Banner Advertiser

Friday, March 15, 2013

[mukto-mona] রাজনীতিতে ধর্মের জিকির ফিরিয়া আসিল কেন?



খোলা কলাম
রাজনীতিতে ধর্মের জিকির ফিরিয়া আসিল কেন?
সলিমুল্লাহ খান
আমার বন্ধু ড. বিনায়ক সেন সম্প্রতি দেশের একটি নামকরা দৈনিকে দুই কিস্তি নিবন্ধ লিখিয়াছেন। যাহাদিগকে সচরাচর বলা হয় কলাম বা খাম্বালেখক, তিনি তাহাদের দলভুক্ত নহেন। বিনায়ক সেনের লেখায় তাহার পরও বলিব- আর যাহা কিছুরই অভাব ঘটুক, বিনয়ের অভাব ঘটে নাই। ছিদ্রান্বেষীরা ইচ্ছা করিলে দোষ ধরিতে পারিবেন। লেখাটা খানিক অগোছালো। দেশে যাহা ঘটিতেছে তাহাতে মাথা গোছালো থাকিলেই বরং জিজ্ঞাসা করিতাম- গোছাইয়া লেখা কি উপায়ে সম্ভব? তাহার লেখায় আমি একটা দোষই দেখিতে পাইয়াছি, তিনি অনেক কম বলিয়াছেন। এহেন উন্মত্ততার যুগে বেশি বলিবার চাহিতে কম বলাই বরং ভালো।

বিনায়ক সেন একটা প্রচলিত সংখ্যা ধরিয়া আগাইয়াছেন। তিনি মনে করাইয়া দিয়াছেন অভিভক্ত বাংলা প্রদেশের যে টুকরা লইয়া হালফিল বাংলাদেশ চলিতেছে তাহার চারি সীমানার মধ্যে হিন্দু জনসংখ্যার হার ক্রমশ কমিয়া আসিতেছে। তিনি দেখাইয়াছেন ১৯৪১ সালে তাহার ভাষায়- 'এই বঙ্গে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ২৮ শতাংশ। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের ঠিক আগের বছরে এদের সংখ্যা ছিল ২২ শতাংশ। ১৯৭৪ সালের পরিসংখ্যানে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ১৪ শতাংশে। ২০১১ সালে এটা আরও নেমে দাঁড়িয়েছে ৯ শতাংশে।'

যাহাকে বলে অকাট্য প্রমাণ। এই বঙ্গে হিন্দু জনসংখ্যা শতকরা হারে কমিতেছে। কিন্তু কারণ কি? কি কারণে কমিতেছে। একটা বড় কারণ হিন্দুরা চলিয়া যাইতেছে। আর কোথায়? কোথায় আর যাইবে_ সেই এক ইন্ডিয়ায়। আজিকালি দূর বিদেশেও যাইতেছে। কিন্তু কেন যাইতেছে। ভারত খুব আকর্ষণীয় দেশ বলিয়া? তাহা হইতেও পারে। কিন্তু বাংলাদেশ কেন তাহাদের পক্ষে বসবাসের অযোগ্য দেশ বলিয়া প্রমাণিত হইতেছে? জানিবার জিনিস এইটাই।

পাকিস্তান আমলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হইত রাষ্ট্রের উদ্যোগে। শত্রুসম্পত্তি আইন বাধা হইয়াছিল। তাও রাষ্ট্রের উদ্যোগে। কিন্তু বাংলাদেশ তো স্বাধীন হইয়াছে হিন্দু ও মুসলমানের মিলিত স্বাধীনতা-সংগ্রাম তথা মুক্তিযুদ্ধের মধ্যস্থতায়। তাহার পরও হিন্দু জনসংখ্যা কেন কমিতে থাকিবে? নতুন করিয়া কি হইল যাহাতে এই প্রবাহ অব্যাহত থাকিতেছে?

