আফগান-ফেরত জঙ্গিরা হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে ত্রাসের ঘটনা ঘটিয়েছে এমনটাই বললেন চট্টগ্রাম সিটির সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। এ ত্রাসের কারণে মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রতি দানশীলদের মনোভাবেও পরিবর্তন এসেছে বলে মনে করেন তিনি। মহানগরে প্রবেশের ক্ষেত্রে তাদের বাধা দেওয়ার হুঁশিয়ারি জানিয়ে বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, 'আফগান-ফেরত এই জঙ্গিদের সংগঠিত করেছেন জামায়াত নেতা কারাবন্দী যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর অনুসারীরা। ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের চেয়ারম্যান মুফতি ইজহারের ছেলে হারুন এই জঙ্গিদের সমন্বয়ক হিসেবে নেপথ্যে ভূমিকা রেখেছেন। এসব জঙ্গিকে বিদেশে বসে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান জোটবদ্ধ করতে চেষ্টা চালিয়েছিলেন। কিন্তু তার চেষ্টার আগেই নাটকীয়ভাবে জঙ্গিরা সাঈদীকে রক্ষার জন্য মহলবিশেষের উদ্যোগের পাতা ফাঁদে পা দেন। মাদ্রাসার সাধারণ ছাত্ররা ত্রাসে জড়িত না থাকলেও জঙ্গিদের লালনকারী হিসেবে মাদ্রাসাগুলোর চালক হেফাজত নেতারা এর দায় এড়াতে পারবেন না।' হেফাজতের ত্রাসের কারণে মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রতি দানশীলদের মনোভাবও পরিবর্তন হয়েছে বলে মনে করেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। ঢাকায় শাপলা চত্বরের অবরোধ ও ত্রাস সৃষ্টি এবং এর আগে চট্টগ্রামের জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব চালানোর ঘটনায় প্রকাশ্যে গাছ কেটে নেওয়া, মসজিদ কমপ্লেঙ্ ও কোরআনে আগুন, হত্যাযজ্ঞের ভয়াবহতা বিবেচনা করলে স্পষ্টই এসব জঙ্গির পরিচিতি বোঝা যায় বলে জানান মহিউদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, কারা কখন আফগানিস্তান থেকে এসেছেন, তারা এখন কোথায় কীভাবে আছেন, ইমিগ্রেশন অনুযায়ী তা খোঁজ করলেই সব কিছু স্পষ্ট হবে। সাবেক এই মেয়র বলেন, এই জঙ্গিরা ঢাকা অবরোধকালে ব্যাংক লুট করে টাকা নিয়ে ভারতে পালিয়ে যেতে চেয়েছিল। জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে যারা সাঈদীর অনুসারী, তারা নিশ্চিত হয়েছেন যে যুদ্ধাপরাধে তার ফাঁসির রায় কার্যকর হবে। তাই যে কোনো মূল্যে লুটতরাজ চালিয়ে দেশ ত্যাগ করতে চায় পক্ষটি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের চট্টগ্রামের এই শীর্ষস্থানীয় নেতা জানান, আফগান যুদ্ধে অন্তত দুই হাজার লোক বাংলাদেশ থেকে অংশ নেন।
http://www.amadershomoy2.com/content/2013/05/15/middle0380.htm
https://www.facebook.com/photo.php?v=10152785346085099&set=vb.648840098&type=2&theater
__._,_.___