Banner Advertiser

Sunday, December 9, 2012

[mukto-mona] জামায়াত মানেই কি ফেরেববাজি আর ভণ্ডামি?




সোমবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১২, ২৬ অগ্রহায়ন ১৪১৯
জামায়াত মানেই কি ফেরেববাজি আর ভণ্ডামি?
আবদুল মান্নান
একবার বন্ধু সহকর্মী ড. মুনতাসীর মামুন বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন নবনিযুক্ত উপাচার্য সম্পর্কে আমার কাছে জানতে চাইলে তাকে বলেছিলাম তিনি একজন কট্টর বিএনপি সমর্থক, তবে মানুষ হিসাবে ভদ্র ও ভাল। মামুন বেশ ক্ষুব্ধ হয়ে আমাকে বলেছিলেন 'কোন ভাল এবং ভদ্রলোক বিএনপি করতে পারেন, তা যে আপনারা কী করে বিশ্বাস করেন তা আমার বোধগম্য নয়।' পরে ওই উপাচার্যের কর্মকা- দেখে বুঝেছিলাম মামুনের কথা একশত ভাগ সত্য। ঠিক একই কায়দায় এখন বলতে হয়, যারা জামায়াতের রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন অথবা সমর্থন করেন তাদের প্রথম এবং একমাত্র আদর্শই হচ্ছে ভ-ামি এবং ফেরেববাজি। এই দলের রাজনীতির সাথে এই দুইটি শব্দ আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িত। 
ক'দিন আগে জনৈক শাহ আবদুল হান্নানের কাছ হতে দুটি ই-মেইল পেলাম। ভদ্রলোককে আমি ঠিক চিনি না; তবে তার পরিচয় আন্দাজ করতে পারি। আন্দাজনির্ভর কোন কিছু সম্পর্কে মন্তব্য করা সমীচীন নয়। তিনি আমাকে দুটি সংবাদের লিংক পাঠিয়েছেন। একটি সংবাদ আবার বাংলাদেশে জামায়াতের একটি দৈনিক পত্রিকায় ছাপা হয়েছে । সেই পত্রিকাটির একজন প্রতিষ্ঠাতা বর্তমানে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন। ১৯৭১ সালে তিনি চট্টগ্রামে একজন বড় মাপের জল্লাদ ছিলেন। অভিযোগ আছেÑ তিনি নিজ হাতে অনেক নিরীহ সাধারণ মানুষ আর মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছেন। সেই সংবাদটির ডেটলাইন ১৬ নবেম্বর, ২০১২। সংবাদটির শিরোনাম ছিল: সুদানের খার্তুমে ইসলামী চিন্তাবিদদের এক সম্মেলনে বাংলাদেশে ইসলামপন্থীদের ওপর জুলুম বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে। সংবাদটিতে বলা হয়েছে, বিশ্বের ১৫০ দেশের ইসলামী চিন্তাবিদরা সেই সম্মেলনে জড়ো হয়েছিলেন মূলত বাংলাদেশে বর্তমানে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হয়ে যে সব জামায়াতী ঘাতক (বিএনপি'র সাকাচৌ আর আবদুল আলিমও আছেন) বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন তাদের মুক্তি দাবি করতে। সংবাদ অনুযায়ী এদের কেউ কেউ এমন হুমকিও দিয়েছেন যে, বাংলাদেশ যদি গোলাম আযমের মতো তথাকথিত ইসলামী চিন্তাবিদদের অবিলম্বে মুক্তি না দেয়, তাহলে তারা এই আন্দোলন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেবেন। যে সকল তথাকথিত ইসলামী চিন্তাবিদ খার্তুমে জড়ো হয়েছিলেন বলে বলা হচ্ছে, এরা বেশিরভাগই ইসলামের নামে সারা বিশ্বে জঙ্গীবাদ রফতানি করার মন্ত্রে দীক্ষিত। গোলাম আযম সম্পর্কে বলতে গিয়ে তুরস্কের একজন প্রতিনিধির বরাত দিয়ে বলা হয়েছে 'যে সকল অভিযোগে তাদের (গোলাম আযম গং) গ্রেফতার করা হয়েছে সেখানে (বাংলাদেশে) তাদের নিজেদের অভিযোগের বিষয়ে আইনগত অধিকার খর্ব করা হয়েছে। বাংলাদেশের প্রচলিত আইনী অধিকার তাদের দেয়া হয়নি। দেশের সংবিধানসম্মত আইনী অধিকার থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যায় না।' এমন কথা যদি সেই