ঢাকা, শনিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৩, ২৭ মাঘ ১৪১৯, ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৩৪
প্রধান বিরোধী দল বিএনপি তাদের রাস্তা ঠিক করে ফেলেছে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, দলটি এখন সরাসরি যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। 'আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বাতিলের দাবির সঙ্গে একমত নই' বলে তরিকুল ইসলাম যে মন্তব্য করেছিলেন, এখন মনে হচ্ছে, সেটি দুর্ঘটনা মাত্র। যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবিতে সারা দেশ যখন উত্তাল, তখনই বিএনপি আগামীকাল সেই যুদ্ধাপরাধীদের দলকে নিয়ে সমাবেশের ডাক দিয়েছে। যে ইস্যুটি জাতির অস্তিত্বের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত, যে ইস্যুটি নিয়ে সারা দেশ তোলপাড়, সেই ইস্যুতে বিএনপি নীরব, নিষ্ক্রিয় ও ভূমিকাহীন। বিএনপির নেতারা এত দিন বলে আসছিলেন, বিচার স্বচ্ছ ও ন্যায় হতে হবে। কিন্তু সেই স্বচ্ছ ও ন্যায়বিচারের দাবিতে যখন তরুণেরা বিভিন্ন পেশাজীবী-শ্রমজীবীসহ রাস্তায় নেমে আসছেন, তখন বিএনপি একেবারেই লা জবাব। পত্রিকায় দেখলাম, বিএনপির অন্যতম জ্যেষ্ঠ নেতা এম কে আনোয়ার তারুণ্যের এই গণজাগরণকে 'সাজানো প্রতিবাদ' বলে অভিহিত করেছেন। এ ধরনের নিষ্ঠুর মন্তব্য তাঁরাই করতে পারেন, যাঁরা যুদ্ধাপরাধীদের আগলে রাখতে চান। তারুণ্যের সাহস ও সততার ওপর এই আঘাত তরুণেরা মেনে নেবেন না।
নব্বইয়ে স্বৈরাচারের পতনের পর এ রকম স্বতঃস্ফূর্ত ও স্বতঃপ্রণোদিত সমাবেশ আর হয়নি। কোনো নেতার আহ্বান ও দলের আয়োজন ছাড়াই সর্বস্তরের মানুষ ঘর ছেড়ে রাজপথে নেমে এসেছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অভাবিত ঘটনা। রাজপথে লাখো-কোটি প্রাণের কল্লোল যাঁরা শুনতে পান না, ইতিহাসে তাঁরা নিন্দিত ও কলঙ্কিত হয়েই থাকবেন।
সোহরাব হাসান: কবি, সাংবাদিক।
sohrab03@dhaka.net
নব্বইয়ে স্বৈরাচারের পতনের পর এ রকম স্বতঃস্ফূর্ত ও স্বতঃপ্রণোদিত সমাবেশ আর হয়নি। কোনো নেতার আহ্বান ও দলের আয়োজন ছাড়াই সর্বস্তরের মানুষ ঘর ছেড়ে রাজপথে নেমে এসেছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অভাবিত ঘটনা। রাজপথে লাখো-কোটি প্রাণের কল্লোল যাঁরা শুনতে পান না, ইতিহাসে তাঁরা নিন্দিত ও কলঙ্কিত হয়েই থাকবেন।
সোহরাব হাসান: কবি, সাংবাদিক।
sohrab03@dhaka.net
__._,_.___