বিনায়ক সেন বুঝিতে পারিতেছেন না, কেন বিশেষভাবে বাঁশখালী, বেগমগঞ্জ বা বাগেরহাটে হিন্দু-জনসাধারণের ওপর কেন জামায়াতে ইসলামী বা তাহার সহযোগী শক্তি আক্রমণ করিল। বিনায়ক অতি দরিদ্র বা হতদরিদ্র জনসাধারণের হিন্দু অংশকে নাম দিয়াছেন 'অতি সংখ্যালঘু'। বড় কোমল গান্ধার এই নাম। এই অতি সংখ্যালঘু গোষ্ঠী মানে 'অপর' গোষ্ঠী আর কে না জানে 'অপর' হইতেছে শত্রুর প্রথম মূর্তি বা সাকার রূপ। কিন্তু বিনায়ক তাহাতে খুশি নহেন। তিনি লিখিয়াছেন, "তবে 'অপর' হলেই যে 'পর' হবে বা 'পর' হলেই যে 'শত্রু' হবে এবং 'শত্রু' হলেই 'নির্যাতনের লক্ষ্য' হবে- এরকম কোনো অবধারিত নিয়মনীতি অপরায়ণের সূত্রে গাঁথা নেই।"

কিন্তু নির্যাতন হইতেছে। তাহার পরও হইতেছে। বিনায়ক সেনের অবস্থা এক্ষনে গ্যালিলিও গ্যালিলিয়ের মতন দাঁড়াইয়াছে। পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘুরিতেছে_ এ কথা জাহির করায় খ্রিস্টীয় ধর্মমণ্ডলী গ্যালিলিয়ের শাস্তি বিধান করিয়াছিল। তাহাকে বলিতে বাধ্য করা হইয়াছিল, না, পৃথিবী ঘুরিতেছে না, সূর্যদেবই ঘুরিতেছেন। আমার বন্ধুর মতো গ্যালিলিও কিন্তু প্রাণের ভিতরে জাপিতেছিলেন- বেটা তারপরও ঘুরিতেছে। এতালিয়া ভাষায় বলিতে, 'এপ্পুর সি মুয়েবে'।

পৃথিবী কেন ঘুরিতেছে তাহা পৃথিবীকে পোঁছ করিবার ভাষা আমার জিহ্বায় নাই। কিন্তু হিন্দু নির্যাতনের কারণ কি জিজ্ঞাসিবেন কোন ভাষায়? বিনায়ক বলিতেছেন, তাহার পছন্দমাফিক ভাষায় : "বাঙালি জাতীয়তাবাদ রাজনীতিতে সেক্যুলার বাঙালির তথা ভাষাকে বড় করে তুলছে বলেই এর বিপরীতে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদকে রাজনীতিতে 'ধর্মকে' কেন্দ্র করে- এরকম কোনো মিঠে ডায়ালেকটিক অনিবার্য নয়।"

অনিবার্য নহে, কিন্তু অসম্ভবও নহে। ইতিহাস পড়িবার সময় চোখ বন্ধ করিয়া না রাখিলে পড়া যাইবে যাহা অনিবার্য নহে তাহা কেন সম্ভবপর হইয়া উঠে। 'বাঙালি' শব্দেরও একটা ইতিহাস আছে। বাঙালি বলিতে এতদিনে নিছক 'হিন্দু' বোঝায় না। কিন্তু একদা বুঝাইত। একই শব্দ একেক সময় একেক অর্থ গ্রহণ করে। আবার একই পদার্থও একেক সময় একেক পদ অবলম্বন করে।

ড. মুহম্মদ এনামুল হক এক জায়গায় দেখাইয়াছেন, আমরা এখন বাংলা ভাষাকে সগর্বে মাতৃভাষা বলি। কিন্তু আগে বলিতাম 'দেশী ভাষা'। ড. হক লিখিতেছেন, "আমরা এখন একটি বারও চিন্তা করি না যে, মধুসূদন দত্তই ইংরেজি 'মাদার টাং' কথার অনুবাদ করিয়া 'মাতৃভাষা কথাটি তাহার কবিতায় ব্যবহার করিয়াছিলেন। তাহার পর হইতেই আমরা 'দেশী ভাষা' কথা ভুলিয়াছি ও 'মাতৃভাষা' কথা গ্রহণ করিয়াছি।" 'বাঙালি জাতি' কথাটিও আমরা পাশ্চাত্য সভ্যতার কল্যাণেই লাভ করিয়াছি। এই কথাটা যেন আমরা না ভুলিয়া বসি।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দোহাই দিয়া বিনায়ক সেন যে 'বহুজাতিক বাঙালি' বলিয়া একটা কথা পাড়িয়াছেন তাহা বেশ। কিন্তু সমস্যা একটাই। ইহা কল্পলোকের কথা না হইলেও না হইতে পারে। কিন্তু ইহা 'গজদন্ত মিনারে বাস' করিবার যোগ্য কথা কিনা কে বলিবে? বলিবে ইতিহাস।

