১৯৭২ সালে ২৩ হাজার মামলা হয় দালাল আইনে। সেই সময় এখন যাঁরা মামলার আসামী তাঁদের কারো বিরদ্ধে কাদের মোল্লা ছাড়া (কাদের মোল্লা ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ৩/৪ দিন পরেই ফরিদপুরে চলে যান। মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময়টাতেই তিনি ফরিদপুরে অবস্থান করেছেন এবং সেখানে চৌদ্দরশি বাজারে ব্যবসা করতেন). কোনো মামলা কি কারণে হয়নি কেও বলবেন কি? ১৯৭২ সালে গোলাম আজাম ছাড়া বাকি সবাই বাংলাদেশে অবস্থান করছিলেন।
কাদের মোল্লা মুক্তিযুদ্ধকালে মিরপুরে সংঘটিত অপরাধের অভিযোগে ১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাসে ফরিদপুরে গ্রেফতার হয়েছিলেন। আইনজীবী প্রশ্ন তুলেন যুদ্ধকালের কোনো অপরাধের অভিযোগে কাদের মোল্লা গ্রেফতার হয়ে থাকলে তিনি কোনোভাবেই ছাড়া পেতেন না। যেহেতু তিনি ছাড়া পেয়েছেন এবং বিশেষ করে ঐ সময়ে আওয়ামী লীগের নেতা শাহজাহান তালুকদার ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লুৎফুল কবীর নিজেরাই কাদের মোল্লাকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়েছেন কাজেই এতে প্রমাণ হয়, তিনি (কাদের মোল্লা) যুদ্ধকালে কোনো প্রকার অপরাধের সাথে জড়িত ছিলেন না। আর যদি তিনি জড়িত থাকতেনই তাহলে কোনো অবস্থাতেই ঐ সময়ে ছাড়া পাবার কথা ছিল না।
এছাড়া ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কমিটির জমা দেয়া রিপোর্টের সাথে বাস্তবে কোন অভিযোগেরই সত্যতা পাওয়া যায়নি। এখানে শুধু শাহরিয়ার করিরের লিখিত বই, ভোরের কাগজ ও প্রথম আলো পত্রিকার কাটিং কপি জমা দিয়েই কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণের ব্যর্থ চেষ্টা করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
কাদের মোল্লা মুক্তিযুদ্ধকালে মিরপুরে সংঘটিত অপরাধের অভিযোগে ১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাসে ফরিদপুরে গ্রেফতার হয়েছিলেন। আইনজীবী প্রশ্ন তুলেন যুদ্ধকালের কোনো অপরাধের অভিযোগে কাদের মোল্লা গ্রেফতার হয়ে থাকলে তিনি কোনোভাবেই ছাড়া পেতেন না। যেহেতু তিনি ছাড়া পেয়েছেন এবং বিশেষ করে ঐ সময়ে আওয়ামী লীগের নেতা শাহজাহান তালুকদার ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লুৎফুল কবীর নিজেরাই কাদের মোল্লাকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়েছেন কাজেই এতে প্রমাণ হয়, তিনি (কাদের মোল্লা) যুদ্ধকালে কোনো প্রকার অপরাধের সাথে জড়িত ছিলেন না। আর যদি তিনি জড়িত থাকতেনই তাহলে কোনো অবস্থাতেই ঐ সময়ে ছাড়া পাবার কথা ছিল না।
এছাড়া ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কমিটির জমা দেয়া রিপোর্টের সাথে বাস্তবে কোন অভিযোগেরই সত্যতা পাওয়া যায়নি। এখানে শুধু শাহরিয়ার করিরের লিখিত বই, ভোরের কাগজ ও প্রথম আলো পত্রিকার কাটিং কপি জমা দিয়েই কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণের ব্যর্থ চেষ্টা করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
শোনা কথায় যদি সাজা হয়- if that is true then Sheikh will be prosecuted for killing Siraj Sikdar.
'যা রটে তা কিছুটা হলেও বটে '- That can not be a Criteria for highest court of a land.
