় ঢুকে বন্দুক ছিনতাই করেন এবং কয়েকজনকে নিয়ে ছোটো একটি দল গঠন করেন। সজীব নামের একজনকে দলটির প্রধান করা হয়। তাঁরা বেশ কয়েকজন বিহারির বাসা থেকে কিছু অস্ত্র ছিনতাই করেন এবং জিঞ্জিরায় প্রথম ক্যাম্প গঠন করেন। পাকিস্তানি সেনারা জিঞ্জিরার ক্যাম্পে আক্রমণ করলে তাঁরা টিকে থাকতে না পেরে জায়গা পরিবর্তন করে পইট্টায় চলে যান। সেখান থেকে বুড়িগঙ্গা নদীতে অস্ত্র ফেলে দিয়ে ঢাকায় ফিরে আসেন।
জবানবন্দির একপর্যায়ে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর পরিচালিত বিভিন্ন অভিযান ও পালিয়ে বেড়ানোর ঘটনার বিবরণ দেন। তিনি বলেন, আগস্টের প্রথম সপ্তাহে তিনি ভারতের আগরতলা হয়ে মেলাঘরে চলে যান। সেখানে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিয়ে ঢাকায় ফিরে সজীব বাহিনীতে যোগ দেন। তাঁরা লালবাগ এলাকায় কাজ করতেন। ২৯ অক্টোবর তিনি আবারও সহযোদ্ধা মানিক, মাহবুব ও সারোয়ারকে নিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাঝামাঝি তন্তর চেকপোস্টের কাছে পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারদের হাতে ধরা পড়েন। পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকাররা তাঁদের তিন ঘণ্টা ধরে পাশবিক নির্যাতন চালায়। পরে তাঁদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়ে আলাদা করে ফেলা হয়। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন আলী রেজার কাছে। আলী রেজা তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল দেন। পরে আবার চারজনকে একত্রে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগারে পাঠানো হয়।
আহমেদ ইমতিয়াজ জবানবন্দিতে বলেন, কারাগারে ঢুকে তিনি তাঁদের মতো কয়েকজন ছাত্র ও বন্দীদের সঙ্গে পরিচিত হন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন তাঁর বয়সী একজন ছেলে কামাল এবং তাঁর বাবা সিরু মিয়া, নজরুল, কুমিল্লার বাতেন ভাই, শফিউদ্দিনসহ আরও অনেকে। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি প্রদর্শনী ৪৯৬-এর তিনটি ছবি সাক্ষীকে দেখালে তিনি সিরু মিয়া ও তাঁর ছেলেকে শনাক্ত করেন।
পাঠকের মন্তব্য
পাঠকদের নির্বাচিত মন্তব্য প্রতি সোমবার প্রথম আলোর সম্পাদকীয় পাতায় প্রকাশিত হচ্ছে।
সাইনইন
মন্তব্য প্রদানের জন্য সাইনইন করুন
__._,_.___
রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ চাই
এমনিতেই তিনি একজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব, তারপর তাঁর আজকের পরিচয়ে আমি মুগ্ধ। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষী দিবার জন্য জনাব ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুলকে ধন্যবাদ। তাঁর মত একজন সাহসী মুক্তিযোদ্ধার জন্য আমরা গর্বিত।