ছাত্র সংঘের কর্মীরাই আল-বদর: ট্রাইব্যুনাল
আল-বদর বাহিনী কিভাবে গঠিত হয়েছিল, এর কর্মী ছিল কারা?
অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ মুহূর্তে বাঙালি বুদ্ধিজীবী নিধনে মূল ভূমিকা রাখা আল-বদর বাহিনী গঠিত হয়েছিল জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের কর্মীদের দিয়েই।
ছাত্র সংঘের তৎকালীন সভাপতি (বর্তমানে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল) আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ডের রায়ে একথা বলেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
১৯৭১ সালে ঢাকায় ইসলামী ছাত্রসংঘের সমাবেশ
একাত্তরে বুদ্ধিজীবী হত্যার প্রসঙ্গ তুলে ওই ঘটনায় কাদের ভূমিকা ছিল সে বিষয়ে বর্ণনা দিতে গিযে ছাত্র সংঘের কর্মীদের দ্বারাই আল-বদর গঠনের বিষয়টি তুলে ধরেছেন ট্রাইব্যুনাল।
আল-বদর বাহিনী কিভাবে গঠিত হয়েছিল, এর কর্মী ছিল কারা?- রায়ে এ প্রশ্ন তুলে ট্রাইব্যুনাল বলেন, "জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র শাখা ইসলামী ছাত্র সংঘের কর্মীদের দিয়ে আল-বদর গঠিত হয়েছিল। এবং এটি সশস্ত্র বাহিনীর দখল কায়েমে সহযোগিতা দিয়েছিল।"
এ প্রসঙ্গে দ্য ইকোনমিসেস্ট কয়েক বছর আগে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করা হয় রায়ে।
'বাংলাদেশ অ্যান্ড ওয়ার ক্রাইমস: ব্লাইটেড অ্যাট বার্থ' শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, "বাংলাদেশ, সাবেক পূর্ব পাকিস্তান, পশ্চিম পাকিস্তানের সঙ্গে নয় মাসের যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে স্বাধীন হয়। পশ্চিমের সেনাবাহিনী পূর্ব পাকিস্তানের অনেক ইসলামী দলের সমর্থন পেয়েছিল। এসব দলের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীও রয়েছে, যে দলটি এখনও বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইসলামী দল; এই দলের একটি ছাত্র শাখা রয়েছে যা [পাকিস্তানের] সেনাদের সমর্থনে আল বদর নামে একটি আধা সামরিক গঠন করেছিল।"
এই দলের একটি ছাত্র শাখা রয়েছে যা [পাকিস্তানের] সেনাদের সমর্থনে আল বদর নামে একটি আধা সামরিক গঠন করেছিল।"
আল -বদর বাহিনী গঠনে জামায়াতে ইসলামীর মুখ্য ভূমিকার প্রমাণ হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পাকিস্তান চলে যাওয়া এক 'শান্তি কমিটি' চেয়ারম্যানের বই থেকেও উদ্ধৃতি দেয়া হয়েছে ট্রাইব্যুনালের রায়ে।
নোয়াখালী জেলার 'শান্তি কমিটি' চেয়ারম্যান মহি উদ্দিন চৌধুরীর লেখা এই বইয়ের নাম 'সানসেট অ্যাট মিডডে'। পাকিস্তানের করাচি থেকে ১৯৯৮ সালে বইটি প্রকাশ হয়।
বইয়ে মহি উদ্দিন লেখেন, "অবস্থা মোকাবেলা করতে পাকিস্তানপন্থীদের নিয়ে রাজাকার বাহিনী গঠন করা হয়।পূর্ব পাকিস্তানে এটা ছিল প্রথম পরীক্ষ-নিরীক্ষা যা সফল হয়েছিল। এই কৌশল অবলম্বন করে পুরো পূর্ব পাকিস্তান জুড়ে রাজাকার
বাহিনী সংগঠিত হচ্ছিল। পরে এসব বাহিনীর নামকরণ হয় আল-বদর, আল-শামসও আল-মুজাহিদ। ইসলামী ছাত্র সংঘের কর্মীদের [নিয়ে গঠিত বাহিনী] বলা হতো আল-বদর, দেশপ্রেমিক সাধারণ জনগণ যারা জামায়াতে ইসলামী, মুসলিম লীগ ও নিজাম-ই-ইসলামীসহ বিভিন্ন দলের ছিল তাদের বলা হতো আল-শামস। আর উর্দুভাষীদের যারা সাধারণভাবে বিহারী হিসাবে পরিচিত তাদের বরা হতো আল-মুজাহিদ।"
কিন্তু এই বইয়ের ওপর ট্রাইব্যুনাল আস্থা রাখবে কেন?- এ প্রশ্ন তুলে ট্রাইব্যুনাল বলছে, বইয়ে দেয়া বর্ণনার গ্রহণযোগ্যতা বিষয়ে বইটির লেখকের প্রোফাইল এবং তার অর্জন বিবেচনায় নেয়া যায়।
এরপর মহি উদ্দিনের বই থেকে তার জামায়াতকেন্দ্রিক রাজনৈতিক জীবনের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে ট্রাইব্যুনালের রায়ে।
বিদেশি ও বাংলাদেশির লেখা থেকে এই উদ্ধৃতির পর ট্রাইব্যুনাল বলেন, কাজেই আল-বদর যে ইসলামী ছাত্র সংঘের কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছিল তা স্পষ্ট।
মুক্তিযুদ্ধের শেষ তিন মাস আলবদরের প্রধান ছিলেন মুজাহিদ
যুদ্ধাপরাধী বিচার
Related:
এক মানচিত্রে জন্মেও আমি রাজাকার-
স্বাধীন দেশে পরাধীনতার চোরাবালি:
Golam Azam' is the Eichmann of Bangladesh .....
Golam Azam is the Gaddere Azam of our time....
Golam Azam collaborated with a foreign occupation army .....
Golam Azam is the twentieth century Mir Zafor Ali Khan of Bangladesh ....
Golam Azam is worse than Mir Zafor in many sense ,,,,,[Mirzafor was a
Uzbek-born, where as Golam Azam এক মানচিত্রে জন্মেও collaborated with a
foreign occupation army engaged in mass-rapes and Genocide!!!!
Golam Azam with his Jamaate Islami party vis-a-vis Islami Chattro Sangho
not only betrayed our nation (emerging Bangladesh), but aided and
abetted the Genocide & Mass-rapes of the Yahia Regime ....
Golam Azam was elected unopposed (1971 November) with the
blessings of General Aga Mohammad Yahia Khan ......
[But, as you know: man proposes Allah Subhana Wa Tala
disposes ,,,,, Gaddere Azam Golam Azam's dream never came
true. Bangladesh emerged as an Independent Republic ......
Golam Azam created an organization named Purbo Pakistan Punoruddhar
Committee. Golam Azam continued his idiotic & treacherous efforts to
nullify & stop the recognition of Bangladesh [Bangladesh Na Monjoor ].
Again, that effort too became futile ........
রাজাকার-আলবদর বাহিনী গড়ার হোতা গোলাম আযমhttp://www.kalerkantho.com/?view=details&type=gold&data=Bank&pub_no=794&cat_id=1&menu_id=14&news_type_id=1&index=0&archiev=yes&arch_date=16-02-2012
__._,_.___