তদন্ত কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক খান তার রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন তিনটি ঘটনার কথা। কিন্তু কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন চার্জ এনেছেন মোট ছয়টি ।
কাদের মোল্লার মামলার বিবরণ :
কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ অনুসারে, তিনি একাত্তরের ৫ এপ্রিল মিরপুর বাঙলা কলেজের ছাত্র পল্লবকে গুলি করে হত্যার নির্দেশ দেন।
এ মামলায় প্রসিকিউশনের ১নং সাক্ষীর দেয়া বক্তব্য, মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমেদ তার জবানবন্দিতেই বলেছেন তিনি একদিন কাদের মোল্লাকে ফিজিক্যাল ট্রেনিং কলেজের গেটে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছেন। এই সাক্ষীই জেরাতে প্রশ্নের জবাবে বলেছেন যুদ্ধকালে তিনি কাদের মোল্লাকে আর কোন অপরাধ করতে দেখেননি।
কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ অনুসারে, তিনি একাত্তরের ৫ এপ্রিল মিরপুর বাঙলা কলেজের ছাত্র পল্লবকে গুলি করে হত্যার নির্দেশ দেন।
এ মামলায় প্রসিকিউশনের ১নং সাক্ষীর দেয়া বক্তব্য, মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমেদ তার জবানবন্দিতেই বলেছেন তিনি একদিন কাদের মোল্লাকে ফিজিক্যাল ট্রেনিং কলেজের গেটে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছেন। এই সাক্ষীই জেরাতে প্রশ্নের জবাবে বলেছেন যুদ্ধকালে তিনি কাদের মোল্লাকে আর কোন অপরাধ করতে দেখেননি।
ডিফেন্সপক্ষের জেরাতে তিনিই আবার স্বীকার করেছেন যে, এই পল্লব হত্যাকান্ডটি তিনি নিজে স্বচক্ষে দেখেননি। ১৯৭১ সালে অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় ৪০ বছর আগে তিনি জনতার কাফেলার কাছে পল্লব হত্যাকান্ড প্রসঙ্গে শুনেছিলেন মাত্র। কেননা তিনি মুক্তিযুদ্ধকালের পুরো সময়টাতেই ছিলেন ভারতে। পরে দেশে এসে তিনি (তার ভাষায়) জনতার কাফেলার কাছে এই হত্যাকান্ডটি সম্পর্কে জেনেছিলেন।".
কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে আনীত কোন অভিযোগেরই প্রত্যক্ষদর্শী কোন সাক্ষী নেই। এই মামলায় প্রসিকিউশনের পক্ষে ১২ জন সাক্ষী ট্রাইব্যুনালে এসে জবানবন্দি দিলেও সাক্ষীদের কেউই কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগেরও প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য তারা দিতে পারেননি। প্রায় সব সাক্ষীই বলেছেন তারা অন্যের কাছে এসব অভিযোগের কথা শুনেছেন মাত্র।
দ্বিতীয় অভিযোগ অনুসারে, একাত্তরের ২৭ মার্চ তিনি সহযোগীদের নিয়ে কবি মেহেরুননিসা, তার মা এবং দুই ভাইকে মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনের বাসায় গিয়ে হত্যা করেন।
দ্বিতীয় অভিযোগ অনুসারে, একাত্তরের ২৭ মার্চ তিনি সহযোগীদের নিয়ে কবি মেহেরুননিসা, তার মা এবং দুই ভাইকে মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনের বাসায় গিয়ে হত্যা করেন।
দ্বিতীয় অভিযোগ অনুসারে, একাত্তরের ২৭ মার্চ তিনি সহযোগীদের নিয়ে কবি মেহেরুননিসা, তার মা এবং দুই ভাইকে মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনের বাসায় গিয়ে হত্যা করেন।
অভিযোগ মিরপুরের কবি মেহেরুন্নেসা হত্যাকান্ডটি প্রসঙ্গে কবি রোজি তার সাক্ষাতে বলেছেন তিনিও এই ঘটনা অন্যের কাছে শুনেছেন। যদিও তিনি মিরপুরের এসব ঘটনা নিয়ে একটি বইও লিখেছেন। তার লিখিত বইটিতেও তিনি (কবি রোজি) কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আনেননি। এই মামলায় কাদের মোল্লা গ্রেফতার হয়েছে ২০১০ সালের জুলাই মাসে। আর কবি রোজি লিখিত বইটি প্রকাশিত হয়েছে ২০১১ সালের জুন মানে। অর্থাৎ কাদের মোল্লা গ্রেফতারের প্রায় এক বছর পরে বইটি প্রকাশিত হলেও কেন তিনি কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগের কথা বইটিতে উল্লেখ করেননি তারও কোন সদুত্তর ডিফেন্স পক্ষের জেরাতে কবি রোজি দিতে পারেননি।
তৃতীয় অভিযোগে বলা হয়েছে, একাত্তরের ২৯ মার্চ বিকেলে সাংবাদিক খন্দকার আবু তালেবকে আরামবাগ থেকে কাদের মোল্লা ও তার সহযোগীরা জল্লাদখানা পাম্পহাউজে নিয়ে জবাই করে হত্যা করেন।
৮নং সাক্ষী নূর জাহান ট্রাইব্যুনালে এসে সাক্ষ্য দিলেও ডিফেন্স আইনজীবী গতকাল শুনানিতে বলেছেন, এই সাক্ষীর জন্ম হয়েছে ১৯৭৬ সালে। অথচ কাল্পনিকভাবেই এই সাক্ষী ১৯৭১ সালের ঘটনার বর্নণা দিয়েছেন (!) ভোটার আইডি কার্ডে উল্লেখিত জন্ম তারিখ থেকেই এই তথ্য উদঘাটন হয়েছে বলেও আইনজীবী ট্রাইব্যুনালকে জানান। একই সাথে এই সাক্ষী দীর্ঘ ৪২ বছর পরে এসে ডকে উপস্থিত আসামী কাদের মোল্লাকে চিনতে পারার বিষয়টি নিয়েও বিষ্ময় প্রকাশ করেন।
চতুর্থ অভিযোগ অনুসারে, ২৫ নভেম্বর কাদের মোল্লা ও ৬০-৭০ জন রাজাকার কেরানীগঞ্জ থানার ভাওয়াল খানবাড়ি ও ঘাটারচরে (শহীদনগর) শতাধিক নিরস্ত্র গ্রামবাসীকে হত্যা করেন।