প্রতিনিধি বলেই থাকেন তবে তিনি একজন তৃতীয় শ্রেণীর উজবুক ছাড়া আর কিছুই নন। প্রথমে বলে নিই, খার্তুমে গোলাম আযমদের মুক্ত করার জন্য এমন একটা সম্মেলন হয়েছিল কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। তবে জামায়াত গোলাম আযমদের বিচার প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য বাংলাদেশের ভিতরে এবং বাইরে যে কোটি কোটি ডলার ব্যয় করছে এমন একটি সম্মেলন তারা করলে করতেও পারে, যেখানে গোলাম আযম এবং জামায়াতের চিন্তাধারার মানুষেরা একত্রিত হয়েছিল। যে কয়েকটি সংগঠনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তার মধ্যে আছে হাসান আল বান্নার প্রতিষ্ঠিত মিসরের মুসলিম ব্রাদারহুড। ব্রাদারহুড হচ্ছে জামায়াতের মাতৃ-সংগঠন এবং এই ব্রাদারহুডই সারা বিশ্বে ইসলামের নামে জঙ্গীবাদের জন্মদাতা। বর্তমানে এই ব্রাদারহুড মোবারক-পরবর্তী মিসর শাসন করছে এবং মিসরের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসি একজন নব্য ফেরাউন হিসাবে আবির্ভূত হওয়ার চেষ্টা করছেন। 
বর্তমানে সারা বিশ্বে অনেক ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্তদের বিচার চলছে। বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কোন দেশে অভিযুক্তরা এত আইনী ও ব্যক্তিগত সুযোগ-সুবিধা পায় না। গোলাম আযমকে বেশ জামাই আদরে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের প্রিজন সেলে রাখা হয়েছে। তিনি প্রতিদিন তার নিজ বাড়ি থেকে আনা মুরগির স্যুপ আর কৈ মাছের ঝোল দিয়ে দু'বেলা খাবার খেতে পারেন। তার পরিবারের লোকজন নিয়মিত তার সাথে দেখা করতে পারেন। তার চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য যা যা সুবিধা প্রয়োজন তাকে তার সবই দেয়া হচ্ছে। তিনি নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী একাধিক আইনজীবী নিয়োগ করতে পেরেছেন। আবদুল আলিমের বয়সের কথা চিন্তা করে তাকে তার ছেলের বাড়িতে থাকতে দেয়া হয়েছে। সাঈদী তো প্রতিদিন দু'জন পুলিশের কাঁধে ভর দিয়ে ট্রাইব্যুনালে হাজিরা দেন। আজ যদি তাকে মুক্তি দেয়া হয় তাহলে তিনি কাল থেকেই সারা বাংলাদেশ চষে বেড়াবেন। ইদানীং তিনি তাঁর ফেরেববাজিতে একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছেন। ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার সময় পবিত্র কোরান শরীফের একটি কপি বুকে চেপে ধরেন টিভি ক্যামরার জন্য। এই লোকদেখানো ভ-ামি পবিত্র কোরানের নাজায়েজ রাজনৈতিক প্রচারে ব্যবহার ও অবমাননার শামিল। বেগম জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোকে যখন আদালতে হাজির করা হতো তখন তিনি বুকে ডান হাত চেপে হাঁঠতেন। লুৎফুজ্জামান বাবরকে যখনই আদালতে হাজির করা হয় তখন তিনি টিভি ক্যামরার সামনে দু'টি বড় কাঁশি ঝাড়েন। এই সব কা-কারখানা ফেরেববাজির নতুন মাত্রা। গোলাম আযম আর সাঈদীর নিকট-আত্মীয়ের মৃত্যুতে তাদের জানাযায় শামিল হতে দু'জনকেই প্যারোলে মুক্তি দেয়া হয়েছিল। সব চাইতে বড় কথা ট্রাইব্যুনাল অভিযুক্তদের কাউকে দোষী সাব্যস্ত করলে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন। এটি একটি নজিরবিহীন ব্যবস্থা। এই ঘাতকদের এত উদারতা দেখানো সঠিক ছিল কিনা তা এখন বিতর্কের বিষয়। এই সব করতে করতে যদি বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হয়ে যায় তাহলে আবার আর একটি একাত্তর শুরু হয়ে যেতে পারে। এতসবের পরও খার্তুমে জমায়েত হওয়া (যদি হয়ে থাকে) তথাকথিত ইসলামী চিন্তাবিদরা কিভাবে বলেন গোলাম আযম গং আইনী অধিকার থেকে বঞ্চিত? আসলে ডলারই কথা বলছে। 