অথচ আমার বন্ধু তাহার লেখার গোড়াতেই ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের কথা তুলিয়াছিলেন। কিন্তু শেষের দিকে তাহার সিদ্ধান্ত পর্যন্ত আসিতে আসিতে সে মরুতে পথ হারাইয়া পড়িলেন মনে হইতেছে। ১৯৫০ কি ১৯৬৪ সালের দাঙ্গাকে দাঙ্গা বলা সঠিক কিনা জানি না। দাঙ্গা বলিতে যে হাঙ্গামা বোঝায় তাহাতে দুই তরফ থাকে। কিন্তু যেখানে কেবল সংখ্যার অহংকারে সংখ্যালঘুর মুখে 'লঘুসংখ্যা' করিয়া দেওয়া হয় তাহাকে কেন 'দাঙ্গা' বলিতেছি আমরা। ইহা যদি নির্যাতন না হইয়া থাকে তো 'নির্যাতন' কাহাকে বলিব? ইহা একতরফা শত্রুতা। ইহার নাম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হইতেই পারে না। মার্কিন মুলুকে দক্ষিণে বিশেষ করিয়া, যাহা হইত, তাহাকে কি কালা-ধলার দাঙ্গা বলা চলে?

মুক্তিযুদ্ধের দিনে পাকিস্তানি সৈন্যদের নির্যাতনের মুখে যাহারা ঘরবাড়ি, কারবার ব্যবসায় ছাড়িয়া ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন তাহাদের বেশির ভাগই ছিলেন হিন্দু সাধারণ। কথাটা আমার নহে। ওই যুদ্ধের একজন নিবিড় দর্শক ও সাক্ষী পরলোকগত মহাত্দা লেখক আহমদ ছফার। তিনি অবশ্য 'বেশির ভাগ' কথাটার জায়গায় লিখিয়াছিলেন 'মুখ্য অংশ'। আহমদ ছফার এ বিষয়ে আরও দুই কথা আছে। তাহা এ মুহূর্তেও শুনিবার অযোগ্য নহে।

পাকিস্তানি শাসকরা কেন হিন্দুদের বাছিয়া বাছিয়া ভারতে যাইতে বাধ্য করিয়াছিল? সংখ্যালঘু- মাত্র এই অপরাধে তাহাদের বাড়তি নির্যাতন ভোগ করিতে হইয়াছিল। ভারত সরকার পরিচালিত আশ্রয় শিবিরের অবর্ণনীয় অবস্থার মধ্যে জীবন অতিবাহিত করিতে হইয়াছিল তাহাদের। তাহারা আশা করিয়াছিলেন বাংলাদেশ স্বাধীন হইলে তাহাদের আর কোনো দুঃখ-দুর্দশা থাকিবে না। পাকিস্তানে তাহাদের সঙ্গে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে ব্যবহার করা হইত। কিন্তু স্বাধীন ধর্ম-নিরপেক্ষ বাংলাদেশে ধর্মীয় কারণে তাহাদের আর নিগৃহীত হইতে হইবে না।

কিন্তু ফিরিয়া আসিয়া তাহারা কি সবকিছু পাইলেন? তাহাদের পুনর্বাসন কি হইয়াছিল? বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর তাহাদের অবস্থা কি দাঁড়াইয়াছিল? ১৯৭৭ সালে লেখা এক কড়া নিবন্ধে আহমদ ছফা লিখিয়াছিলেন, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হইবার পর তাহারা বিপরীত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হইলেন। আহমদ ছফার ভাষায়, 'সারা দেশের পরিস্থিতি সামগ্রিকভাবে পূর্বের তুলনায় অনেকগুণ খারাপ হয়ে গেল।' বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হইবার পর অবস্থা যে রকম দাঁড়াইয়াছিল আজ চলি্লশ বছরেরও বেশি দিন পর সেই অবস্থার একটা নতুন পুনরাবৃত্তি হইতেছে দেখিয়া অনেকের বিস্ময়ের অবধি নাই। সাধারণ মানুষের দুর্দশা আর পাশের দেশ ভারতের সহিত সম্পর্ক দুই দিক হইতেই দেখিতে হইবে ঘটনাটা কি।