পঞ্চম অভিযোগ অনুসারে, একাত্তরের ২৪ এপ্রিল পাকিস্তানি সেনা ও অবাঙালি রাজাকারদের সাথে কাদের মোল্লা মিরপুরের আলোকদী (আলুব্দী) গ্রামে হামলা চালান। ওই ঘটনায় ৩৪৪ জনের বেশি নিহত হন।
৬ নং সাক্ষী শফিউদ্দিন মোল্লা তার জবানবন্দিতে বলেছেন, তিনি আলুবদি গ্রামে তার বাড়ির উত্তর পাশে ঝোপের নিচের একটি গর্তের ভেতরে লুকিয়ে থেকে পাক আর্মিদের গুলী করার দৃশ্য দেখেছেন। কিন্তু আর্মিদের অপারেশনের সময়ে গুলাগুলীর মধ্যে গর্তের ভেতরে বসে বাইরের কোন ঘটনা দেখার বিষয়টির সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ডিফেন্স আইনজীবী। কেননা ঐ সময়েতো সবাই প্রাণ বাঁচানোর জন্য পালিয়ে যাচ্ছিল। যদিও তদন্ত কর্মকর্তা জেরাকালে বলেছেন, এই সাক্ষী ধানের স্তূপের ফাঁক দিয়ে ঐ ঘটনাটি দেখেছিলেন বলে তার কাছে দেয়া জবানবন্দিতে বলেছেন। কোনো ঝোপ বা গর্তের কথা সাক্ষী আগের দেয়া জবানবন্দিতে বলেননি।
ষষ্ঠ অভিযোগে বলা হয়েছে, একাত্তরের ২৬ মার্চ কাদের মোল্লা, তার সহযোগী এবং পাকিস্তানি সেনারা মিরপুরের ১২ নম্বর সেকশনে হজরত আলী লস্করের বাসায় যান। কাদের মোল্লার নির্দেশে হজরত, তার স্ত্রী, দুই মেয়ে এবং দুই বছরের এক ছেলেকে হত্যা করা হয়, ধর্ষণের শিকার হয় এক মেয়ে।
ট্রাইব্যুনাল প্রদত্ত ১৩২ পৃষ্ঠার রায়ে বলা হয়, কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে পাঁচ ও ছয় নম্বর অভিযোগে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড; এক, দুই ও তিন নম্বর অভিযোগের জন্য ১৫ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ এবং চার নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তা থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধ তদন্ত সংস্থা ২০১০ সালের ২১ জুলাই কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত শুরু করে। তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন আবদুর রাজ্জাক খান ও মনোয়ারা বেগম। ওই বছরের ২ আগস্ট কাদের মোল্লাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
ট্রাইব্যুনাল প্রদত্ত ১৩২ পৃষ্ঠার রায়ে বলা হয়, কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে পাঁচ ও ছয় নম্বর অভিযোগে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড; এক, দুই ও তিন নম্বর অভিযোগের জন্য ১৫ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ এবং চার নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তা থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধ তদন্ত সংস্থা ২০১০ সালের ২১ জুলাই কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত শুরু করে। তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন আবদুর রাজ্জাক খান ও মনোয়ারা বেগম। ওই বছরের ২ আগস্ট কাদের মোল্লাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
Date: Thu, 7 Feb 2013 19:53:27 -0800
From: aleem53@yahoo.com
Subject: Re: চট্টগ্রাম পুলিশের নির্মমতা : চোখ তুলে আরও এক শিবির নেতাকে নৃশংসভাবে হত্যা
To: parvez.abu@gmail.com; parvez1971@gmail.com
CC: bangladeshiamericans@googlegroups.com
Mr. Parvez from Newton, MA, USA??? Wow.... someday people can say: "HANG'EM HIGH TILL THEY DIE . Any BCL cadres, BCL looters, BCL tenderbaz, BCL rapists and their supporters" That's the only punishment . No sympathy , no mercy !" That day may not be too far.... I never thought this part of the globe is too civilized either, and once in a while I get solid proof like this one! --- On Thu, 2/7/13, Parvez <parvez1971@gmail.com> wrote:
|
--
--
* Disclaimer: You received this message because you had subscribed to the Google Groups "Bangladeshi-Americans Living in New England". Any posting to this group is solely the opinion of the author of the messages to BangladeshiAmericans@googlegroups.com who is responsible for the accuracy of his/her information and the conformance of his/her material with applicable copyright and other laws where applicable. The act of posting to the group indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator(s). To post to this group, send email to BangladeshiAmericans@googlegroups.com.
To unsubscribe from this group, send email to BangladeshiAmericans-unsubscribe@googlegroups.com
For more options, visit this group at http://groups-beta.google.com/group/BangladeshiAmericans?hl=en ].
---
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "Bangladeshi-Americans Living in New England" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to bangladeshiamericans+unsubscribe@googlegroups.com.
For more options, visit https://groups.google.com/groups/opt_out.
__._,_.___