সোমবার, ১১ মার্চ ২০১৩, ২৭ ফাল্গুন ১৪১৯ জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ দাবিতে হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভ এনা, ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ॥ 'সেভ বাংলাদেশ', 'স্টপ জামায়াত-শিবির ভায়োলেন্স', 'ব্যান্ড জামায়াত-শিবির পলিটিক্স', 'জয় বাংলা', 'পতাকা ছিঁড়ে যারা রাষ্ট্রের শত্রু তারা', 'শহীদ মিনার ভাঙ্গে যারা রাষ্ট্রের শত্রু তারা', 'মন্দির ভাঙ্গে যারা রাষ্ট্রের শত্রু তারা', 'ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার', 'আমি কে তুমি কে বাঙালী বাঙালী', 'বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে ধর্মীয় সন্ত্রাস চলবে না', 'মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত বাংলাদেশে রাজাকারের ঠাঁই নেই', 'একাত্তরের ঘাতকদের ফাঁসি চাই দিতে হবে' ইত্যাদি সেøাগানে থমকে দাঁড়ান হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তা এবং আশপাশের সমস্ত লোক। ৯ মার্চ দুপুরে (বাংলাদেশ সময় শনিবার মধ্যরাত) 'সেভ বাংলাদেশ মাইনরিটি' লেখা বিরাট একটি ব্যানার নিয়ে মাথায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা পেঁচিয়ে বিপুলসংখ্যক নারী-পুরুষের সঙ্গে শিশু-কিশোর এবং স্কুল-কলেজগামী ছাত্রছাত্রীর গগনবিদারী এসব সেøাগানে বাংলাদেশে জামায়াত-শিবির এবং তাদের দোসরদের স্বরূপ উন্মোচন করা হয়। সেøাগানে সেøাগানে শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা উজ্জীবনী সিপাহশালা হিসেবে অভিহিত করা হয়। এ কর্মসূচীর সংবাদ সংগ্রহকারী সাংবাদিক ও মুক্তিযোদ্ধা হারুন চৌধুরী বলেন, বিক্ষোভ চলাকালে বাংলাদেশে জামায়াতী তা-বের আলোকে প্রকাশিত একটি লিফলেটও বিতরণ করা হয়। শত শত আমেরিকান এগুলো নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন। হোয়াইট হাউসের উর্ধতন একজন কর্মকর্তার কাছেও প্রদান করা হয় ঐ লিফলেট। তাঁরা হোয়াইট হাউস এবং কংগ্রেসের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন জামায়াত-শিবিরকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য। একই সঙ্গে তারা একাত্তরের ঘাতক হিসেবে দোষী সাব্যস্ত সকলের ফাঁসির দাবিও জানান। বৃহত্তর ওয়াশিংটনের বাংলাদেশী কমিউনিটির আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে ওয়াশিংটন ডিসি, ভার্জিনিয়া, মেরিল্যান্ড, দেলওয়ার, পেনসিলভেনিয়াসহ আশপাশের অঙ্গরাজ্য থেকে প্রবাসীরা অংশ নেন। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল বারী, ড. সত্যন বোশ, সঞ্চিতা বসু, প্রবীর দাস, সোমা বোস, বীনা দাসগুপ্ত, নারায়ণ দেব, পরিমল ঘোষ, প্রিয়লাল কর্মকার, বিমান বোস, সামিনা আমিন, অনিসুর রহমান মিঠু, খোরশেদ খন্দকার, বিদ্যুৎ বড়ুয়া প্রমুখ। |
__._,_.___