স্বাধীনতার পরপর কি হইয়াছিল? আহমদ ছফার সাক্ষ্য আপনি বিশ্বাস করিতেও পারেন, নাও করিতে পারেন। তিনি লিখিয়াছিলেন, মাত্র তিন কি চারি বৎসরের মধ্যে একেবারে সাধারণ অবস্থার মধ্য হইতে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক পুঁজি সম্বল করিয়া একটি নতুন শাসকশ্রেণী বাংলাদেশে নেতার ভূমিকা গ্রহণ করিয়াছিল। আহমদ ছফার বুলিতে শাসক নেতৃশ্রেণীটি 'আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দৌলতে দুধের সরের মতো ভেসে উঠেছিল।' জনগণের দুঃখ এবং কষ্টভোগের প্রতি তাহাদের কোনো সহানুভূতি ছিল না।

ছফা লিখিয়াছেন, "তারা বাংলাদেশের জনগণের সম্পদ ভারতে পাচার করে দিয়ে ভারতীয় পুঁজিপতিদের যোগসাজশে দেশের মানুষের দারিদ্র্য বাড়িয়ে তুলেছে- এ কথা সাধারণ্যে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়ে পড়ল। জনগণ সঙ্গত কারণেই বিশ্বাস করে বসল যে, ভারতই তাদের যাবতীয় দুর্দশার মূল কারণ। ভারতে জিনিসপত্র পাচার হয়ে যাচ্ছে। সে জন্য তাদের এই ভোগান্তি। আওয়ামী লীগের নেতা এবং কর্মীবৃন্দ যদি জনগণের দুঃখকষ্টে অংশগ্রহণ করতেন এবং প্রখরভাবে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতেন, তাদের ভিন্নরকম মনোভাবের উদয় হতো।"

ইহার মধ্যে কি ভূমিকা হিন্দু সাধারণের? 'যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশের অভাব, দুর্ভিক্ষ, প্রবলের উৎপীড়ন- সব কিছুর জন্য জনগণের মুখ্য অংশ ভারতকে দোষারোপ করতে লাগল। ভারত হিন্দুপ্রধান দেশ। অনেক সাম্প্রদায়িক দল এই সুযোগে হিন্দুত্ব এবং ভারতীয়তাকে একেবারে প্রকাশ্যে জনগণের সামনে তুলে ধরল।'

আজ চলি্লশ বছরেরও বেশি পর ইতিহাসের একটা পুনরাবৃত্তি না দেখিয়া পারা যাইতেছে না। আওয়ামী লীগ সরকার এবারও ক্ষমতায়। প্রচার মাধ্যমে বলা হইতেছে- অমর্ত্য সেন আর প্রণব মুখোপাধ্যায় যেন এক সুরে বলিতেছেন বাংলাদেশ উন্নতির পরাকাষ্ঠায় পহুঁছিয়াছে। ভারতকে এই সূচকে সেই সূচকে ছাড়াইয়া দিয়াছে। প্রচারণার একটা সীমা আছে। সীমা ছাড়াইয়া গেলে তাহা কেহ বিশ্বাস করে না।

আওয়ামী লীগ তো শাসনভার হাতে লইয়াই ধর্মীয় রাজনৈতিক দলবল নিষিদ্ধ করিয়াছিল। পেছনে জনসমর্থনও তাহাদের তখন কম ছিল না। ধর্মীয় আর অধর্মীয় অনেকগুলি দল তো ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সৈন্যদের সহায়তা করিয়াছিল। শুধু কি তাহাই, এই দলগুলি 'বাঙালি জাতীয়তাবাদের' বিরুদ্ধতাকেই তাহাদের রাজনৈতিক লক্ষ্য করিয়াছিল। আজ তাহাদের কেহ কেহ কেন সর্বসাধারণের মধ্যে কিছু পরিমাণে গ্রহণযোগ্য হইয়া উঠিল?

অতি সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ করে জামায়াতে ইসলামী কি ফায়দা পাইবে তাহা বুঝিতে হইলে বাঁশখালীর ধ্বংসস্তূপের ভেতর পোড়ামাটির গন্ধ ও কালা ধুলার মধ্যে ভূলুণ্ঠিত মাতৃসমা নারীর কানে তত্ত্ব ঢোকাইবার দরকার কেন? আগে তো নিজের বুদ্ধির চরকায় তেল দিতে হইবে। আপনি যদি নিজেকে বুঝাইতে না পারেন তো বুড়িকে কি বুঝাইবেন?