এবার আসি দ্বিতীয় সংবাদটিতে। এটিও পাঠিয়েছেন পূর্ববর্ণিত শাহ আবদুল হান্নান। সংবাদটির শিরোনাম এ রকম-'তুরস্কে লাখো মানুষের সমাবেশ। বাংলাদেশের জামায়াত নেতাদের মুক্তি দাবি।' এটির ডেট লাইন ৩ ডিসেম্বর। সংবাদদাতার নাম হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে আবুল কালাম আজাদ ও এজাজ কাদরী। শত বা হাজার নয়, সংবাদিটিতে বলা হয়েছে তুরস্কের ঐতিহাসিক বসফরাস তীরবর্তী কাদিকয় স্কয়ারে লক্ষাধিক লোকের বিক্ষোভ করেছে দেশটির বৃহৎ রাজনৈতিক দল সাদাত পার্টি। পার্টির নেতারা নাকি বলছেন জামায়াত নেতাদের যদি অবিলম্বে মুক্তি দেয়া না হয় তাহলে এমন আন্দোলন গড়ে তোলা হবে যার ফলে মুসলিম বিশ্ব থেকে বাংলাদেশে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। সংবাদটি বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার জন্য একটি জনসমাবেশের ছবি সংযোজন করা হয়েছে, যেটি কোন এক তুর্কী উৎসবের। লোকজন বেশ উৎসবের মুডেই আছে। সাদাত পার্টি হচ্ছে তুরস্কের একটি কট্টর মৌলবাদী রাজনৈতিক দল, যারা পুরো মধ্যপ্রাচ্যে তালেবানী শাসন প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখে। অর্থের বিনিময়ে তাদের কিছু সমর্থক কয়েকদিন আগে গোলাম আযমের মুক্তির দাবিতে তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে জমায়েত হয়েছিল বলে খবরে প্রকাশ । আধুনিক তুরস্কে এই ধরনের মৌলবাদী রাজনৈতিক দলগুলোর মূলধারার রাজনীতিতে কোন অবস্থান নেই। এই ধরনের সংবাদ ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য জামায়াতের এক ধরনের অপচেষ্টা। পরের সংবাদটির আবার মূল উৎস হলো জনৈক এম রামাদান ভূঁইয়া (ছদ্মনামও হতে পারে)। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জামায়াতের এই সব প্রচারে আবার সার্বক্ষণিক নিয়োজিত আছেন ইহুদী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ আইনজীবী টভি ক্যাডমেন। এই কাজের জন্য প্রতি ছয় মাসের জন্য তার ফার্মকে একশত ছিয়ানব্বই কোটি বাংলাদেশী টাকার সমপরিমাণের অর্থ পরিশোধ করার কথা জানা গেছে। 
জামায়াত তাদের সর্বশেষ ভ-ামিটা দেখিয়েছে সম্প্রতি যখন তারা তাদের নিবন্ধন বাঁচাতে নিজেদের দলীয় গঠনতন্ত্রে সংশোধন এনে গঠনতন্ত্র থেকে আল্লাহ-প্রদত্ত ও রসুল-প্রদর্শিত ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থার কথা বাদ দিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার কথা বলেছে। এছাড়া 'আল্লাহ ব্যতীত কাহাকেও স্বয়ংসম্পূর্ণ বিধানদাতা ও আইন প্রণেতা মানিয়া লইবে না এবং আল্লাহর আনুগত্য ও তাঁহার দেওয়া আইন পালনের ভিত্তিতে নয় এমন সকল আনুগত্য মানিয়া লইতে অস্বীকার করিবে'Ñএই নীতিটাও গঠনতন্ত্র হতে তারা বাদ দিয়েছে। সুতরাং এখন তারা তাদের দলীয় সেøাগান 'আল্লাহর আইন চাই, সৎ মানুষের শাসন চাই' দিতে পারবে না। ইসলামী শাসন কায়েমের ধর্মীয় উদ্দেশ্যপূর্ণ এবং সংবিধানের এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) পরিপন্থী মোট ৮টি ধারা পরিবর্তন বা বিলুপ্ত করে গত রোববার এই সংশোধিত গঠনতন্ত্র নির্বাচন কমিশনে জমা দেয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সংশোধিত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এখন অমুসলমানরাও এই দলের সদস্য হতে পারবেন। সুতরাং এখন হতে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় অথবা নিতাই রায়দের আর জামায়াতের সদস্য হতে কোন বাধা রইল না! 
