যুদ্ধাপরাধীদের গ্রেপ্তারের কারণে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
পাবনা, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ (বিডিএনএন২৪) :- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের গ্রেফতার করার ফলে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং এই শান্তি যাতে কেউ বিঘ্নিত করতে না পারে সেজন্য তিনি সবাইকে সতর্ক থাকার আহবান জানান। তিনি বলেন, 'যুদ্ধাপরাধীদের গ্রেফতার করার মধ্য দিয়ে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাই আমি জনগণের প্রতি সতর্ক থাকার আহ্বান জানাই, যাতে পরাজিত শক্তি শান্তি বিনষ্ট করে জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে।'
প্রধানমন্ত্রী আন্দোলনের নামে যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার অপচেষ্টা চালানোর জন্য বিরোধীদলীয় নেতার সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, 'সন্ত্রাস, নিরীহ জনগণকে হত্যা ও যানবাহনে আগুন দেয়ার মাধ্যমে আপনার দল দেশে সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। কিন্তু এগুলো ১৯৭১ সালের অপরাধীদের রক্ষা করতে পারবে না এবং তাদের বিচার কাজ সম্পন্ন হবে ইনশাআল্লাহ।' আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিকেলে পাবনার সরকারি এডোওয়ার্ড কলেজ মাঠে আয়োজিত এক বিশাল জনসভায় বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খন্দকার, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ও মোহাম্মদ নাসিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামসুল হক টুকু এবং সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য শামসুর রহমান শরীফ দিলু ।
সন্ত্রাসবাদ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর দৃঢ় অবস্থানের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার এমনভাবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে চায় যাতে ভবিষ্যতে কেউ দেশকে সন্ত্রাসবাদ ও দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করতে না পারে। তিনি বলেন, 'সন্ত্রাসবাদ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম চলবে।' শেখ হাসিনা বলেন, বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শাসনামলে দেশ সন্ত্রাসী, জঙ্গী ও দুর্নীতিবাজদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিল। তিনি বলেন, 'খালেদা জিয়া নিজেই দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন। তিনি জরিমানা দিয়ে কালো টাকা সাদা করেছেন এবং এতিমদের অর্থ আত্মসাৎ করেছিলেন, অন্যদিকে তার দুই ছেলের দুর্নীতি যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুরের আদালতে প্রমাণিত হয়েছে।'
__._,_.___