আটলান্টার নতুন প্রজন্মের একাত্মতা প্রকাশ। সিএনএন টিভি সেন্টারের সামনে শাহবাগ স্কয়ারের সহযোদ্ধাদের প্রতি সমর্থন রুমী কবির, আটলান্টা, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ (বিডিএনএন২৪) :- শাহবাগ স্কয়ারের নতুন প্রজন্মের যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবীতে আহুত আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করলো আটলান্টার নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশী উত্তরাধিকার এক ঝাঁক ছাত্র ছাত্রী। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার জর্জিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি ও জর্জিয়া টেকনলজিকাল ইন্সটিটুটের ছাত্র ছাত্রীরা যৌথভাবে বিশ্বখ্যাত জনপ্রিয় সিএনএন টেলিভিশন সেন্টারের সামনে ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড হাতে আনুষ্ঠানিক ভাবে শাহবাগ স্কয়ারের সহযোদ্ধা নতুন প্রজন্মের বিরামহীন আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ও সমর্থন প্রকাশ করে। তাঁরা অনিতিবিলম্বে যুদ্ধাপরাধী সকল রাজাকার ঘাতক দালালদের চরম শাস্তি ফাঁসি ঘোষণা করে নতুন প্রজন্ম তথা বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজীবিত সকল নাগরিকের প্রত্যাশা পূরণের জন্যে সরকারের প্রতি আহবান জানায় এবং সেই সাথে জামাতের রাজনীতি চিরতরে নিষিদ্ধ করে ধর্মব্যবসায়ীদের উৎখাত করে শান্তি কামী ধার্মিক মুসলমানদের সত্যিকার ধর্মীয় পরিবেশ তৈরির অনুরোধ জানায়। উল্লেখ্য, উক্ত সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ডাঃ মুহাম্মদ আলী মানিককে সপরিবারে সংহতি প্রকাশে উপস্থিত হতে দেখা গেছে। রাজীব হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং ট্রাইব্যুনালের আইন সংশোধন করায়- সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে, হল্যান্ড আওয়ামী লীগ।
হল্যান্ডঃ হল্যান্ড আওয়ামী লীগের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে-জানানো হয়েছে যে, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৩, রাতে শাহবাগের 'প্রজন্ম চত্বর' থেকে বাসায় ফেরার পথে মিরপুরেরর পলাশনগর এলাকায় জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও জবাই করে, নৃশংসভাবে হত্যা করেছে, ব্লগ দুনিয়ায় থাবা-বাবা নামে চিরপরিচিত 'ব্লগার আহমেদ রাজিব হায়দার শোভনকে'। তাঁর মৃত্যুতে আমরা সকলেই গভীর ভাবে শোকাহত। এবং আমরা, দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ 'ব্লগার আহমেদ রাজিব হায়দার শোভনে'র বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে, তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
'ব্লগার আহমেদ রাজিব হায়দার শোভন' ছিলেন, একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত কসাই কাদের মোল্লা, নাটের গুরু কুখ্যাত গোলাম আযম, মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মোজাহিদ, দেলুয়ার হোসেন সাঈদী ও সাকাসহ সকল ঘৃণ্য যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবীতে এবং জঙ্গীবাদী ইসলামী সন্ত্রাসী সংগঠন জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে সাইবার যুদ্ধে অংশগ্রহনকারী ও শাহবাগ 'প্রজন্ম চত্বরে' গণআন্দোলনের অন্যতম সংগঠক। তাই তো, পাকি প্রেতাত্মা ও হায়েনার দল জামায়াত-শিবির তাঁকে বর্বরোচিত ভাবে হত্যা করেছে।
শাহবাগ 'প্রজন্ম চত্বরে' তারুণ্যদের আন্দোলনের অন্যতম প্রতিবাদী কন্ঠস্বর 'রাজিব হায়দার শোভন' হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে, হল্যান্ড আওয়ামী লীগের সকল নেতৃবৃন্দ। এবং আমরা, রাজীব হত্যাকারী জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি। বিবৃতিতে-আরও উল্লেখ করা হয় যে, সাম্প্রতিককালে-প্রতিনিয়ত, একের পর এক জামায়াত-শিবির তাদের সন্ত্রাসী তান্ডব-কর্মকান্ডের মধ্যদিয়ে সারাদেশে সন্ত্রাস, অরাজকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে চলেছে। জামায়াত-শিবিরের জঙ্গী সন্ত্রাসী ক্যাডাররা প্রতিনিয়ত নির্বিচারে গাড়ী ভাংচুর, অসংখ্য গাড়ীতে অগ্নিসংযোগ চালিয়ে কোটি কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধব্বংস করছে।
জঙ্গী এই সংগঠনের সন্ত্রাসী ক্যাডাররা, প্রতিনিয়ত দেশের আইনশৃংখলা রক্ষাকারী পুলিশ বাহিনীর ওপর চোরাগুপ্তা হামলা চালিয়ে তাদের সংঘে-সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে। পুলিশকে রাস্তার ওপর ফেলে অমানবিক ভাবে মারধোর এবং পুলিশকে নির্মমভাবে হত্যা করছে। তারা একের পর এক হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েই চলেছে। তাদের সকল সন্ত্রাসী তান্ডবলীলায় পরিস্কার বুঝা যায় যে, তারা যুদ্ধাপরাধীদেরকে রক্ষা এবং স্বাধীন বাংলাদেশটাকে পুনঃ পাকিস্তানে পরিণত করতে চায়। যা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। অতএব, অবিলম্বে জামায়াত-শিবিরকে নিষদ্দ করার জন্য সরকারের প্রতি পুনঃ জোর দাবী জানানো হচ্ছে।
বিবৃতিতে-আরও উল্লেখ করা হয় যে, শাহবাগ 'প্রজন্ম চত্বরে' তারুণ্যদের আন্দোলনের দাবী পূরণের অংশ হিসেবে- আজ 'জাতীয় সংসদে' 'আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে'র আইন সংশোধন বিল সর্বসম্মতিক্রমে পাস হওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে, নেদারল্যান্ডস্থ প্রবাসী বাঙ্গালীরা। সংশ্লিষ্ট সংশোধন আইন পাস হওয়ায়-একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধীদেরকে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে এখন আর কোন বাধা রইলো না। অতএব, এখন কসাই কাদের মোল্লাসহ সকল রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান নিশ্চিত হবে, ইহাই জাতির প্রত্যাশা।
বিবৃতিকারীরা হলেন হল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব মাঈদ ফারুক, সহ-সভাপতি এমদাদ হোসেন, এমরান হোসেন, জাকিরুল হক টিপু, সন্দীপ কুমার দাস, নান্টু মৃধা ও টুকু খান, উপদেষ্ঠা পরিষদের সদস্য জনাব মতিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা জামান, সহ-সাধারণ সম্পাদক মুরাদ খান ও শ্যামল শীল, সাংগঠনিক সম্পাদক জয়নাল আবদীন ও রশীদ রানা, প্রচার সম্পাদক মুহিন উদ্দিন, ইমিগ্রেশন সম্পাদক দেওয়ান উজ্জল, প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক বিষ্ণু বিস্বাস, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ইকবাল বাবুল, যুব ক্রীড়া সম্পাদক শামীম আক্রাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নীপু দাশ ও কোষাধ্যক্ষ লক্ষন সরকার প্রমুখ।প্রেস বিজ্ঞপ্তি। |