উল্লেখ্য, বেশ পূর্বে আটটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের গঠনতন্ত্রে ত্রুটি চিহ্নিত করে তা সংশোধনের জন্য চিঠি পাঠায় নির্বাচন কমিশন। গঠনতন্ত্রে ত্রুটি থাকা অন্য দলগুলো হলো ইসলামী ঐক্যজোট, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, গণফোরাম, গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ও জাতীয় পার্টি। জামায়াতের সংশোধিত গঠনতন্ত্র পাওয়ার পর এখন নির্বাচন কমিশন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পরে সিদ্ধান্ত নেবে। 
পূর্বের অভিজ্ঞতা হতে বলে দেয়া যায়, জামায়াতের বর্তমান সকল কার্যকলাপের একমাত্র উদ্দেশ্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বর্তমানে তাদের যে সকল নেতা একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হয়ে বিচারের সম্মুখীন হয়েছেন তা ফেরেববাজির মাধ্যমে বানচাল করা। আগামীতে প্রথম সুযোগেই আবার তারা তাদের পূর্বের অবস্থায় ফিরে যেতে দ্বিধা করবে না। 
গত একচল্লিশ বছরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামায়াতের রাজনীতির আবির্ভাব একটি বড় মাপের ট্র্যাজেডি। আরো বড় পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, একাত্তরের শহীদদের রক্তে রঞ্জিত এই রাজনৈতিক দলটির পুনর্জন্ম হয়েছিল মুক্তিযোদ্ধা জেনারেল জিয়ার হাত ধরে; আর তারা নবযৌবন লাভ করেছিল তার স্ত্রী বেগম জিয়ার শাসনামলে। বর্তমানে তারা রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশের ওপর হামলা শুরু করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তারা মার্কিন দূতাবাসের গাড়িতে হামলা করে চরম ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করেছে। বিভিন্ন মহল থেকে এই দলটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি উঠেছে। অনেকে বলছেন, জামায়াতকে নিষিদ্ধ করলে তাদের ট্রেনিংপ্রাপ্ত ক্যাডাররা বিএনপি'র সঙ্গে একীভূত হয়ে যাবে এবং বিএনপির মধ্যে এক ধরনের হিংস্রতার জন্ম হবে। বর্তমানে আর যাই হোক ছাত্রদল জামায়াতের ক্যাডার বাহিনীকে তাদের সাথে নিতে তেমন একটা রাজি হয়নি। নিষিদ্ধ করলে ছাত্রদল শিবিরের মাঝে বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেবে। অন্যদের ধারণা, বর্তমানে জামায়াত- শিবির দেশে যে একটি ভয়াবহ নৈরাজ্যকর অবস্থার সৃষ্টি করেছে তার চাইতে তারা আর বেশি কী করবে? দেশের মানুষকে উজ্জীবিত করতে পারলে তারাই জামায়াত-শিবিরের তষ্করদের প্রতিহত করবে। বঙ্গবন্ধু সরকার সাংবিধানিকভাবে জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিলন। সংবিধান সংশোধন করে আর একবার নিষিদ্ধ করার চেষ্টা হতে পারে বলে অনেকের মত। সরকারকে এই সব বিষয়ে দ্রুত চিন্তা করতে হবে। তা নাহলে জামায়াত অচিরেই একটি রাজনৈতিক দলের পরিবর্তে একটি শহরকেন্দ্রিক সন্ত্রাসী দল (ঁৎনধহ মঁবৎরষষধ) হিসাবে আবির্ভূত হবে।