আমরা এক সময় মনে করিয়াছিলাম বাংলাদেশে জাতিগত আত্দপরিচয়ের সমস্যাটা মিটিয়া গিয়াছে। এখন দেখা যাইতেছে, আমরা বেশি মনে করিয়াছিলাম। আমরা আরও মনে করিয়াছিলাম, মুক্তিযুদ্ধ হইয়াছে। সুতরাং বাংলাদেশে সকলেই সমানাধিকার ভোগ করিবে। এক কথায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ হইতেই সবকিছু নতুন করিয়া শুরু হইবে।

আপাতত মনে হইতেছে, মুক্তিযুদ্ধ সব সমস্যার সমাধান করে নাই। কিন্তু যে যেভাবেই ব্যাখ্যা করুন। বাংলাদেশে একটি মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হইয়াছে। এই মুক্তিযুদ্ধকে পাশ কাটাইয়া বাংলাদেশের কোনো ভবিষ্যৎ নাই_ আহমদ ছফার এই কথার সহিত দ্বিমত করিবার জায়গা নাই। একই সাথে আজ বলিতে হইবে_ মুক্তিযুদ্ধের সহিত যে বেইমানি করা হইয়াছে আজ কড়ায়-গণ্ডায় তাহার মূল্য পরিশোধ করিতে হইতেছে।


দোহাই

১। বিনায়ক সেন, 'সংখ্যালঘু বনাম আত্দপরিচয়ের স্বাধীনতা', প্রথম আলো, ১০ ও ১২ মার্চ, ২০১৩।

২। আহমদ ছফা, 'বাংলাদেশের রাজনৈতিক জটিলতা', সলিমুল্লাহ খান সম্পাদিত বেহাত বিপ্লব, দ্বিতীয় সংস্করণ (ঢাকা : আগামী প্রকাশনী, ২০০৯), পৃ. ১৪৩-২০৩।

৩। মুহম্মদ এনামুল হক, 'রচনা শিক্ষা', মুহম্মদ এনামুল হক রচনাবলী, পঞ্চম খণ্ড।

মনসুর মুসা সম্পাদিত, (ঢাকা; বাংলা একাডেমী, ১৯৯৭)। পৃ-১-৩০৫।

[১৩ মার্চ ২০১৩]


লেখক : আদমবোমা, স্বাধীনতা ব্যবসায় ও আহমদ ছফা সঞ্জীবনী প্রভৃতি গ্রন্থ প্রণেতা

ই-মেইল :salimullah.khan@ulab.edu.bd

আশুলিয়ায় গণজাগরণ মঞ্চযুদ্ধাপরাধীমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার দৃপ্ত শপথ »আবার ককটেল বিস্ফোরণ, তার মধ্য দিয়ে রাজধানীর কাছে আশুলিয়ায় মহাসমাবেশ করল গণজাগরণ মঞ্চ। সব ভীতি উপেক্ষা করে হাজারো কণ্ঠে গার্মেন্ট শিল্প এলাকাখ্যাত আশুলিয়ায় উচ্চারিত হলো যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি। একই সঙ্গে দৃপ্ত শপথ নেওয়া হয়েছে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের।
গতকাল দুপুরে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার ফ্যান্টাসি কিংডমের সামনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে গণজাগরণ মঞ্চের মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশের শুরুতেই এ আন্দোলনে ভীতি ছড়াতে আশুলিয়ার ইউনিক ও সরকার মার্কেট এলাকাসহ পৃথক দুটি স্থানে ৬টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা।... বিস্তারিত

আশুলিয়ায় দুই স্থানে হাতবোমা বিস্ফোরণ



Khaleda slams Shahbagh youths

Khaleda slams Shahbagh youths

Brands them as atheists; asks govt to stop Gonojagoron ManchaBNP Chairperson Khaleda Zia yesterday called the Gonojagoron Mancha at Shahbagh a platform of "atheists and spoilt people". She threatened that there would be a counter mancha (platform) if the Shahbagh demonstrations were not shut down ...




__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___