লেখক : শিক্ষাবিদ ও বিশ্লেষক। ডিসেম্বর ৮, ২০১২

সোমবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১২, ২৬ অগ্রহায়ন ১৪১


Related:

একাত্তরে মুজাহিদ পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতা করতেন'

নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ০৬-১২-২০১২



শুক্রবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১২, ৩০ ভাদ্র ১৪১৯
আলবদর প্রধান ছিলেন নিজামী, উপপ্রধান মুজাহিদ ॥ জেরায় শাহরিয়ার কবির

শুক্রবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১২, ৩০ ভাদ্র ১৪১৯





দার্শনিক ও কৌশলগত পরিকল্পনার নেতৃত্বে ছিলেন গোলাম আযম যুদ্ধাপরাধী বিচার ॥ সুলতানা কামালের জবানবন্দী...
বুধবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১২, ২৮ ভাদ্র ১৪১৯

মাস্টারমাইন্ড ছিলেন গোলাম আযম

নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ১১-০৯-২০১২


http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-09-11/news/288426

মুক্তিযুদ্ধবিরোধী পক্ষের প্রতীক ছিলেন গোলাম আযম
যুদ্ধাপরাধী বিচার
সুলতানা কামালের জবানবন্দী

http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=15&dd=2012-09-11&ni=108832

Related:
আলবদর ১৯৭১ - ১৬ (শেষাংশ)
মঙ্গলবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১২, ২৭ ভাদ্র ১৪১৯
আলবদর ১৯৭১ - ১৫ 


সোমবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১২, ২৬ ভাদ্র ১৪১৯
 
আলবদর ১৯৭১ -১৪



রবিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১২, ২৫ ভাদ্র ১৪১৯

 আলবদর ১৯৭১ -১৩ : আলবদর ১৯৭১ ॥ বুদ্ধিজীবী হত্যা ... ..
শনিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১২, ২৪ ভাদ্র ১৪১৯

বুদ্ধিজীবী হত্যা; ২৫ মার্চ থেকে ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১ - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

http://www.somewhereinblog.net/blog/onujibblog/28882040



আলবদর ১৯৭১ -১২
শুক্রবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১২, ২৩ ভাদ্র ১৪১৯
আলবদর ১৯৭১ - ১১

বুধবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১২, ২১ ভাদ্র ১৪১৯

 আলবদর ১৯৭১ - ১০

মঙ্গলবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১২, ২০ ভাদ্র ১৪১৯


আলবদর ১৯৭১ - ৯

সোমবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১২, ১৯ ভাদ্র ১৪১৯
  আলবদর ১৯৭১

http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=16&dd=2012-09-02&ni=107855 
রবিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০১২, ১৮ ভাদ্র ১৪১৯
 আলবদর ১৯৭১  -
শনিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০১২, ১৭ ভাদ্র ১৪১৯

আলবদর ১৯৭১ -    
শুক্রবার, ৩১ আগষ্ট ২০১২, ১৬ ভাদ্র ১৪১৯

আলবদর ১৯৭১ - ৫ 
বৃহস্পতিবার, ৩০ আগষ্ট ২০১২, ১৫ ভাদ্র ১৪১৯
আলবদর ১৯৭১ - ৪
বুধবার, ২৯ আগষ্ট ২০১২, ১৪ ভাদ্র ১৪১৯
আলবদর ১৯৭১ - 
মঙ্গলবার, ২৮ আগষ্ট ২০১২, ১৩ ভাদ্র ১৪১৯
আলবদর ১৯৭১ - 
সোমবার, ২৭ আগষ্ট ২০১২, ১২ ভাদ্র ১৪১৯
আলবদর ১৯৭১  - ১ 
রবিবার, ২৬ আগষ্ট ২০১২, ১১ ভাদ্র ১৪১৯ 





৭১-এর যুদ্ধাপরাধ ও জামায়াতে ইসলামী

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:৪৬

৭১ জামায়াতে ইসলামীর বর্বরতার আরেকটি নৃশংস উদ্যোগ হচ্ছে হিটলারের গেস্টাপো বাহিনীর কায়দায় আলবদর, আলশামস বাহিনী গঠন, বুদ্ধিজীবী হত্যার নীল নকশা প্রণয়ন এবং জামায়াতের ঘাতকদের দ্বারা সুপরিকল্পিতভাবে বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীদের হত্যা
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারএকাত্তরে তাঁরা কে কোন দলে ছিলেন, কী করেছেন

http://dailykalerkantho.com/?view=details&type=single&pub_no=124&cat_id=1&menu_id=13&news_type_id=1&index=4

একাত্তরে গোলাম আযমের বিবৃতি

http://www.prothom-alo.com/detail/news/215745

থেমে থাকেনি গোলাম আযমের চক্রান্ত:
"... বাংলাদেশ রাষ্ট্র উচ্ছেদ করে আবারও পাকিস্তানের সঙ্গে একীভূত করতে গঠন করেন 'পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি'। জামায়াতে ইসলামীর এ সাবেক আমির ২০০২ সালে প্রকাশিত তার নিজ জীবনী 'জীবনে যা দেখলাম' বইয়েও তা অকপটে স্বীকার করেছেন । ......."
"...১৯৭২ সালের জানুয়ারি গোলাম আযম যুক্তরাজ্যের লন্ডনে গঠন করেন 'পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি'। ..."

রাজাকার-আলবদর বাহিনী গড়ার হোতা গোলাম আযম:

১৯৭২ সালে গোলাম আযম লন্ডনে 'পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি' গঠন করেন এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্র উচ্ছেদ করে আবার এই ভূখন্ডকে পাকিস্তানের অংশে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করেন।

থেমে থাকেনি গোলাম আযম:
http://www.news-bangla.com/index.php?option=com_content&task=view&id=8983&Itemid=53
দেশ স্বাধীনের পরও পূর্ব-পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি গঠন করে স্বাধীনতা বিপন্নের ষড়যন্ত্র করেছিল ঘাতক গুরু গো'আযম :
http://www.al-ihsan.net/FullText.aspx?subid=4&textid=2812

মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা ও গণহত্যার প্রতীক':




আলবদর বাহিনী প্রধানত জামায়াতের কর্মী দ্বারাই গঠিত হয়েছিল
 ইসলামী ছাত্র সংঘ' নাম পাল্টিয়ে 'বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির' নামে যাত্রা শুরু করে:  


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___